টিয়ার্স ইন হ্যাভেন

আমার একটা মুশকিল আছে, খালি ‘কারণ’ বলতে ইচ্ছা করে। গতকালকে হাসনাত শোয়েব একটা স্ট্যাটাসে জিগাইলেন ইমাজিন নাকি টিয়ার্স ইন হ্যাভেন? ভোট না ঠিক, প্রেফারেন্সই জানতে চাইছেন হয়তো, আমি টিয়ার্স ইন হ্যাভেন লিখছি কমেন্টে, অনেকেরই কমেন্ট টিয়ার্স ইন হ্যাভেন। তখন বা তার আগেও মনে হইতেছিলো, কেন টিয়ার্স ইন হ্যাভেন।

ইমাজিন আমার পছন্দ না, এর সেকুল্যার, এনলাইটমেন্টের ড্রিমের কারণে, এইটা নিয়া লিখছিও আমি। কিন্তু টিয়ার্স ইন হ্যাভেনের সাথে যদি কম্পেয়ার করেন, একটা হইতেছে, পলিটিক্যাল আর আরেকটা পারসোনাল ফিলিংসের ঘটনা (গ্রসলিই বলতেছি)। তার মানে এইটা না যে, পারসোনাল জিনিসগুলি বেটার আর্ট হইতে পারে বা এইরকমকিছু; বরং এই যে পারসোনাল – এইটা অনেকবেশি ইন্ডিভিজ্যুয়াল, পিপল যেইটারে কানেক্ট করতে পারে; ইমাজিনে যেইরকম কমন একটা জায়গা, যেইখানে ইন্ডিভিজ্যুয়াল’রে কানেক্ট করতে কয়। একটা পেইন অলরেডি আছে, আর একটা ড্রিম সাবস্ক্রাইব করতে বলে। একটা ‘অন্যায়’ ইমিডিয়েটলি ফিল করা যায়, যেইখানে ‘ন্যায়’ জিনিসটা চেইঞ্জ হইতে পারে। এইরকম।

দুইটাই ফিউচার নিয়া বলা, কিন্তু ইমাজিন’টা উইথইন টাইম, আর টিয়ার্স’টা হইতেছে টাইমের পরে গিয়া বলা।

আর টিয়ার্স ইন হ্যাভেন’টা টপ চার্টে ১ নাম্বারে যাইতে পারে নাই কখনো, অনেকদিন ২ নাম্বারে ছিলো। এরিক ক্ল্যাপটন তো ওইরকম সিঙ্গারও না, জন লেনন যেইরকম; কিন্তু ক্ল্যাপটনের যেই ট্রমা (চার বছরের বাচ্চা ৫৩ তলা থিকা পইড়া মারা গেছে, তারপরে ১০ মাস কোন কথা কইতে পারেন নাই, এক হেল্প নিয়া গান লিখছেন), সেইটা তার প্রতিভা বলেন আর ক্যাপাবিলিটি – তারে ছাড়ায়া গেছে। এইটা ঠিক গান গাইতে পারা বা প্রতিভার ব্যাপার হয়া থাকে নাই, লাইফের একটা ঘটনারে উনি কেমনে ফেইস করছেন আর্ট দিয়া, সেইটাও থাকতেছে, গানটাতে।

ও, গানটার একটা ‘অশুদ্ধ’ ভার্সন দেইখা শেয়ার দিছি; একটা একস্ট্রা ‘আ’ উচ্চারণ করেন এরিক ক্ল্যাপটন। বয়স হইছে বইলাও এই রকম করতে পারেন হয়তো।

 

 

Leave a Reply