কুত্তা আর বিলাইয়ের মতোন
কি সুন্দর সকাল,
রইদ আইসা চুপ কইরা বইসা আছে
কুত্তা আর বিলাইয়ের মতোন
মানুষের রাস্তায়…
রিকশাগুলি ঘুম ভাইঙ্গা হাত পা নাড়াইতেছে
মর্নিং ওয়াকে যাইতেছে কয়েকটা প্রাইভেট কার
নাই বাস, নাই সিএনজি,
উনারা মেবি গর্ভমেন্টের অফিসার আর ক্রিয়েটিভ মেন্টালিটি’র, একটু দেরি কইরা ঘুম ভাঙে
তারপরে জাগে,
যেইরকম বিউটিফুল থাকে মিলিটারির ব্যারাক আর পাবলিক ইউনির্ভাসিটিগুলির ক্যাম্পাস
একইরকম পলিটিক্যাল আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ে
বাইনারিগুলি মিলতে থাকে…
কি সুন্দর সকাল
বাতাসও আইসা কয়
অনেকগুলি হর্নের ভিতর চাপা পড়ার আগে…
মনেহয়
দুইটা মনে-হওয়ার ভিতর আমরা আটকায়া আছি,
আমার ভাষা তুমি বুঝতে পারতেছো না
আর তোমার ভাষায় আমার সন্দেহ থাকতেছেই
শব্দগুলি বিদায় কইরা দিতেছে আমাদের এগজিসটেন্স’রে
আমরা আলাদা আলাদা মিনিং যেন, একই কথার;
মুইছা যাইতেছি
শব্দগুলিও মারা যাইতেছে, ঘটনাগুলি
মোমেন্টের ভিতর তড়পাইতেছে
কই মাছগুলি যেমন
অদের শক্ত কাঁটাগুলি দিয়াও
সারভাইব করতে পারতেছে না,
কিছুই করার নাই,
কারণ এইটা তো আর পানি না এখন…
অনেকগুলি অচেনা গলির ভিতর দিয়া
চইলা যাইতে থাকা রিকশাও যেমন, সন্ধ্যায়
কই কই যে যাইতে থাকে,
তারপর মনেহয়
মিনিংয়ের মতোন কোন চায়ের দোকান
থাকতে তো পারে,
সামনে কোথাও…
‘ধরো থাকলোই,
তারপরও
দুইটা মনে-হওয়ার ভিতরই তো আমরা আটকায়া আছি’
লাইক অ্যা ট্রি
আমি দাঁড়ায়া থাকি, কিন্তু আমি ওয়েট করি না
লাইক অ্যা ট্রি
বাতাস আসে, আমার চুল আঁচড়ায়া দেয়;
হয়তো কোন ঝড় আইসা উপড়ায়া ফেলবে আমারে
অথবা কোন (একটা বাজে বাংলা-শব্দ) নগর-পরিকল্পনা’র প্ল্যান..
এইসব
আর আরো কতো কতো চিন্তা নিয়া
আমি দাঁড়ায়া থাকি, কিন্তু আমি ওয়েট করি না
ডেস্টিনেশন
পাহাড় কাটতে কাটতে আমি তোমার কাছে আসতেছি
সাগর সাঁতরাইতে সাঁতরাইতে আমি তোমার কাছে যাইতেছি
তুমি একটা ডেস্টিনেশন
আরেকটা গ্রহে
মনুষ্য-বসতি
করতে
চইলা
যা
ই
তে
ছো
আরো কয়েকটা স্পেসিসের সাথে, মহাকাশে…
না দেখা
কতোবার যে মনেহয়, কতোদিন তোমারে দেখি না!
তোমারে না-দেখার ভিতরে থাইকা যাইতে থাকে তোমারে কোনদিন দেখা
ক্যামেরাগুলি ক্লোজ হইতে হইতে এক একটা অর্গান’রে যেমন আলাদা ইন্ডিভিজ্যুয়াল বানায়া ফেলে,
মাইক্রো লেন্সের ভিতরে একটা পোকা’রে যেমন মনেহয় সিলিকন বুবসের মতো এইটিইসের বুড়া হয়া যাওয়া পর্ণ অ্যাকট্রেসের,
এক একটা ডিসট্যান্স কাছে আইতে আইতে যেমন দমবন্ধ কইরা আরেকটা আমি-ই হয়া যাইতে থাকে আর শেষে বাঁইচা থাকতে পারে তোমারে না দেখার ইমাজিনেশন হিসাবে,
এইরকম
এইরকম
কতোবার যে মনেহয়, কতোদিন তোমারে দেখি না!
মাঝে মাঝে
একটা সুডো মেইল শভিনিস্ট স্যাডনেস আসে, হিস্ট্রি’রে দেখিতে দেয় না!
পাখির ভাষা
উঁচা ডালে বইসা থাকবো,
আম খাওয়ার পরে আমের আঁটি ছুঁইড়া মারবো নিচে
অথবা পাখির ল্যাদার মতোন পায়খানা কইরা দিবো একটু;
কারো মাথার উপ্রে পড়লে ভালো,
না পড়লেও তো সমস্যা নাই কোন…
উঁচা ডালে বইসা বইসা কি করবো আর!
পাখি পাখি মনে হইবো নিজেরে
পাখির মতোন ভাববো:
পাকা পেঁপে কি খাইবো?
ঘুরতেছে, একটা দুপুরবেলা
আমি তোমার মতো ঘুরতে গিয়া
পথ হারায়া কোন বনে যাই হইতে নিয়া
দুপুরবেলা রইদের ভিতর ছায়া ছায়া
রাস্তার সাইড ধইরা হাঁটার পরে দেখি মা
ছেলে নিয়া যায় স্কুল থিকা আর হাঁটে যেন
হাঁটার মানে নাই কোন, নাই রিকশা আর
আসে, তারপর হাঁটতে গিয়া হাঁটি এমন
আমিও যেন একটা চিন্তার ভিতর
ঘুরতেছি, ফিরা ফিরা আসতেছি আর
তোমার যাওয়া, যাওয়ার ভিতরে বইসা বইসা
তোমার মতো, পিঠে ব্যাগ, ঘুরতে ঘুরতে
নাই, নাই আর নাই আর তারপরে
কোন বনে যাই? দুপুরবেলা বিকাল হইতে
থাকবে আর কতোদিন পরে? কতোদিন পরে
মনে হবে, আমরা আমাদের লগে আর থাকবো না…
আমার হাতের লেখা
একটা লাইন টানলাম আমি, আঁকা বাঁকা
লাইনগুলি টানা শেষ হয় নাই আসলে
ভালো আর হইতেই পারলো না আমার হাতের লেখা
পুলিশ
পুলিশ আইসা আমারে ধইরা নিয়া যাবে
আমি পুলিশের লাইগা বাইর হইছি
ভোর হইতেছে
পুলিশ আসতেছে না
একজন বুদ্ধ কইতেছেন,
‘একটা পিঁপড়াও খুন করা যাবে না’
‘বাঁচায়া রাখতে রাখতে
অরা তো আমারে মাইরা ফেলতেছে’
কিচির-মিচির কতোগুলি পাখি
একই রকম কথা, এতো এতো দিন ধইরা
কইতেছে,
মিনিং ক্রিয়েট হইতেছে না
কোন পুলিশ ছাড়া
রেভিউলেশনও হয় হয় কইরা হয় না,
সকাল হয় খালি
আলো চইলা আসে
আমার মনের আন্ধারে আমার মন আর থাকতেই পারে না
পুলিশের ভ্যান ফিরা যায় থানায়
নাইট ডিউটি শেষে
আমার ছায়া’রে ধইরা নিয়া যায়,
আমি থানার সামনে থিকা মুখ ঘুরায়া চইলা আসি
শাদা পোশাকের পুলিশ আসে, ঘুরা-ফিরা করে, আমারে দেখে না…
Borges & I
In someone’s reality Borges, there is no Borges, and there is no Imrul
হুমায়ূন আহমেদ
কোথাও কোনো তালগাছ নেই
এগজিসটেন্স
আমার থিকা একটু দূরে, একটা ছায়া
(আমার না)
হাঁটতেছে আমারে নিয়া
কোটেশনের ভিতর
কোটেশনের ভিতরে থাকা একটা লাইন
হাঁসফাঁস করতেছিলো,
ট্রাই করতেছিলো বাইর হওয়ার
এইটা দেইখা
একটা ডাবল কোটেশন পিক করলো তারে
আটায়া গেলো বাক্যটা, তখন
কি সুন্দর!
একটা বারান্দা আমি
একলা হইতে হইতে আমি একটা বারান্দা হয়া যাই
একলা হইতে হইতে একটা চড়ুই আসে,
একটু পরেই এই লোনলিনেস তার আর ভাল্লাগে না,
অস্থির হয়া ঘুরতে থাকে এইদিক সেইদিক
কয়, ‘আমি আমার ফ্রেন্ডদের কাছে যাই!’
এইটা জাস্ট কথার কথা
(বারান্দায় কেউ তো আর থাকতে আসে না),
আমি কিছুই শুনি না, রাস্তায় একটা লোনলি রিকশা
প্যাসেঞ্জার ছাড়া আসে, যায়…
একটা আমগাছে আমগুলি বড় হয়া উঠতেছে
একটা বারান্দা আমি, অন্য অনেকগুলি জানালার সামনে
অন্য অনেকগুলি বারান্দা, তারা সামনাসামনি
পাশাপাশি দাঁড়ায়া গল্প-গুজব করে, আমি তাকায়া দেখি
আমার কথা নাই কোন
আমি তোমার কথা ভাবি, তোমার কথাগুলির কথা
ভাবতে ভাবতে একলা হইতে থাকি
একলা হইতে হইতে আমি একটা খালি বারান্দা হইয়া বইসা থাকি, বিকালবেলার
Leave a Reply