গার্লফ্রেন্ডের জন্য কিছু কথা – সিজার পাভিজি।

একটা মেয়ের সাথে হেঁটে যাই আমি কোন কথা না বলেই
রাস্তায় শে আমারে দেখছিল। এখন সন্ধ্যা,
প্রশস্ত পথের পাশে গাছ আর আলোদের সারি।
থার্ড টাইম দেখা করতেছি আমরা।
অস্বস্তিকর ডিসিশানটারে আরো কঠিন কইরা তোললো মেয়েটা:
ক্যাফেতে বসাটা বাদ হয়ে গেছিল কারণ মানুষের ভীড় আমাদের ভালো লাগে না,
আর সিনেমাহলের অপশনটাও, কারণ প্রথমবার আমরা গেছিলাম
সেইখানে… ওইখানে আবার যাওয়াটা ঠিক হইবো না
কারণ আমরা তো আর প্রেমে পড়ি নাই।
এইজন্য চলো হাঁটতেই থাকি
পো পর্যন্ত, ব্রীজটার কাছে যাই, আর তাকায়া থাকবো নে প্রাসাদের আলোগুলির দিকে
যেইখানে স্ট্রীটল্যাম্পের আলোগুলি পড়ে পানিতে।
থার্ডটাইম ডেইটের ডেডনেস আমাদের।
একজন অপরিচিত মানুষরে যদ্দূর জানা দরকার তার সম্পর্কে আমি ততটুকই জানি,
যে তারে একটা অন্ধকার রুমে জড়ায়া ধরছিল আর চুমা খাইছিল
যেইখানে অন্য কাপলরাও জড়াজড়ি করতেছিল,
যেইখানে ছিল অর্কেষ্ট্রা – একটা সিঙ্গেল পিয়ানো – বাজাইতেছিল আইডা
এভিনিউ দিয়া হাঁইটা যাই আমরা, আর অন্য সবার মতো।
এইখানেও একটা অর্কেস্ট্রা, ক্যাড়ক্যাড়ানি আর গান-গাওয়া,
একটা যান্ত্রিক গোলযোগ, ট্রামের ঝাঁকুনিগুলির মতোন।
তারে আমি আমার দিকে টানি আর তাকাই তার চোখের দিকে:
নিরবে শে তাকায় আমার চোখের দিকের আর হাসে।
আমি জানি তারে, যেমনটা আমি সবসময় জানি সব মেয়েদের সম্পর্কে:
যে শে চাকরি করে, শে দুঃখী, আর যদি আমি তারে জিগাই,
“আজকে রাতে তুমি কি মরতে চাও?” শে হ্যাঁ বলবে।
“আর আমাদের এই এইটুক প্রেম?” “আমাদের প্রেম তো অন্যরকম কিছু,
এইটা শুধু এই মুহূর্তের।” (ওর একটা বয়ফ্রেন্ড আছে।)

সুন্দরী মেয়ে আমার, আজকে রাতে আমি সেই ছেলে না,
যে গোঁয়ার, যে তোমারে জিইতা নিতে পারে একটা চুমা দিয়াই, রাস্তায়
একটা বুড়া লোকের সামনে যেই ব্যাটা থতমত তাকায়া থাকবো তখন।
আজকে সন্ধ্যায় আমি হেঁটে যাই সবচে বিষন্ন চিন্তাগুলি নিয়া,
সেই সময়টার মতোন যখন তুমি বলো যে, তুমি যদি মইরা যাইতে পারতা।
এমন না যে আমিও মইরা যাইতে চাই। সেই দিনগুলি আমি পার হয়া আসছি,
আর তাছাড়াও “আমরা তো আর প্রেমে পড়ি নাই।” ভীড়ের মানুষেরা হেঁটে যায়,
গাদাগাদি করে আর ধাক্কা দেয়, আর তুমিও সেই ভীড়ের মধ্যে,
অন্য সবার মতোন, তুমিও হাঁটতেছো আমার পাশে।
এমন না যে আমি তোমারে ঘৃণা করি – তুমি কি এইটা কখনো বিশ্বাস করবা? –
কিন্তু আমি একলা, আর সবসময় একলাই থাকবো।

এই যে দেখো, পো তে চইলা আসছি আমরা – “দেখো, কি সুন্দর – কি স্বচ্ছ এই সন্ধ্যা।
আলোর সারিগুলি… ডকের বাঁকগুলি:
অন্ধকারে, মনে হইতেছে, যেন সাগরের পাড়ে আসছি।”
খুশি মন নিয়া শে কথা বলে, ধরে রাখে আমারে:
এই ব্রীজের উপরে, আমিও কি আরেকটু জোরে জড়ায়ে ধরবো তারে?
দূরের অর্কেস্ট্রাটা আমাদেরকে ফলো করে চলে আসছে এইখানে।
পাহাড়গুলি অন্ধকার। “চলো আমরা পাহাড়ে যাই?”
“না, পাহাড়ে যাবো না, ওইটা অনেক দূরে। এইখানেই থাকি আমরা আর দেখি…”
আজকে রাতে আমি তোমার শরীর ডিজায়ার করি না
সুন্দরী মেয়ে আমার, যদিও তুমি জীবিত
আমার হাতগুলির কাছে যা তোমার পাছার উপর ঘুরে বেড়াইতেছে।
আমি তো জানি তোমারে, যেমনটা আমি সবসময় জানি সব মেয়েদের সম্পর্কে:
যে তুমি উদগ্রীব হয়া আছো তোমার ম্লান নীল সিল্কের পোশাকের নিচে,
যে তুমি চাকরি করো আর তুমি দুঃখী আর কোনদিন হয়তো হইতে পারো, আমার।
যদি তুমি চাও – আর কে জানে সেইটা? – তোমার দ্বিধাগুলি যদি তুমি মুছে ফেলো।
কিন্তু এখন নিরব আমি, আর একলা,
এমনই একলা থাকবো মরার আগ পর্যন্ত।
এইটা কোন অহংকার না, আমার। অনেক আগেই আমি ভুলে গেছি আমার অহংকার,
এইটা এমন একটাকিছু যে আমি চাই না কেউ আমার লাইফ থিকা আমারে সরায়ে ফেলুক।
“চলো, আজকে রাতে নৌকায় ঘুরতে যাই?” “এইটা বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে যায়, এইখানেই থাকি না আমরা।”
“না, না, আমি থাকবো তো তোমার পাশে।” “কিন্তু এখন তো অন্ধকারে, আমরা পইড়া যাইতে পারি।”
“তাইলে তুমি কি চাও, কি করবো এইখানে আমরা, খালি তাকায়া তাকায়া দেখবো দৃশ্যগুলা?”
“দেখো, জায়গাটা কিন্তু সুন্দর।” “বাদ দাও। পানি থিকা দেখলে আরো সুন্দর লাগবে তো।
ওরা আমাদেরকে একটা বাতি দিবে তো।” কথা বলি আমি তার সাথে, ধরে রাখি
তার মোলায়েম হাত, আর জড়োসড়োভাবে ঠোকর দেই
তার গালে। তার ভিতর থিকা শে ফিল করতে পারে যে, আমি ধরা খাইছি
আর তখন, অনেকটা অনুতপ্ত স্বরে, আবারো বলে শে: “চলো আমরা এইখানেই থাকি আর দেখি।”

 

download

Leave a Reply