#হেই #হ্যালো #হেলাউ
কই জানি, কই?
একটা ঝাঁকের কই, জিগাইলো এই কথা
বৃন্দাবনে সই।
‘শতফুল ফুটতে দিন!’
১.
শতফুল’রে শত ফুল বলবা না
বলবা, একশ ফুল
আটানব্বই, নিরানব্বই বা একশ এক দুইও
হইতে পারে তো
তখন শতেক বার ভাইবা
মনে হবে, একশ কইলেই
ভালো ছিল মনেহয়
২.
আমি নই তোমার কাউন্ট
মেডিভেল ইংল্যান্ডের নভেলের কোন নায়িকারে কইলাম,
কাউন্টার রেভিউলেশনেই মানুষ মরছিলো বেশি
এইজন্য এইসব বাদ দিছি
পাহাড়ে থাকতে আসছি
কাঠের ঘরে বইসা সূর্য দেখি
ঘাসগুলি, পাতাগুলি গাছের, নড়েচড়ে
গে কোন প্রতিভা নাই অরা’র?
কেন খালি জন্মাইতেই হবে?
৩.
লম্বা একটা লাইনের শেষে একটা ফোটা একটা বিন্দু সইরা গেছে
কানেক্ট হইতে পারতেছে না
৪.
আমি তোমার ভেড়ার রাখাল
যেই তুমি বাঘ, তার কল্পনা
তুমি আসতেছো ভ্যালির ওই পার থিকা
তোমারে আমি দেখতেছি না
তাকায়া আছি ঘাসগুলির মতোন
সূর্য ডুইবা গেলে
আর তো দেখতেও পারবো না
৫,
: সন্ধ্যা একটা ইল্যুশন।
: সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় মরছেন তো, তারপরও উনারে ছাড়বেন না!
দেখছেন, ভাষা একটা রেফারেন্স সিস্টেমই শেষ পর্যন্ত।
কেউ আছে তাইলে? কথা কইবার লাইগা…
ওহ, একই গর্তের ভিতর ক্যান আবার!
চিল্লান দেন! শুনবো তখন…
নিরবতাই ভাষার আপন।
৬.
কেনো মুইছা দিলা না!
কেনো মনে হইলো এমনিতেই মুইছা যাবে না?
এখন কেনো কোলাব্যাঙ এটিএম মেশিনের সামনে দাঁড়াইলো। কইলো, টাকা দেন। টাকা তখন হাসে,
কয়, সখীদের লাইগা তো আনা নিবো
তুমি তো ব্যাঙ, কেন স্প্রাইট খাইলা না?
ব্যাঙ বুঝলো ধরা খাইছে, এইজন্য মানুষ হইলো আবার
পুকুরের সাইডে বইসা, দেখতেছিল ফুল
শতফুল একশ হইছে কিনা
মিলাইতে পারতেছিলো না।
আমাদের রেললাইন
অনেকদূর, অনেক দূর তক আমি যাই তার সাথে
তারপর রেললাইন গিয়া শেষ হয়
স্টেশনের একটু দূরে
ইস্পাতের পাত সোজা হয়া দাঁড়ায়া আছে;
বলতেছে, শেষ এইখানেই;
আত্মা উইড়া গেলে
শরীর তো বাঁইচা থাকে, আরো কিছু সময়
আরো কিছুদিন, এইরকম
সকালবেলার রেললাইনে দাঁড়ায়া থাকি
নতুন ব্রীজ হওয়ার পরে পুরান ফেরিঘাটের রাস্তার মতোন
বিলম্বু লেবুর মতোন,
মরা কুত্তার উপর দিয়া আবার চইলা যাওয়া মাইক্রোবাসের চাকার মতোন…
চা-বাগানের পাশে আঁকা-বাঁকা রাস্তার মতোন
উপমাগুলিই যখন আসল
কাটা যাওয়া লেজটাই যখন শেয়াল
তখন,
ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে বাতিল হইয়া যাওয়া ওয়াগনগুলির ঠাট্টার মতোন
ডেমোক্রেসির গরুগুলির দিকে তাকায়া আমরাও নিরব হইলাম
যেন এই উদাস, দাঁড়ায়া থাকা আর না-বলা বলা-ই হইলো, একরকম…
বিনয় মজুমদারের সন্ধ্যা
আর
হাঁটতে হাঁটতে
তোমারে নিয়া ভাববো,
সূর্য ডুবে যাবে
কোন গান যে শুনবো!
কোন দৃশ্যের সামনে দাঁড়ায়া বলবো,
এইবার চোখ খোলো, দেখো
কি সুন্দর একটা দৃশ্য!
সুন্দর বলার পরে মনে হবে,
সুন্দরই তো…
হাসি আসবে একটু, মানে
সুন্দর যে
তারে আবার সুন্দর
বলা যে লাগে, মনেহয়
তখন সুন্দর আরো অন্যকিছু
আমরাও,
আর
হাঁটতে হাঁটতে আমি
তোমার কথা ভাববো,
সূর্য ডুবে গেছে
অন্ধকার
ঝিঁঝিঁ পোকার গান
আমার কথাই বলতেছে;
বলতেছে,
চুপ করো।
তোমার গানই আমরা
গাইতেছি তো…
একটানা
একটা সুর
সুরের ভিতর
আমি
ভাবতেছি তোমার কথা
একটু দূরে
চারতলা দালানের জানালায়
লাইট
জ্বললো
ডুইবা যাওয়া সূর্যটার কথা
সেও কি ভাবতেছে না?
ভাবনাটারে জানালা বলা যাইতে পারে
বলা যাইতে পারে, যেই আমি দেখতেছি
সে-ই কি একটা জানালা না? অথবা
সূর্যের জানালাই নিভে গেছিলো…
এখন
মনে হইতেছে
মনে করার ভিতর এই যে
রিপিটেশন
তারে নিয়া থাকতেছি
বলতেছি, তুমি
তোমার কথাই তো ভাবতেছি…
তুমি হাসলা, হাসলাম আমিও
আমাদের হাসিগুলিই হইতেছি আমরা,
বুঝলা?
তখন হাসিগুলি নাই আর
আমরা আমরা হওয়ার পরে
গায়েব হয়া গেছি
পাহাড়ের গায়ে গাছগুলির মতোন
নিরব
বাতাস আইসা
আমাদের কাঁপাইতেছে;
আমরা না-বলা কোন একটা
কোন একটা সন্ধ্যার
ভিতর
হাঁটতেছি খালি
পানিতে চাঁদের ছায়া
ব্রীজের গোড়ায়
আইসা দাঁড়াইছি
ঝিঁঝিঁ পোকারা
গাইতেছে
আমাদের গান
আমরা শুনতেছি
দূরে দূরে দাঁড়ায়া থাকা
গাছেদের
‘মিলনের শ্বাসরোধী কথা।’
#ভিটগেন্সটাইন
আমি ভুলে গেছি তোমার অন্য নাম।
রেইন ট্রি
গাছে গাছে নতুন পোকা
গাছে গাছে আমি তোমার নাম
গাছ থিকা একটু দূরে গাছের ছায়া
গাছ নাই আর
মিথ্যাবাদী রাখাল
আমার প্লে লিস্ট ভরে যাইতেছে তোমার গানে।
ভ্যালিতে ভেড়াগুলি কাঁপতেছে শীতে।
কুয়াশার মতো আমাদের মনে
গানগুলি বাজতেছে
পোঁ পোঁ পোঁ, স্কটিশ বাঁশির সুরে।
একটা ভেড়ার গোঙানি, দূরে
ভাবতেছি, তার গলা কামড় দিয়া ধইরা আছে বাঘ, রক্ত পড়তেছে…
অথবা আমি ঘুমায়া পড়ছি
সন্ধ্যার আগে;
বাঘ আইসা বলতেছে,
‘কি ব্যাপার, আবার স্বপ্ন দেখতেছো নাকি তুমি,
আমারে?’
মুর্হূত আর স্মৃতিগুলি
তোমার ক্লাসরুমের বাইরে দাঁড়ায়া আছি।
তোমার পরীক্ষা শেষ হইতেছে না।
একটা একটা কইরা পিঁপড়া আমার পায়ের কাছ দিয়া চইলা যাইতেছে কতোক্ষণ ধইরা…
কতোক্ষণ ধইরা আসতেছে আর যাইতেছে বাজারের রিকশাগুলা
ভীড় বাড়তেছে লাকি ফার্মেসীতে
বই বিতানও শুরু করছে বইয়ের ধূলা ঝাড়া
শাদা একটা বিল্ডিংয়ের দোতলায়
সবুজ দরজার দিকে তাকায়া আছি
তোমার পরীক্ষা শেষ হইতেছে না
পিঁপড়াগুলি চইলা গিয়া ফিরা আসতেছে আবার
আবার একটা দিন ফিরা আসতেছে আরেকটা দিনে
দিনে দিনে বাড়তেছে আমার দেনা 🙁
সময়গুলি লাফাইতে লাফাইতে মেঘনার পাড়ে গিয়া দাঁড়াইছে,
বুঝতেছে না লাফ দিয়া পইড়া যাবে কিনা
তোমার শেষ পরীক্ষাটা শেষই হইতেছে না
আমরা জানতাম এইটাই শেষ,
শেষ হইছে বইলাই শেষ আর হইতেছিল না;
ভোরের আগে আগে ঘুম থিকা উইঠা বমি কইরা দিয়া আবার ঘুমায়া যাওয়ার মতো
একটা শেষ ছিলোও হয়তো
কিন্তু ঠিক থাকতেও পারতেছিল না
ছিলো? ছিলো তো…
পিঁপড়াগুলি আমার পা বাঁচায়া চলে চলে যাইতেছিল
যা ছিলো, তা তো ছিলো; ছিলোই না।
#ডিসট্যান্ট রিয়ালিটি
তুমি মঙ্গোলিয়া, আমি উলানবাটোর
if if if
মনের বাঘ দেখাই আমি তোমারে।
বলি, মনে যে আছে সে বনে-ই আছে।
তুমি বললা, ভালোই তো ইমাজিনেশন আপনের।
মিথ্যাবাদী রাখাল
বাঘ বলে রাখাল’রে, আসো আমার ঘর গোছাই আমরা!
রাখাল কয়, আমার তো আছে গল্প-বলা, সারমন, ইমাজিনেশনের অনেকগুলি ভেড়া
আর তাদেরকে খাইয়া ফেলবা না তখন তুমি?
বাঘ কয়, তুমি খালি কনফিউজড কর। কই ভেড়া? কই ভ্যালি?
এইখানে তো আমরা রাস্তায় দাঁড়ায়া চা খাইতেছি!
ঘুমের ঘোরে দেখি অনেকগুলি পানির খালি জার। রাস্তার পাশে, ফুটপাতে।
দাঁড়ায়া আছি আমি আর বাঘ বসছেন একটা শাদা প্লাস্টিকের চেয়ারে।…
‘এইগুলি তো ট্রু না, তাই না?’ রাখাল কনফিউজড হয় আর সিগ্রেট ধরায়।
বাঘের ঠোঁটের লিপস্টিক কি আমার ঠোঁটে লাগে?
বাঘ বলে, চইলা যাবো আমি তাইলে!
এক রিকশাওলা আসে যার মেয়ে হসপিটালে
রংপুরের ভাষায় কানতে থাকে…
সুন্দরবন থিকা আইসা একটা বাঘ হাঁইটা হাঁইটা চইলা যাইতেছে শীতের রাতের হালকা কুয়াশার ভিতরে
বড় রাস্তা থিকা একটা ছোট গলির রাস্তায়, রিকশার টুং টাং নিয়া, একটা কনফিউজড রাখালের মনে…
Leave a Reply