জুলাই ২, ২০২২
(কিশোরগঞ্জ জেলার) মিঠামইন-ইটনা-অষ্টগ্রামে ৯০০ কোটি টাকা খরচ কইরা যেই ৩০ কিলোমিটার রাস্তা বানানো হইছে ২০১৬-২০২০ সালে, অইটার অনেক প্রশংসা কিছুদিন আগ পর্যন্তও চালু ছিল। অনেক ছবি-টবিও দেখছি আমরা। কিন্তু একটা ইন্টারেস্টিং জিনিস হইতেছে এই রাস্তায় কোনদিন কোন বাস, ট্রাক, প্রাইভেট কারের ছবি দেখি নাই। কয়েকটা সিএনজি বা মোটর সাইকেলের ছবিই দেখছি।
মানে, রাস্তা আছে, কিন্তু রাস্তায় কোন গাড়ি নাই… তো, ঘটনা’টা কি?
ঘটনা হইতেছে, এই রোডের লগে দুনিয়ার কোন রোডের কোন কানেক্টিভিটি নাই। এবং এই খবরটা বাকশালি-মিডিয়ার ১০০টা পত্রিকা ও টিভি-চ্যানেলে এখন পর্যন্ত একবারও বলা হয় নাই। যে, এমন একটা রাস্তা বানানো হইছে যেইটার লগে বাংলাদেশের কোন রাস্তার কানেকশন নাই। বাস-ট্রাক-প্রাইভেট কার কিছুই চলে না এই রাস্তায়।
তো, এই যে কোন কারণ ছাড়া “উন্নয়ন” – এইটা তো বাকশালের সিগনেচার ঘটনা [কারণ মেইন উদ্দেশ্য হইতেছে, টাকা মাইরা খাওয়া, যেইটা ‘উন্নয়ন’ ছাড়া পসিবল না], শুরু থিকাই; কিন্তু এর লগে, বাকশালি-মিডিয়ার যেই বয়ান, “উন্নয়ন-প্রচার” যে খুবই ইন্ট্রিগ্রেটেড একটা ঘটনা – এইটা খেয়াল করাটা দরকার।
কোন কানেক্টিভিটি ছাড়া, গাড়ি-বাস-ট্রাক চলবে না, এইরকম একটা রোড যে বানানো হইছে – এইটা কইলে কেউ পত্রিকা-অফিস বা টিভি-চ্যানেল তো বন্ধ কইরা দিবে না! বরং এই কথাগুলা না-বলাটা, “উন্নয়ন-সহযোগী” হওয়াটা হইতেছে, বাকশালি-মিডিয়ার নিজেদেরই ডিসিশান। এইটা কোন সেলফ-সেন্সরশীপও না ইভেন, এইগুলা হইতেছে গোলামির নিশান।
জুলাই ৩, ২০২২
কেইন্স ও নোবেল-প্রাইজ
কেইন্স (John Maynard Keynes) মারা যাওয়ার পরে কেউ বলে নাই যে, “ওপারে ভালো থাকবেন!” কিন্তু উনি ভালোই ছিলেন। ক্যাপিটালিজমের গড এবং কমিউনিজমের ভগবান, দুইজনই তারে খাতির-যত্ন করতেন।
গড কইতেন, ভাই রে ভাই, তুমি বাঁচাইছো! কানের পাশ দিয়া গুলিটা গেছিল! আরেকটু হইলেই কমিউনিজমের ভূতগুলা সব দখল কইরা নিতো আমাদের। গর্ভমেন্ট-স্পেন্ডিং বাড়ানোর যেই বুদ্ধিটা তুমি দিছিলা, তাতে কইরা ইকনোমি-ই খালি চাঙ্গা হয় নাই, গর্ভমেন্ট জিনিসটাও স্ট্রং হইছিল। প্রমাণ করা গেছিল, গর্ভমেন্টেরও পাওয়ার আছে, এবং সময়মতো এর পাওয়ার কাজে লাগানো যাইতে পারে!
কমিউনিস্টদের ভগবানও তারে অপছন্দ করতেন না, আফটার অল একটা দিশা তো উনি চীনের কমিউনিস্টদেরকেও দিছেন যে, পলিটিক্যাল কন্ট্রোল যদি পার্টির হাতে থাকে মার্কেট ইকনোমির পক্ষে খুব বেশি আন-প্রেডিক্টেবল হওয়া পসিবল না। বা চাইলেই ধইরা চটকানা মারা পসিবল। তোদের কাজ খাওয়া-দাওয়া-ফূর্তি করা, তোরা অইটাই কর! পলিটিক্স করবে পার্টির লোকজন। ইকনোমিকসও আমরাই দেখবো। দেখা যে দরকার – এইটা কেইন্সই জাস্টিফাই কইরা গেছিলেন তো!
কিন্তু সবকিছুরই শেষ আছে। কেইন্সই ফেইল মারলেন একদিন। কি ঘটনা? উনারে জানানো হইলো, আপনার থিওরি তো আরো আগায়া গেছে। গর্ভমেন্ট স্পেন্ডিং কইরা ইকনোমি ঠিক রাখা না খালি, বা ইকনোমি কন্ট্রোল করা না, গর্ভমেন্টই হইতেছে ইকনোমি!
সরকারের রেভিনিউ’র অলমোস্ট ফিফটি পারসেন্ট খরচ করা হয় গর্ভমেন্ট এমপ্লয়িদের বেতন-ভাতা-পেনশন দিতে। মেগা-প্রজেক্ট বানায়া লোন নিয়া অই টাকা সরকারি দলের লোকজন আর গর্ভমেন্ট এমপ্লয়িরাই খায়। যে কোন ইকনোমিক এক্টিভিটি সরকারের পারমিশন ছাড়া, সরকারি সিন্ডিকেট ছাড়া চলতে পারে না। গর্ভমেন্ট খালি খরচ করে না, বরং গর্ভমেন্টের খরচ চালানোর জন্যই পিপল বিজনেস এক্টিভিটি করে আসলে, বিদেশ থিকা টাকা পাঠাইতে থাকে! 🙂 আর করবে না কেন! ভোট তো গর্ভমেন্ট এমপ্লিয়রাই দেয়!
কেইন্স কইলেন, হায় হায় এইরকম তো আমিও ভাবতে পারি নাই! গর্ভমেন্টই তো দেশ! সরকারি লোকজনই তো জনগণ! তো, এইরকম একটা সিস্টেম আবিষ্কার করার জন্য এই সরকার’রে ইকনোমিকসে নোবেল প্রাইজ দেয়া হয় না কেন?
গড আর ভগবান কইলেন, ইকনোমিকসে তো নোবেল প্রাইজ নাই! কেইন্স কইলেন, এইটা কোন কথা! একটা নোবেল-প্রাইজ বানায়া নিলেই হয়! একটা দেশের সরকার এতো কিছু বানাইতে পারে, একটা নোবেল প্রাইজ বানাইতে পারে না! যার এবসুলেট পাওয়ার আছে ফেরাউনের মতো, হিটলারের মতো, তাঁর কেনো নোবেল-প্রাইজ নাই!
গড ও ভগবানেরও মন-খারাপ হইলো। উনারা মনে মনে ভাবলেন, হয়তো এইটাই সাইন্স!
কেইন্স কইলেন, আচ্ছা, কি আর করা! আমিও তো পাই নাই কোন নোবেল-প্রাইজ!
জুলাই ৪, ২০২২
– নিন্দা ও ভক্তি –
নিন্দুকদেরকে আমি ভালোবাসি না, এভয়েডই করতে চাই। (ক্রিটিকদেরকে না।)
নিন্দুকের বেইজ হইতেছে, ডিস-রেসপেক্ট। যেমন ধরেন, কয়দিন আগে Sandy Danny’র (উনি হইতেছেন, Who knows where the time goes গানের সং-রাইটার ও ভোকাল, ওয়েস্টার্ন ফোক-রক জনরা’র সুন্দর একটা গান…) একটা গানের ইউটিউব ভিডিও’র কমেন্ট সেকশনে দেখতেছিলাম, একজন কমেন্ট করছেন, উনি তো ড্রাগ-এডিক্ট ছিলেন! বাচ্চারে পাশে বসায়া রাইখা ড্রাগ নিতেন! মানে, উনার গান ভালো-না, এইটা নিয়া কোন কথা না, উনি পারসোনালি তো ভালো-মানুশ ছিলেন না!
এইটা সত্যি-কথা কি মিছা-কথা, তার চাইতে ঘটনা হইতেছে, এইটা একটা নিন্দা। (ক্রিটিক না।)
এখন উনার ভক্তরা অইখানে বলার ট্রাই করতেছিলেন, উনি তো গান সুন্দর গাইছেন। আর অই সময়ের, অই জেনারেশনের ট্রেন্ড ছিল ড্রাগস নেয়া, এই-সেই। মানে, ব্যাপারটা আরো শ্যালো-ই হইতেছিল। নিন্দার কোন জবাব হয় না – তা না, কিন্তু এইটারে একটা পলিটিক্যাল ঘটনা হিসাবে না দেইখা ইন্টেলেকচুয়াল এনকাউন্টার করার জায়গা থিকা মোকাবেলা করতে গিয়া এইসব ফ্যালাসি তৈরি হইতে থাকে, বেশিরভাগ সময়।
নিন্দা করা যাবে-না না, বরং অনেক সময় পলিটিক্যালি জরুরি কাজ একটা। জালিমের নিন্দা করতে হবে আমাদেরকে। কিন্তু পলিটিক্যালি যেইটা জরুরি, সেইটা ইন্টেলেকচুয়ালি জরুরি ঘটনা না।
একইভাবে, ভক্তি-ভাব’টা যে খারাপ – তা না, কিন্তু এইরকম জায়গাতেও ডিসটেন্সটা বেটার। কারণ পারফর্মেন্সটাই আর্ট না। ভক্তি জিনিসটা অই জায়গাটাতেই অপারেট করে যে, সবসময় রেসপেক্টবল একটা পজিশন দিয়া/নিয়া থাকতে হবে।
একটা সময়ের নিন্দা অন্য সময়ে ভক্তিতে কনভার্ট হয়, ভক্তিও অনেক সময় নিন্দাতে ট্রান্সফর্মড হয়। এইসব কিছুও তো আছেই।…
মানে, আমি এই জায়গা থিকা দেখতেছি যে, যে কোন ইন্টেলেকচুয়াল রিলেশনেই একটা মিনিমাম ক্রিটিক্যাল স্পেইস যদি না থাকে, সেইটা সবসময় ইমোশনাল হ্যার্জাডই তৈরি করবে না, বরং এইরকম একটা জায়গাতেই ফিরা ফিরা যাইতে থাকার কথা আসলে। যেইটা মোস্টলি ইন্টেলেকচুয়ালিটির বাইরের ঘটনা।
এমনিতে, পারসোনাল রিলেশনের জায়গাতে এইগুলা ম্যাটার করে না। মানে, একইভাবে দেখাটা পসিবল না।
জুলাই ৫, ২০২২
বাংলাদেশি টিভি-পত্রিকার নিউজ আমি পড়ি না, দেখি না; এবং জিনিসটা খালি অ-দরকারিই না, বরং একজন মানুশের মেন্টাল-হেলথের জন্য নেগেটিভ-ঘটনা বইলাই মনে করি।
এখন না চাইলেও এইসব জিনিস তো দেখা লাগে, শোনা লাগে; লোকজন ফেসবুকে, হোয়াটস-অ্যাপ গ্রুপে শেয়ার দেয়, আশে-পাশের লোকজন দেখে, বলে। চাইলেও মিডিয়া-রিয়ালিটির বাইরে আমরা যাইতে পারি না। কিন্তু মিডিয়া-জম্বি হয়া উঠাটা চাইলেই ঠেকাইতে পারি।…
তো, এইরকম একটা ঘটনা হইলো, গতকালকে ডেইলিস্টার তাদের বিজনেস পেইজে হেডলাইন করছে যে, দেশের এক্সপোর্ট অলটাইম হাই পজিশনে আছে! আগে পাছায়-কারেন্টঅলা বাকশালি লোকজন এইগুলা শেয়ার দিতো, এইবার কমই দেখলাম।
এখন, এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট নিয়া কথা কইলেই তো ফার্স্টে মনে হবে, ওকে, ট্রেড-ডেফিসিটের তাইলে কি অবস্থা?
কিন্ত এই নিয়া কোন আলাপ নাই। আজকে ছোট একটা নিউজ করছে, ট্রেড-ডেফিসিটও অলটাইম হাই! 🙂 কিন্তু কেন হাই? ইমপোর্টের মেজর হেড কোনগুলা? রেমিটেন্সের কি অবস্থা? কোন আলাপ নাই…
একটা লজিকাল আলাপে আপনার ডেটা-সোর্স খুব ইম্পর্টেন্ট, ভুল ডেটা দিয়া, ইনকমপ্লিট ডেটা দিয়া রাইট-ডিসিশান আপনি নিতে পারবেন না।
তো, বাকশালিদের (বাকশালি-মিডিয়ারও) অন্যতম একটা স্ট্রাডেজি হইলো, ভুল এবং ইনকমপ্লিট ডেটা দেয়া।
ধরেন একটা একাডেমিক থিসিস ডেভোলাপ করতে গেলে ডেটা সোর্স হিসাবে ফেসবুকের কোন আলাপরে তো নরমালি কোট করতে পারেন না অথেনটিসির বেসিসে; একইরকমভাবে, বাংলাদেশের সরকারি-ডেটা এবং বাকশালি-মিডিয়ার এনালাইসিস’রে না নেয়াটা জরুরি।
মানে, রেফারেন্স হিসাবে আমার কাছে মোটামুটি ইনভ্যালিড। অন্যদেরকেও আমি সাবধান হইতে বলি।
***
নিও-লিবারালদের দিয়া হবে না! বাংলাদেশে এই বাকশালি-ফ্যাসিজমের শাসন (সো-কল্ড) লিবারালরাই নিয়া আসছে। এরশাদ-আমলে যারা ‘সিভিল সোসাইটি’ হয়া ছিল, তারা ডেমোক্রেসি চায় নাই, ‘শিক্ষিত-সমাজের’ [পড়েন, ব্রাহ্মণদের] শাসন চাইছে। যেই কারণে ১৯৯১-এ বিএনপি জিতার পরে “শকড” হইছে এবং ১৯৯৬ সালে সরকারি-আমলাদের লগে মিইলা, এবং ২০০৭ সালে মিলিটারির মদদে নয়া বাকশালের শুরুয়াত করছে। এই যে অবৈধ শাসন বাংলাদেশের মানুশের উপর চাপায়া দেয়া হইছে, এইটা বাংলাদেশি লিবারাল-ঘরানার লোকজনের হাউকাউয়েরই একটা আউটকাম।
পুরানা-দিনের ভালো-মানুশ, কুটনা কমিউনিস্টদের দিয়াও হবে না! কারণ এদের কোন পলিটিক্যাল পজিশনই নাই! এরা খালি ইউরোপিয়ান এনলাইটমেন্টেরই পূজারি না খালি, এরা দেশি ব্রাহ্মণবাদেরও অনুসারী। বাকশালের কালচারাল বেইজ বরং এরাই, এবং “আধুনিক” হওয়ার ভিতর দিয়া এরা নিও-লিবারালদেরও সহযোগী।
“ইসলামিস্টরা” যেহেতু এই ফ্রেমওয়ার্কের ভিতরে নাই, যার ফলে যারাই এই জুলুমের রিজিমের বাইরের লোক, তাদেরকে খুব সহজেই “ইসলামিস্ট” ট্যাগ লাগায়া দিয়া একটা “আদার” তৈরি করা হয়। কিন্তু “প্রকৃত” ইসলামিস্টরাও বাকশালি-রিজিমে নিজেদের স্টেইক/ভাগ’টা চান আসলে। (মানে, জেনারালাইজেশনই হইলো একটু। কিন্তু এইটা দরকার।) মানে, আমি বলতে চাইতেছি, আপনি ইসলামিস্ট বইলা ডেমোক্রেটিক এবং বাকশাল-বিরোধী না, বরং আপনি বাকশাল-বিরোধী কোন পজিশন নিলেই সেইটারে একভাবে “ইসলামিস্ট” পজিশন বানায়া দেয়া হয়। যেইরকম কলোনিয়াল-শাসনে যে কোন ন্যাশনালিস্ট পজিশনরে কমিউনিস্ট বানায়া দেয়া হইতো। সিমিলার টাইপের একটা পলিটিক্যাল প্রপাগান্ডার ঘটনা এইটা।…
তাইলে, এর কোন শেষ নাই? ভ্যাকুয়ামটা কি খালি আরো বড়-ই হইতে থাকবে?
এটলিস্ট আইডিওলজিক্যাল কোন চেইঞ্জ ছাড়া এই গর্দিশ থিকা আমরা বাইর হইতে পারবো – এই আশা আমি দেখি না। মানে, এইখানে অনেকেই ট্রাই করতেছেন, এবং সিরিয়াসলি চাইতেছেনও; কিন্তু এইটা আপনার-আমার চাওয়ার লগে এতোটা রিলেটেড জিনিস না আসলে। বরং একটা ইন্টেলেকচুয়াল সমস্যাই, যারে ট্রাডিশনাল পলিটিক্যাল বেইজগুলা দিয়া উতরাইতে পারার আশা কম।…
জুলাই ৭, ২০২২
ঢাকা শহরের রাস্তায় ৫-৭ বছর আগেও কিছু বাই-সাইকেল দেখা যাইতো; স্টাইল কইরা, মাথায় হেলমেট, হাতে গ্লাভস, চোখে সানগ্লাস নিয়া এফ্লুয়েন্ট-ক্লাস ভাইব নিয়াই যে লোকজন চালাইতো – তা না, পিছনের ক্যারিয়ারে আরেকজনরে বসায়া, হ্যান্ডেলে টিফিন ক্যারিয়ার নিয়া চালানো কিছু বাই-সাইকেলও দেখতাম। এখন আর দেখি না।
কিন্তু বাই-সাইকেলে তো তেমন স্পিড তোলা পসিবল না, একসিডেন্টও করতে পারে না ভায়োলেন্টলি, তার উপরে এনভায়রনমেন্ট-ফ্রেন্ডলি; তারপরেও চালানো যায় না কেন ঢাকার রাস্তায়? 🙂
আমার অবজারভেশন দুইটা। এক হইলো, রাস্তায় নন-মেকানাইজড ভেহিকেলরে খালি নাই কইরা দেয়া হয় নাই, বরং এইরকমের একটা এটিটুড/চিন্তা কাজ করে যে, বড় বড় রাস্তায় বড় বড় গাড়ি চলবে! হাঁটতে-থাকা মানুশ, বাইসাইকেল, রিকশা, ভ্যান হইতেছে রাস্তার ময়লা! পরিষ্কার কইরা ফেলতে হবে, বাতিল করতে হবে!
এইরকম কোন ডেটা মনেহয় নাই যে, ঢাকা শহরে যত একসিডেন্ট হয় তার কতো পারসেন্ট ভিক্টম হাঁটতে-থাকা লোকজন? আমার ধারণা, ৫০%-এর কম হওয়ার কথা না। মানে, হাঁটা-চলা হইতেছে ঢাকা শহরে সবচে রিস্কি ঘটনা!
এই এটিটুডটা হইতেছে মেইন ঝামেলা! রাস্তায় হাঁটার, বাই-সাইকেল, মোটর-সাইকেল চালানোর কোন লেন নাই। থাকলেও, বাস, প্রাইভেট কারগুলা অইগুলারে চাপাইতে চাপাইতে ফুটপাতের উপরে তুইলা দেয়। রাস্তায় এইরকম থার্ড-ক্লাস সিটিজেন হয়া থাকাটা স্ট্রেইসফুল একটা জিনিস। দিনের পর দিন নেয়া যায় না।
মোটর-সাইকেল এখনো টিইকা আছে, অই স্পিড এবং মেকানাইজড – এই বেসিসে। কিন্তু এই বেইজটাই ঝামেলার। মোটরে না চললে রাস্তায় আপনি/আপনার ভেহিকেল থাকতে পারবে না! ব্যাটারি রিকশাও অই জায়গা থিকাই আসছে।
সেকেন্ড হইতেছে, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট না-থাকার ঘটনাটা, পলিটিক্যাল ডিসিশান একটা। ইভেন ৪-৫টা প্রাইভেট কারের দাম দিয়া একটা ৫২-সিটের বাস কেনা পসিবল এবং প্রফিটেবল বিজনেসও করা যায়, কিন্তু আপনি রোড পারমিট পাইবেন না, বিজনেস করতে দেয়া হবে না। মানে, সমস্যাটা ইকনোমিক্যাল না, পলিটিক্যাল।
বাংলাদেশে যে কোন বিজনেসই পলিটিক্যাল এফিলিয়েশন ছাড়া, সরকারি-কানেকশন ছাড়া পসিবল না। পাবলিক ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম এইটার কোর একটা উদাহারণ।
মানে, আমি বলতে চাইতেছি, “মোটর-সাইকেলে একসিডেন্ট বেশি হয়” বা “আমারে মোটর-সাইকেল চালাইতে দিতে হবে” বা এইরকমের ইস্যুগুলারে কম্পার্টমেন্টাল ভাবে দেখার যেই তরিকাটা আছে অইটাই ঝামেলার একটা নজর। আর এইটা আমার থার্ড এবং কমন পয়েন্ট, মোটামুটি সবসময়ই।
জুলাই ১০, ২০২২
প্রতিবার ঈদের নামাজে এই ঘটনা’টা ঘটে। কয়েকজন মুসল্লি রাকাতের সময়টাতে ভুল করে। দুই হাত তুইলা তাকবির করার বদলে রুকুতে চইলা যায়। এই কারণে, নামাজ শুরুর আগে বারবার এই নিয়ম বইলা দেয়া হয়। তারপরও ভুলটা হয়। আমার ধারণা, বে-নামাজির চাইতে যারা নিয়মিত নামাজ পড়েন, তাদের এই ভুলটা বেশি হয়। না-জানার একটা ব্যাপার তো আছেই, তার চাইতে ডেইলি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার একটা অভ্যাস থিকা বাইর হওয়াটা বরং কঠিন।
তো, আজকের নামাজের ইমাম একটা ভালো টেকনিক ফলো করতেছিলেন। শুরুতেই পারমানেন্ট তাকবির বান্ধার সময় “আল্লাহু আকবর” আওয়াজটা একটু টাইনা বলতেছিলেন, আগের বারেরগুলা ছিল নরমাল লেংথের। তো, এই ইশারা ফলো করার ফলে রুকুতে ঝামেলা হয় নাই আর। 🙂
এমনিতে, এক বছর পরে পরে একটা কাজ করলে একটু ভুল-টুল হইতেই পারে, ব্যাপারটা আসলে নরমালই, অইরকম ভুল আসলে না।
***
আগের দিনে (‘৮০ বা ‘৯০ এর দশকের কথা কইতেছি) কুরবানি দেখছি বেশিরভাগ সময় ওপেন স্পেইসে, খোলা জায়গায়, মাদরাসার মাঠে বা এইরকম কোন খোলা জায়গাতেই হইতে। একটা জায়গাতে সবার গরু, মইষ, ছাগল নিয়া আসা হইতো। তখন শরিকের কুরবানিও বেশি ছিল।
পরে যখন একলা একটা গরু কুরবানি দেয়া শুরু হইলো, তখন যার যার বাড়ির সামনে, রাস্তায়, উঠানে, (এখন শহরে যেইটা গ্যারেজে) জবাই করা, অই সিস্টেম শুরু হইলো।
মানে, আমি বলতে চাইতেছি, খালি যে যার জায়গায় গরু কুরবানি দেয়া শুরু করছে – এইরকমই না, পাবলিক স্পেইসগুলাও নাই হইতে শুরু করছে। শহরে, একটা জায়গায় একটা এলাকার গরু কুরবানি দেয়া যাবে, এইরকম ব্যবস্থা কি আছে?
কুরবানি ব্যাপারটাও শো-অফের জিনিস হয়া উঠছে। পাবলিকলি গরু কুরবানি দেয়া আর শো-অফ করা দুইটা একই জিনিস না আর কি! এই জায়গাটা ব্লার হইতে হইতে এখন একদম নাই-ই হয়া গেছে আসলে।
ইন্ডিয়ার অবস্থা কি? অই দেশে কি পাবলিক স্পেইসে কুরবানি দেয়া যায় এখন?
Leave a Reply