বইমেলা চলতেছিল নীলক্ষেতে। তখন শুভ্র’র লগে দেখা, আমিনুল বারী। বলাকার পাশের ফুটপাত দিয়া হাঁটতেছিলাম। আমরা চা খাইতে যামু। মেলার সীমানা পার হইতেই সাজ্জাদ-এর লগে দেখা। সাজ্জাদ তো একজন প্রকাশকের এইখানে এডিটর হিসাবে কাজ করে জানতাম। কইলাম, কি রে ভাই, তোমরার দোকান তো দেখলাম না! সাজ্জাদ কয়, না না আছে তো! মাঝামাঝি জায়গায়। আমি অনুমান করলাম, মিডনাইট সান চাইনিজ দোকানটা যেইখানে, ওইরকম একটা জায়গাতে মনেহয়। তারপর আমি ওর সাথে গেলাম।[pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]
শুভ্র আর নাই তখন। দোকানে ঢোকার আগে দেখি অনেকগুলা খাবারের জিনিস; রোল, ব্রাউনি, নানান রকমের কেক, ব্রেড; আমি উল্টাইয়া পাল্টাইয়া দাম দেখি; অনেক দাম এক একটার। বিদেশ থিকা ইম্পোর্ট করা মনেহয়, ইনগ্রিডেন্সগুলা। কিছু নিবো কিনা ডিসাইড করতে পারি না; এমনিতে খাইতেও ইচ্ছা করতেছে একটু। বইয়ের দোকানে ঢুইকা খাওয়ার জিনিস কিনাটা কি ঠিক হইবো কিনা এইটা ডিসাইড করার আগেই দেখি সাজ্জাদ দোকানের ভিতরে ঢুকে গেছে। কি কি জানি দেখতেছে। অল্পকিছু বইও আছে, দোকানের ভিতর। কিন্তু কলম অনেক। নানান কালারের, নানান থিম-এর। গোলাপী, বাদামি, নীল। মনে হইলো একটা কালারের কলম নেই। তারপর পাখি’র, খোঁপার কাঁটা’র মতোন কলম।ব্রেসলেটেরও ছিল নাকি শিওর না; আমি একটা একটা কইরা অনেকগুলা কলম নিয়া নিলাম। সাজ্জাদের সাথেও জানি কি কি নিয়া কথা কইলাম। ও যেইরকমের পাবলিক, একটু ঠেস দিতে দিতে কথা কইলো। আমি গায়ে মাখলাম না। ক্যাশে যিনি বইসা ছিলেন, উনি-ই মনেহয় পাবলিশার। উনি কইলেন, খালি বই দিয়া তো ব্যবসা হয় না। তাই কলম-টলমও রাখতে হয়। বা উনি মনেহয় এইগুলা বলেন নাই, আমি-ই ভাইবা নিলাম।
যখন দোকান থিকা বাইর হয়া আসলাম তখন সাজ্জাদও নাই। একটা খাকি খামে কলমগুলা নিয়া দাঁড়াইয়া থাকলাম। শুভ্রও নাই যেহেতু। চা-খাওয়া হইলোই না আজকে আর।
Leave a Reply