পাহাড়ি গড-এর সীমানা পার হয়ে আমরা নেমে আসছিলাম রাস্তায়, ট্রাফিক জ্যামে। মানুষের কথা, মানুষের সঙ্গ খালি ক্লান্ত করে। একই কথা তাঁরা বলতে থাকে, একই গান গাইতে থাকে। আর বলে এরা নতুন। আমাদের ভঙ্গিমা দিয়া আমরা নতুন কিছু আবিষ্কার করতেছি। নতুন নতুন আবিষ্কার দেখতে দেখতে শুনতে শুনতে ক্লান্ত লাগতে থাকে। রিকশায় কিছুদূর আসার পরে মনেহয় রিকশায় বইসাই ঘুমায়া যাই। পাহাড়ে রিকশা নাই। রিকশায় বইসা ঘুমানোর কথা ভাবাই যায় না। রাস্তার পাশে ড্রেনের কয়েকটা স্ল্যাব ভাঙা। বৃষ্টির পানি সব হুড়মুড়াইয়া ঢুকে যাইতেছে ওই গর্তে। গর্তের পাশে রিকশায় বসে আছি। রিকশাওলা আমার পীর। আমারে সে গর্তে পড়তে দিবে না। ষাইট টাকায় চুক্তি হইছে আমাদের। মৌখিক চুক্তি। লিখিত হয় নাই। তারপরও আমরা মানি। মানতে পারার ভিতর আমরা আটকাইয়া থাকতে পারি। পাহাড়ি গড-এর মতো আজাইরা কিছু ইমাজিন করতে হয় না। এতোটাই রিয়েল যে রিয়ালিটির দুলনিতে ঘুম আইসা যায়। মনেহয় এত এত মানুষ দুনিয়ায়। আমি একটু ঘুমাইলে, কি হয়!
Leave a Reply