ঘুম
এমন ঘুম আসলো আমার,
এমন ঘুম
বুঝছো!
মনে হইলো যেন
মারা গেছি আমি
আর তারপরে
তোমার সাথে
দেখা হইলো
আমার
তুমি জিগাইলা
আমারে,
“তুমিও মারা গেছো তাইলে?
হায় হায়, এই এতোদিন পর…”
তোমার মুখে
গালের শিরায়
রক্তের নদী বয়ে যায়
আর সেই নদীর পাড়ে
বইসা থাকতে থাকতে
কি যে ঘুম
আসলো আমার
বুঝছো!
কি যে একটা ঘুম
মরণের মতন
শান্ত, নিষ্পাপ
যেন একটা ঢেউ
আসতেছে
অনেক দূর থিকা
আর কোন কিনারা
সে খুঁজে পাইতেছে না…
মেটামরফসিস
একদিন সকালবেলা ঘুম থিকা উঠার পরে একটা তেলাপোকা বইলা উঠলো, শোনো, আমি কিন্তু কোনদিনই কাফকা হবো না!
সক্রেতিস
যেই লোক জানেন যে উনি কি জানেন-না
তিনি
যেই লোক জানেন যে উনি কি জানেন
তার চাইতে
একটু বেশি জানেন
সৈয়দপুরে সন্ধ্যা
দূরে কোথাও সন্ধ্যা হইতেছে
ভেড়ার লোমের মতন খসে পড়তেছে বাদামি আলোর রঙ
অন্ধকার, যেন অন্য আরেকটাই কালার
নেমে আসতেছে ধীরে ধীরে
দুনিয়ার দৃশ্যগুলার উপর
চিনি মসজিদ
চমকায়া উঠতে চাইতেছে
চিনামাটির টুকরাগুলা
আর তার পিছনে
খ্রিস্টান গোরস্তানের গাছগুলা
শুনতেছে আল্লা-রাসুলের নাম
“নামাজ আমার হইলো না আদায়”
ইজি-বাইক আর সিনজিগুলার মতো
মন আমার খালি ঘুইরা-ফিরা
এইদিক-সেইদিক চইলা যায়…
ধারণার জীবন
একটা ধারণার লিফটে
গাদাগাদি কইরা উঠতেছে
অনেকগুলা মানুশ
আর তাদের মন
মনে মনে বলতেছে,
এরই নাম
জীবন!
রাতের ট্রেন
একটা ট্রেনের জানালা দিয়া
আরেকটা ট্রেনের জানালার মানুশদেরকে দেখতেছি
অরাও, আমাদের মতোই, আধ-মরা, ডিপ্রেসড…
তোমার নাম
জ্বরের ঘোরে আমি
তোমার নাম ডাকি
“শুয়াচান পাখি,
তুমি ঘুমাইছো নাকি?”
কবিতা লেখতে হইলে
কবিতা
লিখতে হইলে
নিজেরে ভাঙতে পারতে হয়
কয়েকবার
তারপরে
জোড়া লাগাইতে হয়
আবার
ভাঙতে হয়
আর জোড়া লাগাইতে হয়
জোড়া’টা হয় না ঠিকঠাক
তখন
যতটুক হয় না
ততটুকই
কবিতা
হয়া থাকে
অনেক সময়
কবিতা লেখার তরিকা
বিলের পানির মতো টলটলা শব্দগুলা দিয়া
কবিতা লেখতে হয়
ক্রিয়েটিভ প্রসেস
অনেক কুয়ার পানি শুকায়া যায়
অনেক কুয়ার পানি শুকাইতে শুকাইতে
মাটির নিচের মিঠা-পানির সাগর’টার দেখা পায়
ভইরা উঠতে থাকে আবার
কুয়ার ভিতরের এই কাহিনি,
যারা কুয়ার পানি খায়, তারা
দেখতে পায় না
পাটখেত দেখতে দেখতে লেখা কবিতা
নাইল্লার খেতে
হাঁটু সমান পানিতে
পচতেছে পাট
পচার পরে
পাট হবে
আর হবে শোলা
এইরকম পচতে জানলে
জীবনের ময়লা
আর দুর্গন্ধ থিকাও
তৈরি হইতে থাকে
কিছু কবিতা
দাস্তাম্বু
সন্ধ্যা
অল্প একটু সময়
তারপরে রাত
আর তার আগে দিন
কবিতাও এইরকম
অল্প একটু টাইমের জিনিস
লাইফও তো, তা-ই, এইরকমই…
কর্পোরেট স্লেভ
কোট-পরা কর্পোরেট স্লেভের মতন
আয়েশি ভাব নিয়া কয়েকটা হাঁস
সকালের রাস্তাটা পার হইতেছে
পোলট্রি-ফিড নিয়া যাইতে থাকা পিক-আপ’টার
এই কারণে যে স্পিড’টা কমানো লাগলো, সে খেপলো,
কইলো, “আইছে, আমার বড় ছার!”
হাঁসগুলা, তথাপি, উদাস…
বিলের পারের বাতাস
বাতাস আইসা জড়ায়া ধরতেছে আমারে
চুমা খাইতেছে আমার গালে, চোখে আর চুলে
বাতাস আমারে নিয়া খেলতেছে, বলতেছে
আমি তো যাইতে দিবো না আর তোমারে!
আর সে চলে যাইতেছে,
মেগগুলারে ভাসায়া নিয়া যাইতেছে, অইপারে…
তিনটা বাঁশের বেড়া
যেই বাস্তবতার ভিতর দিয়া আমি অ্যাপিয়ারড হইতে চাই,
অই বাস্তবতা তো নাই এই দুনিয়ায়
যার ফলে, কবিতা লেখার ভিতর দিয়াই অই দুনিয়াটা আমারে বানাইতে হয়, সবসময়
Leave a Reply