ঘিঞ্জি বস্তির শহরগুলি, আমি ভালোবাসি
যেইখানে শহর এর ভিতর আটকায়া আছে গ্রাম, আমি ভাবি
গ্রাম নিয়া চিন্তা আমার ভর করে ওই বস্তির ভিতর, যা আমি দেখি না
অ্যাজিউম করি যে, ওইটাই একটা প্রটোটাইপ, শহরের সৌন্দর্য্য নষ্ট করে
নিজেদেরকে গইড়া তোলার ট্রাই করে; ওইটা একটা অহেতুক রিয়ালিটি
যত দ্রুত পারি, আমি তাদেরকে শহরের অর্ন্তভুক্ত কইরা দিতে চাই
আর তারাও খুব দ্রুতই গ্রাম্যতা নিয়া আসে শহরের ভিতর [pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]
আইল্যান্ড ধইরা এমন বেখেয়ালে হাঁটে যেন ক্ষেতের আইল
ময়লা পানির খাল পার হয় ডিঙি নৌকায়, যেন বর্ষার নতুন পানি
আর বৃষ্টিতে পানি জমলে কি যে খুশি, বড় বড় রাস্তাগুলি তো এক একটা নদী!
বস্তির মানুষজন এই শহরটারেই নানান ফন্দি-ফিকিরে একটা গ্রাম বানায়া ফেলে
ছুটির দিনে ওরা ঢুইকা পড়ে সুপার শপ আর শপিং মলে
এইটা-ওইটা দেখার ভান করে দেখে শহরের মানুষগুলি, ফলো করে যে
হাফপ্যান্ট পইরাই শহরের মানুষগুলি এখন বাইরে চইলা আসছে
ওদের আর ঘর-বাহির নাই, রাস্তা-বাড়ি নাই, নারী-পুরুষ নাই, স্ট্রেট-গে নাই …
আর কি যে উত্তেজনা, ওদের চকচক করা চোখে
নুডুলস এর বাটিতে, স্যুপের চামচে ওরা একটু একটু কইরা শহর খেয়ে ফেলতেছে
আর শহর ছুটে যাইতেছে, বেড়িবাঁধের ওইপাড়ে
নিষকন্টক জমি খুঁজতে খুঁজতে এক্সপান্ড করে যাইতেছে মাইলের পর মাইল
ওইখানে কি আর গ্রাম আছে?
গ্রাম খুঁজতে খুঁজতে শহর পার হয়া একদিন গেছি
বাড্ডা পার হয়া সাতাঁরকুল ইউনিয়নের ভিতরে
গিয়া দেখি সাইনবোর্ড, শহর আসতেছে!
উত্তেজনায় কাঁপতেছে মানুষজন, এইটা আর গ্রাম নাকি!
দুইদিন পর তিনশফুটের রাস্তাটা হইলে, এইটা তো হবে মূল শহর…
হাঁটতে হাঁটতে যতদূরই যাই, দেখি বড় বড় বিলবোর্ড
শহর আসতেছে!
গ্রামের মানুষগুলি কিলবিল করে ঢুকতেছে শহরে
আরো আরো শহর ঢুকে যাইতেছে আরো আরো গ্রামের ভিতর
সাব-আরবান এরিয়াগুলিও চাইতেছে মেট্রো-রেলের অপশন
গ্রাম্যতাই কি শহরের রিয়েল অবশেসন?
সেপ্টেম্বর ৪, ২০০৯
Leave a Reply