নোটস: ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

০৪.০২.২০২৪

রোগ যত লুকায়া রাখা হয়, ডেমেজ তত বেশি হয়; এখনকার ইকনোমিক ক্রাইসিস ফলস-ডেটা দিয়া যত কাভার-আপ করার ট্রাই করা হবে, অবসথা তত খারাপ হবে আসলে

০৫.০২.২০২৪

আপনি পক্ষে আছেন না বিপক্ষে আছেন, সেইটা তেমন কোন ঘটনা না; বরং কোন ঘটনা নিয়া কিভাবে কনসার্নড হইতেছেন, ডিল করতেছেন, সেইটা ঠিক কইরা দেয় আপনার পজিশন’টা

ভাষা এমনিতেই বাঁকা, তারে আর বাঁকানোর দরকার নাই কবিতাতে, বরং নানান লেয়ার তৈরি করার নামে সিউডো-গভিরতা অনেক হইছে, cliche’র লেভেলও পার হয়া গেছে আসলে; ‘অনেক কথা বইলা কিছুই না-বলা’ জিনিসটা অনেকটা বাকশালি-নিউজগুলার মতো ‘মিনিংলেস’-ই না খালি, পলিটিকালি ill-motivated একটা ঘটনা; এমন একটা কালচারাল কারখানা, যা মানুশের কথা-বলার জায়গাগুলারে নিরবতার ভিতর ঠেইলা দেয়ার দিকে আগায়া দিত আগে, কিনতু এখন চুপ করায়া রাখতে চায় – এইরকম ইভিল জায়গাতে গিয়া রিচ করছে।

অনেক সময়, বাইরে থিকা মনে হইতে পারে, দুনিয়া মালটি-লেয়ারড, কিনতু ইন ইটস কোর এইখানে শাদা আর কালা’র জায়গাটা আছে, যেইখান থিকা কালারগুলা তৈরি হইতেছে; অইখানের পজিশনটা না নিতে পারাটা পলিটিকাল ইন-এবিলিটি না, পোয়েটিক ইন-জাসটিসের ঘটনা; অইটাতে না পৌঁছায়া কবিতা লেখা যায় না; মানে, এইখানে একজন কবি’র কথা-ই বলতে চাইতেছি আমি, ভাষা ও আইডিয়া নিয়া টেকনিকালি-স্কিলড কিছু লোকের কথা না…

এইখানে আমি টি.এস.এলিয়ট ভারসেস পাবলো নেরুদা’র ঘটনারে রেফার করতেছি না, যেইখানে ট্রেডিশন থিকা সরতে পারাটারে পিপল থিকা ডিটাচড হইতে পারা হিসাবে দেখা হইছিল, বা পিপলের সাথে এনগেইজমেনটের জায়গাটারে মবের কাছে সাবমিট করা হিসাবে দেখা হইছিল; অই ‘তর্ক’ পার হয়া আসছি আমরা; বা লোরকা যেই ‘দুয়েন্দে’র কথা কইতেছিলেন, সেইটা আর ম্যাজিক না কোন, একটা এসকেইপের জায়গা-ই; মানে, অই বেইজ থিকা কবিতারে দেখতে যায়-না না, অই দেখাটা অনেককিছুরে মিস কইরা যায়, যা আর রিলিভেনট রাখতে পারে না নিজেরে; কবিতারে জাসট একটা টুল বানায়া রাখে…

অই জায়গাগুলারে মার্ক না কইরা, দেইখাও না-দেখার ভান কইরা থাকতে পারাটা, একনোলেজ না-করাটা এভারেজ ভালো-কবিতা লেখা কনটিনিউ করতে থাকাটা ভাড়া-খাটা ইনটেলেকচুয়ালদেরই জাসট একটা একসটেনডেড উইং, এর বেশি কিছু না।

এই বইলা ‘সিরিয়াস-কবিতা’ বাদ দিয়া ‘পপুলার-কবিতা’ লেখতে থাকবো আমরা – এইটা জাসট একটা টিটকারি মাইরা কনফ্লিকটের জায়গাটারে এড়ায়া যাওয়ার ঘটনাই একটা; ডিসিশান দেয়া যেমন কবিতার কাজ না, একইভাবে একটা ইন-ডিসাইসিভ মুড’রে এনেবল করাটাই কবিতার ঘটনা না; ইন প্লেইন সাইট মনে হইতে পারে, এইগুলা জরুরি কোন জিনিস তো না-ই, বরং ফাঁপা কিছু আলাপ, কিনতু যেই জায়গাগুলারে আমরা খেয়াল করতে রাজি না, সেই জায়গাগুলা নাই না, বরং আমাদের না-খেয়াল করতে পারার বা চাওয়ার ঘটনাই…

কবিতা, এমনকি যে কোন কিছুই, যা আমরা জানি, সেইটা একটা না-জানার ঘটনা না, অনেক সময় জানার জায়গাগুলারে একরকম ঢাইকা রাখার ঘটনাও হয়া উঠতে পারে; মানে, জানা এবং না-জানা, দেখা এবং না-দেখার মধ্যে একটা পর্দা তো আছেই, কিনতু শব্দের কাজ কোনকিছুরে গোপন করা না, বা একটা বলার ভিতরে তারে ন্যারো কইরা তোলা না, রিভিল করার ঘটনা; এইটা পুরানা কথা, কিনতু তাই বইলা মিথ্যা না আর কি…

আমি বলতে চাইতেছি, কবিতা – যা আমরা আন-ডিফাইনড, ম্যাজিকাল কোন ঘটনা বইলা মনে করতে চাই, এর এগেনেসটে টেকনিকাল বা মেথডলজিকাল কোন জিনিস তো না-ই, বরং এই যে বাইনারি’ ভিতর তার আলাপটারে আটকাইতে চাওয়া, এমনকি মালটিপ্লিসিটি’র ভিতরে তারে ছড়ায়া দিতে চাওয়া, সেইটা কবিতার কোর এনগেইজমেনটের জায়গাটারে বেশিরভাগ সময়ে এড়ায়া যাওয়ার ঘটনাই হয়া উঠে কিনা, সেইটা খেয়াল করাটা যে কোন সময়ের চাইতে এখন জরুরি একটা ঘটনা…

যদিও এই কথাগুলা ইসপেসিফক না হইয়া একটা ওভারঅল ইসটেইটমেনট হইতে গিয়া, আরো ঝাপসা হইছে, আরেকটা ক্লিশে হওয়ার দিকেই রওনা হইছে, তারপরও বলতে-পারাটা, বলার ইচ্ছাটা নিরবতার চাইতে বেটার না হইলেও, অনেক হাউকাউয়ের ভিতরে হারায়া গেলেও, এই ট্রাই করাটা আমরা বাদ দিয়া দিতে পারি না; একটা জানা দিয়া যেমন কমপ্লিট হয়া থাকতে পারি না, একটা না-জানা দিয়া এমপটি হয়া থাকাও পসিবল না…আমরা জানি যে, আমরা জানি না; আর সেই না-জানাটারে আর্টিকুলেট করার ট্রাইটা কইরা যাইতে হবে

অনেক না-বলার জায়গাগুলার ভিতর দিয়া কোন একটা কিছু বলার জায়গাটাতে যাওয়ার দিকে যাইতে হবে আসলে; কবিতা একটা টুল না, শব্দের; মিনিংয়ের বাঁইকা যাওয়াটারে সোজা কইরা দেয়া না, ডেফিনিট কইরা তোলা না, বরং আমাদের কথাগুলা যেন তার মিনিংগুলারে হারায়া না ফেলে, সেই কোশিশ করতে থাকার ঘটনা, এই জায়গা থিকা দেখলে।

/কবিতা কোমপানি পাবলিক লিমিটেড

(২৪.০১.২০২৪ – ০৪.০২.২০২৪)

অনেক কথা তো বলা যায় না, আবার অনেক সময় অনেক কথা বলা’টা আসলে ঠিকও না; কিনতু ‘সত্যি-কথা’ বলতে গিয়া আমি নিজেরে কনট্রোল করতে পারি না, এবং অনেক সময় নিজের বিপদ ডাইকা নিয়া আসি; ফিজিকাল মাইর-ধর খাইতে হয় নাই কখনো বা অনলাইনে পাবলিক মলেসেটশনের সামনেও দুয়েকবারের বেশি পড়তে হয় নাই, সামান্যই বলা যায়; কিনতু আমার পারসোনাল রিলেশনশিপ সাফার করছে আসলে, অনেকের ইনটেলেকচুয়াল ভকতিও ধইরা রাখতে পারি নাই 🙁 … তো, আমার ‘সত্যি-কথা’ বলা আমি বনধ রাখতে পারি নাই, ফর দা টাইম বিইং বড়জোর চুপ কইরা থাকতে পারি

এইরকম একটা ঘটনা হইতেছে, জাহাঙ্গীরনগর ভারসিটি’র এনটি-রেইপ মুভমেনট; তখন আমতা আমতা কইরা বলার ট্রাই কইরা থাকতে পারি যে, এই মুভমেনট পের্টিয়ার্কি’রে যতটা দুশমন ভাবতে পারছে পলিটিকাল পাওয়ার’রে ততটা দুশমন ভাবতে পারে নাই; এমনকি কিছু অংশ তো পলিটিকাল পাওয়ারের কোলে উইঠা বইসা, ভালোবাইসাও ভালো কইরা ফেলা পসিবল বইলা মনে করতেন মনেহয়; তা নাইলে মুহাম্মদ জাফর ইকবালরে তারা তখন পছনদ করতে কিছুটা হেসিটেট করার কথা তখন…

মানে, আরো খোলাসা কইরা কইলে, রেপিসটদের এগেনেসটে কথা কইতে পারলেও, এই রেইপ করতে পারার পিছনে যেই পলিটিকাল পাওয়ার, তার নাম মুখে নেয়াটারে একটা ‘টেকনিকাল এরর’ বইলা এড়ায়া যাওয়ার একটা ঘটনা ঘটে; যেন অই পাওয়ারটা পেসিভ ঘটনা, এতোটা জরুরি না; যে, এইটা একটা পারসোনাল ও সাইকোলজিকাল সমস্যা, এডুকেশনকাল ও কালচারাল ঘটনাও অনেকটা; কিনতু এর যে পলিটিকাল এফিলিয়েশন, সেইটারে সেকেনডারি ঘটনাই বানায়া রাখা হয় আসলে। মানে, ছাত্রলিগ আর ছাত্রদল মোটামুটি একই ঘটনা 🙂 ছা্ত্র ইউনিয়ন, এমনকি ছাত্র শিবিরও ভালো এইদিক দিয়া; এই কারনে যে, তাদের মোরাল অনেক হাই, কিনতু তাদের যে পলিটিকাল পাওয়ার নাই – এই জায়গাটারে এড়ায়া-ই যাওয়া হয়; আর এমনিতেও পলিটিকাল দলের দালালি করার বাইরে বাংলাদেশের ইসটুডেনট অরগাাইজেশনগুলা তো একেকটা কালচারাল কাহানি-ই এক রকমের…

০৭.০২.২০২৪

নিন্দা ও ভক্তি

নিনদা ও ভকতি থিকা আমি দূরে থাকতে চাই এই কারনে না যে এইগুলা খারাপ-জিনিস, বরং সময় সময় তো অনেক বেশি দরকারি ঘটনা;

যেমন ধরেন, একটা খারাপ-ঘটনা, ২০২৪ সালের ডামি-ইলেকশন, এইটারে তো পাবলিকলি নিনদা করতে পারতে হবে আপনার; বা কারো কাছ থিকা কিছু জানতে চাইতেছেন, শিখতে চাইতেছেন, সেইখানে রেসপেকট তো লাগে-ই, কিছু পরিমান ভকতি না থাকলে লার্নিং’টা কঠিন; এইরকমের জায়গাগুলা আছে

কিনতু নিনদা ও ভকতি আসলে একটা ফিলিংসও, এবং যে কোন ফিলিংসের মতোই টেমপোরারি জিনিস; তবে অন্য সব ফিলিংস যেমন ফিরা ফিরা আসে, রিনিউড হয়, এমনকি অনেক সময় দুই-চাইরটা ফিলিংসই অনেকের একটা ‘ওয়ে অফ লাইফ’ হয়া উঠে, এইরকম নিনদা ও ভকতিও রিনিউড হয়, কানেকশনের টুল হয়া উঠে;

তো, আমি এইটার এগেনেইসটে না যে, নিনদা করা যাবে না বা ভকতি দেখানো যাবে না, বরং এইটা কোন না কোন আনডারস্ট্যানডিং বা বুঝ-এর জায়গা থিকাই যে তৈরি হইতে থাকে, অইটা খেয়াল করতে পারাটা দরকারি মনে করি

মানুশ অবশ্যই ইমোশনাল বিইং, কানেকট করার জন্য ইমোশন’টা দরকারি জিনিস, কিনতু আমি মনে করি যে কোন বোঝা-পড়া একটা আনডারস্ট্যানডিং বা বুঝ-এর জায়গা থিকা হইতে পারলে বেটার, অইটাও ফিকসড কিছু না, বদলাইতে পারে (বা পারাটা দরকার অনেক সময়), তারপরও মোর কনশাস একটা গ্রাউনড বইলা আমি মনে করি

মানে, পারসোনাল লেভেলে আমারে তো কেউ নিনদা করতে পারেন (আমার অনেক কাজ নিনদার যোগ্য) এবং আমার পাবলিক এক্টরেও নিনদা করতে পারেন, কিনতু আমার দিক থিকা এটাচমেনটের কিছু নাই

আর আমি নিজে জিবনে খুব বেশি মানুশরে ভকতি করতে পারি নাই, এই জন্য আমি এশেইমডই আসলে কিছুটা, যেই কারনে আমি লার্নিং প্রসেস খুব ধিরে কাজ করে, কিনতু একইসাথে ‘ঠকছি’ – এই ফিলিংসটারেও এনকাউনটার করতে হয় নাই খুব একটা; কিনতু ফিলিংস হিসাবে দরকারি-ই আসলে কিছুটা…

১৩.০২.২০২৪

হলমার্কের (কার্ড বেচে, নামও সেইটা, এইরকম) একটা দোকানে ঢুকলাম আজকে; জাসট আউট অফ কিউরিসিটি, যে কি বেচে অরা এখন? একটা সময় তো মাসট ছিল অদের দোকান, কোন সেলিব্রেশনের অকেশনে, কার্ড-টার্ড কেনা লাগতো, গিফটও… অই মেমোরি’র কারনেই কিউরিসিটি হইলো; দেখলাম এতোটা আপডেটেড না আর এখন… দেখলাম আমরাও কি কি গিফট কিনতাম, মেইনলি শো-পিসই, যেইগুলার কোন মনিটারি-ভ্যালু নাই, ডেইলি-লাইফে যেই জিনিসগুলার কোন ইউটিলিটি নাই, কিনতু দেখতে সুনদর, একটু ড্রিমি ড্রিমি, কিউট, এইরকম…

যেন এই ইনোসেনস-গুলাই ছিল ভ্যালুয়েবল, আসল…

কিনতু তা তো না আসলে; বেপারগুলা পুরাপুরি ভেইগ না হইলেও, এইরকম জোর কইরা ইনোসেনট থাকতে-চাওয়াটা একটা জেনারেশন-ট্রেইট হিসাবেও মেবি তৈরি হইছে একটা সময়, এইরকম মিনিংলেস থাকতে পারাটা… যার কোন সামাজিক-মূল্য নাই, কিনতু অনেক ‘অমূল্য জিনিস’, তোমার-আমার কাছে 🙂 – এই হলি-ক্রেপ, মানে ফাও ও আজাইরা জিনিসে ভরপুর ছিল আমাদের জেনারেশন (যাদের নিজের কথাটাও ইংলিশে কমন কোন কোটশেনে অন্য কারো বইলা দেয়া লাগতো, এবং অইটা ছিল একসেপশনাল একটা জিনিস)… অবশ্য ‘জেনারেশন’ বেপারটাই মনেহয় অনেকটা এইরকম…

১৫.০২.২০২৪

পায়রা ব্রিজ দিয়া ট্রাক যায় না, যায় অন্য রাসতা দিয়া, কারন লোড বেশি হইলে ‘ফাইন’ করে, খরচ বেশি হয়; তো, নিউজের এই হেডলাইন দেইখা মনে হইলো, সমস্যাটা আসলে ট্রাক-অলাদের, অরা ‘মুর্খ’, ‘অশিকখিত’, ‘নিয়ম মানে না’… মানে, আলু-মারানিরা যেমনে দেখে আর দেখাইতে চায় আর কি…

ঢাকা শহরেও এলিভেটেড একসপ্রেস দিয়া গেলে দেখবেন, পুরা ফাঁকা রাসতা, আর নিচে হাজার হাজার গরিব-দুখি ‘জনতা’ মুখ-বেজার কইরা বইসা আছে; তো, অরা রুটি খাইতে পায় না বইলা কেক কেন খায় না! 🙂

পদ্মা-বিরিজ নিয়া বলতেছিলাম আগে, যেই পরিমান টোল দেয়া লাগবে রাসতা ও বিরিজের, সেই টাকা টোল দিয়া তো কোন কারখানা চালানো টাফ হবে। মেট্রোরেলেও টিকিটের দাম বাড়াইলে বাসের পেসেনজার এফোরড করতে পারবে না;

মানে, মানুশ-জনের সুবিধার জন্য করা হইছে বলা হইলেও সেই মানুশ-জন আসলে আপার-মিডলক্লাস কমিউনিটি আসলে; এমনকি এইরকম যতোটা না দরকারি (দরকারি তো অবশ্যই) তার চাইতে (লুটপাটের কারনে) লাক্সারি ইনফ্রা-ইসট্রাকচার মানুশ-জনের ডেইলি-লাইফের খরচ বাড়ানোই হইতেছে

ট্রাকের ঘটনা’টাই ধরেন, ৫ টনের জায়গায় ১০ টন কেন টানে ট্রাকগুলা – খুশিতে, ঠেলায়, ঘুরতে? রাসতা-ঘাটে যেই পরিমান ‘চানদা’ দেয়া লাগে, (আগে যেইটা ছিল পুলিশ ও মাস্তানদের চানদাবাজি, সেইটা এখন হইতেছে টোল) ডিজেলের দাম যেমনে বাড়ছে, অইটারে মিনিমাইজ করার একটা ঘটনা হইতেছে ট্রাক ওভার-লোডিং, তো এইটা করতে করতে এখন এইটা একটা ‘নিয়ম’; ওভার-লোড ছাড়া ট্রাক পাইবেন-না না, এর জন্য ‘প্রিমিয়াম রেইট’ দেয়া লাগবে। বাংলাদেশে যে কোন ‘নরমাল সার্ভিস’-ই ‘প্রিমিয়াম রেইটে’ এভেইলেবল, পাইতে পারবেন…

বাংলাদেশের ইকনোমিক সিসটেম’টারে সবসময় ইকনোমিক ল’র বাইরে গিয়াই আমাদেরকে বুঝতে পারতে হবে। যেমন ধরেন, ব্যাংকগুলাতে ‘মালিক’রা আসল লাভ’টা করে প্রফিট ডিকলেয়ার কইরা না, বরং ‘খরচ’ বাড়ানোর ভিতর দিয়া, কারন খরচগুলা ডামি-কোমপানিগুলারে দেয়া হয়, যেইগুলা ‘মালিকদের’ পকেটে যায় (মানে, নিজেরা লোন নেয়া এবং নিজেদের লোকজনরে লোন দেয়ার বাইরেই); ‘বৈধ’ বা ‘লিগাল’ প্রফিট এইগুলা…

রোজা-রমজান আসতেছে বইলা জিনিস-পত্রের দাম বাড়তেছে না, দাম বাড়তেছে বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা ছাপায়া টাকার দাম কমাইতেছে বইলা (এবং দেশের পলিটিকস ও মারকেট একটা ডাকাতি-স্বভাব দিয়া অপারেট করে বইলা), অথচ দেখবেন একদল বলদ হাউকাউ করতে থাকবে – ‘রোজার মাস আসলে খাওয়া-দাওয়া বাইড়া যায়’; এইটা অদের না-বোঝা না, টিটকারি-প্লেজার থিকা বাইর না হইতে পারার ঘটনা আসলে

এই জায়গাগুলারে ‘খেয়াল’ করা হয় না – তা না, বরং ‘বাই বুক’ কথা কওয়ার তোতা-পাখির অভ্যাস অনেকে ছাড়তে পারেন না বইলা এইটা বেশি ঘটে বইলা আমি মনে করি

আর এইটা ঠিক থিওরেটিকাল-ট্রুথ ‘সত্যি’ বইলা ধইরা নেয়ার ঘটনা না খালি, ‘সত্যি’ জিনিসটারে অ-দরকারি ও নন-ভিজিবল রাখার ঘটনাই মোসটলি, যেই কাজটা করে বাকশালি-মিডিয়া এবং (একই প্রিমাইজে থাইকা) তাদের ‘গঠনমূলক’ 🙂 ও ‘অতি-বিপ্লবি’ সমালোচনাকারি’রা

রোজা-রমজান আসতেছে বইলা জিনিস-পত্রের দাম বাড়তেছে না, দাম বাড়তেছে বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা ছাপায়া টাকার দাম কমাইতেছে বইলা (এবং দেশের পলিটিকস ও মারকেট একটা ডাকাতি-স্বভাব দিয়া অপারেট করে বইলা), অথচ দেখবেন একদল বলদ হাউকাউ করতে থাকবে – ‘রোজার মাস আসলে খাওয়া-দাওয়া বাইড়া যায়’; এইটা অদের না-বোঝা না, টিটকারি-প্লেজার থিকা বাইর না হইতে পারার ঘটনা আসলে

১৬.০২.২০২৪

তখন রিফাত চৌধুরি’র সাথে ‘ছাঁট কাগজের মলাট’ ছাপাই আমরা; মানে শশী হক, আকরাম খানের সাথে আমিও আছি; যেহেতু আমার ভার্সিটির হল থিকা কাছে, বেশিরভাগ সময় বাবুপুরা বস্তিতে থাকি রিফাত ভাইয়ের সাথে; নানান ধরনের লোকজন আসে উনার কাছে সারাদিন, দেখতে দেখতে দিন পার হয়া যায়…

তো, দুইটা বা তিনটা সংখ্যা ছাপানো হইছিল তখন, অই সময়ে; শেষবার যেইটা ছাপা হইলো, সেইটাতে একটা ফর্মা উলট-পালট হয়া গেলো, রিফাত ভাইয়ের কিছু কবিতা আমার নামে চইলা আসলো, আমার কিছু কবিতা রিফাত ভাইয়ের নামের নিচে চইলা গেলো!

আমার খুবই খারাপ লাগলো বেপারটা নিয়া, এইটা তো বাজে-ঘটনা হইলো একটা; রিফাত ভাই সরি-টরি বললেন, প্রেসে ঝামেলা হয়া গেছিল, এইরকম কইলেন… আমার দুকখের কথা আহমেদ মুজিব’রে কইলাম, উনি শুইনা মিটিমিটি হাসলেন, বললেন আপনি কি মনে করেন ভুল করে হইছে এইটা? 🙂 এইটুকই, খারাপ-ভালো আর কিছু বলেন নাই, কিনতু অইটুকেই শান্তি পাইছিলাম কিছুটা।

আরো কয়েকজনরে কইছিলাম এই দুকখের কথা; অন্যরা পাত্তা-ই দেয় নাই, আরে, রিফাত চৌধুরি’র কবিতা তোর নামে ছাপা হইছে, তোর তো খুশি হওয়ার কথা! অই বলদ’দেরকে তখনো কিছু বুঝানো টাফ ছিল, এখন বুঝানোর কথা আসলে ভাবিও না…

তো, সুরিয়ালিজমের এই মেনিফেসটো’টা মাহীন হক’রে দিয়া বাছবিচার বুকস থিকা আমরা ট্রানসলেট করাইছিলাম, বই হিসাবে ছাপাইছি আরো ৫-৭ মাস আগে, একটা ছোটখাট মজমাও বসাইতে পারছিলাম, কিনতু আজকে দেখি এই বই আরেক পাবলিশারের নামে নিউজ হইছে।

তো, আমাদের মেবি খুশি হওয়ার কথা 🙂 ভুল হইলেও নিউজপেপারে যে আমাদের বইয়ের নাম ও ছবি আসছে… মানে, এইরকম ‘সাত্বনা’ দেয়ার মতো বলদ এখনো কমে নাই, আরো বাড়ছেই আসলে। এমনকি কিছু পরিমান বলদামি না করতে পারলে বাংলাদেশে ‘সাংবাদিকতা’ করা-ই এখন কঠিন মেবি…

এমনিতে এইসব বুলশিট দেখা বাদ দিছি আমি আরো অনেকদিন আগেই, মাহীন হক ছবিটা পাঠাইছেন বইলা দেখা লাগলো।

১৮.০২.২০২৪

ক্রিটিক বা রিভিউ কেন দরকারি?

সমাজে যখন কোন বিচার থাকে না, তখন মিথ ও প্রপাগানডা দিয়া চিনতা ও বিচারের জায়গাটা ভরাট হইতে থাকে; বাংলাদেশে দেখবেন একজন রাইটারের সাহিত্যিক-পরিচয়, পারসোনাল-যোগাযোগ, বা পাবলিশিং হাউজ বা পত্রিকা অফিসের ইসটেনডার্ড হইতেছে ‘ভালো-লেখা’র উদাহারন; এবং এর এগেনেইসটে কম-পরিচিত ও ‘নতুন-লেখক’রা হইতেছেন ‘অবহেলিত’-টাইপ 🙂

আর এই দুইটার মাইনকা চিপায় টেকসটের রিডিং হারায়া যায় না, বরং লুকায়া ফেলা হয় আসলে;

এই জায়গাটাতে বুক-ক্রিটিক বা বুক-রিভিউ’র একটা কাজ হইতেছে একটা ‘বিচার’ হাজির করতে পারা, যে কোন জায়গা থিকা লেখাটারে পড়া যাইতে পারে, লেখাটারে বড় কইরা তোলা বা ছোট দেখানোর চাইতে কোন একটা পারসপেকটিভরে রিলিভেনট করতে পারাটা, আর এইটা করতে গিয়া আইডিয়ার জায়গাগুলারে কোশচেন করাটা খালি ‘সাহিত্য-সমালোচনা’ হয়াই থাকে না, চিনতার জায়গাটাতেও অপারেট করে আসলে যে, আর্ট বা সাহিত্য জিনিসটারে কেমনে দেখবো আমরা?

ফরচুনেটলি বা আন-ফরচুনেটলি এইটা খালি ‘সাহিত্য-চিনতা’ না, বরং ‘সমাজ-চিনতা’র জায়গাটাতেও কনট্রিবিউট করে, আমাদের দেখা-দেখির নজর’টারে তৈরি করতে থাকে… (বাংলাদেশে মুশকিল হইতেছে এই দেখাদেখি’র নজরটা তৈরি-ই হয় নাই আসলে, যে কেমনে বাংলাদেশের আর্ট-কালচার’রে রিড করবো আমরা?)

এখন এই ‘দেখাদেখির নজর’টা’রে একজন রাইটার ‘মান্য’ করেন না, বরং জায়গাটারে তারে এনকাউনটার করতে পারতে হয়; নুতন নজর যেমন খালি আর্টের বা সাহিত্যের বিচার দিয়া হয় না, একইভাবে আর্ট একলা এই কাজটা করতে পারে না, একটা আর্টরে কেমনে দেখা হইতেছে, একটা সাহিত্যরে কেমনে পড়া হইতেছে, সেইটা এর ইনট্রিগ্রাল একটা পার্ট; অই কনটেকসটারে একজন রাইটার’রে মোকাবেলা করা লাগে, একভাবে

রিডারও কোন ‘প্লেজারের’ জন্য বা ‘সিরিয়ানেস’ দেখানোর জন্য পড়েন না – তা না, কিনতু কোন একটা জায়গা থিকা তো তারে পড়তে পারতে হয়, সেইটা কোন একটা ‘শূন্যস্থান’ থিকা ঘটে না… মানে, রিডারের যে একটা ‘রুচি’ আছে, সেইটা ভালো হোক আর খারাপ, সেইটা তো তৈরি হয়, কোন না কোনভাবে; সেইটা খালি মিডিয়া ও পলিটিকাল পাওয়ার দিয়া হয় না, বা সেই পাওয়ারের পিছনেও একটা কিছু লাগে, যেইটা দিয়া সেই পাওয়ার’রে জাসটিফাই করা লাগে… মানে, ‘পাওয়ার-ফুল’ লোক/লোকজনের ‘প্রশংসা’, ‘নিন্দা’ ও ‘নিরবতা’ দিয়াই অই ‘রুচি’গুলা তৈরি হয়, যেইটা ‘রিভিউ’রই একটা ঘটনা…

আমি বলতে চাইতেছি, গোপনে-বলা ও পাবলিক-নিরবতা চাইতে দুই-চাইর কথা বলাটা বেটার… এমনকি ভুল-কথা হইলেও ভালো সেইটা, একভাবে

একুশে ফেব্রুয়ারির আলাপে এই ছবি’টা তেমন কোথাও দেখবেন না

এইটা ১৯৫৩ সালের ছবি, ২১ শে ফেব্রুয়ারি’র; মিছিলের পরে শহীদদের আত্মার মাগফেরাতের জন্য মোনাজাত করা হইতেছে

মানে, যেই সোর্স (উইকিপিডিয়া) থিকা নেয়া হইছে ছবিটা, সেইখানে এইরকমই বলা আছে…

#একুশেফেব্রুয়ারি

২২.০২.২০২৪

– শিকখিত ভুল –

এই ভুল’টা এটলিসট ৫-৭টা জায়গায় দেখছি গত দুই-তিনদিনে; আবদুল লতিফের যে “ওরা আমার মুখের কথা কাইড়া নিতে চায়” যে গান’টা, সেইটারে লেখা হইতেছে “ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়”; মানে, ‘কথা’রে ‘ভাষা’ দিয়া রিপলেইস করা হইতেছে; এমনকি আমার ধারনা, বেশিরভাগ লোকজন ‘ভাষা’রেই ‘সটিক’ 🙂 বইলা জানেন

মানে, ‘ভাষা’ মোর ঠিকঠাক বা এপ্রোপিয়েট না! কারন অইটা তো ‘ভাষা আনদোলনের গান’! তো, ‘ভাষা’ না বইলা ‘কথা’ বলবে ক্যান! আবদুল লতিফের ‘ভুল’টারে যেন আমরা ‘ঠিক’ কইরা দিলাম!

তো, ‘শিকখিত’ বলদগুলা এইরকম গরিবের কথা’রে ‘ঠিক’ কইরা দেয় (মেবি সাব-কনশাসলিই) এবং মোসট ইমপরটেনটলি এইরকম ‘অশিকখিত’ ‘কুসংসকরাচছনন’ ‘ছোটলোকদের’ ভাষার ‘ভুলগুলা’ যদি আপনি ঠিক না কইরা দেন, শিকখিত হয়া কি লাভ বলেন! 🙂

#বানামভুল

যুবা’র (Zuba Rahman) কথার পরে (আমার প্রোফাইলে আগের পোসটে) মনে হইলো, কবিতা লেইখা যত দুশমনি আমি পাইতে পারছি, অন্য কোন কাজ কইরা এইটা পারি নাই আমি; মানে, এইটা অবশ্যই কোন এচিভমেনট না…

কিনতু চিনি না, জানি না, জীবনে কোনদিন সামনা-সামনি কথা হয় নাই, এমনকি ফেইসবুকেও কোনদিন ‘তর্ক’ করি নাই, এইরকম অনেক লোক দেখি আমারে হেইট করেন, নানান জায়গাতে তাদের হেইট্রেট জানান দেন! শুইনা আমি অবাক-ই হইছি।

মানে, উনাদেরকে তো চিনি-ই না আমি; উনারা, সেইসব কবি-সাহিত্যিকরা কেন আমারে ‘দুশমন’ ভাবার মতো ‘গুরুত্ব’ দিবেন? উনাদের কোন জায়গাতে আমি ‘আঘাত’ দিছি?

আমার একটা ধারনা হইতেছে, বাংলা-ভাষায় ‘সিরিয়াস’ ধরনের কবিতা লেখার জায়গাটারে আমি কিছুটা হইলেও ‘হাস্যকর’ বানায়া ফেলতে পারছি (পাগলের সুখ মনে মনে…)

এখন বেপারটা এইরকম না যে, আমার একটা ‘কাব্য-ভাষা’ (খুবই আজাইরা এবং তেল-মারা টার্ম এইটা) আছে, বরং বাংলা-ভাষা এবং বাংলা-কবিতা কি রকম হইতে পারে – সেই বিষয়ে কিছু সাজেশন আমার কবিতা-তে মেবি আছে; এখন এইগুলা ভালো-কবিতা, এভারেজ-কবিতা বা কবিতা-হয়-নাই – এইরকমের কেটাগরির বাইরে-ই এইটা আছে আর কি…

এর বাইরে বাংলাদেশের কবি-রাজ’দের লগে কিছু ‘ঝামেলা’ তো আমার আছেই, এইটা এক রকমের ইন-এভিটেবল বা হইতো-ই আসলে; সেইটা যতটা না পারসোনাল কোন ঘটনা তার চাইতে কবিতা-লেখার জায়গাটা থিকা-ই তৈরি হইছে বইলা আমি মনে করি

তাই বইলা, আমার কবিতার কোন এডমেয়ারার নাই – এইটাও সত্যি কথা না, তবে পাবলিকলি আমার কবিতা নিয়া ‘প্রশংসা’ করাটা বাংলাদেশের কবি-সাহিত্যিকদের ক্যারিয়ারের জন্য ‘ক্ষতিকর’ হইতে পারে বইলা আমি ধারনা করি;

তো, হেইট্রেট ও ইগনোরেনসের বাইরে যেই পরিমান রিডার এবং এপ্রিশিয়েশন আমি পাইছি, সেইটা এনাফ মনে হয় আমার কাছে; এর বেশি হইলে বিপদ-ই হবে আসলে! কবিতা লেখার মতো সময় নিজেরে দিতে পারছি, বই ছাপানো গেছে, কিছু মানুশ পড়ছেনও – এইটুক কোনভাবে কম না; আই ফিল লাকি!

ও, যেই বইটা নিয়া এতো কথা বলা, সেইটার ছবি দিতেছি; বাংলাদেশে এতো দামি (দামের দিক দিয়া অবশ্যই) কবিতার বই খুব কম-ই ছাপা হইছে; কম-দামি জিনিস হইতে হইতে কবিতারও হাঁপায়া উঠার কথার কথা কিছুটা মেবি…

আজকে কথায় কথায় বলতেছিলাম, বাংলাদেশে ‘বামপন্থী’ এবং ‘প্রো-ইনডিয়ান’ না – এইরকম একটা লোকও পাইবেন না! ‘বামপন্থী’ বাই ডিফলট একটা ‘প্রো-ইনডিয়ান’ পজিশন!

কথা উঠছিল, তেল-গ্যাসের আনদোলনের সময় বিএনপি যখন সার্পোট দিল, তখন যে আনু মুহাম্মদ সেইটারে রিফিউজ করলেন, এই ডরে যে, তাইলে তো ‘অ-সাম্প্রদায়িক’ থাকতে পারবেন না… মানে, এইগুলা যে ‘প্রো-ইনডিযান’ প্রপাগানডা, এইগুলা কিছুটা টের পাই আমরা

একইভাবে, বাংলাদেশে ‘বামপন্থী’ হওয়া মানে যে ‘প্রো-ইনডিয়ান’ হওয়া – এইটাও ফিল করতে পারার কথা অনেকেরই

২৩.০২.২০২৪

ইনডিয়া’তে নেহেরু এবং কংগ্রেস যেই ভুল করছিল, জিন্নাহও একই জিনিস চাইছিলেন পাকিসতানে, ভাষার বেপারে;

উনারা একটা সেনট্রাল-স্টেট তৈরি করার দিকেই যাইতে চাইছিলেন, মোটামুটি ‘সর্বশকতি’ দিয়া, যেইখানে একটা সেনট্রাল-ভাষা ছাড়া গভরমেনট চালানো পসিবল না; তো, এই সেনট্রাল-পাওয়ারের জায়গাটা খালি পেরিফেরির দিকে জুলুমবাজির ঘটনাই না, এমন একটা লিনিযারিটির কনটিনিউশন করা, এমনকি আরো টাইটলি ফলো করা, যেইটা রিজিওনাল জায়গাগুলারে আরো ডিপেনডেড কইরা তোলার ঘটনা ছিল; যেইটা ইনডিয়াতে মাদ্রাজের লোকজন মাইনা নেয় নাই, তামিল’রা এখনো মানে না; পশচিম বঙগের লোকজন তখন হাউ-কাউ না করলেও এর পরে টের পাইতেছে যে ‘হিন্দু’ হয়াও লাভ নাই কোন, সেনট্রাল ল্যাঙুয়েজরে আপনাইতে না পারলে… এর যে ইকনোমিক ইমপেকট, সেইটা ঢাকা ভারসিটির ইসটুডেনটরা তখনই টের পাইছিল, যার আউটকাম হইতেছে ২১শে ফেব্রুয়ারি…

তো, এইটা যে পাকিসতানে-ই হইছিল – তা না, ইনডিয়াতেও কথা ছিল ২৫ বছর পরে ডিসিশান হবে, তার আগে রিজিওনাল-ভাষাগুলাও স্টেট-ল্যাঙুয়েজ হিসাবে থাকবে, এখনো তা-ই আছে…

আমি যেইটা দেখি, এই যে একটা রাষ্ট্র-ভাষা হইতে হবে – এইটা একটা সেনট্রাল-গভরমেনটের চিনতা থিকাই আসছে, জিন্নাহ তো এই কথাও কইছিলেন যে, তা নাইলে পাকিসতান’রে এক রাখা যাবে না; কিনতু কখনোই একটা কনফেডারেশনাল স্টেটসের পসিবিলিটির কথা ভাবতে পারেন নাই; এবং এখনো আমি মনে করি ‘ভারতীয়-আধিপত্যবাদ’ বা ‘হিন্দুত্ববাদী-রাজনীতি’ শুধুমাত্র অনেকগুলা কনফেডারেনাল স্টেটসের ভিতর দিয়া মোকাবেলা করা পসিবল

আর সেইখানে সেনট্রাল রাষ্ট্র-ভাষা যেইরকম সমস্যার, সেইখানে ‘ভাষাভিত্তিক-জাতীয়তাবাদ’ তার সলিউশন না, বরং তার একটা সাবসটিটিউ হিসাবেই কাজ করে এক রকমের…

(একুশে ফেব্রুয়ারি নিয়া মোটামুটি ৫-৭ টা লেখা হইলো, এইটা-সহ বাকিগুলা গুছায়া আরেকটু এলাবরেট করবো, দেখি…)

২৮.০২.২০২৪

যতই ইংলিশে লেখুক, ব্রিটিশ রাইটাররা কি আম্রিকান নভেল লেখতে পারবে, কানাডিয়ান বা অস্ট্রেলিয়ান? স্পেনের রাইটাররা কি পারবে লাতিন-আম্রিকার লোকজনের কথা লেখতে? মানে, পারবে তো অবশ্যই, কিনতু সেইটা তো ব্রিটিশ উপন্যাসই হবে বা স্পেনিশ… অইখানের সমাজ বা মানুশ-জনরে বাইরে থিকাই দেখা হবে

একইভাবে ইনডিয়ান বাংলার রাইটাররা বাংলাদেশের কথা তো লেখতে পারবে না, এখন সেইটা ভালো হোক আর খারাপ… মানে, উনারা তো উনাদের রাষ্ট্র, সমাজ নিয়াই কনসার্নড হইবেন, আর এইটাই নরমাল। এখন বাংলাদেশের রাইটাররাও ভালো লেখেন বা খারাপ লেখেন, উনারা এই দেশের, সমাজের যে কথা লেখতে পারবেন, সেইটা অন্য কোন বিদেশি (ইনডিয়ান, পাকিসতানি…) কোন রাইটারের পক্ষে পসিবল হবে না আসলে।

তো, এই জিনিসটা যত তাড়াতাড়ি আমরা বুঝতে পারবো, ততটাই ভালো মনেহয়; এমনকি আমি মনে করি, বুঝতে পারতেছে বইলাই অনেকের মায়া-কান্দন শুরু হইছে আর কি…

২৯.০২.২০২৪

১. দলীয় বুদ্ধিজীবী

৭-৮ দিন আগে একজন আমারে জিগাইতেছিলেন, বিএনপি’র লোকজনের সাথে কি আমার কোন যোগাযোগ নাই (বা মিন করতে চাইতেছিলেন, যেহেতু আমারে পছন্দ করেন উনি যে, বিএনপির’র লোকজন কেন আমার লগে যোগাযোগ করে না)? আমি কইলাম, সেইটা তো নাই-ই, বরং এখনকার সময়ে যারা নতুন কইরা ‘বিএনপি’র বুদ্ধিজীবী’ হইছেন, তাদের লগে কিছুটা ডিসটেনটস-ই আছে, এবং বিএনপি’র যে এইরকম দলীয়-বুদ্ধিজীবী ছিল না এতোদিন এইটা আসলে পজিটিভ ঘটনাই ছিল; কারন খেয়াল কইরা দেখবেন, বিএনপি-আমলে এটলিসট ‘বুদ্ধিজীবীদের’ তেমন কোন সমস্যা হইতো না, বিএনপি না কইরাই আর্ট-কালচার করা যাইতো, কিনতু আওমি/বাকশাল আমলে বাম-বাকশালি গুন্ডামি খালি বাইড়া যায় না, মিনিমাম কথা-বার্তা বলাটাও যে টাফ হয়া উঠে, এইটা ‘দলীয় বুদ্ধিজীবীদের’ কনট্রিবিউশন আসলে। তো, এইরকম ‘দলীয় বুদ্ধিজীবীরা’ দেশের আর্ট-কালচারের জন্য বাজে তো অবশ্যই কোন পলিটিকাল দলের জন্যও তেমন ভালো কিছু না। কারন উনারা পাবলিকের লগে পলিটিকাল দলের একটা কানেকশন তৈরি করার কাজটা করেন না, বরং অই স্পেইসটারে অকুপাই করার ভিতর দিয়া একটা বেরিকেড-ই তৈরি করেন আসলে। (পলিটিকাল দলের ইনটেলেকচুয়াল উইংয়ের লগে এইটারে না মিলায়া ফেলা’টা বেটার।) যার ফলে অই ‘দলীয় বুদ্ধিজীবীদের’ নানান রকমের বেনিফিট দিয়া তাদের ‘সার্পোট’ এনশিওর করতে হয়; আর উনারাও কি বেগার খাটবেন নাকি, বলেন! দল ক্ষমতায় আসলে কিছু বেনিফিট কি উনাদের পাওনা হয় না? – এইরকম মোরাল 🙂 জায়গাও থাকে আর কি… মানে, আমি বলতে চাইতেছি, ইনটেলেকচুয়াল বলতে আসলে পাবলিক-ইনটেলেকচুয়ালই, ‘দলীয় বুদ্ধিজীবী’ জিনিসটা পলিটিকাল পার্টি এবং পাবলিক দুই দিক দিয়াই প্রবলেমেটিক জিনিস এবং অবসটেকল…

তারপরও ১৯৯১’র পর থিকা বিএনপি, আওমি-লিগের অনেককিছু কপি করা শুরু করছে, এবং বিএনপি যতটুক আওমি-লিগ হইতে পারছে ততটুকই খারাপ হইছে আসলে, এবং এর মধ্যে কিছু ‘দলীয় বুদ্ধিজীবী’ তৈরি করা একটা ঘটনা; এখন তো একটা পলিটিকাল নর্মেই পরিনত হইছে যে, দলের মধ্যে কিছু ‘বুদ্ধিজীবী’ থাকা লাগবে যারা (দলের মধ্যে কোন পোসট-পজিশনে থাকবেন না, কিনতু) পাবলিকলি দলের ফেভারে কথা-বার্তা বলবেন, এবং ‘গোপনে’ কিছু শলা-পরামর্শ দিবেন… তো, এইটা পুরানা ‘বামপন্থী’ হওয়ার লেফট-ওভার বা বাসি ঘটনাই মনে হয় আমার কাছে

তো, এই ‘সফট-পাওয়ার’ বা ‘দলীয় বুদ্ধিজীবী’ না-থাকাটা যতটা ভালো-জিনিস ছিল বিএনপি’র জন্য এখন আর সেইটা নাই; উনারাও একটা গ্রুপ অফ বুদ্ধিজীবী পালেন, যারা পাবলিক এনকাউনটার দেয় বা দিতে পারবে বইলা মনে করেন, (যেইটা পারেন না আসলে এতোটা এখনো, আর ফিউচারের কথা কে বলতে পারে!…) আর এই সার্ভিস’টা রিকোয়ার্ডও এখন অনেকটা, কিনতু এইটা পাবলিক ইনটেলেকচুয়ালের কাজ না আর কি…

২. পাবলিক ইনটেলেকচুয়াল ও পলিটিকাল পার্টি

তার মানে এই না যে, পাবলিক ইনটেলেকচুয়াল’রা পলিটিকাল দল নিয়া কথা কইবেন না, বা পলিটিকাল দলগুলা পাবলিক ইনটেলেকচুয়ালদেরকে ডাকবেন না; এইখানে একটা ইসপেইস থাকাটা অনেকটা জরুরি বইলাই আমি মনে করি। ‘দলীয় বুদ্ধিজীবী’ না হয়াও অনেকে বিএনপি’র ‘পক্ষে’ কথা বলছেন, যেমন নুরুল কবিরের অনেক কথা-ই আছে; আবার ‘আওমি/বাকশালি’ বুদ্ধিজীবী না হয়াও অনেকে বিএনপি’র ‘বিপক্ষে’ কথা বলেন বা বলছেন, যেমন, আনু মুহাম্মদ; তো, এইগুলা আছে…

সময়ে সময়ে পলিটিকাল এনালাইসিস যখন করছি, বিএনপি’র কথা আমিও বলছি, ইসপেশালি জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়ার কথা; আমি মনে করি বাংলাদেশে বেহুদা-বিপ্লবের বিপরীতে মিনিমাম কনসটিটিউশনাল ডেমোক্রেসি’র যেই ইসপেইস’টা তৈরি হইছে, সেইখানে উনাদের লিডারশিপের এবং পলিটিকাল পার্টি হিসাবে বিএনপি’র কনট্রিবিউশন আছে; (যেইটারে এতোদিন ‘আম্রিকানাইজেশন’ হিসাবে ভুল-ভাবে পোর্টেট করা হইতো এতোদিন,) এবং এই জায়গাটারে বাংলাদেশের যে কোন পাবলিক ইনটেলেকচুয়ালেরই রিকগনাইজ করতে পারলে ভালো।

মানে, ইনটেলেকচুয়াল হইতে হইলে কোন না কোন পলিটিকাল পার্টির “দলীয় বুদ্ধিজীবী” হইতে হবে – এইটা থিকা বাইর হইতে পারাটা যেমন দরকার একইসাথে বাংলাদেশের পাবলিক ইনটেলেকচুয়াল হিসাবে মিনিমাম কিছু বিচারের জায়গাতে যাইতে পারাটাও জরুরি। আন-ফরচুনেটলি এই জায়গাগুলা তৈরি হইতে পারে নাই বাংলাদেশে।

হয় আপনি আওমি-লিগের বুদ্ধিজীবী নাইলে বিএনপি’র বুদ্ধিজীবী – এই পারসেপশনের বেইজটা পাবলিক ইনটেলেকচুয়ালের কথা-বলার জায়গাটারে ন্যারো-ই কইরা রাখে আসলে। একইভাবে, পাবলিক ইনটেলেকচুয়ালদের কথাগুলারে পলিটিকাল পার্টিগুলা কনসিডার করবেন অবশ্যই, কিনতু আমলে নিয়া সেইটাই পালন করবেন – এইটা বেশিরভাগ সময়েই ঝামেলার ঘটনা বইলা আমি মনে করি।

৩. বিএনপি’র কি করা দরকার?

এই জায়গা থিকা পলিটিকাল পার্টি হিসাবে বিএনপি’রে কয়েকটা কথা বলার আছে আমার। আমি মনে করি বিএনপি যে কোন ‘বিপ্লব’ করে নাই এবং কনসটিটিউশনাল ডেমোক্রেসির লাইনে থাকতে চাইতেছে – এইটা বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য পজিটিভ ঘটনা। উনাদের প্রতি আমার তিনটা সাজেশন আছে –

১. ডেমোক্রেসির উদাহারন তৈরি করা। যত যা-ই বলেন, কথা দিয়া রাজনীতি হয় না, গোপন ষড়যন্ত্রও রাজনীতি না; পলিটিকস হইতেছে পাবলিক এক্টের ঘটনা। মানে, সরকার-বিরোধী মিছিল-মিটিং করা-ই একমাত্র পলিটিকাল এক্ট না আর কি। বিএনপি যেই ডেমোক্রেসি তৈরি করতে চায়, সেইটার ভিজিবল কিছু উদাহারন তৈরি করা লাগবে আসলে। যেমন ধরেন, প্রাইমারি মেম্বারদের মধ্যে ভোট দিয়া গেরাম-ওয়ার্ড কমিটি > ইউনিয়ন-থানা-উপজেলা কমিটি > জেলা কমিটি > “জাতীয় কাউন্সিল”র ভোটাভুটি’র ভিতর দিয়া ইলেকশন জিনিস’টা কেমন – সেইটার উদাহারন তৈরি করাটা, পাবলিক পারসেপশনে যেই “আওমি-লিগ আর বিএনপি একই”-ধারনা আছে, সেইটা বদলাইতে খালি হেল্প করবে না, একটা পার্টি ডেমোক্রেসিরেও এসটাবলিশ করতে হেল্প করবে আসলে। মানে, ডেমোক্রেসি জিনিস’টা কি রকম, সেইটার কথা না বইলা উদাহারন তৈরি করতে পারাটা দরকার আসলে…

২. প্যারালাল সাজেশন রাখা। সরকারি প্রতিটা ডিসিশানের বিরোধিতা করা লাগবে – বেপারটা এইরকম না, বরং দেশে কোন ডেমোক্রেটিক শাসন না থাকার কারন অবৈধ-সরকাররে কিভাবে রাইট-ডিসিশানের বদলে পপুলার-ডিসিশান নিতে হয় – কনটিনিউয়াসলি সেই সাজেশনগুলারে রাখতে পারাটা দরকার। “ছায়া মন্ত্রিসভা” তো বেশ পুরান ধারনা-ই, কিনতু এইটারে নতুনভাবে ইউজ করা পসিবল। বিএনপি’র নিজেদের ফরেন-মিনিসটার, অর্থমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, ইত্যাদি থাকা দরকার… এইটা নিজেদের কনভেনশনের ভিতর দিয়াই সিলেক্ট করতে পারেন উনারা…

৩. তারেক রহমানের ইমেজ। এইটারে একটা ক্রুশিয়াল ঘটনা হিসাবে হাইলাইট করতে চান বিএনপি-বিরোধি’রা তো অবশ্যই, এমনকি ‘উদার-মনা’ বিএনপি’র লোকজনও; ইসপেশালি পাকিসতানে ইমরান খানের ‘সাকসেসের’ পরে এই টেনডেনসি আরো বাড়ার কথা, কিনতু তারেক রহমান’রে পিনাকি ভট্টাচার্য বানাইতে গেলে সেইটা বাজে-ঘটনাই হবে আসলে; বরং পার্টি ডেমোক্রেসির ভিতর দিয়া উনি যদি দলের সুপ্রিম লিডারশিপের জায়গাটাতে রিচ করেন, যারা বিএনপি করেন-না বা পছন্দও করেন না, তারা তারেক রহমানরে বিএনপি’র নেতা হিসাবে মাইনা নিতে পারবেন তখন; আর পারসোনালি আমি মনে করি একজন পলিটিকাল লিডারের ক্লিন-ইমেজ বা কারিশমা’র চাইতে এফেক্টিভনেস বেশি জরুরি, অইটাই বরং তার কারিশমা হিসাবে পারসিভ হইতে থাকে…

মানে, বিএনপি মিনিমাম ইলেকশনের ডেমোক্রেসি চায় বাংলাদেশে, এইটা নিয়া আমি মনে করি বাংলাদেশের মানুশের মনে (বিএনপি করুক বা না-করুক) এই নিয়া কোন সনদেহ নাই, কিনতু এই ডেমোক্রেসির উদাহারনগুলা এবং প্রাকটিসগুলা চালু করতে পারলে তাদের ক্লেইমটা আরো স্ট্রং, ভিজিবল এবং ভরসা করার মতো মনে হইতে পারে।

Leave a Reply