স্বপ্নের গরুগুলি
তবু তাঁর মাঠে ঘাস খাই আমি
জোছনার রাতে, যেন আমি সুরিয়ালাস্টিক
সেই কারণে গরুও না, ঘোড়া
‘ঘোড়া-মন, তুমি গরু হইবা কখোন?’
রাত জাগতে জাগতে গান শুনে আকাশের তারা
কি কি থাকলো…
ঢাকা উদ্যানের গেইটে ভোরবেলার কুয়াশায় একটা পুলিশের টহল গাড়ি
রেলক্রসিংয়ে আটকা-পড়া ব্যাটারি রিকশার একটা দুপুর
অনেক অনেক রইদ
রাস্তায়, রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম
জল ও পানি, পানি আর জল
বৃষ্টি, সিগ্রেট, জানালার কাঁচ
রাতের বেলায় ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ লেখা রোডে মোটর সাইকেল একসিডেন্টের একটা লাশ
একটা অন্ধকার যা সবসময় অন্ধকার
ব্লেইম গেইম
আশুগঞ্জ তো জানে যে এইটা ভৈরব না
ভৈরবও জানে যে সে আশুগঞ্জ না
মাঝখানে মেঘনা নদীটা জানে না আর কি যে,
তার কারণেই এতো সব ঘটনা
জার্নাল: ১৪২৬
যেন
ধরলেই
ভাইঙ্গা যাবে;
এইরকম,
ঘুমের মতন
নদীর পানি
স্থির হয়া আছে
কি যে এক শান্তির মতন
ছবি’র মতন চুপচাপ হয়ে আছে, এই মহিলার মন…
আলঝাইমার (Alzheimer)
ডেইলি ডেইলি আমরা তো আর ডেইলি লাইফের কথা বলবো না!
পাথরগুলা গড়ায়া যাইতে যাইতে একদিন হয়া যাবে ধুলা-বালি…
পাথরকে পাথর বইলা আমরা আর চিনবো না
শীতের বাতাসে জইমা থাকবে লেকের পানি
ধুলা উড়তে থাকবে, রাস্তায়
খসখসা চামড়া নিয়া খসখসা রোডে হাঁইটা যাবো আমরা
‘কে যে ছিলাম, কি যে ছিলাম…’
রাস্তাগুলা মনে করতে করতেই চইলা আসবে
অনেকগুলা ছায়া, ছায়ার অন্ধকারে গান
গাইতে থাকবে গাছগুলা, কুয়াশার শব্দের মতন
নিভে আসতে থাকবে আমাদের শরীর, আর
একটু দূরে শহরের বাতিগুলা জ্বলতে থাকবে সারারাত
যেন অরা পাহারা দিতেছে আমাদের ঘুম আর মাথা-ব্যথা…
আমি মনে করার ট্রাই করতেছি আর ভুলে যাইতেছি,
এখন থিকা কি কি জানি আর করবো না…
এইসবই আর কি!
মা-বাপে মিসকিন
পুলাপাইনের খবর নাই
আমরা স্বাধীন
মায়া
“এইটা কেন আসছে আমার কাছে?
আমি তো কোনদিনই চাই নাই এরে…”
একটা ছায়া তার শরীর’রে বলতেছে
একটা ড্রোন নাই বইলা
একটা ডাবল ডেকার বাস
হেলে দুলে যাইতেছে
একলা একটা হাইওয়ে দিয়া, ধুলা উড়ায়া
বাতাস গাইতেছে গান, ‘চুমকি চলেছে একা পথে…’
এই গান শুইনা বাস’টা তাউরাইতেছে একটু, খামাখাই
একটা ড্রোন নাই বইলা
এই কথা কবিতা লেইখা আমারে বলতে হইতেছে
কি কথা?
হাতে ধইরা বাংলা-ভাষা
শিখাইতেছে আমারে
কিভাবে বলতে হবে, কথা
ও আমার বাংলা-ভাষা
আমার নাই তো কোন কথা!
আমি তোতলাইতেছি এমনভাবে
যেন কিছু আমি বলতেছি…
আর বাংলা-ভাষা বেয়াকুল হয়া
জিগাইতেছে আমারে
ও ইমরুল, কি কথা তোমার? কি কথা?
আমি বাতাসের মতো চুপ কইরা থাকি
আমি নিরবতার মতো কথা কই
তোমার শ্বাসের উঠা-নামার ভিতরে সবসময়
আটকায়া থাকে আমার কথারা
একটা ভালো কবিতা কেমনে বানানো হয়?
এক ঝাঁক কবি (মহিলা ও পুরুষ) উইড়া আসলো,
আমগাছের নিচে বইসা শীতকালে তরুণীটি
ভাবতেছিলো, জাম-ভর্তা আমি কবে খাবো?
কবি’রা কিচির-মিচির করতেছিলো,
তাদের কিছু কথা পইড়া যাইতেছিল নিচে
তরুণীটি ভাবলো, ওহ! এই তাইলে কাকতালীয়!
কবি’রা খুশি হইলো, কবি’রা উইড়া চইলা গেলো
আমগুলা জাম হইলো, জামের ভর্তা খাইতে খাইতে
মেয়েটা কইলো, “বাহ্, ভালো কবিতা-ই হইছে তো!”
বন্ধু আমার গোলাপ ফুল
গোলাপ আইসা বললো,
আমি তোমার কাঁটাগুলা নিবো!
তারপরে
আমারে চারপাশে রাইখা
গোলাপ যে, শে নিজেরে সাজাইলো…
শীতকাল
মক টেস্টের পরে
যেমন
লাইভে আসে
কোন সফটওয়ার
এইরকম
মক-শীতের পরে
চলে আসছে
আসল
শীতের বাতাস
শীত-প্রেম নিয়া
যারা কাঁপতেছিল
প্রেমে পড়ার আগে
প্রেম-ভাব নিয়া
যারা মইজা ছিল,
তারা উধাও
শীতের বাতাস
গাঢ় কোন প্রেমের মতন
তাদেরকে চুপ
করায়া দিছে, তারা
বলতেছে, কি যে বিশ্রী
এই শিটকাল!
দ্য আইডিয়া অফ হিউম্যান বিং
“অভিশাপ দিলাম, তুই একটা হিউম্যান হয়া থাকবি”
– একটা এ.আই. কইলো, একটা রোবট’রে।
“তুই কি! তুই তো হবি বড়জোর একটা বেটার হিউম্যান!”
– রোবট’টা গাইল দিলো ভার্চুয়াল এ.আই.’টারে।
মানবতাবাদী মেয়েটা তারপরও মানুশ-ই হইতে চাইতেছিলো, কোন না কোনভাবে…
Leave a Reply