প্রেমের ত কোন প্রমাণ নাই, যেমন পাহাড়-পর্বত আছে, দেখা যায়। যা যা কিছু ঘটতে পারতো এবং যা যা কিছু ঘটে নাই, তারেই প্রেম বলা যাইতে পারে বরং। তাই কয়েকটা ঘটনার কথাই বলি যেইখানে পাহাড় সমান প্রেম বর্তমান। [pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]
নমুনা যখন আন্দোলনরে লিড দিতেছে, তখন দেখি লিবাও আছে সেই পাবলিক জমায়েতে। আমি দূর থিকা বইসা দেখতেছিলাম। যাওয়ার সময় লিবা আইসা কইলো, ‘তুমি যে অত পাদ-ডরাইলা মানুষ এইটা ত জানতাম না!’, আমি কইলাম, ‘দেহ, এইটাতে ত আমার কোন স্ট্যান্ড নাই, এইটা মোল্লাবাড়ি আর খাঁবাড়ি’র মানুষের ইন্টারনাল ঝামেলা। আমি কারো পক্ষ কেন নিবো?’ লিবা কইলো, ‘এইটা মোল্লাবাড়ি আর খাঁবাড়ির ব্যাপার না, স্কুলের ব্যাপার…’ – এইরকম চলতেই থাকলো, দুপুরের পর থিকা সন্ধ্যার অন্ধকার পর্যন্ত। হায় প্রেম! হায় তার্কিকতা!
এরপর কমান্ডার সাবের ইলেকশনের সময় যখন অ্যাক্টিভ কর্মী হিসাবে আমারে দেখলো, লিবা ত কনফিউজড; কয়, ‘তুমি কেমনে যে লোক ফেইল করবো, তারে সার্পোট করো।’ আমি কইলাম, ‘ফেইল করবো কেন, পাসও ত করতে পারে!’… ইলেকশনের পরের দিন কমান্ডার সাব জামানত হারানোর পরেও যখন বেলাজের মতো রাস্তায় হাঁটতেছি, লিবা কয়, ‘তোমার শরমও করে না!’ আমি কইলাম, ‘কেন?’ ‘এটলিস্ট জামানতটা ঠেকা দিতে পারলেও ত বুঝতাম যে কিছু একটা করতে পারছো!’ ‘কেন, তোমার ক্যান্ডিডেটরে ত ফেইল করাইতে পারছি।’ ‘তোমার লাভটা কী হইলো!’ ‘পরেরবার পাস করবো…’ – পরেরবার আর কমান্ডার সাব দাঁড়াইতেই পারলো না, লিবা’র ক্যান্ডিডেট পাস কইরা গেলো। অবশ্য তদ্দিনে লিবার সাথে আমার কথা-বার্তাও বন্ধ। আমার কোন ক্যান্ডিডেট নাই আর লিবারেও তার পলিটিক্যাল কনশাসনেস নিয়া কোন মিছিলে বা প্রচারণায় যোগ দিতে দেখি নাই।
খবর নিয়া জানা গেলো, লিবা তখন শহীদ মিনারে যায়, আবৃত্তি শিখে। ‘এইসব আবালগুলারে তুমি ভাবো, হিরো?’ ‘তোমার চাইতে ত ভালো…’; ‘যে কোনদিন কবিতা লিখতে পারে না, সে-ই আবৃত্তি করে… এইসব লোকগুলা ফাউল, খালি তোমার সাথে প্রেম করতে চায়’ ‘দুনিয়ার সব লোকজন ত তোমার মতো, আমার সাথে প্রেম করা ছাড়া আর কোন কাজ-কাম নাই…’ ‘বোকা মেয়েলোকটারে যে কেমনে বুঝাই!’ লিবার শরীর যা কিনা বেহেশতী জিনিস আমার কাছে, সে কিনা তারে কথার দামে বেচতে চায়… এই সেক্যুলার সমাজে ধর্মীয় ব্যাপারগুলার আসলে কোন দাম-ই নাই!
ঘটনা হিসাবে ত তিনটাই এনাফ! একশ’র সমান।
অগাস্ট ৪, ২০১১
Leave a Reply