ডায়েরি; অগাস্ট ২১, ২০১৫।

দুয়েকটা টিনের ঘর এখনো টিইকা আছে। বাকি সব খালি জায়গায় সাইনবোর্ড; মনেহয় এই সাইনবোর্ডের পরে, আগে আর পাশে যা কিছু আছে সব এই সাইনবোর্ডের দখলে; অথচ এমনই হইতে পারে যে, এইটুক, যেইখানে সাইনবোর্ড দাঁড়ায়া আছে, ওইটুকই সে; কিন্তু আশেপাশে অন্য কোন সাইনবোর্ড না থাকায়, ওইটাই যেন সে, তারই এখতিয়ারে, এইরকম মনে হইতেছে। কিছু সীমানা দেয়ালও আছে। মানে, মালিকানা কনফার্ম, যদিও মালিকরা থাকে না এইখানে।

মাথায় ছাতি নিয়া বড়শি দিয়া মাছ ধরতেছে একজন বুড়া মানুষ, ময়লা পানিতে। যেই স্রোত, মাছেরা তো দাঁড়ায়া থাকতে পারার কথা না। ভাসতে ভাসতে, যাইতে যাইতেই লোভের আদার খায়া ফেলে মনেহয় তারা। এখনো নদীর মালিকানা ফিক্সড হয় নাই, যে কোন মানুষই মাছ ধরতে পারে। যে কেউ সেইটা আবার দেখতেও পারে। দেখাটার কথা যখন লেখা হবে তখন আবার কেউ পড়তেও পারবে। এইসবকিছুই ফ্রি। জীবনটাই তো ফ্রি পাইছি আমরা। কিসের সাথে যে, সেইটা ভুইলা গেছি। মরতে-পারা’র সাথে কি?

কচুরির পনা এখনো জমে পুকুরে। বৃষ্টি। ভাঙ্গা রাস্তা। ছোট্ট কুসাই নৌকা একটা। বাঁশ দিয়া ঠেলতে ঠেলতে রাস্তায় আইসা উঠলো ছেলেটা। অনেকগুলা সাইনবোর্ড পানিতে ডুবে গেছে। বৃষ্টি মনেহয় আজকে সারাদিনই পড়বে। মাঝে-মধ্যে রাস্তায় জইমা থাকা পানি’রে সাপ বইলা মনে হবে। দুইটা রাজহাঁস ঘাস থিকা ময়লা খুঁজে খুঁজে খাইতেছে। প্রাইমারি স্কুলের মাঠে ফুটবল খেলতেছে পোলাপাইন। কাদায় পিছলাইয়া পড়তেছে। পাশে মাদ্রাসা শান্ত। মসজিদটাও সুনসান। নাস্তার দোকানে চা বিক্রির টাইম এখন। কেটলিতে গরম পানি ধোঁয়া হয়া বাইর হইতেছে। বাতাস মিশতেছে বাতাসে।

আমার আত্মার ভিতরে জড়োসড়ো হয়া বইসা আছে আমার মন।

 

Leave a Reply