দাস্তাম্বু: ‘কবি’ কিভাবে আরো অপ্রয়োজনীয় হয়া উঠলেন সমাজ-ব্যবস্থার ভিতর – তার অসম্পূর্ণ কাহিনি

মির্জা গালিব আমার প্রিয় কবি। উনার লেখার বাংলা অনুবাদ পড়ছিলাম আগে, গানও শুনছি। আর জাফর আলম সাহেবের অনেক অনুবাদ দেখছি; মনে হইছে উর্দু-সাহিত্য সর্ম্পকে উনার খুব আগ্রহ আছে।

দিনলিপি আমার আগ্রহের জিনিস। প্রাত্যহিকতার যে পেইন এর ত কোন প্রতিকার নাই। তার উপর বইটাও আকারে ছোট; লেখা হিসাবেও মাইনর একটা টেক্সট, বইমেলায় কিনা বইগুলি থিকা তাই এইটাই প্রথম পড়তে শুরু করলাম।

প্রতিদিনকার রক্তাক্ত হওয়ার কাহিনি! [pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]

কি রকম অসহায় একটা মানুষ, খালি বাঁইচা থাকার লাইগা তাঁর কাব্য-প্রতিভাও বন্ধক রাখতে চাইতেছে… কি রকম দিশেহারা!

যেই সমাজের ভিতর উনি ছিলেন, সেইখানে কবি’র যে ভূমিকা, সেইটা পাল্টাইয়া যাইতেছে। যেই সমাজে উনি ছিলেন, সেইখানেও ছিলেন উপেক্ষিত আর এই নতুন ব্যবস্থায় ‘কবি’ হিসাবে বাঁচাটা প্রায় অসম্ভব।

দিনলিপি কি, আসলে এইটা ত একটা মিনতি! (পেনশন দিবে ত ইংরেজরা!!)


ghalb

এত সহজ সরল কথা-বার্তা, এত ভারী! দুই এক পাতা পড়ার পর মনে হয় আর পড়বো না…

কবি’র অনুভূতি’র চাইতে প্রখর ত আর কিছু নাই। তাই উনি এনলাইটমেন্ট টের পাইছিলেন, ইংরেজদের গুণগাণ গাইছেন এই জায়গাটাতেই যে, ‘যাঁরা আমাদের ন্যায়বিচার কাকে বলে শিখিয়েছেন’;  মিথ্যা উনি বলেন নাই, কিন্তু নিজের কথাগুলিরে এতো জোরে চাইপা ধরছেন যে না-বলার ভিতর বধির হয়া, টুপটাপ রক্তে ভেসে যাইতেছে তাঁর শব্দগুলা।

সেই রক্তের ধারায় অনেককিছুই স্পষ্ট, বিশেষ কইরা কবিতা ও সমাজ-ব্যবস্থা কিভাবে চেইঞ্জ হইতেছে। একজন কবি সমাজের কাছ থিকা কোন সম্মান কিংবা আর্থিক সাহায্য পাওয়ারও যোগ্য না। সমাজের মূল-ব্যবস্থার ভিতর তিনি আর নাই তখন। এই যে একপাশে চইলা যাওয়া, শুধুমাত্র ‘ব্যক্তি’ হিসাবে না; ‘কবি’, একটা অবস্থান হিসাবে সমাজের ভিতর অ্যাজ অ্যা প্রফেশন বাতিল হয়া উঠাটা – এইটাই চোখে লাগলো খুব।  

কবি’র জীবন, কি আর এমন গুরুত্বপূর্ণ! মানে, সোশ্যাল কনটেক্সটেই। ভাবিই তো নাই মনেহয় আমরা।… তার চাইতে উনার গান শুনি…


হাজারো খায়েশি অ্যাইয়সি কি হ্যার খায়িশ পে দম নিকলে
বহুত নিকলে মেরে আরমান, লেকিন ফির ভি কম নিকলে…

 

 

Leave a Reply