০২.০৪.২০২৪
বুয়েটের ঘটনা হইতেছে ফলস কনশাসনেসের একটা ঘটনা; মানে, অনেক দিক থিকাই…
ফলস-কনশাসনেস বইলা আমি বুঝাইতে চাইতেছি যেইসব জায়গা থিকা ঘটনাটারে দেখার এবং বুঝার ট্রাই করা হইতেছে, পক্ষে এবং বিপক্ষে – দুইটা পজিশনই এমন-সব জায়গাতে গিয়া রিচ করতেছে, যেইটা ফার ফ্রম রিয়ালিটি-ই না, বরং এমন একটা কনশাসনেসের জায়গা থিকা অপারেট করে যেইট রিয়ালিটির জায়গাটারে এড়ায়া চলে…
যারা ইসটুডেনট-পলিটিকসের ‘পক্ষে’ কথা বলতেছেন, তাদের জায়গাগুলা তো আমরা বুঝতেই পারি, ‘ছাত্রলিগের গৌরব-গাঁথা’ যারা বাজাইতেছেন, বাকশালি-মিডিয়া ও বাম-বাটপারে’রা, এরা যেই ‘যুক্তি’ বা কনশাসনেস নিয়া কথা কন, অইটা যে ফলস প্রিমাইজ – সেইটা বুঝতে ‘বিজ্ঞানী’ বা বুদ্ধিজীবী হওয়ার দরকার পড়ে না; মানে, উনারা ‘অযৌক্তিক’ কথা বলতেছেন – তা কিনতু না, উনাদের একটা ‘যুক্তি’ আছে, উনারা পাগল না, উনাদের একটা কনশাসনেস আছে, সেইটা ফলস বা ভুয়া…
আর যারা বুয়েটে ইসটুডেনট-পলিটিকসের বিপক্ষে আছেন, তাদের ‘যুক্তিগুলা’র ভেরিয়েশন আছে; উনারা কিনতু ছাত্রলিগ’রে ব্যান করতে চাইতেছেন – এইটা বলতে পারতেছেন না, বলতেছেন কেউ পলিটিকস করতে পারবে না! তো, কেন পারবে না? বা উনারা কেন চান না? কারন বুয়েট হইতেছে একটা সফিটসেকেটেড জায়গা; একটা নেশনাল-ভারসিটি না, এইটা চবি, জবি, ঢাবি, রাবি না; এইটা ইসপেশাল, এই কারনে পারবে না।
তো, এইটা ইসপেশালিটি বা এলিট-ইসটেটাস ধইরা রাখার ঘটনা না! যে, একটা দুর্গ আমরা এখনো বাঁচায়া রাখছি! এইটা একটা ফলস-কনশাসনেসেরই ঘটনা। একটা জুলুমের শাসনে ‘নিরপেক্ষ’ হয়া থাকার কোন ইসপেইস এইখানে নাই; মানে, আপনি ‘মুক্তিযুদ্ধের বিরোধি শক্তি’ না এবং একইসাথে নয়া-বাকশালিও না – এইটা খালি পলিটিকাল এবং ইনটেলেকচুয়াল পজিশন হিসাবেই না, সোশাল এবং পারসোনাল পজিশন হিসাবেই পসিবল না; এইভাবে কনটিনিউ করতে চাওয়ার ইচ্ছা বা আকাংখা তো থাকতেই পারে, কিনতু পসিবল তো না!
আর না যে, সেইটারে এলিট-পজিশন বা অধিকার – যেই জায়গা থিকাই দাবি করতে চান সেইটা হাস্যকর না হইলেও বেশ করুণ একটা ঘটনা-ই তো; তার চাইতে বড় কথা কনশাসনেসের জায়গা থিকা এই ক্লেইম’টা অনেক আগে থিকা বাতিল (এবং ফলস) একটা জায়গা…
তারপরও ইনিশিয়ালি যে বুয়েটে এইটা টিইকা ছিল সেইটার একটা ট্রাডিশন তো ছিল-ই, তবে রিসেনট টাইমে পসিবল হইছিল আবরার ফাহাদের খুনের কারনে; এবং বুয়েটের ইসটুডেনটদের যুক্তিও এইটাই যে, ইসটুডেনট-পলিটিকসের নামে খুন করা হইছে, ফিউচারেও হবে; কিনতু ছাত্রলিগ বলতেছে, না, আমরা খালি ডর দেখাবো, খুন করবো না; ‘কনট্রোল’ করবো… মানে, এইটা হইতেছে কনফ্লিক্টের জায়গাটা…
এই জায়গাটাতেই রিচ করা যাইতেছে না, একটা ফলস-কনশাসনেসের জায়গাতেই বেপার’টা ঘুরপাক খাইতেছে, আর এই কারনেই এইটা একটা মিডিয়া-ঘটনা হিসাবে বাকশালি-মিডিয়াতে জায়গা করে নিতে পারতেছে বইলা আমি মনে করি; কারন বাকশালি-মিডিয়ার একটা কোর জায়গা হইতেছে যে কোন ধরনের ফলস-কনশাসনেস তৈরি করা, এবং তারে টিকায়া রাখা…
০৭.০৪.২০২৪
কয়েক বছর আগে বলছিলাম, বাংলাদেশের নিউজসাইটগুলাতে যেই মিসলিডিং হেডলাইনগুলা দেয়া হয়, সেইটা খালি clickbait-এর ঘটনা না, বরং নেশনাল-আইডেনটিটি’র জায়গাগুলারেও পারপাসফুললি ডিসপ্লেইসড করতে থাকার ঘটনা; যেমন এই নিউজ হেডলাইন’টাই দেখেন, জনকন্ঠের, আমার গুগুল নিউজফিডে আসছে; দেইখা মনে হবে না যে, আরে, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অবসথা না খারাপ আছিল, এইরকম ভালো হইলো কবে!
তো, ক্লিক কইরা পড়তে গেলে দেখবেন আসলে ইনডিয়ার রিজার্ভের কথা বলতেছে 🙂 তো, এইটা খালি মিস-লিডিং হেডলাইন বা ক্লিক-বেইটই না, বাংলাদেশের নিউজপেপারে অন্যদেশের নিউজ দেয়ার আগে সেই দেশের নাম’টা বসানোর দরকার পড়তেছে না; এইটা খালি যে কোন দেশের বেপারে হয় না, খেয়াল করলে দেখবেন, পার্টিকুলার একটা দেশের বেপারেই এইটা ঘটে…
এইরকম আরো কিছু কেটাগরি আছে, যেমন বাংলা-সিনেমা, বাংলা-গান; বাংলাদেশি-সিনেমা বা বাংলাদেশি-গান না!… তো, এই কেটাগরিগুলা খুব ইনোসেনট ঘটনা না আর কি; কখনো ছিলও না…
০৮.০৪.২০২৪
– পলিটিকাল আইডেনটিটি অফ “বাংলাদেশের সাধারণ মানুশ” ইন বা**ল মিডিয়া –
২০০৮ – ২০১৩: “আমি আওমি লিগ করি না, বি*পিও করি না”
২০১৩ – ২০১৮: “আমি বি*পি করি না”
২০১৮ – ২০২৩: “আমি আওমি লিগ করি”
২০২৪ এর পর থিকা: “আর যা-ই হোক, ই*য়া নিয়া কোন কথা বলা যাবে না…”
…
টি-টেস্টার এবং আর্ট-ক্রিটিক
দুনিয়াতে এখনো যেই কয়েকটা জিনিসের কোয়ালিটি হিউম্যান একসপেরিয়েনসের বেসিসে ঠিক করা হয় তার মধ্যে একটা হইতেছে – টি বা চা’র গ্রেডিং; মানে, কোন চা’য়ের কোয়ালিটি ভালো, কোন চা’য়ের কোয়ালিটি খারাপ – এর কিছু পেরামিটার তো আছেই, কিনতু এইটা ঠিক করেন একজন বা কয়েকজন সার্টিফািইড টি-টেস্টার; উনারা যেই গ্রেডিং দেন, সেইটার বেসিসে চা’য়ের নিলাম হয় বাজারে… এইরকম ওয়াইনের গ্রেডিংও করেন ওয়াইন-টেস্টার’রা; আর এইরকম টি-টেস্টার কিনতু খুব কম-ই আছেন দুনিয়ায়; বাংলাদেশে খুব অল্প কয়েকজন আছেন বইলা জানতাম
তো, লিটারেচারের ঘটনাও দেখবেন অনেকটা এইরকম; মিলিয়ন কপি বেচা হওয়া এবং প্রশংসা কইরা ফেনা তুইলা ফেলা বইয়েরও দেখবেন পরের জেনারেশনে কোন খবর থাকে না; কিনতু কোন একটা লেখারে কেউ যদি ঠিক-মতো আইডেনটিফাই করতে পারেন, এবং অই জিনিসটারে নোটিস করাইতে পারেন, তাইলে সেই জিনিসটারে অন্যরাও দেখতে পান এবং এনজয় করতে পারেন; যেইটা হাজার হাজার রিডার ভালো-ভালো কইলেও সেইটা তেমন একটা ভালো বা খারাপ হইতে পারে না… সেইটা বেশিরভাগ সময়েই একজন-দুইজন ক্রিটিকের আইডেনটিফাই করার ঘটনা, বা একশ-দুইশজন রিডারের নোটিশ করার ঘটনা; যেইটাতে পরে অন্যরাও এগ্রি করতে পারেন, এইভাবে দেখা যায় যে, সাহিত্যের ক্লাসিকগুলা তৈরি হইতে থাকে (একইভাবে, দুই-একজনের দেখাদেখি ট্রেন্ডের কারনে বা হুজুগে পইড়াও লোকজনও ভালো-ভালো করতে থাকে, এইরকম ঝামেলাও আছে…, যেইরকম বুদ্ধদেব বসু যার কবিতারে ভালো বলছেন, তার কবিতা-ই একটা সময়ে ‘কবিতা’ হইতে পারতো…); মানে, আমি বলতে চাইতেছি, এইখানে হিউম্যান একসপেরিয়েনসের একটা ঘটনা আছে…
কিনতু কোন আর্টের ক্রিটিকই আর্টরে গ্রেট কইরা তুলতে পারে না, বরং কোন আর্ট যদি গ্রেট হয়া থাকে তারে রিকগনাইজ করতে হেল্প করতে পারে; এমনকি অনেক সময় ক্রিটিকরা ঠিক-মতো রিকগনাইজ করতে পারেন না বইলা অনেক গ্রেট-আর্টরে চিনতে, ফিল করতে আমাদের টাইম লাগছে, যেমন ধরেন জীবনানন্দ দাশের কবিতা, কাফকার ফিকশন; এখন আমরা গ্রেট জিনিস বইলা জানি, কিনতু উনাদের সময় লাগছে এই রিকগনিশনের জায়গাটাতে পৌঁছাইতে…
তবে আনফরচুনেটলি বাংলাদেশে কোন আর্ট-ক্রিটিক নাই, বা ওভার-অল লিটারেচারেরও কোন ক্রিটিক বা ক্রিটিক করার বেইজ নাই, যার ফলে পাওয়ার প্রাকটিসের ঘটনাগুলা বেশি ঘটে; যে, এই পত্রিকা লেখা ছাপাইতেছে, অই ভাই ভালো বলছে, তার মানে জিনিস’টা ভালো! কিনতু কেন ভালো বা কেন খারাপ – এইটুক আলাপও হালকার উপরে ঝাপসা হয়া-ই থাকে, বেশিরভাগ সময়… আর এর বাই-প্রডাকট হিসাবে তৈরি হইছে এক ধরনের ‘হাইপ তোলা’ ‘রিভিউ বিজনেস’… মানে, একটা ভ্যাকুয়াম তো কোন না কোনভাবে ফিল-আপ হয় আসলে; কিনতু এই জায়গাটা যে নাই, তৈরি হয় নাই – এই জিনিসটা মাইনা নিতে পারলে এইখানে যে কাজ করাটা দরকার, সেইটা একটা নিড হিসাবে, একটা দরকারি-কাজ হিসাবে সামনে আসতে পারে…
মানে, বাংলাদেশে যতটা না ‘সাহিত্য’ নাই তার চাইতে আমি মনে করি কোনটা গ্রেট-আর্ট আর কোনটা এভারেজ-সাহিত্য – এই ধরনের ক্রিটিকের জায়গাগুলা হইতেছে গ্রসলি এবসেনট; আর যেই কারনে গরু-রচনা লেখা এবং ক্রিয়েটিভ ও ইনটেলেকচুয়াল লেখালেখি মোটামুটি একই ঘটনা হিসাবে পারসিভড হইতে পারার ঘটনা ঘটতে পারে…
১১.০৪.২০২৪
আজকে ধরেন ১০০ বছর পরেও কাজী নজরুল ইসলামের “ও মন রমজানের অই রোজার শেষে…” ছাড়া আর কোন ঈদের গান তৈরি হইতে পারলো না কেন?
এইটা মোটামুটি সব ঈদে-ই আমার মনেহয়… একবার তো খুঁইজা খুঁইজা কিছু ‘ঈদের গান’ বাইর করলাম, দেখলাম প্রমিথিউসের বিপ্লবের একটা মোটামুটি-ভালো একটা গান আছে কুরবানির ঈদ নিয়া… এ ছাড়া অনেক গান তো আছেই, কিনতু অইরকম কোন গান নাই, যেইটা একটা ঘটনা হয়া উঠতে পারছে…
এখন এর একটা কারন তো অবশ্যই যে, কাজী নজরুল ইসলামরে যতই আমরা মান-সম্মান দেই, উনার সাহিত্য-চর্চার ধারাটারে তো আমরা নিতে পারি নাই; বা কলোনিয়াল ও পরে ইউরোপিয়ান-ঘরনার যেই মর্ডান লিটারেচারের ট্রেন্ডে আমরা বিলং করি, সেইখানে উনার সাহিত্য-মেটেরিয়ালগুলা খারাপ না, কিনতু এরপরে এমন কোন আর্ট-মেটেরিয়াল তৈরি হইতে পারে নাই, যেইখান থিকা উনার ট্রাডিশনটারে আবার রিক্লেইম করা যাবে বা রিলিভেনট কইরা তোলা যাইতে পারে; তো, অইখানে একটা ভ্যাকুয়াম আছে; মানে, কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্যরে আমরা কিভাবে নিবো – সেইটার কোন এপ্রিশিয়েশনের জায়গা তৈরি হয় নাই, এবং উনার ধারাতে দুসরা তেমন কোন এক্সাম্পল আমাদের সামনে নাই… মানে, ফররুখ আহমদ ইকবালের অনুসারী-ই ছিলেন, এবং রাইটলি অর রংলি কাজী নজরুল ইসলামরে এনাফ ‘আধুনিক’ ভাবতেন না (বদরুদ্দীন উমর যেইরকম মাওলানা ভাসানীরে কমিউনিস্ট ভাবতেন না, উনার ইসলামী সমাজতন্ত্ররে জামাতে ইসলামীরই আরেকটা ধরন বইলা ভাবছেন, এইরকম ব.উ.’র ‘যুদ্ধপূর্ব বাংলাদেশ’ বইয়ের লেখাগুলাতে পাইবেন…)
মানে, কাজী নজরুল ইসলামের ইসলাম তো আরবের ‘সহি’ ইসলাম না! এইরকম অনেকটা। বা জসীম উদ্দীনও আরেকটা ধরনের ছিলেন, উনি কাজী নজরুল ইসলামের ইসলাম’রে বাংলা-ট্রাডিশনে আউটকাসট না ভাবলেও এতোটা ‘মাটির জিনিস’ বইলা নিতে পারেন নাই; মানে, নানান দিক দিয়াই কাজী নজরুল ইসলামের সেকেন্ড কোন উদাহারন নাই
হাজার হাজার র.ঠা. এবং এরপরে জী.দা. থাকলেও… এই না-থাকাটা একটা মেজর কারন
(তবে আবদুল লতিফের গন-সঙ্গীত থিকা আজম খানের মারফতি গান হয়া ব্র্যান্ডের মিউজকে বা ফোক-ফিউশনে এইটা রিভাইব করার একটা পসিবিলিটির মধ্যে আছে একভাবে)
দুসরা ঘটনা হইতেছে, এই গান’রে ‘ইসলামি গান’ বা ‘ইসলামি সাহিত্য’ বইলা আইডেনটিফাই কইরা ‘আদার’ কইরা তোলা হইছে; যে, আমাদেরকে তো ‘ইসলামি গান’ গাইতে হবে এবং ‘ইসলামি সাহিত্য’ করতে হবে! 🙂 যেইটা কেটাগরিকালি কলোনিয়াল-সাহিত্যেে একটা বেইজ হিসাবে অপারেট করে, যেইটা নেসেসারিলি অডিয়েনস হিসাবে বাংলাদেশের মানুশরে সেনটার না কইরা ‘বাঙালি মুসলমান’রে টার্গেট করতে গিয়া আধ-খেঁচড়া একটা জিনিস হয়া থাকে… তো, এইটা আরেকটা ঘটনা, যে বাংলায় বললে হবে না, ইসলামি-বাংলায় বলা লাগবে – এইরকমের একটা আজাইরা রিকোয়ারমেনটের কারনে অন্য ভাষার ইসলামি-গানগুলারেও আমরা বাংলায় আনতে পারি নাই… আর এইটা একটা স্যাড ঘটনাই!
ট্রাডিশন হিসাবে রিকগনাইজড না হওয়া এবং কেটাগরি হিসাবে ‘ইসলামি’ হইতে হবে – এইরকম আদারাইজেশনের বাইরে থার্ড জিনিস হইতেছে, পলিটিকালি ও কালচারালি ‘অসাম্প্রদায়িক’ হইতে হবে – এইরকমের ডর’টা খুব ইসট্রংগলি আছে; মানে, আপনি অবশ্যই কলোনিয়াল-কেটাগরি মাইনা ‘ইসলামি সাহিত্য’ করতে পারবেন, কিনতু সেইটা ‘বাংলা-গান’ হইতে পারবে না তখন! এখন জাইনা-বুইঝা আপনি কি অইরকম ‘সাম্প্রদায়িক’ হওয়ার রিস্কটা নিতে রাজি হইবেন! মানে, আমি বলতে চাইতেছি, এইরকম একটা ডরের জায়গাও আছে।
যদিও এই তিনটা জিনিসই একভাবে ইনটার-রিলেটেড, এবং খুব বেশি আলাদা না; আর এর বাইরে আরো অনেক জায়গাও থাকার কথা…
…
বাংলাদেশে হাইপ-তোলা আর্ট-মেটেরিয়ালগুলার ৯০%, না ৯৯%-ই ট্রেশ; মানে, যেই জিনিস নিয়া হাইপ-তোলা হইতেছে সবচে ভালো-কাজ হইতেছে সেইটারে এভয়েড করা, ভালো হইলে সেইটা তো দুই-এক বছর পরেও ভালো থাকার কথা… যেই নিউজ-মিডিয়ার কাজই হইতেছে ফলস-কনশাসনেস তৈরি করা, তারা ভালো-আর্ট কেমনে প্রমোট করবে! এই মিনিমাম সেন্সটা আমাদের থাকাটা দরকার।
মানে, অবভিয়াসলি, হাইপ-তোলার একটা উদ্দেশ্য হইতেছে বেচা-বিক্রি বাড়ানো, টাকা তুইলা নিয়া আসা, ভালো-আর্ট প্রমোট করা না, কিনতু মিনিমাম কিছু জিনিস যদি না থাকে সেই জিনিসের হাইপ-তুইলা তো পাবলিকরে ঠকানোই হইলো! তো, এইরকম ঠকানোর ঘটনাগুলা এখন অনেক বেশি ঘটতেছে।
আর এই কারনে ঘটতেছে না যে, যারা এই মিডিয়া-হাইপ তোলার কাজটা করেন তারা কোনটা ভালো-আর্ট আর কোনটা খারাপ-আর্ট সেইটা বুঝেন না, বরং এখনকার সময়ে ভালো-আর্ট করার জন্য যেই মিনিমাম পলিটিকাল অরিয়েনটেশনটার দরকার পড়ে, সেইটারে নেয়াটাও উনাদের জন্য ‘রিস্কি’! যার ফলে বালের নিউজের মতো বালের আর্ট-ই আমরা পাইতেছি, মিডিয়া-হাইপের আর্ট মেটেরিয়ালগুলা থিকা। মানে, আমি গ্রসলিই বলতেছি, কিনতু গ্রসলি বলতেছি বইলা ভুল মনেহয় বলতেছি না।
…
এইটা তো অনেকেই বলছেন যে, ৩য় বিশ্বযুদ্ধ হবে পেলেসটাইন নিয়া; তো, এই ওয়ারে যে-ই জিতুক, হারবে মনেহয় আম্রিকাই
মানে, যে কোন ভবিষ্যদ্বানী বা ফরচুন-টেলিং তো একটু ঝামেলার জিনিস; যেইভাবে বা যেই সময়ে এইটা বলা হয় আর যখন এবং যেইভাবে এইটা এপিয়ারড হয়, সেইটা পুরাপুরি আলাদা একটা ঘটনাই; পেলেসটাইনের ঘটনা – এজ আ গ্লোবাল হিউম্যান সোসাইটি আমরা ডিল করতে পারি নাই, এবং পারতেছি না, তো, এর আউটব্রাস্ট একটা হওয়ারই কথা, কারন এইখানে আমাদের নীতি-নৈতিকতারে আমরা আপহোলড করতে পারতেছি না, এবং যেই সিসটেমের কারনে আমরা পারতেছি না, সেইটা সিসটেম হিসাবে অলরেডি ব্রোকেন, ফাংশন করতেছে না আর; আর যেহেতু সেইটারে সরানোর কোন লেজিটিমেট রাস্তা নাই, এইটা একসপ্লোড হওয়ার জন্য রেডি হয়া আছে আসলে; এখন এইটা কখন, কেমনে ফাটবে সেইটা আমরা নানান ঘটনার ভিতর দিয়া আনদাজ করতে পারলেও ঘটনা কি রকম হবে – সেইটা বলাটা টাফই সবসময়, বা মেবি দরকারিও না এতোটা…
তবে নানান ঘটনার ভিতর দিয়া অইটা পসিবিলিটির কথা তো মনেহয় আমাদের; ইরানের ড্রোন এটাক এইরকম একটা ঘটনা, যেইটা দেইখা আমাদের মনে হইতে পারে, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কি শুরুই হয়া গেল তাইলে!
১৫.০৪.২০২৪
এইবারের ঈদে রিলিজ পাওয়া সিনেমাগুলার মধ্যে একটা সিনেমা দেখার কিছুটা ইচ্ছা ছিল, সেইটা হইতেছে – কাজলরেখা; কিনতু এই সিনেমা মোটামুটি আলাপের মধ্যেই আসতে পারতেছে না, পারবে না যে – এই ধারনাও কিছুটা ছিল আমার; আমার ধারনা মোটামুটি ৩টা ঘটনা এইখানে আছে…
এক হইতেছে, এই সিনেমার ডিসট্রিবিউশন খুব একটা হবে না; হবে না এই কারনে না যে, এইটা খারাপ-সিনেমা, বরং বাংলাদেশে যেই সিনডিকেট ফিলম-ডিসট্রিবিউশন বিজনেসটা অপারেট করে, অইটা পুরাপুরি ইনডিয়ান-বাংলার আর্ট-মাফিয়াদের দখলে, (এবং মনে রাখবেন বাংলাদেশে ফিলম-ইনডাসট্রি নাই কইরা দেয়ার মেইন প্লেয়ার হইতেছে ফিলম-ডিসট্রিবিউশন কোমপানিগুলা এবং হল-মালিকরা, এদেরকে খুশি না কইরা বাংলাদেশে কোন ডিরেকটর সিনেমা চালাইতে পারবে না, কোন নায়ক-নায়িকা টিকতে পারবে না…) আর এই সিনডিকেট কখনোই ‘বাংলাদেশি’-ঘরানার কোন সাবজেকটে স্পেইস দিতে চাইবে না; এইটা একটা মেজর ঘটনা, যেইটা খালি চোখে দেখা না গেলেও অনুমান করাটা ভুল হবে না খুববেশি
দুসরা ঘটনা হইতেছে, ট্রেইলার, গান-টান যা দেখছি সেইটা খুব একটা সুবিধার লাগে নাই 🙁 মানে, যাতে ‘যাত্রা-সিনেমা’ না হয়া যায়, এই কারনে ‘জাঁক-জমক’ জিনিসটাই বাদ দেয়া হইছে, রাজা’রে দেখলে মনে হবে যেন ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার বা চেয়ারম্যান 🙁 মানে, ‘ফুটানি’ জিনিসটা নাই না, এইটারে ‘গ্রাম-বাংলার’ সিনেমা মেবি বানায়া ফেলা হইছে; যার ফলে ‘পাবলিক-এনটারটেইমেনটের’ জায়গাগুলা কম বা না থাকার কথা… তারপরে ক্যামেরা মেবি স্লো, যতটা ‘আরটিসটিক’ ততটা ‘এনটারটেইনমেনট’ না, যেইরকম মনপুরা’তে উতরায়া যাইতে পারছিলেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম, অইরকম মেবি পারেন নাই… মানে, আমার ধারনা এইরকম, কেউ দেখলে কনফার্ম করতে পারবেন; আমি গান-টান ট্রেইলার দেইখাই বলতেছি… এইটা মেবি ‘হাওরের সিনেমা’ হইছে, ‘ফেনটাসি-সিনেমা’ হইতে না-চাওয়ার কারনে ভিজুয়ালটা মাইর খাইছে…
আর লাসটলি নায়ক-নায়িকা বা কাস্ট তো একটা ঘটনা, পরীমনি-বুবলি হইলে এই সিনেমা যতটা চলতো, মন্দিরা-মিথিলা দিয়া তো সেইটা হবে না; মানে, টাকা-পয়সা একটা ঘটনা কিনতু এসথেটিকালিও গিয়াসউদ্দিন সেলিম কলোনিয়াল-কলকাতা থিকা সরতে পারার কথা না… ‘এসথেটিকালি’ ভালো-মুভি কর্মাশিয়ালি সাকসেসফুল হইতে পারবে-না না, কিনতু সিনেমা দেখতে গিয়া চাপায়া-দেয়া এসথেটিকস পিপল নিতে চাওয়ার কথা না আর কি…
তো, কিছুদিন পরে হয়তো সিনেমাটা দেখবো আমি; একটা রিলিভেনট-সাবজেকট নিয়া বানানোর পরেও কেন সিনেমাটা ফেইলড হইলো, সেইটা নিয়া আমার ধারনাগুলা ভুল কিনা – সেইটা বুঝার জন্যই হয়তো দেখবো, কিনতু আমার ধারনাগুলা ভুল হওয়ার চান্স তো মনেহয় কম-ই…
…
পয়লা বৈশাখ তো খালি বাংলাদেশের বাঙালিদের জন্য না, প.বঙ্গের বাঙালিদেরও তো পয়লা বৈশাখ আছে, ডেইট’টা ডিফার করে, কিনতু কলকাতাতে কোন ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ বা ফেসটিভালের কোন ছবি বা নিউজ কি দেখছেন যে, খুব ধুমধাম কইরা পয়লা বৈশাখ ‘পালন’ করা হইতেছে? পূজা-টুজাতে যেইরকম দেখা যায়… মানে, হালখাতা করার ট্রেডিশন এবং ঘরোয়া খাওয়া-দাওয়ার ঘটনা তো আছে, কোন পাবলিক ইভেনট হিসাবে গত ১০-১২ বছর আগেও খুব একটা কিছু থাকার কথা না… তো, ইনডিয়ান-বাংলায় কেন নাই তার চাইতে বাংলাদেশে কেন আছে এবং কেন ‘পালন’ করাটা জরুরি – এই নিয়া আমার ৩টা অবজারভেশন আছে
এক হইতেছে, কালচারালি ইনডিয়ান-বাংলার বাঙালিদের নিজেদেরকে ‘বাঙালি’ প্রমান করার কিছু নাই, কিনতু আফটার পাকিস্তান বাংলাদেশিদের নিজেদের ‘প্রমান’ দেয়া লাগে যে, ‘আমরা বাঙালি’ – এই মেনিফেসটেশনটা জরুরি; বাঙালি-হিন্দুর জন্য বাঙালি হওয়াটা যেইরকম অটোমেটিক বেপার, বাঙালি-মুসলমানের জন্য বেপারটা একইরকম না, ‘প্রমান’ দেয়াটা জরুরি (এমনকি বাঙালি-মুসলমানরে গরু খাইয়াও প্রমান দিতে হয় যে সে মুসলমান, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ’র কথাতে পাইবেন সেইটা যে, গরুর মাংস খায় না তো সে কেমন মুসলমান, এইরকম…), তো এই জিনিসটা আছে
দুসরা ঘটনা হইতেছে ইকনোমিকাল; যত যা-ই বলেন, পয়লা বৈশাখের পোগরাম-টোগরাম হইতেছে আরবান ফেনোমেনা, ঢাকা শহরে, আরো ইসপেসিফিকেলি বললে ঢাকা ভারসিটি এলাকায় এইটা শুরু হওয়ার পরে এইটা জেলা ও উপজেলা শহরে রেপলিকেট হওয়া শুরু হইছে; আগের ইভেনটগুলার লগে মিলানোর ট্রাই করছে; আর এইটা হইছে আরবান-মিডলক্লাসের মাধ্যমে, যাদের ‘বাঙালি’ হিসাবে নিজেদের আইডেনটিটি ক্লেইম করার দরকার পড়ছে, যেইটা নিজেদের ইকনোমিক-মর্যাদার সাথেও জড়িত; আমাদের একটা কালচারাল আইডেনটিটি-ই আছে না, বরং যেহেতু একটা ইকনোমিক পাওয়ার ও এবিলিটি তৈরি হইছে, এর একটা ভিজিবল ফিচার তো থাকা দরকার! মানে, কালচারাল মেনিফেসটেশনের বাইরে একটা ইকনোমিক এবিলিটি’টাও এইখানে জড়িত। করপোরেট স্পন্সরশিপ এবং ‘সরকারি পৃষ্টপোষকতা’ ছাড়া এইরকম ইভেনট তো ইম্পসিবল ঘটনা আসলে
থার্ড ঘটনা হইতেছে, এর পলিটিকাল আসপেকট’টা; এইরকম বলাবলি তো আছেই যে, এরশাদ-বিরোধিতার জায়গা থিকা এইটা শুরু হইছিল, তো, অইটা ছিল; পরে যেইটা ‘সামপ্রদায়িকতা-বিরোধি’র নামে আওমি-ইভেনট হয়া গেছে আসলে; আর তখনই কোশচেনেবল হয়া উঠতে শুরু করছে
এমনিতে বাংলা-সনের তেমন রিলিভেনস তো আর নাই এখন; একটা আলগা ঘটনাই আমাদের লাইফে, তারপরও নানান কারনে নানান রকমের ফর্মে এইটা কনটিনিউড হইতে থাকবে বইলাই মনে হয় ফিউচারে…
১৫.০৪.২০২৪
“কোক স্টুডিও উর্দু” বইলা কিছু নাই কিনতু, বা “কোক স্টুডিও হিন্দি”; বরং আছে “কোক স্টুডিও পাকিস্তান” এবং “কোক স্টুডিও ইনডিয়া”, এমনকি খালি দুইটা ভাষার গান না, দুইটা দেশের অনেকগুলা ভাষার গান আছে (এবং দুইদেশের মধ্যে বাংলা-ভাষার গানও আছে কিছু); তারপরেও “কোক স্টুডিও বাংলাদেশ” না রাইখা, দেশের নাম রাইখা ভাষার নাম রাখতে হইলো কেন?
এর কোন সিধা-সাদা জবাব কিনতু নাই, এমনকি বাংলাদেশের অন্য ভাষার ও ‘আঞ্চলিক’-ভাষার গান দিয়াও “প্রমাণ” করান ট্রাই করা হইছে যে এইটা “কোক স্টুডিও বাংলাদেশ”-ই, খালি বাংলা-ভাষা না!
তো, আমার ধারনা, এইখানে একটা ঝামেলা হইতেছে যে, ১৯৪৭’র আগের গানও রাখা হইতে পারে, যেইগুলা জিওগ্রাফিকালি এখন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মধ্যে পড়ে না; কিনতু এইটা নিয়া কোন কনফিউশন রাখাটা মনেহয় ঠিক হবে না, কারন ১৯৪৭’র আগে যা ছিল বা ইভেন ১৯৭১’র আগে যা ছিল সেই কালচারাল জিনিসগুলান দাবিদার বাংলাদেশও… (ভালো হিন্দি-উর্দু গানও এইখানে থাকতে পারে, ফিরোজা বেগমের, ফেরদৌসি রহমান, শাহনাজ রহমতউল্লা ও রুনা লায়লার); এই আইডেনটিটি নিয়া ইনফিরয়রিটি থাকাটা কালচারাল নাদানিরই সিম্বল, সেই থিকা কোক-স্টুডিও’র লোকজন বাইর হয়া আসতে পারবে বইলা মনেহয় না; এইটা যতটা না ‘না-বুঝার’ লাইগা তার চাইতে অনেক বেশি ‘বাংলাদেশি’ আইডেনটিটি’টারে কালচারালি মাইনা না নিতে পারার ঘটনাটাই মেবি বেশি সিগনিফিকেন্ট…
১৬.১১.২০২৪
কেন আমি টেলিগ্রামে লেখি? মানে, বাংলাদেশে যারা পাবলিক-স্পেইসে লেখালেখি করেন তারা মোসটলি ফেইসবুকেই লেখেন (নিউজপেপারে লেখেন বুড়া ও বলদ-ইয়াং’রা), আমিও তা-ই করতাম, বছরখানেক আগে কমাইছি, এর মেইন কারন হইতেছে ফেইসবুকে তো লেখা যায় না…
মানে, আপনার রিচ-টিচ কমায়া দিবে, বেপারটা খালি এইরকম না, ফেইসবুকে লেখবেন – এইরকম টার্গেট কইরা লেখলে সার্টেন জিনিস আপনি লেখতেই পারবেন না, সেলফ-সেন্সরশিপ চইলা আসতে বাধ্য; যেমন – বাকশাল, হিটলার, শেখ হাসিনা, বিএনপি, তারেক রহমান, ইনডিয়া, ইজরাইল… এই জিনিসগুলা লেখতেই পারবেন না, ‘ভুল-বানান’ লেখতে হবে বা এড়ায়া যাইতে হবে; তো, এই সেলফ-সেন্সরশিপ আমি নিজের উপরে কেন নিবো!
আর তারপরও যদি কোনভাবে কোন লেখার একটু রিচ-টিচ হয়, তাইলে বট-বাহিনি তো আছেই; আমারে দুই-একবার এই পেইন নিতে হইছে, যাদের কনটিনিউয়াসলি এই প্রেশার নিতে হয়, আই ফিল সরি ফর দেম! অন্যদিক দিয়া বলতে গেলে, পপুলার হওয়া, রিকগনাইজড হওয়া বা ভাইরাল হওয়াটা আমার লেখালেখির উদ্দেশ্যের মধ্যে নাই, দুই-একশ মানুশ যদি নোটিশ করেন, তাইলেই বেপারটা এনাফ ‘পাবলিক’ হইতে পারছে বইলা আমার কাছে মনেহয়; দুই-চাইর-পাঁচশ লাইক পাইলেই তো আমার কথা বেশি সত্যি হয়া উঠবে না, বরং কিছু এড্রিনালিন রাশ-ই হইতে পারে বড়জোর, আর সেইটা কমায়া রাখতে পারলেই তো বেটার আসলে…
থার্ড হইতেছে, ফেইসবুকে আর কোন মিনিংফুল কনভারসেশন বা আলাপ পসিবল না বইলাই মনে হইছে; মানে, এর মেইন উদ্দেশ্য তো আসলে এনগেইজমেনট বাড়ানো, একটা মিনিংফুল আলাপ তৈরি করা না; তো এনগেইজমেনট বাড়ানো হয় ইমোশনাল এটাচমেনটের ভিতর দিয়া, যেইটা ঝামেলার জিনিসও আর কি…
কিনতু আমার ধারনা, এই সেলফ-সেন্সরশিপ যারা করতে রাজি আছেন; বা বাংলাদেশের নয়া বাকশালের নিউজ-মিডিয়ার যেই সাব-উইং ফেইসবুক নিউজফিড কনট্রোল করে তাদের লগে তাল মিলায়া সেমি-বিপ্লবী এটিটুড ধইরা রাখতে পারতেছেন, তাদের জন্য এইটা সমস্যার কোন ঘটনা হয়া উঠে নাই, উনারা এর মধ্যে দিয়া ফেইসবুকে একটিভ থাকার রাস্তা বাইর কইরা নিতেছেন বা ট্রাই করতেছেন, যেইটা খারাপ না, ভালোই; উনারা যদি জরুরি না মনে করেন, অন্য কোন প্লাটফর্মে মুভ করবেন কেন…
২.
আর এমনিতেও টেলিগ্রামের ফিচার তো খুব একটা ভালো না, আর্কাইভিং-ও মোটামুটি বাজে; একটা স্টেইটমেন্ট থ্রো করার মত ঘটনা; এনগেইজমেন্টের ঘটনাও রেয়ার, একতরফা জিনিসই… কিনতু তারপরও সেলফ-সেন্সরশিপের জায়গা থিকা রেহাই পাওয়াটাই মেইন ঘটনা; এনগেইজমেনটের একসপেক্টশন আমার এমনিতেও আমার নাই খুব একটা… নিজের কথাগুলা বলার এবং অল্প কিছু লোকের কাছে রিচ করতে পারার ঘটনাটাই মেইন ফ্যাক্টর এইখানে
এখন টেলিগ্রামে না লেইখা সাবস্টেকেও লেখা যাইতো; সবচে ভালো হইতো তো আসলে নিজের একটা স্পেইস তৈরি করতে পারলে, কিনতু অইখানেও পিপল-এনগেইজমেনটের জায়গাটা সাফার করে আসলে; আর নিজের লেখালেখির পোর্টফোলিও গোছানোও একটা টায়ারিং ঘটনা… মোস্টলি লেখালেখির বাইরের ঘটনাই হয়া উঠে সেইটা…
৩.
কিনতু তারপরও টেলিগ্রামের লেখার লিংক তো ফেইসবুকেই শেয়ার করি 🙂 কারন বাংলাদেশের অডিয়েন্স ও ক্রাউড আসলে এখনো ফেইসবুকেই, যার ফলে যে কোন জায়গার লেখালেখির লিংক ফেইসবুকে শেয়ার কইরা রাখাটা ভালো; আমার এই ফেইসবুক আইডি’টা আসলে মোসটলি লিংক-শেয়ারিং একটা একাউনটই এখন…
১৮.১১.২০২৪
মাসখানেক আগে বদরুদ্দীন উমরের একটা বই নিয়া কথা বলতে গিয়া বলতেছিলাম উনি পলিটিকসে কালচারের রোল’টারে ধরতেই পারেন না, বা পুরাপুরি এড়ায়া গেছেন।
তো, এই কথার কনফারমেশন একভাবে উনার লেখাতেই পাইলাম, একটু অন্যভাবে। ১৯৭০-৭১ এ উনি কিছু “সম্পাদকীয়” লেখছিলেন গণশক্তি পত্রিকায়, অই লেখাগুলা নিয়া একটা বই ছাপাইছিলেন ১৯৭৬ সালে, “যুদ্ধপূর্ব বাঙলাদেশ” নামে; অইখানে ইন্ট্রোতে বলতেছিলেন ন্যাপ থিকা চাপ দিয়া ভাসানীরে ইলেকশন করতে দেন নাই, কারন উনারা চারু মজুমদারের লাইনে বিপ্লব করতে চাইতেছিলেন, কিনতু চারু মজুমদারের পলিটিকাল লাইন একসেপট করলেও কালচারাল-লাইন মানেন নাই; কেন? কারন বুর্জোয়াদের কালচারাল অংশ’টা অই বিপ্লবের সার্পোটার আছিল; এবং আইরনিকালি এনাফ এখন এই “বিপ্লবী-সংস্কৃতি”ই একটা পুরানা দিনের “বুর্জোয়া” জিনিস হিসাবে টিইকা আছে আসলে
মানে, কালচারালি রবীন্দ্রনাথ, বিদ্যাসাগর, ইত্যাদি ভালো না বাসলে বাংলাদেশে (পলিটিকালি) বিপ্লবী-ই তো হইতে পারবেন না আপনি! এইটা উনাদের কোন ‘ভুল’ না, পলিটিকাল চয়েসেরই ঘটনা। আর বদরুদ্দীন উমর হইতেছেন তার কান্ডারী। কারন উনি এই কালচারাল অথরিটিগুলার “বিপক্ষে” যাইতে চান না বা এদেরকে বিপ্লবের সহযোগী ভাবেন বেপারটা এইরকম না, উনি জাস্ট ক্রিটিকালি দেখতে রাজি করাইতে পারতেছেন না নিজেরে; যেন ক্রিটিক করলে “বিপক্ষে” চইলা যাইতে হবে!
এর এগেনেইসটে এখন ফ্রেন্ডলি-ক্রিটিক কইরা “তবুও নিতে হবে”র একটা তরিকা চালু হইছে; যেইটা বদরুদ্দীন উমরের পজিশনের চাইতে বেটার না, বরং ইনটেলকচুয়ালি আরো ‘অসৎ’ একটা ঘটনাই…
২.
বদরুদ্দীন উমরের কোটেশন’টা নিচে পড়তে পারেন।
“…পূর্ব বাঙলায় আমরা ছিলাম জনগণ- তান্ত্রিক বিপ্লবের স্তরে, যে স্তরে বুর্জোয়াদের একটা ব্যাপক অংশ আমাদের সহযোগী ও সহযোদ্ধা। কাজেই বিপ্লবের সেই পর্যায়ে বুর্জোয়া সংস্কৃতির ওপর ঢালাও আক্রমণ এবং রবীন্দ্রনাথ, বিদ্যাসাগর প্রভৃতির মূর্তি চূর্ণ করে তাঁদের প্রভাবকে উচ্ছেদ করতে যাওয়ার মতো স্থূল চিন্তা আমরা একেবারেই সমর্থন করিনি। এজন্যেই পার্টির অভ্যন্তরে এ বিষয়ে কিছু চাপ থাকলেও আমরা সেই চাপের কাছে নতি স্বীকার করিনি এবং ‘গণশক্তি’তে কোনদিনই চারু মজুমদারের ‘সাংস্কৃতিক বিপ্লবের’ লাইন প্রচারিত হয়নি।”
/যুদ্ধপূর্ব বাঙলাদেশ, বদরুদ্দীন উমর
সেপ্টেম্বর, ১৯৭৬
২০.১১.২০২৪
টেলিগ্রাম ক্রিয়েটর ও মালিকের (এইটা ব্যক্তি-মালিকাধীন বিজনেস) ইন্টারভিউ দেখতেছিলাম গতকালকে, ইন্টারেস্টিং…
১. উনি আগে আরেকটা সোশাল-মিডিয়া প্লাটফর্ম চালাইতেন; রাশিয়া, ইউক্রেন, বেলারুশ, কাজাখিস্তানে… অইটা পপুলার ছিল, কিনতু গভরমেনটের প্রেশারে টিকতে না পাইরা অইটা বেইচা দিয়া দুবাই-বেইজড টেলিগ্রাম শুরু করছেন; তার আগে জার্মানি, ইউএসএ, সিঙ্গাপুর… আরো অনেক জায়গা ট্রাই করছিলেন, কিনতু অইসব জায়গাতে গভরমেনট-পলিসির কারনে করতে পারেন নাই…
২. কিনতু গভরমেনট আসলে মেইন ঘটনা না, মেইন ঘটনা হইতেছে অ্যাপ ডিসট্রিবিউশন প্লাটফর্মগুলা; যেইরকম টিভি-পত্রিকাগুলা (জানায় না বরং) কনট্রোল করে – কোনটা নিউজ আর কোনটা নিউজ না, এইরকম কোন জিনিস যদি গুগুল-সার্চে না থাকে, অইটা তো দুনিয়াতে নাই-ই আসলে!
৩. ফেইসবুক, টুইটারের মতো সোশাল-মিডিয়া প্লাটফর্মগুলা চালাইতে এতো লোকজন বা টাকা-পয়সা কিনতু লাগে না, ৩০-৪০ জন লোক দিয়াই টেলিগ্রাম চালান… আসলে ঘটনা হইতেছে ইউনিক একটা প্রডাক্ট, বেটার একটা একসপেরিয়েনস…
৪. ফ্রিডম’টা ইমপরটেনট বা এইটাই হইতেছে বেসিক পেরামিটার আসলে যে, ফ্রি-লি আপনি আপনার কথাগুলা বলতে পারতেছে কিনা, কোন ডর-ভয় ছাড়া – সোশাল-মিডিয়ার জায়গাটাতে এইটাই খেয়াল করার জায়গাটা আসলে
২২.০৪.২০২৪
সবচে আনফরচুনেট ঘটনা হইতেছে, বাংলাদেশে ‘ভালো-মানুশ’ হওয়াটা কোন নরমাল জিনিস না; একটা virtue, বা বেকুব-থাকা, এমনকি বিপ্লবি হইতে পারার শর্ত…
তো, অই ঘটনাটা কেমনে ঘটলো? মানে, কেমনে আমরা এই অবস্থাটায় আইসা পৌঁছাইলাম? আমার ধারনা এইটা স্বাধীনতা-পরবর্তি সময়ের ঘটনা… যখন কিছু ‘মুক্তিযোদ্ধা’ গভরমেনট-লাইসেনস নিয়া কালো-বাজারি কইরা টাকা-পয়সা কামাইতে শুরু করলো তখন ‘ভালো-মানুশ’ একটা ভার্চু হয়া উঠে যে, এরা সিচুয়েশনাল বেনিফিটগুলা নিতে পারে না বা নিতে রাজি না; এইটা আর ‘সাধারন’ বা নরমাল ঘটনা না, একটা মোরাল পজিশন হিসাবে এমার্জ করে যে, আমার সুযোগ আছে, কিনতু আমি সুযোগ নিতেছি না – এইটা সাধারন ঘটনা না, ইসপেশাল বা একসপেশনাল ঘটনা…
তারপরে, যারা-ই বাংলাদেশে ‘উন্নতি’ করছেন তাদের প্রতি আমাদের দেখার নজর হইতেছে যে, তারা নিশ্চয়ই কোন না কোন খারাপ-কাজ করছেন! ভালো-মানুশ হয়া তো সাকসেসফুল হইতে পারবেন না আপনি! তো, যেহেতু আপনি সাকসেসফুল, আপনি ভালো-মানুশ না (মেবি)! আর যেহেতু আপনি ভালো-মানুশ কিছুটা বোকা-সোকা বা ভোদাই 🙂 এই যে সোশাল-আন্ডারস্ট্যান্ডিং – এইটা ঠিক বা ভুলের চাইতে কিভাবে দেখার নজর হিসাবে তৈরি হইলো, সেইটা আলাপের বাইরেই থাইকা গেল আসলে, বরং ‘উন্নতি’ করতে হইলে কিছু ‘কম্প্রোমাইজ’ আপনারে করা লাগবে – এই ‘সত্যি’টা এসটাবলসিটড হইলো…
আর যারা এই ‘সত্যি’ মানলো না, ‘গোয়ার্তুমি’ কইরা ‘ভালো-মানুশ’ থাকলো, তারা হয়া উঠলো ‘প্রকৃত বিপ্লবি’…
মানে, আমি বলতে চাইতেছি, আপনি ‘ভালো-মানুশ’ এর মানে আপনি বাংলাদেশে ‘আন-ফিট’ ‘করুনার পাত্র’, এই-সেই… যেই পারসপেকটিভ’টা এইটা খালি একটা ‘প্রাকটিকাল সত্যি’ না, বরং এইভাবে দেখার একটা নরমালিটি থিকা এইটা আসছে; আর নরমালিটি’টা অই জায়গা থিকা প্রডিউস করা হয়, একটা পারমানেনস দেয়া হয় যে, এইরকমই তো হইতেছে, এইরকমই হবে… এন্ড আই থিংক, দিস আর দা ট্রূ ইভিল! একটা পারমানেনট-নরমালিটি’রে তৈরি করা এবং সেইটারে মাইনা নিতে বাধ্য করার ঘটনা’টা…
২৫.০৪.২০২৪
#বিশাল_অদরকারি_অপচয়
ট্রেন্ড হিসাবে বিশাল অ-দরকারি এই অপচয়গুলার পাইওনিয়ার মেবি এই বইটা 🙂
ছাপা হইছিল ১৯৮৫ সালে; কলকাতার “এবং মুশায়েরা” যেই জিনিসগুলা বানাইছিল, হিসট্রিকালি অইগুল এর পরের ঘটনাই হওয়ার কথা…
বইয়ের মেটেরিয়ালগুলা দেখলে (কমেনটে সূচিপত্রের ছবি দিতেছি) টের পাইবেন অই সময়ের যেইসব ‘মহারথী’রা আছিলেন বাংলাদেশের, তাদের গু-গোবরই রাখা হইছিল;
মানে ‘যথারীতি’ আম-খাই জাম-খাই টাইপের কথাই কইছিলেন যেইগুলার কোন লিটারারি ভ্যালু নাই, মানে, না পড়লে চলবো না খালি, পড়ার কোন দরকারই নাই আসলে; কিনতু এই জিনিস যে করা হইছিল সেইটা একটা ‘বিশাল ঘটনা’!
এখনো এইসব জিনিস ট্রেন্ডি-ঘটনা হিসাবে পাই আমরা, যার সিগনিফিকেনস হইতেছে বড়জোর কিছু জিনিস কম্পাইল করা, রেদার দ্যান কিছু ক্রিয়েট করা; তারপরও একটা ‘বড় ঘটনা’ কারন অনেকে লেখছেন, অনেক কিছু লেখছেন; কিনতু লেখছেনটা কি? ‘কবি নিরব’ অইখানে…
২৯.০৪.২০২৪
বলদামির পয়লা ধাপ –
“পাবলিকের রুচি খারাপ”
বছর খানেক আগে হবে, নেটফ্লিক্সে ‘সেকস এডুকেশন’ সিরিজটা বাংলাদেশে টপ টেন লিস্টে চইলা আসলো; তখন একজন মিচকা-হাসি টাইপ একটা পোস্ট দিয়া কইলো, লোকজন আসলে গোপনে এইগুলাই দেখে বা দেখতে চায়… মানে, একটু সেকস-টেকস গন্ধ থাকলেই বাংলাদেশে মানুশ-জন (উনারা আবার বাংলাদেশের মানুশ বলেন না, বলেন – বাঙালি, অইটা আরেক দুচনামি…) পাগল হয়া যায়, হুমড়ি খায়া পড়ে…
তো, উনারা হইতেছেন অইসব মানুশ যারা একসময় ‘হিন্দি-সিরিয়াল’ নিয়া হাসতেন, খুব সম্ভবত কয়দিন পরে কে-ড্রামা নিয়া হাসবেন; আর বাংলাদেশি-সিনেমা নিয়া হাসি তো উনাদের এই জীবনে শেষ হবে না…
মানে, উনারা এই হাসি দিয়া আসলে ঠিক কোন “রুচি’র” বিরোধিতা করেন না ঠিক, বরং নিজেদেরকে একটা “রুচিবান” জায়গাতে প্লেইসড করতে চান, যেইটা যে কোন কমন-রুচির জায়গাটারে নিয়া হাসি-ঠাট্টা না কইরা এচিভ করাটা পসিবল না। বেশিরভাগ মানুশ (বা পাবলিক) যেই জিনিস পছন্দ করতেছে, সেইটারে নিয়া ইরিটেটিং কমেনট করা হইতেছে ‘পাবলিক ইনটেলেকচুয়াল’ হওয়ার পয়লা সিমটম 🙂
খালি পাবলিক-ইস্যু নিয়া কনসার্নড হওয়া না, পাবলিকের ‘ভুল’ ধরায়া দেয়া, তারে ‘সঠিক পথে’ নিয়া আসা, এবং বেশিরভাগ সময়ে ‘বকা-ঝকা’ করার ভিতর দিয়া এমন একটা পজিশন ক্লেইম করা যেইখানে সে/আমি/আপনি আর ‘পাবলিক’ না, বরং এর বাইরের একটা কেউ – পাবলিক-ইনটেলেকচুয়াল!
মানে, আমি বলতে চাইতেছি পাবলিকের রুচি খারাপ – এই কথা বলতে না পাইরা ‘পাবলিক ইনটেলেকচুয়াল’ হইতে পারাটা বাংলাদেশে মোটামুটি ইম্পসিবল একটা বেপার; আর এইটা এখনকার পলিটিকাল-স্যাডিজমের বাইরের কোন ঘটনা না মনেহয়; যেই কারনে ইন জেনারেল, তারা (সো-কল্ড পাবলিক-ইনটেলেকচুয়ালরা) যতটা না বলদ, তার চাইতে বেশি বাটপার; আর আন-ফরচুনেটলি এই ডিফরেনসটা খুব একটা করা হয় না বাংলাদেশে…
২.
এখন এর এগেনেসটে, বেশির-ভাগ মানুশ-জন যা পছন্দ করতেছে, সেইটাই ভালো – ঘটনাটা কখনোই এইরকম না, বরং এই যে একটা পাবলিক-রুচি ভারসেস উন্নত-রুচি বইলা একটা কিছুরে ডিফরেনসিয়েট করা – এইটা না করতে পারলে পাবলিক-ইনটেলেকচুয়াল পজিশনটারে ধইরা রাখাটা টাফ; এইটা হইতেছে এর কোর জায়গাটা
এমনিতে বেশিরভাগ মানুশ আসলে ট্রেন্ড’টারেই ফলো করে; যে, আমার আশে-পাশের ৮-১০ জন মানুশ এইটা দেখতেছে, এইটা নিয়া কথা বলতেছে, ওকে, আমিও তাইলে এইরকমই করি; মানে, এইটা একটা ‘সোসাইটির’ লগে এফিলিয়েটেড হওয়ার, এটাচড হইতে চাওয়ার ঘটনা, প্রাইমারিলি; সেকেনড হইতেছে একটা অভ্যাস, একটা হিস্ট্রিকাল কনসট্রাকশন, একটা টেকনোলজিকাল অবস্থা, ক্লাস-একসপেরিয়েনস, এইসব হাবি-জাবি… এরপরে হইতেছে গিয়া বিচার বা কনশাস-চয়েস; ইন ফ্যাক্ট এইটা খুবই রেয়ার, বা খুব কম জায়গাতেই এই চয়েসগুলা আমরা করি বা করতে পারি
মানে, আমি বলতে চাইতেছি ‘রুচি’ জিনিসটা এক ধরনের ক্লাস-বিলংগিংনেসের জায়গা থিকাই অপারেট করে, আর এফেকটিভ থাকে… এবং ‘পাবলিকের রুচি খারাপ’ প্রমান না করতে পারলে নিজেরে একটা ছোট্ট এলিট-ক্লাসের মেম্বার হিসাবে গইড়া তোলা যায় না, যেইখান থিকা বলা যায় যে, আমরা হইতেছি – ট্রেন্ড-সেটার!
৩.
ট্রেন্ড-সেটার বইলা কিছু নাই – তা তো না, দুনিয়াতে সবসময় দুই-চাইরজন মানুশ আছেন, থাকেন, যারা অন্য অনেকের চাইতে দুই-চাইর-দশ লাইন বেশি বুঝেন; ভালো-রাইটার, বড়-চিন্তাবিদ অবশ্যই আছেন যারা নতুন নতুন পারসপেকটিভরে ভিজিবল কইরা তুলতে পারেন; কিনতু আমার একটা অবজারভেশন হইতেছে, আর যা-ই হোক, পিপল-হেইট্রেটের ভিতর দিয়া উনারা এইটা করেন না…
আর যারা এইরকম পিপল-হেইট্রেট বা ‘পাবলিকের রুচি খারাপ’ জায়গাটাতে অপারেট করেন, এবং করতে থাকেন, তারা কিছু জানেন না – বেপারটা এইরকম না, বরং উনারা উনাদের চিন্তা-ভাবনারে আগাইতে পারেন না বইলাই মনেহয় বেশিরভাগ সময়; মানে, ডমিনেন্ট পাবলিক-থটগুলার ক্রিটিক তো করা-ই লাগবে, কিনতু যখন এইখানেই কেউ আটকায়া থাকে, তখন এক ধরনের ধারনা হওয়াটা খুবই লজিকাল যে, তার নিজের মনেহয় তেমন কোন চিন্তা নাই আসলে…
মানে, পি.আর. প্রপাগান্ডাগুলার পলিটিকস হয়া উঠার এই সময়ে পাবলিকের রুচি খারাপ বলার ইনটেলেকচুয়ালিটি মোস্টলি প্রপাগান্ডা নেরেটিভেরই একটা পার্ট আর কি…
Leave a Reply