মিনিং

এই জিনিসটারেই আমি সবচে বেশি ডরাই এখন; ‘মিনিং’ তৈরির করার অথরিটি’টারে। আফ্রিদা’র মরা’র খবর যেইভাবে প্রথম আলো পত্রিকায় ছাপা হইছে; যে উত্তরা’র একটা বাসায় ভাড়া থাকা, ব্র্যাক ইউনির্ভাসিটিতে ফার্স্ট ইয়ারে পড়া একটা মেয়ে। আরো দুইটা মেয়ে’র মরা’র খবরের সাথে, একটা ইস্যু হিসাবে যে, দেখেন, শহরে মেয়েদের কি বাজে অবস্থা!

নো মোর অ্যান আর্টিস্ট! এই যে আইডেন্টিটি’টা হাজির করলো প্রথমালো, এইটা মিথ্যা না; স্ট্রিকলি সোশ্যাল একটা ‘মিনিং’। যেইটুক বলা হইলে একটা জিনিস ‘সত্যি’ হইতে পারে, তার ভিতরে ঘটনা’টারে আটকায়া ফেলা। আমিও রোড অ্যাকসিডেন্টে মরলে, ‘বেসরকারি কর্মকর্তা’ হইতে পারবো; প্রথমালো’তে না পারলেও কোন অনলাইন নিউজপোর্টালে, নিউজ ক্রাইসিসে থাকা কোন সাব-এডিটরের ঘন্টার টার্গেট ফুলফিল করার লাইগা। খুবই ‘সত্যি’ কথা হবে সেইটা। কিন্তু এইটারে ‘মিনিং’ হিসাবে পারসিভ করাটাই সমস্যা।

তো, মজার জিনিস হইলো, এই ভোকাবুলারিগুলি এখন জানি আমরা। এই কারণেই, এই ন্যারেটিভগুলির ভিতরে আমরা আর আটাইতে পারি না নিজেদেরকে। কিন্তু কে কেমনে মোকাবিলা করি – সেইটাই ঘটনা হয়া উঠে। ব্যাপারটা সো-কল্ড মেইন মিডিয়া ভার্সেস সোশ্যাল মিডিয়া না। এইটা হইলো একটা ন্যারেটিভের ভিতর একটা ঘটনারে হাইড করা। এইভাবে সার্টেন ইস্যু, সার্টেন ইমেজ, সার্টেন মিনিংয়ের কাছে শব্দগুলি আর সোসাইটি বন্ধক পইড়া থাকেও না কোনদিন। বরং যারা আমরা শব্দগুলিরে, ঘটনাগুলিরে মাইরা ফেলতে চাই, ওরা-ই একদিন আমাদেরকে মাইরা ফেলতে পারে! হিস্ট্রি তো স্ট্যাটিক কোন জিনিস না। কিন্তু একটা রিডিউসড ন্যারেটিভের মতো বাজে জিনিস আর কিছু হইতে পারে না আসলে।


ফেসবুক কমেন্টস:

Fatema Abedin Nazla আপনার কথা স্পষ্ট না? আপনি কীভাবে চাইছিলেন নিউজটা?
Imrul Hassan নিউজ কেমনে করতে হবে – এইটা যাঁরা নিউজে চাকরি করেন, উনারা বেটার বলতে পারা’র কথা। কিন্তু নিউজ’টা কি মিন করে আমার কাছে – সেইটাই বলতে চাইছি আমি। মানে, কোন ‘পারফেক্ট’ বা ‘অ্যাকুরেট’ নিউজের আইডিয়া আমার মনে নাই।… 

আর ‘অস্পষ্টতা’ ব্যাপারটাও কম্পারেটিভ অনেক, আমি বলতে পারি নাই না আপনি বুঝতে পারেন নাই – এই জায়গাটারেও গ্রে রাখতে পারি তো, কি বলেন? 🙂

Monzurul Ahsan Olee আজকের প্রথমালো??

 

Imrul Hassan হ, ভিতরের দিকে কোন পেইজে। “রাজধানীতে তিনটি অস্বাভাবিক মৃত্যু” – এই টাইপের কোন হেডলাইন। আফ্রিদা ওইখানে ফার্স্ট হইছেন! অনলাইন ভার্সনে নাই মনেহয়, নিউজটা।
Monzurul Ahsan Olee হ, অনলাইন দেখলাম, নাই।
Imrul Hassan অনলাইন’রে তো ‘সোশ্যাল-মিডিয়া’র লগে ফাইট দিতে হয়। ওইখানের নিউজ প্রায়োরিটিগুলি মনেহয় অন্যরকম।

Barnali Saha মধ্যবিত্তের পত্রিকার সীমাবদ্ধতা। একটা স্যুডো-ইনফর্মড সামাজিক চিন্তক শ্রেণী হইছে এখন এর বদৌলতে। এদের কাজ হইল পরিবেশের সকল ইম্পালসরে পূর্বনির্ধারিত কিছু ছিমছাম ইস্যুর আন্ডারে গুছায়া নিয়া আসা। এরা আবার এগো মতন এম্প্যাথেটিক। ‘আহারে পরিবার…আহারে বাপমা…আহারে আধুনিকতা…আহারে আর্ট’ এইসব দীর্ঘশ্বাসে পরিপূর্ণ এই ন্যারেটিভের স্থূল জগৎ। কী আর?

Imrul Hassan “এদের কাজ হইল পরিবেশের সকল ইম্পালসরে পূর্বনির্ধারিত কিছু ছিমছাম ইস্যুর আন্ডারে গুছায়া নিয়া আসা।” – মোস্টলি এইরকমেরই ঘটনা; কিন্তু এইটারে এক ধরণের পলিটিক্যাল ‘ভাঁজ’ হিসাবে রিড করতে চাই আমি। মানে, ব্যাপারটা এতোটা লিনিয়ারও না আর কি…
Rifat Hasan মিডিয়ার এরকম একটা ঝামেলা আছে। কোন এক আর্টিস্ট খুন হল। এই রিপোর্টটি আসল বিনোদন পাতায়। এইখানে বিনোদন হিশেবেই ঘটনাটি স্থান পেল। খবর বা ক্রাইম হিশেবেও না। এর রাজনীতি আর খবরটা নাই হয়ে গেল। সেই সময় এই নিয়া কিছু লিখছিলাম বোধ হয়।

Imrul Hassan আচ্ছা… আসলে যেই ফ্রেমওর্য়াকের ভিতরে প্রিন্ট-মিডিয়া এখনো অপারেট করতে চায়, সেইটা অনেক আগেই ইনভ্যালিড হইতে পারছে তো মনেহয়।

 

Leave a Reply