মেটাফোর ২
ভাবতে ভাবতে একটা মানুশ গাছ হয়ে যাইতেছে,
অনেকগুলা ভাবনার পাখি বসতেছে আইসা তার ডালে
ঘটনার বৃষ্টিতে অরাও তো ভিজতেছে!
কারাগারের রোজনামচা
জেলখানাতে তো জায়গা কম,
জেলখানাগুলা বাইরে চলে আসছে,
আমাদের ঘরে ঘরে, রাস্তায়, মনের ভিতরে ঢুকে গেছে
জেলার তো খুবই দরদী, টিভিতে-পত্রিকাতে
আমাদেরকে নিয়া কান্দে, কয়
তোমাদের লাইগা আমার খারাপ লাগে তো!
তোমরা কই কই থাকো!
তোমাদের লাইগা আমরা জেলখানা প্যাকেজ নিয়া আসছি
এতো জেলখানা তো আমরা বানাইতে পারবো না,
তোমরা তোমাদের’টা বানায়া নিবা, আর
আমরা তোমাদের জেলখানাগুলা পাহারা দিবো,
যার জেলখানা যতো সুন্দর, সে তত সুনাগরিক হবা,
এওয়ার্ড-টেওয়ার্ডও দিবো…
তোমরা জেলখানা বানাও – হিস্ট্রি দিয়া, গান দিয়া,
গল্প, কাহিনি, নাটক দিয়া দেখাও
জেলখানা কতো সুন্দর!
আমাদের জেলখানাগুলা সুন্দর,
তবু ফুল ফুটে, এবং পাখি গান গায় টাইপ
আমরা যে জেলখানাতে আছি – এইটা বুঝছো,
বুঝা-ই যায় না!
দুনিয়া’টাই তো দুইদিনের জেলখানা – এইভাবে
আমরা বুঝাই আমাদেরকে, আর মন
তো পোষ-না-মানা পাখি,
থাকতে থাকতে সবকিছুই সে বুইঝা যায়,
খালি বলে, জেলখানার দেয়ালগুলা মনেহয় সইরা আসতেছে,
এরা দমবন্ধ কইরা মাইরা ফেলবে না তো একদিন?
মন’রে আমি বলি, শোনো, এইগুলা তোমার প্যারানয়া,
আমাদের জেলখানা এতোটা অমানবিক না!
এই যে আমি কবিতা’টা লিখতেছি,
এইটাও কিন্তু দেখতেছে অরা, সিসি ক্যামেরা দিয়া
হাসতেছে, মনেহয় বলতেছে, বোকাচোদা…
এইরকম বোকাচোদা হয়া থাকো মন!
জেলখানার দিনগুলার ভিতর!
নিউ মুন
ফিরা আসবো,
তারপরে বলবো, হারায়া গেছিলাম!
বাসার সামনের কুত্তাটা ঘেউ ঘেউ করবে কিছুক্ষণ
“দ্বীনের নবী মুস্তফায়,
রাস্তা দিয়া হাঁইটা যায়”
ইমোশনের অন্ধকারে ইন্টেলেক্ট নাই
ইন্টেলেক্ট অন্ধ, ইমোশনের একটা লাঠি হাতে
রাস্তা খুঁইজা বেড়ায়
সকাল এগারোটার কবিতা
সকাল সকাল উইঠা বইসা আছি,
পৃথিবী, আমারে তুমি মুগ্ধ করো!
একটা ময়লার ভ্যানের পিছনে
হেঁটে হেঁটে যাইতেছে একটা কুত্তা, গম্ভীর…
রাস্তায় খালি রিকশা একটা, উদাস
মানুশগুলা চুপচাপ,
একটা মেশিনের আওয়াজ দূরে, টুকটাক টুকটাক
আমি বারান্দায় দাঁড়ায়া দাঁড়ায়া দেখতেছি
পৃথিবী আমারে অ্যামেইজ করার কোশেশ করতেছে,
আমি পৃথিবীর মতোই
একটা কোণায় পইড়া আছি
আমি আর আমার পৃথিবী
যেন দুইটা আলাদা আলাদা বাস্তবতা
স্বপ্নের গরুগুলি
অরা ঘুরতেছে, হাঁটতেছে
একটা এবস্ট্রাক্ট আর্টের মতো
মসজিদের ভিতরে
মাটি থিকা দুই ফিট উপরে
একটু ঝাপসা, একটু মন-খারাপের মতো
ভালো মানুশের মন
যেই ভালো আমি কোনদিনই হইতে পারবো না,
সেই ভালো আইসা আমারে বারবার জিগায়,
“তুমি কি কোনদিনই ভালো হবা না?”
ফ্রয়েড-কমপ্লেক্স
সে আমার স্বপ্নের ভিতরে চলে আসলো,
আমি তারে জিগাইলাম, “আরে, আপনি এইখানে কি করেন?”
উনি মনেহয় শরম-ই পাইলেন একটু,
ধীরে ধীরে চলে গেলেন,
আমার স্বপ্নের ভিতর থিকা
আমি একটু অবাক-ই হইলাম,
কি মিনিং প্রডিউস করতে উনি আসছিলেন?
Leave a Reply