মাছের কাঁটা
আমার গলায় মাছের কাঁটা লাগছে
একটা বিলাই বলতেছে
শুইনা ভাজা মাছটাও হাইসা উঠলো, বাটিতে
বিলাইটা চেইতা গিয়া তখন অই মাছটারেও খাইলো
তারপরে বাটি’টাও হাইসা উঠলো,
বিলাইয়ের গলার কাঁটা তা-ও সরলো না
পিরিতি, মাছের কাঁটা
থাকলে থাকে না, না থাকলেই থাকে
কিন্তু, বিলাই-রে এই কথা কে বুঝাইবে!
লাভ লেটার
রসের বন্ধু আল মাহমুদ,
অনেকগুলা আইটেমের মধ্যে আমি হইতেছি তাইলে
আরেকটা আইটেম!
আপনার মন-খারাপের উপাদান, যারে
আপনি পাইতে পারেন না,
এই কারণেই রসের আলাপ করেন!
হাঙর, কুত্তা, বিলাই, অধ্যাপক, সম্পাদক
দুনিয়ার কেউ আপনারে পাত্তা দেয় না,
তাই আপনে খালি কবিতা-ই লেখেন,
আর ঢেউ গুনতে থাকেন আমার শরীরের,
চোখ বন্ধ কইরা
আমিও লেখছি একটা কবিতা,
আপনারে লইয়া, পড়েন –
“ও পাড়ার পুংটা মাহমুদ
কথায় কথায় যার কবিতার সুর,
তবু পোলা, পিরিতি বোঝে না।”
ইতি,
সুন্দরী রোজেনা
ক্যারিয়ার
রেট-রেইসে হাঁটতে হাঁটতে একটা ইন্দুর বলতেছে,
“এতো তাড়াতাড়ি কোথাও পৌঁছাইতে চাই না আমি”
অন্য ইন্দুরগুলা হাসতেছে, ভাবতেছে ক্যারিয়ার শেষ অর,
তা নাইলে অন্য কোন ফন্দি-ফিকিরই করতেছে মনেহয়…
যেহেতু ইন্দুর, কোন না কোন রেট-রেইসেই তো আমরা আছি!
কথোপকথন
শে একদিন বললো, আই লাভ ইউ।
সে বললো, হালকা মুতে শুয়ে পড়ো।
তারপর অনেকদিন পার হইলো।
মেঘনা নদীতে অনেক পানি গেলো আর আইলো।
সে একদিন বললো, আই মিস ইউ।
শে বললো, এই পৃথিবী একবার পায় তারে,
পায় নাকো আর!
দুইজন মানুশ – ছেলে আর মেয়ে, হেট্র্রোসেক্সুয়াল, নরমাল
এইরকম কথা কইতে থাকলো আমার কবিতায়।
গডোট
(টু সেমুয়েল বেকেট)
যে অন্য কেউ,
সে এইখানে নাই
অন্যরকম
কেন আমি হইতেছি না অন্য কেউ?
কেন আমি না একটা মন-মতো পুতুল?
কেন আমারে হৃদয়ের কোটরে রাখা যাইতেছে না?
আর আমি মারাও যাইতেছি না!
খালি যে কোন সময় মারা যাইতে পারি, ফুরুত, ফুঁ!
কিন্তু আমি বাঁইচা থাকতেছি, আর কথাও বলতেছি!
আর শোনা লাগতেছে তোমারেই!
কেন আমি উইয়ার্ডও না তেমন?
একটা কৃষ্ণচূড়া গাছ যেমন রাস্তার পাশে,
শিকড়-বাকর নিয়া উপড়ায়া পড়বে সামনের বৈশাখের ঝড়ে
তারপরে ফুল-ফোটানোর কথা ভাবতেছে,
এইরকম গতানুগতিক, লেইম…
তারপরেও আমি চাইলেই কি হইতে পারতাম না আরেকটু প্রেজেন্টেবল?
যারে পাবলিকলি এপ্রিয়েশট করা যায়, বলা যায়
ও উনি, উনি তো একটু অন্যরকম!
বসন্তের কুুকিল
দুনিয়াতে
একটা কুকিলের ডাকে-ই কি
বসন্ত আসে?
বসন্ত রিপ্লাই দিলো
একটা কুকিলেরই ডাকে,
সকালে
কুকিল, তুমি ডাকতেছো কারে?
“যার ঘুম ভাইঙ্গা যায় বারবার
আমার-ই ডাকে”
আমি আর ইমরুল হাসান
আমি’র আমারে আর ভাল্লাগে না,
আমি বলে, এই দুনিয়াতে আর থাকবো না, বুঝছো!
তা-ও সে থাকে, আমার লগেই।
এইসব হইতেছে না-পারতে থাকা,
যেইরকম থাকে ধুলা-বালি বসন্তের,
বৈশাখের তুফানের অপেক্ষায়
যেইরকম থাকতে থাকতে একটা হোপ
টায়ার্ড হয়া যায়, অইরকম আমি আমারে আইসা বলে,
বুঝছো, আমি আর থাকবো না তো তোমার লগে!
হেই মিস্টার টাম্বুরাইন ম্যান
বব ডিলান কইছিলেন,
কবি’রা খুব বদনসিব হয়, তাদের লাইফের
এন্ডিং হয় খুব বাজেভাবে
তো, আমি আমার বদনসিবি’র জন্য
ওয়েট করি না, তারে ডাইকাই নিয়া আসি –
“বাঁশ তুমি কোথায়!”
বাঁশ কয়, আমি বব ডিলানের
ফাটা-গলার আওয়াজের ভিতর আটকা পড়ে গেসি,
আসতেছি, দাঁড়াও!
দুই জীবন
আমি হইতেছি একটা শয়তান।
কিন্তু শে আমারে কইলো,
তোমারে দেখতে তো সাধু-সন্তের মতো লাগে।
তারপর থিকা আমি ভালো-মানুশের রোলে
অভিনয় করা শুরু করলাম।
Leave a Reply