দ্য রেইন
আবারো লাগলো ভালো
সকালের এই মেগ, এই আলো
রাস্তায় রাস্তায় মানুশেরা সবাই
আলোর বেগের চাইতে দুরত
চলে যাইতে চাইতেছে, আর
আটকা পইড়া থাকতেছে ট্রাফিক জ্যামে,
একটা অসহায় লুক দিতেছে কম-বেশি সবাই
থানার সামনের দুইটা গাছ, চুপচাপ দেখতেছে
“আমরাও কি তাইলে হাঁটতে শুরু করবো নাকি?”
এইরকম হয়তো ভাবতেছে, একটু বাতাসে…
মেগগুলা উড়ে যাইতেছে আকাশে,
ময়লা নদীর পানির মতো তারা ছড়ায়া পড়তেছে
বিস্টিরে ডাকতেছে অলিভিয়া, রুনা লায়লার সুরে, ইউটিউবে
“আয় রে মেঘ আয় রে…”
আবুল হাসান রিভিজিটেড
সব ঝিনুকেরই খোল শক্ত হয়া থাকে
সব ঝিনুকের ভিতরেই বালির বেদনা থাকে না
মুখ বুজে সয়ে যাওয়া মানে মুক্তা ফলানো না
অগাস্ট ভাইবস
যদি রাত পোহালেই শোনা যেত,
তেলের দাম বাড়ে নাই
তালগাছের কবিতা
রইদের ভিতরে সামনের বিল্ডিংটা কাঁপতেছে,
যেন ঝিমাইতেছে দুপুরের বাতাসে
দূরে, একটা তালগাছ, এক পায়ে দাঁড়িয়ে…
তালগাছের কবিতা ২
দুনিয়াতে আছে
একটাই তালগাছ
ভাদ্রমাস আসলে
ভরা রইদের দিনে
সেই গাছের তালগুলা
হুট হাট ঠাস ঠাস
ঝরিয়া ঝরিয়া পড়ে
আমরা তালের বড়া খাই
সেই একটিমাত্র গাছের তাল দিয়া
বাতাসের গান
যা হয় না, তা তো হয়-ই না
যা হয়, তারও কট্টুকই আর হয়
বাতাস উইড়া যায় একটা গাছের পাতা থিকা
আরেকটা গাছের পাতায়
এট্টুকই তো, জীবন, আমাদের
যা কিছু হয় না, তা তো হয়-ই না
যা কিছু হয়, থাকে না তো তার কিছু আর, কোন সময়
নির্মলেন্দু গুণ
সেই থিকা “বেটাগিরি” শব্দটা আমাদের হইলো
কি করি আমি, কি করি…
হাওয়া খাই,
রবীন্দ্র-সংগীত গাই
ফার্মের মুর্গিগুলা কেন
আরো বেশি কইরা
ডিম পাড়তে পারে না?
– এই ভাইবা মন-খারাপ করি
নিজেদের পাছা দিয়া কয়েকটা ডিম
আমরাই কি পাড়তে পারি না?
সেই বিজ্ঞান-মনস্ক চিন্তাও করি, মাঝে-মধ্যে
মনের কথা
বাসার ফ্রিজটা আমারে বুঝে,
সিলিং ফ্যান, মোবাইল ফোন
এমনকি রাস্তার রিকশা,
দুইপাশের গাছগুলা, গাছের পাতারাও
কিছু কিছু বুঝে
খালি একটা মন
কোনোদিন
আরেকটা মনের কথা
বুঝে নাহ?
কিছু কিছু ফুল
কিছু কিছু ফুল এইরকম বিজি যে,
বাতাসে দুলতে থাকা
অরা থামাইতেই পারতেছে না
প্রেমের মরা
সাগরে হারায়
নদীতে ভাসে
পুকুরে ডুবে
আর রাস্তার কাদায় পিছলা খায়া পড়ে
তসলিমা নাসরিন
তারচে’ জাস্ট-ফ্রেন্ড পোষা ভালো
কচুরিপানার কাহিনি
নদীর পানির স্রোতে
কচুরিপানাগুলা থাকতে পারতেছিল না
ভাসতে ভাসতে
একটা খালের কিনারায় আইসা জমা হইলো
অনেক অনেক কচুরিপানা দিয়া
খালের পানি আটকায়া গেলো
কচুরিপানাগুলা কইলো, এতোদিনে বিশ্বজয় করছি আমরা!
তারপরে, পানি শুকাইলো, খাল শুকাইলো
শুকাইতে শুকাইতে কচুরিপানাগুলাও মারা গেলো একদিন
শিয়াল-আর্টিস্টদের ফ্রিডম
সেইসব শিয়াল-আর্টিস্টরা এখন চাটে পলিটিক্যাল-নেকড়েদের গাল
কয়, আমাদের দেন “গল্প বলার স্বাধীনতা”;
আমরা অনেক কষ্টে আছি,
মুর্গিগুলা ধরতে দরকার অনেক অনুদান!
পরেরবার ভোট-ডাকাতির মচ্ছবে
আমরা গাইবো গান!
ট্রাক-ভর্তি কুত্তা-বিলাই তুইলা আর্ট-মারাবো,
বলবো, নেকড়েরাই মহান!
সেইসব শিয়াল-আর্টিস্টরা
উকিল-বাড়িতে যায়, গিয়া কয়, কয়টা মামলা দেন!
তা নাইলে আমরা যে বিপ্লবী, পরমাণ করা যাবে না তো আর!
দিন যে বহিয়া যায়…
নেকড়ে কয়, শিয়াল-আর্টিস্টরা, শোনো!
তোমরা সবাই ছাগল হয়া যাও!
আর চাটো আমার গাল!
সেইসব শিয়াল-আর্টিস্টরা আজ বড় দুখী,
অরা ছাগল হইতে চায় না,
কয়, আমরা শিয়াল-আর্টিস্ট, নেকড়েদের বইন ও ভাই,
তারপরও আজ আমাদের মান-ইজ্জত নাই!
আমরা “গল্প বলার স্বাধীনতা চাই”!
পলিটিক্যাল-নেকড়ে কয়, সাব্বাস!
এইরকম নাটকই তো চাই!
দুই-ফোঁটা চোখের জলে লাগাও আরেকটু গ্লিসারিন
সেইসব শিয়াল-আর্টিস্টরা কান্দে আর তাকায়া থাকে সাইডে
কখোন আবার ভোট-ডাকাতির দিন আসবে,
চাটার চান্স পাবে পলিটিক্যাল-নেকড়েদের গাল
আগরপুর
বাজিতপুরের রাস্তায়
গাছের ছায়ারা ঘুমায়
মাঝে মধ্যে হঠাৎ
ব্যাটারি-রিকশা আর
সিএনজি অটোগুলা যায়
মেডিকেল স্টুডেন্টরা
রাস্তার ধারের ভ্যান থিকা কিনে
মন-খারাপ করা সব্জিগুলা
কিশোরী হিন্দু-বউয়ের
কপালের সিদুঁর
ঝাপসা হয়া যায়
বাদুরকাঠি ফোটে হলুদ
আর কৃষ্ণচূড়া লাল
সবুজ বাতাসে
গাছের ছায়ারা ঘুমায়
বাজিতপুরের রাস্তায়
দুপুরবেলায়
আমার তালগাছ
তাল কখনোই ঝরে পড়ে না,
তাল পড়ে ঠাস কইরা
তাল একটা রাগ-নির্ভর ফল
Leave a Reply