আই অ্যাম ইউর ম্যান
কোন একটা গান মনে করাইলো কেউ
কেউ মাটির পাখির মতোন, দেয়ালের পাশে দাঁড়ানো, কেউ
বই, কেউ খাতা, কেউ সেফটি-পিন, কেউ কেউ
মেমোরি, মরা’র পরে কেউ
নিরবতাও
বাঁইচা থাকার গর্ত, ডেইলি সকালের পরোটা আর ডাল,
জলখাবার দোকানের, মহাখালির…
এইরকম বা ওইরকমই তো
এক একটা মানুষ এক একটা জিনিস
এক একটা সাইন আর সিম্বল
এইটা বা ওইটা দিয়াই
রিপ্লেসেবল
মেমোরি
কোনএক পারফিউমের গন্ধ আইসা নিয়া যাবে শরীরের সুগন্ধি তোমার
যুক্তি নদীর পাড়ে
আমি রয়া গেলাম তোমার যুক্তির এই পারে
এতো বড় গাঙ
আমার মনের ব্যাঙ ফাল দিয়া
পার হইবো কেমনে!
যুক্তির ওইপার থিকা
তুমি দেখবা আমারে
ভাবতেই পারো, ‘প্রেমের ব্যাঙ হইলে
উইড়া উইড়াই তো সে আসবো
আমার কাছে’
তোমার কাছে আসতে গিয়া
কই কই জানি চইলা যাবো আমি
আর তুমিও সবুজ ঘাস, টলটলা পানি
কুটনা মেঘের কারসাজিতে
বিজি হইয়া যাবা
এই যে, ক্যাওসের এই দুনিয়া
একটা জিনিস খালি আরেকটা জিনিস হইতে হইতে
আমাদেরকেই কি হারায়া ফেলবে না!
চেইঞ্জের বাতাস যখন আসবে
আমাদের বস্তু মন একই গতিতে তো সাঁতরাবে না
গড়ায়া গড়ায়া পানি যাইতে থাকবে
আর যুক্তির দুই পারে বইসা থাকবো আমরা
আমাদের উল্লম্ফন নিয়া নিজেদের মনে মনে
মিথ্যাবাদী রাখাল: ভ্যালির বাতাস
যেইদিন বাঘ আসবা তুমি
আমারে বইলো না ভ্যালির বাতাসে
কাঁপতেছে ঘাস আর ইল্যুশন আমাদের
মিলায়া যাইতেছে একটা রিয়ালিটিতে আইসা
বাঘ কয়, ‘দেখো, এইটাই পসিবল
ভেড়াদের স্বপ্নের ভিতর থরথর কাঁপতেছি
আমরা, আমরা
যমজ আত্মা জেগে উঠতে চাইতেছি…’
‘পিছলায়া যাইতেছি যে আমরা, আমাদের কথা কি তাইলে আমরা মনে-ই রাখবো না?
পয়লা তো আসে ওয়ার্ড, তার ভিতর থিকা জাইগা উঠে ওয়ার্ল্ড…’
এক একটা মিথ্যার পাহাড় আসে
দাঁড়ায়া থাকে থাকে তারা যেন নাড়ানোই যাইবো না
আর তারপর একদিন মাঠে মাঠে বইতে থাকে শোঁ শোঁ বাতাস,
পাহাড়গুলি ধুলার মতো লুটায়া পড়ে ভ্যালিতে আইসা, আসতে থাকে
বাঘ আসার আওয়াজ…
তালগাছ
একটা আলাপ শেষ হওয়ার পরেই শে ওই চাউনিটা দেয়; যে, ‘ঠিকাছে, আমি জিতছি তাইলে!’
আর তখনই ঘটনাটা শুরু হয়। আমি কই, ‘যদি আমি না থাকতাম, তুমি কেমনে জিততা? আমি আছি বইলাই তো তুমি জিতছো!…’ ব্লা ব্লা ব্লা। জিতার ফিলিংসটা আমি তারে দিতে চাই না। বলতেই থাকি, বলতেই থাকি। এইটা আর মানতে পারে না শে।
উইথড্র করে নিজেরে। ‘যা বাল, তোর জিতা দিয়া তুই মুড়ি গা গিয়া!’
শে জানে, আমাদের মাঝখান থিকা আমি বাইর হয়া গেলে যেমন তুমি জিততে পারে না। তুমি বাইর হয়া গেলেও আমি একটা লোনলি ঘোস্টই। একলা একলা জিতার কিছু নাই।
হাইরা গিয়া চুপ কইরা বইসা থাকি আমি। শে তো ফিরবে, তাই না? তারও তো জিতা লাগবে। শে জিতার পরে তার জিইতা যাওয়াটারে নিবো নে আমি।
আমি জানি, আমরা কেউও না। আমাদের জিইতা যাওয়াটাও আমাদের না। তুমি আর আমি-ই ঘটনা।
দূরে খাড়ায়া খাড়ায়া এই তামাশা দেখতেছে যেই তালগাছ, সেও তো তার না।
প্যারানয়া
আমার সন্দেহ সরে না
একটা রিয়ালিটির পাশে আরো কয়েকটা ইল্যুশন, থামে না…
মেবি রিয়ালিটিও তারা, যেহেতু স্পেসিফিক
না, আটকাইয়া আছে ‘কোথাও না কোথাও’
ঝুলে থাকতেছে সন্দেহ, অনেকগুলি
দরগায় বান্ধা সুতার মতোন
কোনটা যে ফলে আর কোনটা যে ফলে না,
ফলায় বা না-ফলায়, ঘটায় বা না-ঘটায়, তবুও তো তারা
স রে না
সরতে সরতে খাদের কিনারে গিয়া খাড়ায়
পড়তে থাকে নিচে একদম
প ড় তে ই থাকে,
প ড়ে না
চড়ুইয়ের কথা
মাথার ভিতরে একটা চড়ুই
আরেকটা চড়ুই বারান্দায়
ডাকতেছে একই আওয়াজে, বৃষ্টির সকালে
‘কোনটা সত্যি?’ ভাবি আমি।
আমার সত্যি ভাবতে-চাওয়াটাই চড়ুই দুইটারে খারিজ করে,
আমি টের পাই…
বারান্দার চড়ুই বলে মগজের চড়ুই’রে
‘সত্যি হোক বা মিথ্যা, আমরা আছি তো,
তারপরও… তাই না?’
রিয়ালিটির এই ব্যাখ্যা শুইনা জানালার পর্দাগুলি হাসে
বারান্দার চড়ুই চইলা যায়
আর মগজের চড়ুইটা আমার
লোনলি বইসা থাকে।
ইরির্ভাসেবল
ধইরা রাখার ইচ্ছা তোমারে
ছাইড়া দিবো ধীরে ধীরে
মাইখা ডুইবা যাবো
গু
থক থক কালো কালো
নাইমা গেছে সুয়ারেজের লাইনে
একটা বিশাল হা করা গর্ত
উল্টাদিক থিকা আসতে আসতে দেখবো
পার কইরা দিবো টাইম
তাড়াহুড়ায়, তাড়াতাড়ি কইরা
তাড়াহুড়ায় মনে করতে পারবো না
রাস্তায়,
ধীরে ধীরে বৃষ্টির দাগও মুইছা যাবে,
তোমারে ধইরা রাখার ইচ্ছা
ধীরে ধীরে ছাইড়া দিবো
ইন রিয়ালিটি
একটা ইমাজিনড তুমি ভাবতেছো একটা ইমাজিনড আমার কথা
একটা ইমাজিনড আমি আমার থিকা বাইর হয়া জড়ায়া ধরতে চাইতেছে তোমারে
আমাদের ইমাজিনেশন হারায়া ফেলবে আমাদেরকে একদিন
তখন খুঁজতে থাকবো, আরো আরো ইমাজিনেশনের ভিতর
বলবো, কতোদিন তোমারে দেখি না!
রিয়েল তুমি বলবা, তোমার ইল্যুশনের ভিতর আমি তো আর থাকবো না…
একটা এগজিসটেন্স তোমার
আমার ভাবনার বাইরে থাকতে থাকতে
আমারেই ছাইড়া যায়
আরো আরো রিয়েলের ভিতর আরো আরো রিয়েলই হইতে থাকে খালি…
কৃষ্ণচূড়া
‘কৃষ্ণচূড়া গাছটারে দেইখো না
আমারে দেখো’, আমি বলি।
আর অবাক হয়া শে কৃষ্ণচূড়া গাছটার দিকে তাকায়া থাকে।
Leave a Reply