বিনয় মজুমদার কইতেছিলেন বিষ্ণু দে’র কথা; উনারা যখন ইয়াং ছিলেন (১৯৫০-এর দশকে) তখন খাতায় লিইখা রাখতেন, বিষ্ণু দে টি.এস.এলিয়টের কোন কোন লাইন নিজের বইলা উনার কবিতায় ঢুকাইছেন। তো, ইন্টারভিউ যারা নিছিলেন তারা বলতেছিলেন; না, না… উনি তো অনুবাদ করছেন, সেইটা কইছেনও। তখন বিনয়রে কথায় পাইছে, কইলেন, কিসের অনুবাদ… “জন্মে, প্রণয়ে, মরণে জীবন শেষ/নয়নে ঘনায় ক্লান্তির মেঘাবেশ’ এইটা হইলো আসলে এই লাইনগুলি: “Birth, copulation and death/that’s all, that’s all, that’s all’.” এইগুলিরে বিষ্ণু দে অনুবাদ কন নাই।
তো, পরে কইলেন উনার নিজের কথা, উনি তো রুশ থিকা বাংলায় অনুবাদ করতেন, আলেকজান্ডার পুশকিনের কবিতা অনুবাদ করছিলেন। ওইটা উনার পয়লা কবিতার বই ‘নক্ষত্র আলোয়’ বইতে ছাপাইয়া দিছিলেন। বলতেছিলেন, নিজের কবিতার বইয়ে আবার অনুবাদ লিইখা দিবেন, ব্যাপারটা কি রকম না! আর রুশ থিকা যেই ইংলিশ হইছে, সেইটা পইড়া কারো বোঝারই উপায়ই নাই যে বাংলাটা ওই কবিতা। রুশভাষা জানা কেউ তো আর উনার এই বাংলা কবিতা পড়তে আসবো না! সো, সেইটা আর কওয়ার কি দরকার! তো, ইন্টারভিউয়ার’রা উনারে জিগাইলো ওই কবিতার অনুবাদে তো ছিল “…আর শুনায়ো না সুন্দরী তুমি জর্জিয়ার ওই বিষাদবিধূর গান” – এইটা নিয়া কোন ঝামেলা হয় নাই? উনি কইলেন, আরে, জর্জিয়ারে সিংহল কইরা দিছিলাম তো!… 🙂
Leave a Reply