দোস্ত, দুশমন

এইরকম একটা কথা আছে যে, মানুষের বন্ধু-বান্ধব দেখলে আন্দাজ করা যায়, মানুষটা কেমন। কিছু মিল না থাকলে তো আর দোস্তি হয় না। কিন্তু এর চাইতে আরো সিগনিফিকেন্ট মনেহয়, শত্রুতার ব্যাপারটা বা যার আপনি বিরোধিতা করতেছেন, সেই জায়গাটা। মানে, আপনি কারে শত্রু ভাবতেছেন বা কোন জিনিসগুলারে – সেইটা দিয়াও একটা মানুষরে বুঝা যাইতে পারে। দোস্তির মতোন শত্রুতাও, আমার কাছে মনেহয়, একটা লেভেলেরই ঘটনা, একটা সার্কেলেরই ব্যাপার। মানে, আমার যদি কনসার্ন না-ই থাকে, সেই জিনিসটারে তো আমার শত্রু মনে হওয়ার কোন কারণই নাই। দোস্তি আর দুশমনি একটা সার্কেলেরই ঘটনা, এইভাবে যে, আমরা কনসার্নড, বোথ পার্টি নিয়া।

আরেকটা জিনিস হইলো, এই কনসার্নড জিনিসগুলাই আমাদেরকে ডিফাইনড করতে থাকে বা থট-অ্যাক্টিভিটিরে ইনফ্লুয়েন্স করতে থাকে। এই কারণে কার সাথে দোস্তি করতেছি – এইটার যেমন একটা ভ্যালু আছে, কার সাথে দুশমনি করতেছি, সেইটারও ইমপ্যাক্ট আছে আমাদের লাইফে।

আর দুইটা জিনিসই টু সাম এক্সটেন্ড চুজ করার ঘটনা, অটোমেটিক্যালি ঘটে না। আমাদের চিন্তা ও কাজ যেই গ্রাউন্ডের উপর বেইজ কইরা ঘটে, সেইখানের ক্রাউডের সাথেই আমরা এসোসিয়েটেড হইতে থাকি, একভাবে।

এইখানে ওস্তাদ আর সাগরেদ (বা ভক্তিমূলক) জায়গাগুলারে কিছুটা আলাদা রাখলাম, কারণ এইটার সাথে সাবস্ক্রিপশনের বাইরেও গ্রাউন্ড চেইঞ্জের একটা এক্সপেক্টশনও জড়িত থাকে মনেহয়।

 

Leave a Reply