নোটস: মে, ২০২২ [পার্ট ২]

মে ১১, ২০২২

– পাতি-বাকশালি থিকা সাবধান –

অ-কবিতা না, বরং এভারেজ-কবিতা হইতেছে যেইরকম কবিতার আসল দুশমন, এইরকম খালি ডিক্লেয়ারড-বাকশালিরা না*, বরং পাতি-বাকশালিগুলা হইতেছে বড় ক্রিমিনাল।

(*অরা তো আছেই, কিন্তু যখন এই রিজিম ফল করবে তখন এরা ভং ধরবে, বলবে ‘বাধ্য হয়া’ করছিলাম, পিপলের পায়ে ধইরা মাফও চাইবো দেখবেন…)

পাতি-বাকশালিগুলা “‘বাকশাল’ কেন বলেন?” – বইলা পাতলা-অভিমানও করে দেখবেন। বাকশাল’রে বাকশাল কইতে শরমায় না, নিজেদের মুখোশ খইসা পড়বে বইলা ডরায়।

এরা সারাক্ষণ মিছা-কথাগুলা কইতে থাকে আর অদের মিডিয়া-রিয়ালিটিতে সাবস্ক্রাইব না করলে আপনারে আউট-কাস্ট বা এক-ঘইরা কইরা দিবে। যেন অদের গ্রাউন্ডে গিয়া আপনারে ‘তর্ক’ করা লাগবে!

এদের রিয়ালিটির জম্বি-কনজ্যুমারদের, কুমিরের বাচ্চার মতন মিডিয়াতে শো করতে থাকে, যেন এরাই ‘জনগণ’!

বাকশালি-ন্যারেটিভের দালাল মিডিয়া, সারাক্ষণ ‘হিউমার’ ‘তর্ক’ ও ‘ফ্যাক্ট-বিজনেসের’ নামে কাভার-আপ করতে থাকা এইসব সো-কল্ড বুদ্ধিজীবীগুলা হইতেছে শয়তান।

এরাও ভোল পাল্টায়া ফেলবে, বিপদে পড়লে। কিন্তু এদেরকে বিলিভ করা যাবে না কোন সময়েই।…

মে ১২, ২০২২

কয়েক বছর আগে জিগাইছিলাম, বাংলাদেশের মন্ত্রি-মিনিস্টারদের পোলা-মাইয়া/নাতি-নাতনিদের কয়জন বাংলাদেশের স্কুল-কলেজে পড়ে? কোন ডেটা পাই নাই। পাওয়া’টা যে মুশকিল – তা না, একজন ভালো-জার্নালিস্ট এক মাস খোঁজ-খবর করলেই এই নিয়া সব ফ্যাক্ট আমাদেরকে জানাইতে পারবেন।

এইটা জানতে চাইছিলাম, কারণ আমার ধারণা, ২-৪জনও খুঁইজা পাওয়া যাবে না। (বিএনপি’র ১৯৯১-৯৬ আমলে, এক মন্ত্রীর মেয়ে আমাদের লগে ঢাকা ভারসিটিতে পড়তো। এইরকম কোন নজিরও এখন পাওয়া যাবে না মনেহয়…) যেই দেশের অথরিটিতে থাকা লোকজনের নিজের দেশের এডুকেশন-সিস্টেমের উপর ভরসা নাই, তারা এই দেশের শিক্ষা-ব্যবস্থা নিয়া কেন ভাববে? – এইটা ছিল আমার কনসার্ন।

একই জায়গা থিকা সেকেন্ড কোশ্চেনটা আমি রাখতে চাই। খালি মন্ত্রি-মিনিস্টার না, আমলা-সচিব, বাকশালের পোস্ট-পজিশনে থাকা ১০০-২০০ জন লোকের মধ্যে কতোজনের ফ্যামিলি (বউ-বাচ্চা) দেশে থাকে?

যারা নেকস্ট জেনারেশনরে দেশে রাখতে রাজি না, উনারা দেশের ভালো-করার কথা ভাবতেছেন, কাজ করতেছেন – এইটা কোন যুক্তিতে আপনি বিলিভ করতে পারেন?

এরা তো অথরিটি’র লোক, দেশের জমিদার! আগের দিনের জমিদারের পোলা-মাইয়া’রা যেমন ‘শহরে’ থাকতো, এইরকম এখনকার জমিদারের পোলা-মাইয়াদের থাকতে হয় ‘বিদেশে’!

এখন বিদেশে-থাকা বা বিদেশ-যাইতে চাওয়া খারাপ-কাজ – এইরকম ধইরা নিয়েন না প্লিজ। মিনিমাম কোন উপায় থাকলেও যে “বিদেশ চইলা যাওয়াটা” বাংলাদেশে সবচে বেস্ট অপশন, সেইটা নিয়া দ্বিমত করার লোক-ও আসলে কম। (আমারেও এই বয়সে লোকজন জিগায়, বিদেশ চইলা যান না ক্যান!)

মানে, কারো ফ্যামিলি ‘বিদেশে-থাকে’ এইটা তার অপরাধ বা ক্রাইম না, কিন্তু দেশ নামের জমিদারির মালিকেরাও (মন্ত্রি-মিনিস্টার, আমলা-সচিবরা) যখন ফ্যামিলিরে দেশে রাখতে চান না, তার মানে হইতেছে, উনাদেরও দেশের অবস্থার উপর কোন বিশ্বাস নাই। মানে, নাই যে, এইটা তো আমরা জানি-ই।

জানা জিনিসগুলারেই দেখতে পারা, বলতে পারাও জরুরি অনেক সময়। তা নাইলে যেইভাবে এই জিনিসগুলারে ‘নরমালাইজ’ করা হইতেছে, করা হয়, সেইটা ভালো-জিনিস না কোন সময়ই।

আমার কনসার্ন এই ‘নরমালাইজেশন’-এর জায়গা নিয়া, যে এইরকমই তো হয়া আসতেছে, এইরকমই তো হবে… এই ‘যুক্তি’ হইতেছে নানান রকম ক্রাইমের ভায়রা-ভাই।

***

পুরান কতকিছু যে মনেহয়, খামাখাই… মানে, দুক্খের, মন-খারাপের অনেক কিছু যেমন মনে আসে, এইরকম ফানি জিনিসপত্রও হঠাৎ হঠাৎ মনে আসে। গতকালকে এইরকম একটা জিনিস মনে হইতেছিল। তেমন কোন কারণ ছাড়াই…

আমার পুরান-কলিগ ফয়সালের লগে একবার অনেক দিন পরে দেখা, তা-ও ৫-৭ বছর আগে হবে। ফয়সাল আর আমি মাঝে-মধ্যে ঢাকা শহরে বিফ-স্টেইক খাইতে বাইর হইতাম। ফয়সাল কইলো, বস, নতুন গাড়ি কিনছি, আপনারে খাওয়াবো। চলেন!

তো, গুলশান ২ থিকা ১-এর দিকে যাইতেছিলাম। মাঝখানে গলিতে একটা জায়গায় আরেক গাড়ির বাম্পারে লাগায়া দিল ফয়সাল। দোষ অর-ই। কথা কইতে কইতে রাস্তার দিকে আর তত একটা খেয়াল করে নাই। অই গাড়ির ড্রাইভার তো খেইপা গাড়ি থিকা বাইর হয়া আসলো, ঝাড়ি দিতে লাগলো। আমরা তো চুপচাপ।

তখন অই গাড়ির পিছনের জানালার কাঁচ’টা নামলো। বিরাট সুন্দরী একটা মেয়ে! আমরা দুইজনেই মোটামুটি হা! এইদিকে ড্রাইভার চিল্লাইতেছে, আর আমরা মেয়েটার দিকে তাকায়া আছি। ফয়সাল ড্রাইভাররে পাত্তা না দিয়া মেয়েটার দিকে তাকায়া কইলো, সরি ম্যাডাম, আপনাকে দেখতে গিয়ে রাস্তার দিকে খেয়াল করতে পারি নি। ভু্ল হয়ে গেছে। আপনি তো বুঝতেই পারছেন… বইলা সরি-সরি একটা লুক দিলো… (ফয়সালের বাপ-দাদারা হইতেছে পশ্চিমবঙ্গের, ঢাকাইয়া কইতে গেলেও অর শুদ্দ-ভাষা চইলা আসে)

মেয়েটা মোটামুটি তাঁর হাসি থামায়া রাখতে পারতেছিল না! কোনরকমে হাসি থামায়া ড্রাইভার’রে কইলো, গাড়িতে উঠো! ড্রাইভার তো বেকুব, কি হইলো… গজ গজ করতে করতে চইলা গেলো। মেয়েটাও তার গাড়ির কালো গ্লাসটা তুইলা দিলো।…

ঘটনার রেশ কাইটা যাওয়ার পরে, ফয়সাল’রে কইলাম, এইটা কি করলেন! গাড়ির গ্লাস খোলার আগে তো মেয়েটারে দেখেনই নাই আপনি! এতো বড় একটা ব্লাফ দিলেন! ফয়সাল কইলো, কি করবো বস! এ ছাড়া তো কোন উপায় ছিল না! আর মেয়েটা তো সুন্দর…

তা অবশ্য ঠিক, আমরা দুইজনেই হাইসা দিলাম। সুন্দরের জন্য তো সাত খুন মাফ! আর অনেক সময় সুন্দরের তারিফ করার জন্যও! 🙂

মে ১৩, ২০২২

– বাংলাদেশে বাংলায় কথা-বলা (লেখালেখি করা) ইনফিরিয়র একটা ঘটনা –

সেক্যুলার-ব্রাহ্মণ:
“ইংরেজি না শিইখা বিজ্ঞান বোঝা সম্ভব না”

ইসলামিস্ট-আশরাফ:
“আরবি না শিইখা কোরান-হাদিস নিয়া কথা বলা যাবে না”

মানে, যে কোনকিছুই শেখা’টা তো অবশ্যই খারাপ না, কিন্তু শিখতেই হবে – এই দাবি যতোটা না লজিক্যাল তার চাইতে অনেক বেশি অথরিটি এস্টাবলিশ করার ঘটনাই।…

এরা দুই দলই অরিজিনালিস্ট, শুদ্দতাবাদী, যারা মনে করে – জ্ঞান মানেই হইতেছে একাডেমিক একটা জিনিস এবং সার্টেন তরিকার ঘটনা। সেইটা যে না – তা-না, কিন্তু এইটা যে স্ট্যাটিক কোন ব্যাপার কখনোই হইতে পারে না – এই আন্ডারস্ট্যান্ডিংটারে দেখবেন “বেঈমানি” করার, “বিচ্যুত-হওয়ার” উদাহারণ হিসাবে মানেন উনারা। মানে, টেক্সটের “অরিজিনাল” মিনিং বইলা তো কিছু নাই! সবসময় নতুন একটা কনটেক্সটে নতুন নতুন সব মিনিং এপিয়ারড হইতে পারে!… আর ট্রেডিশনাল-চিন্তার জায়গাতে “ভুল” না কইরা, নতুন জ্ঞানের জায়গাতে আপনি রিচ-ই করতে পারবেন না!…

মানে, কোনকিছুর তরজমা, তাফসির, বিচার-করা যাবে-না না, কিছু কিছু সিলেক্টিভ-লোকই এইটা করতে পারবে! এর বাইরে কেউ করলে সেইটা হবে-না না, সেইটা হবে ‘পাপ!’ – এইটা খালি “যোগ্যতার” ঘটনা না, অথরিটি এস্টাবলিশ করারও রাস্তা। পারফেক্ট বা অথেনটিক হইতে গিয়া কনটেক্সট’টারে ইরিলিভেন্ট করতে চাওয়াও। যেই কারণে, বাংলার “প্রাচীন বৌদ্ধ-জ্ঞান” ম্যাস-লেভেলের জিনিস হইতে পারে নাই, জ্ঞান হিসাবে কন্টিনিউড হয় নাই। মানে, এইরকমের একটা জায়গা আছে এইখানে…

মানে, ভুল-বোঝা বইলা দুনিয়াতে কিছু থাকতে পারবে না! লেভেল অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিংও যেন সবার একই হইতে হবে! উঁচা-নিচা, বড়-ছোট’র বাইরে বা এইগুলাসহই ডিফরেন্সগুলা যেন থাকতেই পারবে না! আপনার কাজই তো আপনার যোগ্যতা, কিন্তু আপনারে তো কাজ করতেই দেয়া হবে না, সার্টেন প্যারামিটার যদি আপনি ফুলফিল না করতে পারেন! এইটা নলেজ/জ্ঞান/এলেম’রে ‘অথেনটিকেট’ করার ঘটনা তো অবশ্যই, একইসাথে “গোপন” এবং নন-এনগেইজিং কইরা তোলার ঘটনাও…

বাংলা-ভাষায় ‘জ্ঞান-চর্চা’ মানেই হইতেছে ইংলিশ, নাইলে ফার্সি, আরবী, ফ্রেঞ্চ, জর্মান, স্প্যানিশ ভাষার ঘটনা। বাংলায় কইতেছেন মানেই আপনি তো কম-জানেন, বা ভুল-জানেন! অনুবাদ করতেছেন! 🙂

আর দেখবেন নানান-ক্যাটাগরি’র অনুবাকদেরকেই আমরা ইন্টেলেকচুয়াল বানায়া রাখতেছি… এইটা বরং হইতেছে ক্রাইম! জ্ঞান খালি সঠিক-ভাবে অনুবাদ করতে পারার ঘটনা না আরকি!

এই জিনিসগুলারে আলাদা আলাদা কইরা লোকেট করতে পারাটা জরুরি, এটলিস্ট ট্রাই করতে থাকাটাও দরকারি জিনিস একটা…

***

শোনেন, বাংলাদেশের ইকনোমিক ড্যামেজ যা হওয়ার, তা হয়া গেছে। হাজার হাজার কোটি টাকা লোন নেয়া হইছে, যেইগুলা খাইয়া-দাইয়া, বিদেশে পাচার কইরা শেষ!

এই মেগা প্রজেক্টগুলা (পদ্মাসেতু, রূপপুর পাওয়ার প্ল্যান্ট, ফ্লাই-ওভার, রাস্তা-ঘাট, এই-সেই..) থিকা কোন রিটার্ন আসবো না। এইগুলা ছিলই টাকা মাইরা খাওয়ার প্রজেক্ট। আপনাদেরকে “উন্নয়ন” খাওয়ানো হইছে, খাওয়া-দাওয়া শেষ, এখন কান্দা-কাটি কইরা হবে না কিছু।…
ইকনোমিক ড্যামেজ হইতেছে, আরো হবে। যতদিন অবৈধ বাকশালি-সরকার ক্ষমতায় আছে এইটা হইতেই থাকবে।

কারণ বাংলাদেশের মানুশের ভালো হবে না খারাপ হবে – এইটা তো বাকশালের পয়েন্ট অফ কনসার্ন না, কোনদিনই। বাকশালের চিন্তা হইতেছে – যে কোন মূল্যে ক্ষমতায় থাকতে হবে, আর টাকা-পয়সা লুইটা-পুইটা খাইতে হবে। বাকশালের যে কোন কাজকাম’রে এই জায়গাটা থিকা দেখেন, তাইলে এতো ডেটা-ফেটা লাগবে না আসলে।

বাংলাদেশরে বাঁচায়া রাখছে গরিব-মানুশেরাই। আজকে যদি তিন মাস রেমিটেন্স বন্ধ থাকে, এক্সপোর্ট দিয়া ডলারের হিসাব মিলাইতে পারবেন না। যদি মেয়েরা গারমেন্টসের স্লেইভ হইতে রাজি না হয়, এক্সপোর্টের বাহাদুরিও থাকবে না।…

নতুন নিয়ম করছে, ৭০% না ৭৫% মার্জিন দিয়া গাড়ি ইমপোর্ট করতে হবে, মানে, সোজা কথা প্রাইভেট-কার কেনা কস্টলি হয়া উঠবে, টাকা থাকলেও কেউ (মানে, মিডল-ক্লাস) গাড়ি কিনতে পারবে না। আর কয়দিন পরে জিপিডি গ্রোথের টাকা, পার কাপিটা ইনকামের টাকা চিবায়া খাইতে হবে, এই টাকা দিয়া বাজার থিকা চাইল-তেল কিনতে পারবেন না।…

গোড়া কাইটা গাছের আগায় পানি ঢাললে কিছু হবে না। এইসব নিয়ম-কানুন হইতেছে জাস্ট আই-ওয়াশ। ইধার কা মাল ওধার করা ছাড়া আর কিছু না। একজনের কথায় নাইচা, দেশ দিছেন বেইচা।…

ভোট-ছাড়া অবৈধ সরকাররে সরাইতে হবে, তা নাইলে কোনকিছুই হবে না। “দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়া”, “বাজারের মজুতদারি”, “ডলারের রিজার্ভ কইমা যাওয়া” এইগুলা কোন ইকনোমিক ঘটনা না, কোন “কারণ” না, এইগুলা হইতেছে পলিটিক্যাল ফেইলওর, জুলুমের শাসনের কনসিকোয়েন্স।

যতদিন বাকশালি-সরকার ক্ষমতায় আছে, এই আজাব থিকা আজাদি পাবো না আমরা, মুক্তির কোন আশা করবেন না। যে কোন আলাপেই এই সেন্ট্রাল-পয়েন্ট’টারে মিস কইরা গেলে আমাদের কথাগুলারও কোন মিনিং থাকবে না, কথার কথাই হয়া থাকবে এই ইকনোমিক-বিশ্লেষণগুলা…

***

– কি কি জিনিসের লিস্ট আমাদের করা/জানা দরকার? –

লিস্টই যদি বানাইতে হয়, তাইলে অনেক ইম্পর্টেন্ট লিস্ট বানানোর দরকার আমাদের। এমনকি অনেকদিন আগে থিকাই কিছু কিছু লিস্ট পাবলিকলি থাকা দরকার।

কিন্তু আমরা, বাংলাদেশের মানুশেরা যেই জিনিসগুলা আমাদের জানা দরকার সেইগুলা জানি-না না, আমাদের জানানো হয় না, বরং অইসব জরুরি ইনফরমেশ লুকায়াই রাখা হয়।

যেমন ধরেন,
১. বাংলাদেশের সরকার কোন কোন দেশ/অরগানাইজেশন থিকা কবে, কতো টাকা, কি কি কন্ডিশনে লোন নিছে? (লিস্ট কই তার?)
২. এইসব লোনের ডিসিশান নিছেন, ডকুমেন্টে সাইন করছেন কোন কোন এমপি, মিনিস্টার, সচিব-আমলা? (পাবলিক ডকুমেন্ট হওয়ার কথা না এইগুলা?)
৩. গত ১০/১২ বছরে সরকারি প্রজেক্টগুলার টাকা-পয়সার এপ্রুভাল দিছেন, এখনো দিতেছেন কারা?
৪. সরকারি প্রজেক্টগুলার ঠিকাদার/সাপ্লাইয়ার কারা? সরকারি ফান্ড থিকা সবচে বেশি টাকা কোন কোন অর্গনাইজেশনরে দেয়া হয়?
৫. গত ১৫ বছরে যেইসব জায়গায় গুম-খুন হইছে, সেইসব থানার ওসি/ রেবের অফিসার ছিলেন কারা?
৬. মিডিয়াতে “উন্নয়ন-বুদ্ধিজীবী” কারা? কারা “উন্নয়নের” তসবি গুনছিলেন, আর এখনো গোনেন? কারা?
৭. গত দুই টার্মে পার্লামেন্ট ইলেকশনে, ভোটকেন্দ্রের “পাহারায়” ছিলেন কোন কোন মিলিটারি-অফিসার, বিডিআর-পুলিশ, সরকারি আমলারা?
৮. দেশি বড় বড় কোম্পানি, দেশের বড় বড় বিজনেসম্যানরা (টপ ১০০ জনই ধরেন) কতো টাকার বিজনেস করে আর কতো টাকার ট্যাক্স দেয়? (৮০% বিজনেস যারা করে, তাদের ট্যাক্স ২০%-ও হবে না…)
৯. কানাডায়/দুবাইয়ে/মালয়েশিয়ায়/সিঙ্গাপুরে যেইসব বাংলাদেশিরা প্রপার্টি কিনছে, তারা কারা? (খুঁজলে লিস্ট করা যাবে না একটা?)
মানে, আরো আরো লিস্টের কথা ভাবতে পারেন। তখন খেয়াল করতে পারবেন, কি কি জিনিস আমাদের জানা দরকার, লিস্ট করা দরকার, আর কি কি জিনিসের লিস্ট পাইতেছি আমাদের সামনে আমরা…

মে ১৭, ২০২২

এইরকম একটা ধারণা আছে যে, ইমোশনালি সত্যি-কথা বলা যায় না! ইমোশন মানেই একটা বাড়তি ঘটনা। কিন্তু সবসময় তা না।
জ্ঞান বা জানা-বোঝা কোন মেশিন-লার্নিংয়ের জিনিস না, বরং কিছু জিনিস ফিল না করতে পারলে আপনি ঠিকঠাকমতো বুঝতেই পারবেন না! ব্যাপারটা ‘অবজেক্টিভ’ হওয়ার না, একটা ‘সাবজেক্টিভিটি’রে চুজ করার, যেইটা অবজেক্টিভিটির লগে অ্যালাইনড।

মানুশ হয়া মেশিন-থিংঙ্কিং করতে পারাটা ভালো-চিন্তা করতে পারা’র লক্ষণ না, যেইরকম ইমোশনালি এনগেইজ হইতে পারা’টা বুঝতে-পারার লক্ষণ না। একটা আরেকটার অপজিট বইলাই যে কোন একটা জিনিস ‘ঠিক’ না। দুইটাই যেমন সত্যি হইতে পারে, দুইটাই ভুল-ও হইতে পারে।

***

– মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, তুরিন আফরোজ’রা হইতেছে ডাকাত-দলের থার্ড উইং –

এইরকম কথা আছে যে, যেকোন বাড়িতে/এলাকায় ডাকাতি করতে গেলে তিন টাইপের লোক লাগে।

এক, যারা বাড়ি’র ভিতরের খবর জানাবে, কোথায় কি আছে, কেমনে কি করতে হবে, কখন ডাকাতি করলে সুবিধা হবে, এইরকম। (পড়েন, এরা হইতেছে সরকারি-আমলা, কর্মচারি, রেব, পুলিশ…)

দুই, যারা ডাকাতি’টা করবে। অপারেশনটা চালাবে। (পড়েন, অবৈধ সরকারের মন্ত্রি-মিনিস্টার-এমপি, সেন্ট্রাল ও এলাকার নেতা, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী, বাকশালের-ব্যবসায়ী, মজুতদার…)

থার্ড, আরেকটা দল থাকে, এরা ইম্পর্টেন্ট, এবং মাস্ট। মানুশ-জন যখন বুঝবে ডাকাতি হইছে, ডাকাতদেরকে খুঁজতে বাইর হবে, তখন ভুল-রাস্তা দেখায়া দিবে! মানুশ-জন যখন উল্টা-রাস্তায় যাইতে থাকবে ডাকাতদের খুঁজতে, ডাকাতের দল ততক্ষণে সেইফলি পালায়া বাঁচতে পারবে। সিপিবি, সো-কল্ড কমিউনিস্ট, দালাল-মিডিয়া, গণ-কমিশণ, বাকশালি-বুদ্ধিজীবী, এরা হইতেছে এই দল।

এরা পার্ট অফ বাকশাল। এদের কাজ হইতেছে পিপলের নজর ফিরায়া রাখা, বাকশালি-জুলুমের দিকে যাতে না তাকাইতে পারে। নন-ইস্যুরে ইস্যু বানায়া তোলা। তো, ডাকাত-দলের এই থার্ড উইং’রেও চিনতে পারাটা দরকার আমাদের।

মে ১৮, ২০২২

১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ নিয়া খোঁজ-খবর করলে এখনো দেখবেন মার্কিন-জাহাজের কথা বলা হয়, যেইখানে আমদানি করা খাদ্যশস্য আটকায়া দেয়া হইছিল। কিন্তু এইটাই একমাত্র কারণ না, মেইন কারণও না।

অই বছর বাংলাদেশে কৃষি-পণ্য প্রডাকশনে কোন ঘাটতি ছিল না। দুর্ভিক্ষ না-থাকার কারণে ঘটে না, দুর্ভিক্ষ ঘটে যখন অল্প-কিছু লোকের হাতে বেশি-পরিমাণ খাওয়া-দাওয়ার জিনিস জমা হইতে থাকে, এবং মোস্ট ইম্পর্টেন্টলি যখন অই লোকজনের হাতেই দেশের ক্ষমতা থাকে।
বাকশাল-আমলে সবচে বড় বিজনেস ছিল মজুতদারি, চোরাচালানি। দুর্ভিক্ষ না হইলে কিছু লোক কোটিপতি হইতে পারতো না। এই নয়া-বাকশালের আমলেও কিছু লোক কোটিপতি হইতেছে কারণ অনেক মানুশের এক-বেলা, দুই-বেলা খাইয়া দিন পার করতে হইতেছে।
যে কোন অন্যায়-অত্যাচার-জুলুমের অবভিয়াস রেজাল্ট হইতেছে দুর্ভিক্ষ।

ইকনোমিক প্যারামিটারের ঘটনা-না না, কিন্তু একটা অবৈধ-সরকারের জুলুমের-শাসনে ইকনোমিক প্যারামিটারগুলারে কখনোই পিপলের ফেভারে ইউজ করার ঘটনা ঘটতে পারে না আসলে। এইটা যখন একস্ট্রিম অবস্থায় পৌঁছায় তখন সাফারিংসের ঘটনাগুলা আরো বেশি কইরা ভিজিবল হইতে থাকে, ধামাচাপা দেয়াটা কঠিন হইতে থাকে।…

***

গর্ভমেন্ট ১টাকা খরচও কমাবে না। মান্থ টু মান্থ হিসাব কইরা দেইখেন, খরচ আরো বাড়বে, ইলেকশনের টাকা, লবিস্টদেরকে পেমেন্ট করার টাকা, মিডিয়া ম্যানেজ করার টাকা যোগাড় করা হবে সরকারি-খরচের টাকা থিকা, উন্নয়ন-বাজেট থিকা, শেয়ার-মার্কেট থিকা।

বিদেশে পাচার হয়া যাওয়া ১টাকাও ফেরত আসবে না। হুন্ডি বাড়বে আরো। ডেটা আরো ড্রেসিং করা হবে। জিডিপি গ্রোথ হবে, পার কাপিটা ইনকাম বাড়বে আরো। কাজীর গরু খাতায় থাকবে, গোয়ালে কিছু পাইবেন না।

যেইটা হবে, গর্ভমেন্টের ইনকাম বাড়ানোর চেষ্টা হবে, রেভিনিউ বাড়ানো হবে। এই রেভিনিউ কই থিকা আসবে? পিপলের পকেট থিকা আরো টাকা কাইড়া নেয়া হবে! নতুন নতুন ভ্যাট, ট্যাক্স বসবে।

পদ্মাসেতু তড়িঘড়ি কইরা চালু করবে যাতে দুই-টাকা রেভিনিউ বাড়ে। পিপলের টাকা দিয়া বানানো ব্রিজ পিপলের কাছেই আবার বেচবে। মওলানাদের নামের লিস্ট করতেছে কারণ কয়দিন পরে মুদি-দোকানে মদ-বেচার লাইসেন্স দিবে! এইগুলা সব শোনা-কথা। কিন্তু শোনা-কথা বইলাই এইগুলা কখনো ঘটবে না – তা তো না! হুবহু এইগুলা না হইলেও কাছকাছি রকমের জিনিস ঘটার কথা।…

মানে, ইনকাম বাড়ানোর নাম কইরা পিপলের পকেটের টাকা আরো লুটপাট করাটা অবৈধ-সরকারের জন্য পসিবল একটা অপশন। এইটাই ঘটবে – এইটা আমার কথা না, কিন্তু এইরকম যদি ঘটে, সেইটা ‘অবাক!’ হওয়ার মতো কিছু হবে না আসলে। চোর যদি চুরি না করে তাইলেই বরং অবাক হওয়ার কথা আমাদের। [আনলেস ইউ (অর মি) আর ওয়ান অফ দেম!]

***

ভালো-বাকশালিগুলা (মানে, চিপায় পইড়া ভালো আর কি!) দেখবেন, আপনারে আইসা “বুঝাইবো”, আপনার হতাশার লগে মিল দেখাইবো যে, “কথা বইলা কোন লাভ নাই!” “কথা বইলা কি হইছে!” এই-সেই…

কিন্তু এরা আসলে আপনার-আমার কথা বলারে ডরায়।

একজন মানুশ কথা কইলে কিছু হবে না, দশজন মানুশ, একশ জন মানুশ কথা কইলেও মেবি কিছু হবে না, কারণ মিডিয়ার মাউথ-পিসগুলা বাকশালের দখলে। কিন্তু যদি এক হাজার মানুশ কথা কয়, দশ হাজার মানুশ আজকে কথা কইতে থাকে, এক লাখ লোক কথা কইতে থাকে, সবার জবানরে থামায়া দিতে পারবে না!

যদি হাজার হাজার মানুশ কথা কইতে শুরু করে, জুলুম কইরা বেশিদিন টিইকা থাকতে পারবে না। এই কারণে ডর-দেখায়া ‘বুঝায়-শোনায়া’ বাকশালিরা মানুশের কথা কওয়া বন্ধ কইরা দিতে চায়!

সেকেন্ড আরেকটা জিনিস করে, যেইটা বিকল্প-মারানিদের আপডেটড ভার্সন, সেইটা হইতেছে, এরপরে বিএনপি সরকার আসলে, তারেক রহমানের সরকার আসলে, সেইটা কি ভালো হবে? দেশটা শ্রীলংকা বানাইলে কার লাভ? কি লাভ?… এইরকম “আধ্যাত্মবাদী” আলাপও শুরু হইছে কিছু।…

তো, কথা বইলা দেশটারে কেউ শ্রীলংকা বানাইতেছে না, বরং দেশটারে যে শ্রীলংকার চাইতে বাজে অবস্থায় ফেলে দেয়া হইছে, সেইটা নিয়া খোলাখুলি কথা-বলাটা দরকার। চোর-বাটপারদের হাত থিকা মুক্তি পাওয়া দরকার! আজকেও নিউজ ছাপাইছে দালাল-মিডিয়াগুলা, ইলেকট্রিসিতে লস দিতেছে সরকারি-কোম্পানিগুলা। কেন লস দিতেছে? কতো টাকার চুরি-চামারি হইতেছে? অইগুলা নিয়া কোন আলাপ নাই। ইলেকট্রিসির দাম বাড়ানো হইলে এক টাকার লসও কমবে না! চুরি-ডাকাতি আরো বাড়বে! এই বাড়তি টাকাগুলাও পাচার হবে আবার।…

আইন-আদালত, মিলিটারি-পুলিশ, এডুকেশন সিস্টেম, মেডিকেল সার্ভিস, ইলেকশন কমিশন, দেশের সবগুলা সেক্টর ধ্বংস করা হইছে। এই অবৈধ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, দেশের অবস্থা তত খারাপ হইতে থাকবে। দেশের মানুশের না-খায়া থাকার দিন আরো লম্বা হইতে থাকবে।

আর কোন দল ভালো, কোন নেতা ভালো, সেইটা পিপলরে ঠিক করতে দেন! লেট দ্য পিপল ডিসাইড! যেই দেশে, যেই সমাজে পিপলের নিজের ভালো-মন্দ ডিসাইড করার ক্ষমতা নাই, সেই দেশ যে কোন প্যারামিটারেই শ্রীলংকার চাইতে খারাপ। এর চে চাইতে আরো খারাপ-অবস্থা শুরু হওয়ার আগেই আমাদের সবাইরে এইসব নিয়া কথা-বলা দরকার।

কথা কইলেই সমস্যার সমাধান হবে না, বাকশালি-বদমাইশগুলা ক্ষমতা ছাইড়া দিবে না। কিন্তু কথা না কইলেই এই জুলুমের শাসন শেষ হয়া যাবে না। এইটা যখন আমরা বুঝতে পারবো, আমার ধারণা, আরো কম ডরায়া আমাদের কথাগুলা বলা শুরু করতে পারবো আমরা।

মে ১৯, ২০২২

– বাংলাদেশের মানুশ আওয়ামী লীগরে ভোট দেয় না কেন? –

একটা জিনিস মনেহয় খুব বেশি খেয়াল করা হয় না বা বলাবলির মধ্যে নাই আমাদের, সেইটা হইতেছে বাংলাদেশের ৫০ বছরের আমলে আওয়ামী লীগ একবারই পিপলের ভোটে ইলেক্টেড হয়া গর্ভমেন্টে আসতে পারছিল। ১৯৯৬ সালে।* এর আগে-পরে যখনই মানুশ ভোট দিতে পারছে আওয়ামী লীগরে ভোট দেয় নাই।**

তো, বাংলাদেশের মানুশ আওয়ামী লীগরে ভোট দেয় না কেন?

এক নাম্বার কারণ হইতেছে – জমিদারি-স্বভাব। (যেই কারণে কমিউনিস্টদেরকেও লাইক করে না বাংলাদেশের মানুশ, জীবনেও ভোট দিবে না।) সরকার মানে রাজা আর দেশের মানুশ হইতেছে প্রজা – এই ভুল-ধারণা খালি না, বরং ডেইলি কাজকামে, কথা-বার্তায় এর যে মেনিফেস্টশন, উঠতে-বসতে যেই তুই-তোকারি – এইটা নেয়াটা তো পসিবল না!

কিন্তু অইদিন তো আর নাই!

বিএনপি’র লোকজনও চুরি-ডাকাতি করে-নাই না, কিন্তু দেশের মানুশের টাকা খায়া, দেশের মানুশের টাকা লুটপাট কইরা, দেশের মানুশরেই খোটা দেয় না! কারো বাপের টাকায় পদ্মা-ব্রিজ হয় নাই, পাবলিকের ভ্যাট-ট্যাক্সের টাকা দিয়াই এই ব্রিজ বানানো হইছে, আর জানায়া, না-জানায়া যেই লোন নেয়া হইছে, সেইটার টাকাও পাবলিকেরই পকেট থিকাই নেয়া হবে।

কিন্তু জমিদারি-স্বভাব থিকা এই জিনিস এবসার্ড মনে হবে। কারণ দেশের মানুশ তো তাদের জমিদারি’তে থাকে! আর আওয়ামী লীগের এই জমিদারি-স্বভাব কোনদিন বদলাবে না। এইটা দেশের মানুশের দায়িত্ব এই নতুন-জমিদারি, নয়া-বাকশালরে বাতিল করা।

যতদিন বাকশালি-শাসন আছে দেশে, বাংলাদেশের মানুশ কোনদিন স্বাধীন হইতে পারবে না।

*জিতছিল দুইটা কারণে। এক, বিএনপি দল হিসাবে দালাল-বাটপারদের খপ্পরে পড়ছিল, এক্স-আমলা, এক্স-মিলিটারি, এলিট-বদমাইশ আর লোকাল-গুন্ডাদের একটা মিলন-মেলাতে পরিণত হইছিল। এরা সবসময় ছিল, থাকবেও। কিন্তু জিয়াউর রহমান যেইরকম টাইট দিয়া রাখতে পারছিলেন, খালেদা জিয়া অই টাইমে ‘ছাড়’ দিয়া রাখছিলেন। তারা এই লানত নিয়া আসছিল বিএনপি’র জন্য, বাংলাদেশের জন্যও। দুই, লগি-বৈঠা নিয়া সিভিল-ওয়ারের হুমকি দেয়া হইছিল, সচিবালয়ের আমলা, সরকারি কর্মচারি’রা সরাসরি পলিটিক্সে এন্টার করছিল। যেইটারে অই সময়ে অনেকে ভালো-জিনিস মনে করলেও, এখনকার বাকশালের বীজ আসলে তখনই রোপন করা হইছিল। এই দুইটা কারণে পিপল আওয়ামী লীগের পক্ষে ভোট দিছিল।

**১৯৭৩-এ পিপল ভোট দিত পারে নাই। ২০০৮-ও ডাউটফুল। আর গত দুইটা তো মাশাল্লাহ্! দুনিয়াতে ডেমোক্রেসির হিস্ট্রি লেখতে গেলে, মেনশন করা লাগবে, “হাউ টু কিল ডেমোক্রেসি থ্রু ইলেকশন” চ্যাপ্টারে।

***

– যেই দেশে যেই নিয়ম –

ঢাকা শহরে এখন চলা-ফেরার জন্য চলনসই একমাত্র জিনিস হইতেছে মোটর সাইকেল। আগে যেইখানে রিকশা-স্ট্যান্ড ছিল, এখন সেইখানে বা আশে-পাশে মোটরসাইকেল পাওয়া যায়।

ভাড়া সিএনজি’র চাইতে তো কমই, কমতে কমতে রিকশা-ভাড়ার লগেও কম্পিটিটিভ এখন। কারণ রিকশার জমা-খরচ আছে, নানান সোসাইটির রেজিস্ট্রেশন আছে, আর ফুল-টাইম প্রফেশন। মোটরসাইকেলে যেহেতু সময় কম লাগে, ট্রিপ বেশি মারতে পারে বইলা রিকশার চাইতে কম না হইলেও কম্পিটিটিভ ভাড়ায় যাইতে পারে।

আর এখন তো কোন রাইড-শেয়ারিং কোম্পানিরে টাকা না দিলেও হয়। বেটা-মানুশ হিসাবে ‘যৌন হয়রানি’র রিস্ক তো কম, যদিও নেটফ্লিক্স এলজিবিটি-রাইটসের নামে গে-মুভমেন্টে বাতাস দিতেছে, তারপরও ফ্যাশন হয়া উঠতে আরো টাইম লাগবে আসলে। 🙂 ততদিনে এলন-মাস্ক বড় বড় শহরে সেক্সুয়াল মলেস্টেশন প্রটেক্টেড শাটল স্পেইস-সার্ভিস চালু কইরা ফেলতে পারবে মনেহয়…

***

অবিচুয়ারি: আবদুল গাফফার চৌধুরী

ভাষা-আন্দোলনের গান হইতেছে আবদুল লতিফের “অরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়…”। অইটার ভাষা যেহেতু “গ্রাম্য” এবং “আধুনিক” (পড়েন, কলোনিয়াল) না, এই কারণে কাউন্টার হিসাবে আবদুল গাফফার চৌধুরী’র বিলো-এভারেজ (বিশ্বাস না হইলে পুরা কবিতাটা পইড়া দেইখেন, পাইবেন তো একটু খুঁজলেই) একটা কবিতার ফার্স্ট চাইর লাইন গান হিসাবে চালু আছে, শহুরে মধ্যবিত্তি-সমাজে। তো, এইটা আবদুল গাফফার চৌধুরী’র পলিটিক্যাল এচিভমেন্ট।

এর বাইরে, বাংলাদেশের আর্ট-কালচারে উনার সাহিত্যিক কন্ট্রিবিউশন হইতেছে, ঢাকা শহরে কলোনিয়াল-কলিকাতার ধামাধরা সাংবাদিকতা-বেইজড একটা ‘সাহিত্য-সমাজ’ গইড়া তোলা, যাদের মেইন কাজ ছিল সমাজে সাহিত্যিক-গুন্ডামি করা। পলিটিক্যাল গুন্ডামির সহযোগী হিসাবে কাজ করা। যতোটা না লেখালেখি তার চাইতে প্রপাগান্ডা করতে পারাটারে “সাহিত্য” বানায়া তোলা। উনাদের ‘সাহিত্য’ হয় নাই, ফেইল মারছে। উনাদের ফাঁপা-কলসের বাজনা এখন আর বাজানো যায় না, অনেক ট্রাই করলেও। যদিও উনাদের পোলা-মাইয়া, নাতি-পুতিরা ট্রাই কইরা যাইতেছেন এখনো।… কোন ট্রেডিশনই তো একদিনে শেষ হয়া যায় না, একটা বাজে সামাজিক-অভ্যাসেরও শেষ হইতে দুই-তিনটা জেনারেশন লাগে।

বাংলাদেশে, লেখালেখি’র জায়গাটাতে, আবদুল গাফফার চৌধুরী’র মতো সিউডো-লেখকরে “আইকন” বানানোর চেষ্টার ভিতর দিয়া টের পাওয়া যায়, কতোটা বাজে-অবস্থায় আছে এখনকার আর্ট-কালচারের গ্রাউন্ড’টা। এমন না যে, কোন সাহিত্যে সিউডো-রাইটার, আর্টিস্ট থাকতে পারবে না, এবং উনারা সেলিব্রেটেডও হইতে পারবে না। যে কোন সাহিত্যেই সিরিয়াস-রাইটার, ভালো-রাইটার খুব বেশি থাকার কথা না, কোন সময়েই, রেয়ার। কিন্তু তাদেরকে “গ্রেট” বানায়া তোলাটা বাজে-পলিটিক্সের ঘটনাই না, কোন সাহিত্য-বিচারের জায়গা না থাকারই ঘটনা আসলে।

আবদুল গাফফার চৌধুরী’র সাহিত্যিক-গুন্ডামি সবসময়ই ছিল বাকশালি-জুলুমের এনেবেলিং একটা ফোর্স। এই গুন্ডামি করতে পারাটারেই আমরা “সাহিত্যিক-সাহস” বানায়া রাখছি, যেইটা পলিটিক্যাল-ভন্ডামিগুলারে কাভার-আপ করার কাজেই ইউজ করা হইছে। আবদুল গাফফার চৌধুরী ছিলেন একজন সিউডো-রাইটার এবং বাকশালি-রাজনীতির সাহিত্যিক-গুন্ডা – এই সত্যি-কথা ভুইলা গেলে উনার কাজকামরেই ভুল বোঝা হবে।
উনি এমন একজন রাইটার, আজকে যার মারা-যাওয়ার দিনে, তার কোন সিগনিফিকেন্ট লেখার কথা কেউ মনে করতে পারতেছি না! এইরকম একজন লোকরে যে আমরা সেলিব্রেটেড-রাইটার বানায়া রাখছি, এই কারণে আমাদের নিজেদেরও তো মনেহয় একটু শরম পাওয়া দরকার!
উনার আত্মা শান্তি পাক!

বাংলা-সাহিত্যে যদি উনার কোন সাহিত্যিক কন্ট্রিবিউশন থাকে, সেইটাও রিভিল হোক। কিন্তু যেই জুলুমের রাজনীতির প্রোপাগান্ডা-মাস্টার উনি ছিলেন, তার হাত থিকা আল্লাহ আমাদেরকে যেন রক্ষা করেন!

মে ২০, ২০২২

– নয়া বাকশালের উইপেন দুইটা: “নারী-অধিকার” ও “ইসলাম-রক্ষা” –

বাকশাল যখনই বিপদে পড়ে, তখনই দেখবেন নিউজ-মিডিয়ার দালাল এবং সোশ্যাল-মিডিয়া বটগুলা (bot) দুইটার একটা জিনিসরে সামনে নিয়া আসে, মাতামাতি করতে থাকে।

এখন আমারে ভুল বুইঝেন না যে, এইগুলা ঘটনা হিসাবে এগজিস্ট করে না। কিন্তু আজকে থিকা হাজার বছর আগেও কম-বেশি এইগুলা ছিল এবং যতদিন মানুশের সমাজ আছে, ততদিনই এই জিনিসগুলা নিয়া কোন না কোন ক্যাওস থাকার কথা। আমি তো এইরকমও বলতে চাই যে, এইরকম ক্যাওসের এক্সপেক্টশন আছে আমাদের মধ্যে।

যারা ধরেন নিউজপেপার-জেনারেশন, বছরে ৩৬৫ দিন রেইপের নিউজ পড়ছেন [পড়েন, সফট-পর্নের প্লেজার (বেটামানুশ হিসাবে) ও ডরটারে (বেটিমানুশ হিসাবে) নিছেন], এখন যদি এক মাস কোন রেইপের নিউজ না দেখেন, একটু ‘অস্থির’ হয়া উঠার কথা, আরে, দেশে কি রেইপ নাই হয়া গেলো নাকি! মানে, আমাদেরকে প্লেজার দেয়ার জন্য বা ডর দেখানোর জন্য রেইপের ঘটনা ঘটে – তা না, কিন্তু এই নিউজগুলাতে একটা ভয়ারিজমের এসেন্স আছে তো। যে কোন ভিজ্যুয়ালের ভিতরই এইটা আছে।…

সিমিলারলি, ফেইসবুকের নিউজফিডে, ফ্রেন্ডদের ওয়ালে যদি কোন মিম বা ফানি-ভিডিও খুঁইজা না পান, সন্দেহ হওয়ার কথা তো, লোকজন কি সব বেরসিক হয়া গেলো নাকি! মানে, এইটা সেন্স অফ হিউমার শো করা না, বরং এইরকম জিনিসগুলা দিয়া স্পেইসটারে ভরাট করা।… একইভাবে, যারা “এক্টিভিস্ট”, যদি চেইতা যাওয়ার ঘটনাগুলা না থাকে সামনে, কেমনে “প্রতিবাদ” করবো আমরা! 🙂

এগেইন, বাংলাদেশে নারী-অধিকার আছে এবং ইসলাম নিয়া টিটকারি নাই – এইরকম পজিশন আমার নাই। বরং আমি বলবো, নিজেরে নিজেদেরকে চিড়িয়াখানা’র বান্দর হিসাবে দেখেন, তাইলে সিচুয়েশনটা বুঝতে সুবিধা হইতে পারে। আপনি-আমি হইতেছি পলিটিক্যালি চিড়িয়াখানার বান্দর, আমাদের সামনে ইস্যু’র কলা ঝুলানো হইতেছে, যাতে কইরা কলা নিয়া চিন্তা-ভাবনা কইরা চিড়িয়াখানার বন্দি-দশাটার কথা ভুইলা থাকতে পারি আমরা।

চোখের সামনে যে কোন ভিজ্যুয়ালরে, যে কোন কথারে অ্যাজ ইট ইজ নিয়েন না। কিন্তু এইটা মোটামুটি আমাদের হিউম্যান ইন্সটিঙ্কট। চোখের সামনে যা দেখি, তারেই “বাস্তব” বইলা ধইরা নেই। শয়তান এই ইল্যুশনের ভিতর দিয়াই এক্টিভ থাকে।…

বাংলাদেশে, বেশিরভাগ কেইসে, ‘নারী-অধিকার’ না-থাকার কথা বা ভিডিওগুলা (ঘটে না – তা না) বেশিরভাগ ছড়ায় “ইসলামিস্ট গ্রুপগুলা”, যতোটা না “সেক্যুলার প্রতিবাদ” জাগায়া তোলার জন্য, তার চাইতে বেশি ডর দেখানোর জন্য। একইভাবে “ইসলাম অবমাননা”র কথা বা ভিডিওগুলা (ঘটে না – তা না) ছড়ায় সো-কল্ড “সেক্যুলার গ্রুপগুলা”, দেখানো জন্য যে, দেখেন, “মৌলবাদীরা” কেমনে খেপে এখন, দেখেন! অই ‘মজা’ নেয়ার লাইগা! এইটা কম-বেশি ঘটে, বা ঘটার কথা।

এখন বাকশালি-ফেমিনিস্ট এবং ইসলামি-জনতা, এইরকম দুইটা গ্রুপ আছে এবং তারা চেতার লাইগা বইসা রইছেন – এইরকম না, বরং সবার মধ্যেই এই বিষয়গুলা নিয়া কম-বেশি সেন্সিবিটি আছে (না-থাকাটাই এবনরমাল ঘটনা)। তো, আপনার-আমার এই কনসার্নের জায়গাগুলা নিয়া চেইতা যাওয়ার আগে, যুদ্ধ ঘোষণা করার আগে, আমাদের একটু চিন্তা-ভাবনা করার দরকার আছে। যে, আরে, এইটা আবার কোন চেতনার ড্রাগস হয়া উঠতেছে না তো?

মানে, বাকশালি-শাসন শেষ হইলেই নারী-অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়া যাবে না বা ইসলামি-শাসনের শুরু হবে না। কিন্তু যতদিন জুলুমের শাসন আছে, এইরকম পিপল-সেন্সিটিভ ইস্যুগুলারে পিপলের এগেনেস্টেই ইউজ করার জায়গা আরো বড় হইতে থাকবে, যেইটা সমাজের শরীরে একটা বড় ঘা তৈরি করবে।… পিপলরে পিপলের এগেনেস্টে লেলায়া না দিয়া কোন জুলুমই বেশিদিন টিইকা থাকতে পারে না। এই কারণে ‘নারী-অধিকার’ বা ‘ইসলাম-রক্ষা’ নিয়া কোন কথা-বলা যাবে-না না, চেইতা যাওয়ার আগে খেয়াল করতে পারতে ভালো, কোন পলিটিক্যাল পারপাস আসলে সার্ভ করতেছি আমরা, এর ভিতর দিয়া…

***

ইকনোমিকস নিয়া আলাপ এখন বাড়ছে। যেহেতু একটা বাজে-অবস্থার দিকে আমরা আগাইতেছি, ইকনোমিক্যালি। (পলিটিক্যাল অবস্থা তো বহুদিন থিকাই বাজে হয়া আছে।…) ভুল-ঠিক অনেকেই অনেক কথা বলতেছি আমরা। বলার দরকার আছে।

কিন্তু আমি রিকোয়েস্ট করবো, যে কোন কথা বলার সময়, অবৈধ-সরকারের কোন ডেটা’রে বিশ্বাস কইরেন না। “সরকারি প্রেসনোটে বলা যে কোন কথাই মিছা-কথা” – এইটার মতোই সরকারি-প্রতিষ্ঠানের দেয়া যে কোন ডেটাই টেম্পার করা – এইটারে স্ট্যান্ডার্ড ধইরা নিতে হবে। তারপরে ক্রস-চেক কইরা দেখতে হবে।

গত বছরে, করোনার সময়ে স্কুল-কলেজের বন্ধের ডেটা দেখতে গিয়া এইটা দেখছিলাম; ইউনেস্কোর সাইটে দেখি দেখাইতেছে, বাংলাদেশের স্কুল-কলেজ সব খোলা! আমরা বাংলাদেশে থাকি, অথচ আমরাই এই খবর জানি না! আজব ঘটনা! খবর নিলে দেখা যাবে, কোথাও কোন ফুটনোটে বলা আছে, অনলাইন-ক্লাস চলতেছে বইলা “খোলা” ডিক্লেয়ার করা হইছে! এইরকমের বাটপারিতে ভরা বাংলাদেশের সরকারি ইনফরমেশনগুলা। মিনিমাম অথেনটিসি নাই।

একইরকমভাবে, জিপিডি গ্রোথ, পার কাপিটা ইনকাম, ইনফ্লেশন, গর্ভমেন্টের লোন… এইরকমের ডেটাগুলা খালি ভুল-ই না, ইনটেনশনালি টেম্পার করা হইতেছে সবসময়। বাংলাদেশ ব্যাংক, আতিউর রহমানের সময় থিকাই কোন ইন্ডিপেন্ডেড অর্গানাইজেশন না, ফিনান্স-মিনিস্ট্রির পেট (pet) পুরাপুরি। উনাদের ডেটাও বিশ্বাস করার আগে চেক কইরা নেয়া দরকার। হয়তো অনেককিছু লুকাইতে পারে না, কিন্তু টেম্পার করার ট্রাই করতে থাকার কথা।…দেখা যাবে, সত্য লুকায়া রাখা হইছে ফুটনোটের কোন চিপা-চাপায়।…

এখন এইরকম টেম্পারড-ডেটার উপ্রে বেইজ কইরা কোন কিছু তো ঠিকঠাক মতো বলতে বা বুঝতে পারবেন না আপনি। বাংলাদেশের ইকনোমিক অবস্থা নিয়া এই কারণে তার পক্ষেই কিছুটা ঠিকঠাক জিনিস বলা পসিবল (যিনি খালি ইকনোমিকসই জানেন না, বরং) যিনি জানেন, কোন ডেটা’রে কতোটা ডিসকাউন্ট কইরা দেখতে হবে। বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়া আলাপে, এইটা মোটামুটি মোস্ট ক্রুশিয়াল একটা ঘটনা! 🙂

Leave a Reply