[pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote] টেবিলে কয়েকটা কমলার কোয়া পইড়া আছে। বাংলাদেশের কমলা, আর অস্ট্রেলিয়াতে যেইটারে ম্যান্ডারিন বইলা ডাকে। শাদা প্লেটের কোণায় একটা কোয়া আর বাকি কয়েকটা কোয়া টেবিল ক্লথের উপরে, ছড়াইয়া ছিটাইয়া আছে। মেহমান আসছিলো মনেহয় বাসায়। মেহমানদের তো সবটা শেষ কইরা খাওয়ার নিয়ম নাই। তাই কিছু রাইখা গেছে, ভদ্রতা কইরা। তারপর উনারা চইলা যাওয়ার পরে, বাসার লোকজন ঘুমায়া গেছে; টেবিল গুছানো হয় নাই আর। কয়েকটা ছোট ছোট ইঁদুর ঘুইরা বেড়াইতেছে ওইখানে; কমলার কোয়াগুলাতে মুখ দিতেছে। ইঁদুরগুলা এতো ছোট যে তেলাপোকা সাইজের। ডিফরেন্সটা হইলো তেলাপোকাগুলা আস্তে আস্তে ঠেলাগাড়ির মতো নড়াচড়া করে আর এইগুলা রেসিং কারের মতো শাট শাট কইরা যাইতেছে, আসতেছে। কমলার কোয়াগুলাতে মুখ দিতেছে, আবার আরেকটাতে যাইতেছে। অ্যাজ ইফ সবগুলাতে টাচ করা লাগবো। একটু মুখ দেয় আর গিয়াই সইরা আসে। আবার আরেকটা কোয়াতে যায়। শাট শাট শাট। কারখানার মেশিন যেন চলতেছে। টেবিলের পুরাটা দেখা যাইতেছে না ক্যামেরার লেন্সের ভিতর দিয়া। যদ্দূর-ই দেখা যাইতেছে বোঝা যায় যে, চার-পাঁচটার বেশি নাই কমলার কোয়া। কিন্তু একটু পরে আবার থাইমাও যাইতেছে, আওয়াজ ছাড়া এই চলা-ফেরা। তখন মনেহয় ইদুঁরগুলা নাই আসলে। টেবিলে কয়েকটা কমলার কোয়া পইড়া আছে খালি। আর ক্যামেরা যে আছে সেইটা প্রুফ করার লাইগা কয়েকটা ইদুঁরের কল্পনা কমলাগুলার সাইড দিয়া দৌড়াইয়া বেড়াইতেছে। ক্যামেরাটাই দেখতেছে যেহেতু ক্যামেরাটা আর দেখা যাইতেছে না।
Leave a Reply