কমেন্টস: বদমাইশি আর সত্যি

“হাম শরীফ কেয়া হুয়ে, পুরি দুনিয়াহি বদমাশ বান গায়ে…”

দিলওয়ালে সিনেমা’তে শাহরুখ খান এই ডায়ালগ দিছিলেন। তো, দেখতে গিয়া ফেসবুকের স্ট্যাটাসে লিখছিলাম এই লাইন। তখন কমেন্টে আলাপ হইছিল কিছু। মানুষের সাথে তো কথা হয়, ভাবলাম, এই আলাপগুলি রাখা যাইতে পারে তো!

———————

খন্দকার ইকরাম আহমেদ: পুরা দুনিয়ারে বদমাইশ বানায়া শরীফ হওয়ার শখ হইছে ক্যান?

ই.হা. : দেখেন, আমরা তো চিন্তা করি একটা লিমিটেড টাইম আর স্পেইসের পারসপেক্টিভে, যার ফলে একটা কথা তার অপজিটটারে না নিয়া এগজিস্টই করতে পারে না। মানে, কেউ একজন ভালো হইলে অন্য কাউরে নেসেসারিলি খারাপ হওয়া লাগে, তা নাইলে ভালো হওয়া জিনিসটা কোনকিছু মিন-ই করতে পারে না। 🙂

আমি যেহেতু ভালো, দুনিয়ার কি খারাপ না হইয়া কোন উপায় আছে! বা কেউ না কেউ খারাপ না হইলে আর তারে ‘পুরা দুনিয়া’ বইলা ভাবতে না পারলে কেমনে আমি নিজেরে ভালো বইলা ক্লেইম করতে পারি? দোষটা আসলে আমার বা দুনিয়ার না, টাইম আর স্পেইস লিমিটেড বইলা এইরকম ঘটতেছে আসলে।

খন্দকার ইকরাম আহমেদ: ভাই, মাথার একটু উপর দিয়া গেলো। এন্টেনা উঠাইছিলাম কিন্তু ধরতে পারি নাই। তবে একটা জিনিস বুঝলাম। তুমি বিজনেস করলে তোমার কোম্পানির নাম হবে ‘টাইম অ্যান্ড স্পেইস লিমিটেড’।

ই.হা.: আপনি এন্টেনা উঁচা করছেন দেইখা আমি চিপা দিয়া সইরা পড়তে পারছি

 

ষড়ৈশ্বর্য মুহম্মদ: ‘দুনিয়া সাচ্চা নহে, মুই একা সাচ্চা হইয়া কি করিম!’ [ঠক চাচা/ আলালের ঘরের দুলাল]
Imrul Hassan:হা হা হা… সত্যের ঘাড়ে পাড়া দিয়া দুনিয়ারে ডিফাইন করা তো গেলোই, লগে নিজেরেও বাঁচানো গেলো।

ষড়ৈশ্বর্য মুহম্মদ আপনে যেটা দিলেন ওটার বাংলাটা এরাম। সত্যের ঘাড় পা তো অবশ্যই।

Imrul Hassan:বেদনাটা একইরকমের হইলেও, পয়েন্ট অফ ভিউটা একটু ডিফরেন্ট আর কি।

হিন্দিতে, সে ভালো হইছে বইলা দুনিয়া এখন বদমাইশ আর সে যখন বদমাইশ তখন দুনিয়া মে বি ভালো ছিল।  দুনিয়া তার সাথে মিলে না। সে ‘এক’ হইলে দুনিয়া ‘আদার’ হয়া যায়।

কিন্তু বাংলাতে, সে ত ‘সত্যি’ হইতে চায়, সিচুয়েশন তারে খুব একটা ফেভার করে না। দুনিয়া ‘সত্যি’ হইলে সেও সত্যি হইতে পারতো, দুনিয়াটাই তো ভুয়া। তো, এমন না যে, দুনিয়ার বাইরে গিয়া সে একটা কিছু হইতে পারতেছে, তারে উইথইন দুনিয়ার মধ্যেই থাকতে হইতেছে। এই দুনিয়া হইলো তার ডিফাইন করা দুনিয়া যার মধ্যে সে আটকা পড়ছে। যেমন ধরেন, এখন সিচুয়েশন খুব খারাপ, ‘সত্যি’ কথা বলা যাইবো না।

ষড়ৈশ্বর্য মুহম্মদ: Imrul Hassan ও রে বাও রে, সিচুয়েশন খ্রাফ দেখতাছি!! আমি গেলাম গা!!!

Imrul Hassan: হা হা হা… ঠিকাছে, আস্তে আস্তে যাইয়েন, তাড়াতাড়ি যাইতে গিয়া পায়ে পাড়া দিয়া আবার লুঙ্গি খুইলা ফেইলেন না

আমিও গেলুম দাদা!

Leave a Reply