এই জিনিসটা নিয়া কথা বলাটা অনেক রিস্কি, কারণ ব্যাপারটা খুব ডিফাইনড কিছু না। এই কারণে ডিসক্লেইমার দিয়া শুরু করতে চাইতেছি। যে, এইটা কোন পারসোনাল পছন্দ-অপছন্দের জায়গা থিকা বলা না। যদিও এই স্টেটম্যান্ট কোন হেল্প করবে কিনা শিওর না। তা-ও বইলা রাখতে তো কোন সমস্যা নাই।
বেশ কয়েকদিন আগের ঘটনা। দেখার পরেই চোখে পড়ছিলো জিনিসটা (কমেন্টে দিতেছি স্ট্যাটাস’টা), তখনই মনে হইছিলো আবার, যেইটা সবচে বেশি সার্টেন, সেইটাই চোখে পড়ে না। এইরকম। যেমন, আমার মতোন যারা এইটিসে মফস্বলে থাকছেন, দেখার কথা যে, বাসার কাজের লোকদেরকে রিকশায় প্যাসেঞ্জারের ঠ্যাংয়ের কাছে বসানো হইতো, সিটে না বসায়া। এইটা আনইউজ্যুয়াল ব্যাপার ছিলো না কোন। বা আরো ব্রডার উদাহারণের কথা কইলে, আঠারোশো শতকে ইউরোপে শাদা কাপল’রা নাকি তাদের ব্ল্যাক কাজের লোকদের সামনেই লাভমেইক করতে পারতো, যেইরকম বিলাই-কুত্তার সামনে করা যাইতো। মানে, ব্যাপারগুলি সোশ্যাল নর্মসের মধ্যে ‘বাজে’ কিছু না।
এইরকম ইজতেমা’র ব্যাপারটা নিয়া টিটকারি করা বা মকারি করা বা কমপ্লেইন করাও না; এইটা যে একটা হ্যাসেল, ঝামেলা – এইটা জাস্ট বলা; মনে করায়া দেয়া। বাজে কিছু না।
এইরকম ধরেন, বাণিজ্যমেলা নিয়াও থাকার কথা (কম হইলেও, যদিও আমি দেখি নাই খুবএকটা); আর বইমেলা নিয়া মনেহয় কোন কমপ্লেইন নাই। সবগুলি জমায়েতের জ্যাম লাগাইবার ক্ষমতাও একইরকমের না। তারপরেও। এই যে ধরেন, প্রসঙ্গ হিসাবেই বইলা রাখা; এইটারে সবচে ডেঞ্জারাস কিসিমের জিনিস বইলা লাগে আমার কাছে। এইখানে ভিজিবল হেইট্রেটও নাই কোন, ভঙ্গি’টা খুবই নরোম; আর ব্যাপার’টা তো সত্যিও, দেখেন! এই প্রিপারেশন তো নেয়াই লাগে, আমার এয়ারপোর্টে যাইতে হইলে এইরকমই করতে হইতো। কিন্তু এই যে, বইলা রাখা ইস্যু হিসাবে (মানে, উল্লেখ করা, ফেব্রুয়ারি মাস, বাংলা-ভাষা) – এর যে টেরর, ইজতেমা এবং এয়ারপোর্ট-গোয়িং পিপলের যেই ডিসট্যান্স’টা এই বলা’টা ক্রিয়েট করে – এইটারে না-দেইখা থাকতে পারাটা খুবই অসম্ভব মনে হইছে আমার কাছে। মানে, বইমেলা, বাণিজ্যমেলা, ইজতেমা – একই ঘটনা যে না, এইটা তো আমরা জানি। কিন্তু বলার ভিতর দিয়া, ধরেন একটা শব্দ দিয়া বা একটা টোন – অ্যাপ্রিশিয়েট করা, ইগনোর করা বা স্রেফ বইলা রাখার ভিতর দিয়া যেমনে আলাদা করা যায়, এইটা কি আসলেই চোখে পড়ে না?
আমার বলার জায়গাটা এইটা না যে, আপনে এইভাবে বলতে পারেন না বা পারবেন না। বরং, এই যে বলা, এইটা তো সার্টেন কিছু জিনিসরে ভিজিবল করতে পারে! ‘জ্যামাতঙ্ক’ শব্দটা ‘জলাতঙ্ক’ থিকা আসছে – এইটাও আমার ক্লেইম না। মানে, এইরকম হেইট্রেট যদি থাইকাও থাকে, সেইটা ক্লেইম করাও অনেক দূরের ঘটনা। কিন্তু এই যে ‘বাজে’ না, খুবই সার্টেন, নরমাল বইলা রাখার ঘটনাগুলিরে না বলাটাও মেবি খুববেশি অ্যাবনরমাল ঘটনা হইতে পারবে না, আই হোপ!
২.
আর এমন ঘটনা যে ঘটে না, তা তো না যে, একজন মানুষ ইজতেমা, বাণিজ্যমেলা আর বইমেলা তিন জায়গাতেই যাইতে পারেন, সিগনিফিকেন্সগুলি আলাদা আলাদা হইলেও। যদিও আমাদের ধারণা’র ভিতরে এই তিনটা ক্রাউড তিন ধরণের সিগনিফিকেন্স ক্রিয়েট করে যেইখানে একজন মানুষরে ইমাজিন করাটা মুশকিলেরই, যে তিনটা জায়গাটাতেই যাইতেছে; অথচ যাইতে তো পারেই, যায়ও তো মেবি।
৩.
ইজতেমা’তে যে মাইয়া’রা যাইতে পারে না বা ইসলামে ‘নারী’র অধিকার’ অথবা বাণিজ্যমেলা আর ইজতেমা অন্য কোন হ্যাসেল-ফ্রি প্লেইসে হওয়া দরকার, বইমেলা আরো কোন বেটার প্লেইসে – এইসব নিয়া আর কথা কইলাম না! সুবিধাবাদী হইলাম। 🙂
Leave a Reply