বিফোর ট্রিলজির ফার্স্ট পার্ট বিফোর সানরাইজে রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে নায়িকা তাঁর বাপ-মা’র কথা কয় নায়ক’রে। প্যারিসের ‘৬৮’র মুভমেন্টে তারা একলগে ছিলো। এখন বড় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কাজ করে। একজন আর্কিটেক্ট, আরেকজন অন্যকিছু। উনারা বিপ্লব করতে পারেন নাই, কিন্তু বিপ্লবের আদর্শ ভুলতে পারেন নাই। নিজেদের পারসোনাল লাইফ স্যাক্রিফাইস কইরা মেইনস্ট্রিমে ঢুইকা গেছেন, কিন্তু মেয়ে’রে বড় করতেছেন বিপ্লবের ভ্যালুগুলা দিয়া; ওপেননেস, পারসোনাল ফ্রিডম, চয়েসের জায়গা, এইসব। তো, শে কয়, তার লাগে যে, তার আর এখন কিছু করার নাই, তার সামনে বিপ্লব করার কোন ড্রিম নাই, তার বাপ-মায়ের যেমন ছিলো, তাদের ইয়াং বয়সে। এইটা খুবই ফ্রাস্ট্রেটিং একটা ঘটনা!
আসলেই, বিপ্লব করাটা না, বরং বিপ্লব করার মতো কিছু যে নাই, এইটা খুবই ফ্রাস্ট্রেটিং একটা ঘটনা। পরে অবশ্য নায়িকা বিপ্লব করার মতো ইস্যু খুঁইজা পায়, ইনভবলবও হয়। (কিন্তু আমার সন্দেহ হয়, বিপ্লব করাটা ভালো একটা প্রফেশনও হইতে পারে তখন।) তো, আমি যেইটা বলতে চাইতেছি, যে কোন বিপ্লব করার চাইতে আমি একটা বিপ্লব করতে যাইতেছি – এইটা একসাটিং একটা প্রোপজিশন হওয়ার কথা। বিপ্লব হয়া গেলে বরং বিপদে পড়তে হইতে পারে। 🙂 [তার মানে আবার এই না যে, বিপ্লব খুব বাজে জিনিস, করা যাবে না বা করার ইচ্ছা রাখা যাবে না; বরং আমি বলতে চাইতেছি একসাইটমেন্টের জায়গাটারে আন্ডারমাইন করাটা ঠিক হবে না।…]
আরেকটা ইর্ম্পটেন্ট ব্যাপার হইলো, সমাজ, রাষ্ট্র, এইসব ম্যাক্রো জিনিসরে চেইঞ্জ করতে না পাইরা পারসোনাল স্পেইসে, মাইক্রো লেবেলে চেইঞ্জগুলারে ইনিশিয়েট করা। এই সিনেমাতে যেমন, বাপ-মা বিপ্লব করতে না পাইরা বিয়া কইরা ফেলছেন, নিজেদের পারসোনাল স্পেইসে, ফ্যামিলিতে বিপ্লবের অই ভ্যালুগুলারে জায়গা দিছেন। কিন্তু আমাদের সোসাইটিতে, আমার মনেহয়, বিপ্লব করতে চাওয়া মানুষগুলা বিপ্লব করতে না পাইরা বেশ রিজিড হয়া উঠেন, পারসোনাল লাইফেও। তো, এইটা মেবি ঠিক না। 🙁 বিপ্লবের একসাইটমেন্টের বাইরেও যদি কোন ভ্যালুসরে আমরা প্রাযোরিটি দিতে চাই, সেইগুলা আমাদের লাইফে প্রাকটিস করতে পারাটা বাজে জিনিস হওয়ার কথা না মনেহয়।…
হাউএভার, লং লিভ রেভিউলেশন। 🙂
Leave a Reply