মরে যাওয়া যে এইরকমের স্মুথ এইটা বিলিভ করতে খারাপ লাগে আমার, মে বি আমরা’রও। মানে, প্রসেস তো একটা আছে, সেইটা দেখি নাই, কিন্তু ইমাজিন করতে পারি, আর এই কারণে বুঝতে পারি কি রকমের বীভৎস একটা ব্যাপার, এই শান্ত, স্মুথ একটা রেজাল্ট, এই মরা’র ছবিটা। কতো কষ্ট নিয়া মরছে সে, তারপরে শান্ত একটা ছবি হইতে পারছে।
আরো কয়েকটা জিনিস ক্লিয়ারলি বুঝতে পারছি, এইখানে কমিটি আছে রিয়ালিটি’রে ডিফাইন করার; যে কি কি আমরা দেখতে পারি আর কি কি আমরা দেখতে পারি না, দেখতে পারলেও দেখার দরকার নাই… আছে না, ভাই, আমার খারাপ লাগে, আমার ওয়ালে শেয়ার কইরেন এইসব; মানে, না দেখতে চাওয়ার পাশাপাশি কি দেখবো না আমরা আর কখোন দেখবো এই বিষয়গুলা ডিসিশনেরই একটা বিষয়। এর মধ্যে একটা ডিসিশান হইলো যে, মরে যাওয়া শিশুটির মুখ কোনদিন দেখবো না আমরা। একটা পত্রিকা বেশ মজার, মুখটারে যে ব্লার করছে, সেইটাও শো করছে আবার।
মানে, এইটা সো অবভিয়াস যে, কিছু জিনিস আমরা দেখতে পাই না; দেখতে চাইও না অনেকসময়, আর পাই না আর চাই না বইলা আমরা বুঝতে পারি যে আমরা জানি এইসবকিছু এবং জানি এক ধরণের না-জানার ভিতর দিয়াই। মানে, না-জানা’র ঘটনাটা না থাকলে জানা তো এমার্জ করতে পারে না আর। ইমেজ হইলো একটা বেসিস যেইখানে না-জানাগুলির জানা’রে জমাইয়া রাখতে পারলাম আমরা।
যে কোন ইমেজই থাকতে যে পারে সেইটা না-থাকা মোমেন্টটার ভিতর দিয়াই বাঁইচা থাকাটারে রিফ্লেক্ট করে। যেমন, আমরা যদি না জানতাম তাঁর খালা’র কথা যে কানাডা থিকা টাকা পাঠাইছিলো, যদি জানতাম খেলতে গিয়া মইরা গেছে সে, যদি জানতাম এমন হাঙর আছে দুনিয়ায়, কামড় না দিয়া ফুঁ দিলেই বাচ্চারা মইরা যায়… তখোন, এই ছবিটা কি রকম?
আর দেখেন, বাচ্চার চামড়া সাদা, কিছুদিন জার্মানীতে থাকতে পারলে ইউরোপিয়ানই হইতে পারতো, তার পায়ের ফিতা বাঁধা জুতা যদি না থাকতো (ইমোশন বাড়ানোর লাইগা পড়তে পারেন, থাকিতো), লাল জামা, সবুজ প্যান্ট এইসবকিছু যেই আইডেন্টিটি, সেইটা সোবার খুব, আমরা যাঁরা হাফিংটন পোস্ট পড়ি, নিউ ইয়র্কারের ডেইলি আপডেট পাই মেইলবক্সে, আমরা যেইরকম বাচ্চা কল্পনা করি, এইটা তার চাইতেও পারফেক্ট। আমি শিওর না, এইসব জিনিসগুলি যদি ফটোশপ কইরা চেইঞ্জ করা যায়; মানে, কালা, ল্যাংটা, পায়ের মধ্যে খুঁজলি’র দাগ… ইমপ্যাক্ট কমবে না মে বি, কিন্তু ফিলিংস কি ডিফরেন্ট হইতে পারবে না; মনে হইতে পারবে না যে একটা বাচ্চা যে আমাদের কল্পনার বাচ্চার মতোও না, তারেও আমরা আমাদের বাচ্চার মতোন বাঁচাইতে পারলাম না? এটলিস্ট একটা মানববন্ধন করি এখন!
এই ছবি আমরা ভুলতে পারবো না এইরকম না, এই ছবি আমাদের মনে থাকবে যখন আমরা মাইগ্রেট করার কথা চিন্তা করবো, বিমানে উঠবো, পৌঁছাইয়া যাবো, থাকতে থাকবো, মরা’র টাইমে মনে হবে নিজের দেশের মাটিতে মরতে পারলাম না, মে বি তখনো। মানে, এই ছবি যেই আইডিয়ারে সিম্বলাইজ করতে পারে সেইটা হইলো মাইগ্রেশন। সিম্বলাইজেশন প্রসেসটা এইরকম: যেই ছবি আমরা দেখি নাই এই ছবি দেখার ভিতর দিয়া সেইসব ছবি আমরা দেখতে পারি।
যেই কারণে, ভিডিও চইলা আসার পরেও স্টিল ইমেজ থাইকা যাইতেছে, স্টিল ইমেজের আগেও এই লেখালেখি, টেক্সট থাকতে পারতেছে, কারণ ইমাজিনেশনটা থাকতেছে; আর উল্টাটাও; পুরাটা দেখলেও আপনি একটা মোমেন্টে একটা ট্রুথরেই অ্যাকোমোডেড করতে পারতেছেন; যেই মাল্টিপ্লিসিটি আপনি এনজয় করেন ইন ইউর টেক্সট, ইমেজ, ভিডিও… মানে যে কোন ফর্মেই, আপনি বুঝতে পারবেন যে, ফর্ম ইজ নট দ্য আর্ট বা রিয়ালিটি; ফর্ম যেইটা ডিপিক্ট করে, যেইভাবে করে এই প্রসেসটারে সে যট্টুক এবং যেইভাবে ট্রান্সফার করে, ওইটাই আর্ট বা রিয়ালিটি। মানে, আর্ট বা রিয়ালিটি একটা ফর্ম অফ ইমাজিনেশন এইভাবে ভাবতে পারলে সিম্বলাইজেশন প্রসেসটারে মোর আর্টিকুলেট করা যাইতে পারে।
আমি হাঁইটা যাইতেছি আর শাট শাট কইরা ছবি উঠতেছে; এর মাঝখানে অনেকগুলি ছবিরে ফালাইয়া দিলাম আর কয়েকটা ছবি রাইখা দিলাম, পুরা হাঁইটা যাওয়াটা দেখতে পাবো আমি, আমি থিকা বাইর হয়া গিয়াও, বা বাইর হইয়াই; এই যে একটা আমি’রে দেইখা আরেকটা আমি হইতে পারলাম, এইটা অওসাম!
জগতের আয়নার ভিতরে আমি আমারেই দেইখা নিলাম।
আর এই ছবিটা যেইটা ইউরোপে যাওয়ার, ইউরোপরেই সিম্বলাইজ করতেছে নানানভাবে। যখনই আমরা ইউরোপ’রে আবিষ্কার করি, ইউরোপ তখন ইউরোপ হয়া উঠে আবার। উই গো টু ইউরোপ, ইউরোপ কাম ব্যাকস টু আস। উই ওয়াচ অ্যা ইমেজ অ্যান্ড দ্য ইমেজ বিকাম আস।
Leave a Reply