—————————
।। আমরা না আমরা ।। হ্যামলেট ।। ঞমপজদ ।। শেয়ালের লেজের মতোন এক নিরবতার কাছে ।। মেমোরি ।। বিভিন্ন বাণী ।। পাখি গান গাইতেছিলেন ।। আমার কথা ।। মোতিঝিল ।। ওয়ান লাইনার ।। অভাব ।। ইট বিছানো রাস্তা ।। পি.জি. হসপিটাল ।। হোলস ।। অনেক ট্রাই করার পরে ।। হাজারো খায়েশি অ্যায়সি… ।। রেইন, রেইন ।। সুগার কেইন ।। ফ্যামিলি ।। ইলাসট্রেশন ।। পুরানা দিনের গান ।। ইল্যুশন ।। শরত হইলো আরেকটা বসন্ত, একটু লাউড আর কি… ।। ভাষা আন্দোলন ।। সকাল নয়টার রইদ, শরতের ।। শরতের বাতাসে যেই মিথ্যা কথাগুলি আসে ।। কাউন্টারফিটের ভাবনা ।। ইগো ।। একটা ভয়েড আসে ।। ইউ আর মাই সানশাইন ।। চোরের কাহিনি ।। জানা ।। গান, শহর, শীত, সন্ধ্যা ।। নিয়ার ফিউচার ।। টেক্সচুয়াল ।। মন-পাখি।। নভেম্বরের সন্ধ্যা ।। মর্হূত আর স্মৃতিগুলি ।।
—————————
আমরা না আমরা
‘পরকালে তুমি আমাদের হইও’
পরকালে তুমি থাকবা ত?
মানে, পরকাল তো আছে একটা, তাই না?
তুমি আর তোমার পরকাল থাইকো কিন্তু…
তখন আমরা না আমরা আমরাই থাকবো
আর কাউরে দেখবো না
আর যেহেতু দেখবো না
অরা নাই, আমরাই থাইকা যাবো তখন
আমরা আর আমরা
মানে, আমি-ই তো
আমি আর তুমি যেই আমরা, তারা;
সেইরকম হবে ব্যাপারটা, বুঝছো…
ফিউচাররে ঠেলা দিয়া পরকালে
নিয়া যাবো আমরা…
পরকালেও দেইখো থাকবো কিন্তু আমরা,
ঠিকাছে না? হুমম…
হ্যামলেট
ব্যাকগ্রাউন্ড চেইঞ্জ হওয়ার সাথে আমি যাবো চলে,
আমারে ভুলে যাওয়ার লাইগা
আর কি কি জিনিস তোমার মনে রাখা লাগবে?
ওফেলিয়া, তোমার স্কেয়ারি চোখ কি আরো স্কেয়ারি হবে?
তুমি ভাববা, এইসব আজাইরা কথাগুলার কি মানে?
মরা মানুষের সাইলেন্সই কি ভালো না, আজাইরা কথাগুলি বলার চাইতে?
কোনদিন বিকালে, জঙ্গলের পাশে চেয়ারে বসে
শিকার করতে থাকা কারো তাক করা বন্দুকের নল দেখতে দেখতে
একটু দূরে, দেখবা তুমি এক শেয়ালরে, যে তাকায়া আছে তোমাদেরই দিকে,
তার চোখের দিকে তাকায়া, তার হঠাৎ দেখতে পাওয়া মৃত্যুরে দেইখা
হয়তো তোমার মনে হবে অন্য একটা ব্যাকগ্রাউন্ডের কথা
ধরো, ডাক-রোস্টের ভিতর পইড়া থাকা একটা হলুদ ডিমের কথা-ই
গুটিশুটি বইসা আছে;
তারে খাইতে খাইতে মনে হবে অন্য কোন কথা,
অন্য কোন আলাপ আইসা নিয়া যাবে তোমারে ওয়াইনের গ্লাসের দিকে
ব্যাকগ্রাউন্ড চেইঞ্জ হবে ওফেলিয়া, আমি যাবো চলে…
পাহাড়ের দিন
মাওবাদীদের আঞ্চলিক অফিস পার হইয়া আমি যাইতেছিলাম আরেকটা পাহাড়ের দিকে।
ওইখানে একটা ছনের ঘর। কেউ নাই মনেহয়।
ওইটাই আমার ঘর। সারারাত জাইগা থাকার পরে, ঘুমাবো।
ঘুমায়া ঘুমায়া স্বপ্ন দেখবো, চেয়ারম্যান মাও।
কি জানি বলতেছিলেন উনি… হাসতেছিলেন একটু।
আমার আর মনে নাই
২.
এইদিকে সন্ধ্যা। সবুজ পাতার উপর নামতেছে কালো অন্ধকার
কালো ঠোঁট বাঁকা হইয়া বুঝে নিতেছে,
টুপ কইরা গিইলা ফেললো ছোট অস্পষ্ট পোকা একটা,
তারপর গম্ভীর। আবার।
৩.
পাহাড়ে। উঠতে উঠতে। হাঁটুতে হাত রেখে, দাঁড়ায়া একটু
ভাবতেছিলাম, ওই দূরে…
আরো কিছু দূরের কথা যদি ভাবা যাইতো
দুইটা গ্রামের পরে যেমন আছে আরো পাঁচটা গ্রাম, আর একটা ঝর্ণা…
না দেখলাম, থাকতে পারে না?
৪.
বৃষ্টির মতোন। কয়েকটা ফোঁটা।
চুমা খাওয়ার বদলে জিভ দিয়া নিজের ঠোঁট চাটার কথা মনে হইলো।
ওয়াইপার ঘোরাইতেছে গাড়ির, খামাখা এক ড্রাইভার।
গান গাইতে গাইতেই নিজের ঠোঁটের উপর হাত রাখলেন অমিতাভ। (তখনো অমিতাভ হইতে পারেন নাই।)
জয়া ভাদুড়ি এত জোরে মাথা নিচু করলেন যে উনার ঠোঁট আর দেখতেই পাইলাম না
ঠোঁট টিইপা হাসতেছিলেন মনেহয়।
৫.
নিরব একটা অস্বীকারের ভিতর অল্প একটু চেত নিয়া দাঁড়াইছে দুর্বাঘাস;
একটা বাতাস – কই সে, পারলে তারে নুয়াইয়া ফেলুক!
পাইলিংয়ের গর্তের পাশে দুইটা জোনাকি পোকা গল্প করতেছে,
‘নিইভা যাবো গো আমরা, বুঝছো?’
‘তুমি যাও! আমার পুটকির লাইট আমি তবু জ্বালায়েই যাবো’
৬.
একদিন বইসা থাকলাম মাটির ঘরের, কাঠের দরজার পাশে
নারিকোল গাছের ছায়া সরতে সরতে একবার পায়ের কাছে
মনেহয় ছুঁইয়াই ফেলবে; আমি তো আর সরি না, দেখি সে
চলে যে যাইতেছে, যাইতেছে, যাইতেছে, যাইতেছে, যাইতেছে
৭.
আমার জ্যাকেটের পকেট থিকা রোদ, গড়ায়া পড়তে থাকলো।
ঝাপসা দিনের ভিতর ঘুমায়া যাইতেছিল আরেকটা শীতকাল।
পাহাড়ে, চেয়ারম্যান মাও-য়ের সাথে।
ঞমপজদ
বৃহ ঞমপজদ! বৃহ ঞমপজদ! মগপদডগ টগ টগপ উবৃসটহ বগনড সৃ।
শেয়ালের লেজের মতোন এক নিরবতার কাছে
তোমার ‘না’ রে তো আমিও ভালোবাসি।
খালি কথা থাকে না কোন
এমন একটা নিরবতা যা পার হওয়া যায় না…
হবোও না আমরা,
একদিন ক্লান্তি আইসা নিয়া যাবে তোমারে,
নিরবতাই থাইকা যাবে শেয়ালের লেজের মতোন
আবছা, একটু দূরে…
ব্রীজ অফ গড ক্রস করার পরে
হয়তো দেখা যাবে তারে।
শেয়ালের লেজের মতোন এক নিরবতার কাছে
মেমোরি
আমরা তারে মাফ করে দিছি।
আমরা মহান।
২
কচুখেতের পাশে
পদ্মপাতার পানি ঝরে পড়ে।
নাক-টাক মুছে আমরা গোসল করতে নামলাম।
৩
টিউলিপ ফুলের পাশে ম্রিয়মাণ রোদ
বারান্দার চৌকাঠে আইসা দাঁড়াইছে
নক, নক, নকিং অন হ্যাভেনস ডোর…
দোর বন্ধ, ট্রুথ আছেন ভিতরে।
৪
যা কিছু বলা যায় না
তারে গিইলা ফেলছি
এমনিতে কিছু কথা বলি তো
বলার পরে ভাবি, এইটুকই তো,
তাও বলবো না!
বাবল বানায়া উড়ায়ে দিবো
দেখবো সে উড়ে যায়
সারফেইসের উপ্রে ফ্যাসফ্যাসে কি জানি একটা
পইড়া থাকে পরে
বাবল নাই হইয়া গেলে
শেষে
৫
তখন আমরা একাধিক রোগ
একই ভাইরাস থিকা আসছি।
৬
মাফ করে দিছি।
মহান হইতে গিয়া মনে হইছে।
স্লাইস করা ব্রেডের উপর
বাটারে পইড়া আছে দুইটা মরা মাছি।
ওদেরকেও মাফ-ই করে দিছি।
বিভিন্ন বাণী
‘গোরুটি কার?’
‘বাছুর হারাইলে মাগো এইরমই হয়…’
‘নদীর ধারে, কানতে দেন তারে’
‘অশ্রুসজল’ (মানে কানতে পারতেছেন না তত একটা, চাইতেছেন এমনিতে…)
‘হৃদয় বাষ্প পাম্প কইরা বাইর কইরা দেন’
‘তোমার সাজেশন আপনিই রাখেন’
‘আসছে গরমকাল, ঘাড়ে গামছা নেন’
‘আমাদের বাড়ী আইসেন, বটবৃক্ষতলে’
‘ধানের খেতের পাশে, পড়বো না পিছলাইয়া’
‘আপনি না ম্যান আছেন’
‘ম্যানারিজম আছে না একটা, কি বলেন!’
‘হৃদয়পুষ্প মরে যায়’
‘মরলে তো কান্দার নিয়ম আছেই’
‘হি হি হি… আমরা খুব ফানি, তাই না?’
‘সার্কাস দেখাইয়াই ত চ্যাট চালাইতে হয়; তারপরও সবাই কি দেখে সবটা…’
‘সবার কূলের বউ আমি, আপনি রঘুপতি জামাই’
‘আসেন কোলাকুলি করি…’
‘ফুলের জলসায় নিরব থাকার নিয়ম’
‘নিয়মে বান্ধিয়েন না মোরে…’
‘গোরুটি কি ফিরছে ঘরে?’
‘কানা বাছুরের গেইম খেলবো না আমি আর’
‘শাট দ্য ডোর’
‘ফাক অফ’
২.
‘মরু নদীর তীরে বাতাস কান্দিয়া ফিরে’
‘পলিথিনে ভইরা বেচমু তারে, চীনে’
‘লটস অফ হাউকাউ’
‘হলি কাউ’
‘নিজের কথা মনে রাইখেন’
‘এপিটাফ লিখবো নে – গোরুটি মরে নাই’
‘বাছুরটি হায়, কার দুধ যে খায়!’
‘হৃদয়ের গান আঁকুপাকু করে’
‘বাইর করেন, বাইর করেন…’
‘যারে না পাই, তিনি আর নাই’
‘ছিলেন, মানেও নাই; অতীত বইলা থাকতেছেন’
‘এমন সকাল যেন রাত নাই; এমন বসন্ত যেইখানে শীত নাই’
‘শিট! শিট! পাতাগুলি সবুজ ক্যান!’
‘ঝরাপাতাদের দলে আমিও নাই ক্যান!’
‘তোমার পালক পড়ে আছে মাঠে, গু’য়ের সাইডে’
‘কেন যে এমন হয়’
‘হয় নাকি, বলে যে ঘাস কয়টা হাত থিকা মুখে তুলে দেয়?’
‘গোরুটি ফিরা আসতেছে, দেখো’
‘বাছুরটিকে আমি ভুলিব না, আমি কভু ভুলিব না’
৩.
‘পর্দাটা টাইনা দাও’
‘টানা বারান্দাটাই একটা চোখ’
‘স্টেশনে হুইসেল দিচ্ছে ট্রেন’
‘কে আসলেন? আর কে যে যাবেন? তাড়াহুড়ায় বোঝা যাচ্ছে না কিছু’
‘কবরের ঘাসগুলা দেখবেন অনেক স্বাস্থ্যবান’
‘অনেকেই না খালি আসতেই থাকেন; অফ যান না আর… কেমনে যে পসিবল!’
‘বেইসবলের ব্যাট দিয়া মাথায় একটা বাড়ি দিবেন’
‘টুবলা মাথা দেখলে চিনবো তখন’
‘আমাদের মাথা নাই, মাথায় বাড়িও নাই’
‘কত্ত সুইট!’
‘গরু চড়াইতে নিয়া গিয়া বইসা আছি আমি ভেড়ার রাখাল’
‘ঘুমাইতেছিলাম তখন, জাইগা দেখি আবার ভেড়াগুলি নাই – এইরকম…’
‘আমাদের বাছুরগুলি স্বপ্নে ভেড়া হয়া যায়’
‘হাঁটেন, হাঁটতে হাঁটতে ভাবেন, কেন এমন হয়’
‘ভাবনা প্রাকটিস করতে গিয়া দেখি চিন্তা বাবাজী নাই।’
‘বিলাই আইলো, দৌড়া!’
‘দুনিয়ার প্রাণীরাই সুখী, জড়দের খালি ডেপ্রিসিয়েশন কস্ট।’
‘এমন দিনে এইসব কথাই বলা যায়’
‘শাটল ট্রেনের ভিতর আমাদের গান’
‘স্টেশনে হুইসেল বাজে’
‘স্টেশন পার হইলেই অন্ধকার’
‘গোরুগুলি ফিরা গেছে ঘরে’
‘বাছুরটা কান্দেতেছে না আর’
‘এইবার ঘুমাও। এখন সকাল।‘
‘এইবার সকাল। এখন ঘুমাও।‘
পাখি গান গাইতেছিলেন
পাখি ডাকতেছিলেন পাখি ডাকতেছিলেন
পাখি উইড়া গেলেন পাখি উইড়া গেলেন
পাখি কি ফিরা আসবেন? পাখি কি ফিরা আসবেন?
পাখির ঠ্যাংয়ের তলে পাতলা দড়িটা কাঁপলেন
পাখির ছায়ার তলে উইড়া যাওয়া পাখিটা মরলেন
আমার কথা
শান্তমুখে
দুইজন ফেরেশতা
বসে আছেন আমার সামনে
আমি বলতেছি, কি কি পাপ আমি করছি
বলতে এতোটাই ভাল্লাগতেছে যে
যা যা আমি করি নাই
তা তাও বলার ইচ্ছা হইতেছে
বলতেছি একটু একটু
আফটার অল, উনারা তো ফেরেশতা
আমার কথাগুলি ডিসকাউন্ট করে নিতে পারবেন
এইজন্য আমি আরো আরো কইতে থাকি কথা
ফেরেশতারা চুপচাপ
কিভাবে যে রের্কড করতেছেন বুঝতেছি না
আমার বলার ভিতরে নিজেরে ক্রিয়েট করতেছি আবার
ফেরেশতারা সাক্ষী
যা যা আমি বলতেছি
জাজ করতে পারতেছেন তো উনারা?
মোতিঝিল
মনে যারে চায় না
মোতিঝিলে সে থাকে
তার থাকতে থাকার পাশে
একটা শাপলা ফুলও নাকি আছে
মনে যারে চায় না
মনে কি আর সে থাকে,
থাকে মোতিঝিলে
ওয়ান লাইনার
~ সিমিলারিটি ~
একটা কুত্তা হওয়ার পরেই আমি দেখতে পাইলাম আরেকটা কুত্তারে।
~ দুপুর ~
নিরব বেদনার মতো অনেক দূরে, ঘুরে ঘুরে উড়তেছিল চিল
~ আলবিদা ~
একটা চন্দ্রবিন্দুর লাগি কানতে কানতে পিছলাইয়া যাইতেছে একটা হসন্তের পা
~ ড্রিমার ~
জাইগা যে উঠবো, এইরকম দুনিয়া কই!
~ টাইনি মেটাফোর ~
এইসব অনুস্বার আর বিসর্গের লাইফ নিয়াই তো আমরা খুশি হইতে চাইছিলাম!
~ ইল্যুশন ~
তোমারই মতো অন্য কেউ আইসা নিয়া যাবে তোমারই মতো অন্য কারো কাছে
~ ফর্ম ~
প্রথমে খাঁচাটা বানাইলাম; তারপরে কইলাম, ‘অচিন পাখি, আইছেন তো!’
~ ভাষা ~
দৃশ্যের মাঠে ঘুইরা ফিরা ঘাস খাইতেছে অদৃশ্যের ঘোড়া
~ লানিয়াকিয়া ~
তোমার একটা চুলের আগায় ঝুলে থাকতেছে দুনিয়া আমার
~ ভিটগেন্সটাইন ~
আমি ভুলে গেছি তোমার অন্য নাম।
অভাব
আমি দুইদিনের বৈরাগী
ভাত চাই না মাগো,
অন্ন দাও।
ইট বিছানো রাস্তা
একটা ইট
আরেকটা ইটের পাশে
আরেকটা ইট আরেকটা ইটের পাশে
এবড়ো থেবড়ো, কিন্তু
পাশাপাশি
মাঠের ভিতরে,
একটা রাস্তা থিকা আরেকটা রাস্তা অব্দি
হাঁইটা গেছে;
একটা পা মিস করতেছে আরেকটা পায়েরেই
বৃষ্টির দিনে…
পি.জি. হসপিটাল
আমি তোমার দিকে তাকায়া থাকতে থাকতে
একটু একটু কইরা মইরা যাবো
বেকুব মাল্টা ফল, তুমি তবু গোল
হোলস
কান্দাটা
একটা সিঁড়ি দিয়া
উঠার মতোন
উঠতে উঠতে,
ছাদের দরজার কাছে আইসা
সামনে পা দিয়া
পড়ে যাইতেছে
নিচে
অনেক ট্রাই করার পরে
তুমি নাই,
তোমার না-থাকার ভিতর একটা ডলফিন ম্যাচের বাক্স বারুদ নিয়া কাঠিতে, ভিজতেছে রাস্তায়…
চোখ ঝলসানো আলো ঘরের ভিতর, সারারাত
অথচ কেউ নাই
শাদা শাদা কণাগুলি নিজেরা নিজেদেরকেই পুড়াইলো
তুমি নাই
ছাপান্ন ফুট ব্রীজের উপর থিকা
নরমাল শার্ট-প্যাণ্ট আর জুতা পইরা
সুপারম্যান লাফ দিয়া নামলো নিচে
দেখা লাগলো আমার একলা, খামাখাই…
তুমি নাই – এইরকম ইনকমপ্লিট দুইটা ওয়ার্ডে
লেখা লাগলো তোমারেই।
তুমি হাসলা, বললা, ‘যা খুশি তা-ই লেখো তুমি,
লিখতে না-পারার কোন লজ্জাও ত তোমার নাই।’
যদি বলতা তুমি, যেই তুমি নাই,
যেই তুমি সুপারম্যানের সাথে
ঘুরে বেড়াইতেছো অন্য কোন গ্রহে,
গ্রহাণু থিকা বাঁচাইতেছো দুনিয়ারে…
বিজি অনেক, অনেক অনেক কাজ
অ-কাজের ট্রয়ের ঘোড়া আমি
দেখে দেখে বুইঝা ফেলছো
‘এরে তো আমার কোন দরকার নাই’
অ-দরকারের ভিতর মুছে গেছি আমি
আমার নাট বল্টু খুলে খুলে পড়তেছে, কাঠের শরীর ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়তেছে
বলতেছে, তুমি নাই
অথচ সকাল,
তুমি আর তোমার দিন আর সময় সবই থাকতেছে
আমি জাস্ট প্রিটেন্ড করতেছি,
এই যে ইল্যুশন আমি, তোমার পারসপেক্টিভে, সেইখানে
তোমার না-থাকার ভিতর
তোমারে ইনসার্ট করার অনেক ট্রাই করার পরে মনে হইলো,
আরে, তুমি ত নাই।
হাজারো খায়েশি অ্যায়সি…
আমি মইরা যাব
তারপর বলবো যে, আমি মরে গেছি।
রেইন, রেইন
আই লাভ, আই লাভ… শি সেইজ, শি সেইজ। শি ইজ টকিং লাইজ। টকিং লাইজ। ইটস ন্যাচারাল। আই টোল্ড হার। নো বডি গেটস হার্ট। ইউ নো দ্যাট। শি স্মাইলস। শি স্মাইলস। উইথ হার বিউটিফুল আইজ। শি ব্লিংকস। শি ব্লিংকস। লাইক দ্য রেইনড্রপস ফলিং অন দ্য ট্রিস।
সুগার কেইন
প্রেম ছিলো না বইলা নদী সাঁতরাইয়া আমরা ওইপারে যাওয়ার কথা ভাবি নাই।
ওইপারে রাইস মিলের চাতাল, সিমেন্টের উঠান
আর দূরে ইটের ভাটার চিমনি থিকা বাইর হইতেছিল কালো কালো ধোঁয়া
নদীর পাড়ে রোদ
বড় বড় পাথরগুলির উপর বইসা ভাবতেছিলাম
প্রেম থাকলেই নদী পার হইয়া ওই পারে যাইতে পারতাম আমরা
তখন ভিজা কাপড়
তখন হালকা বাতাস
তখন ক্লান্ত আমাদের শরীর
আমাদের মন, একটু উদাস…
অথচ দুপুরের রোদ আরো কাইত হয়া আমাদেরকে জড়াইয়া ধরতে চাইতেছিল
একটা আখ-এর খেতে আরেকটা আখের লাঠির মতো
বাতাসে ঝুঁইকা পড়তে চাইতেছিলাম আমি তোমার দিকেই,
আর তুমিও হাইসা দিয়া কইলা,
হায় সুগার, তুমি এতো মিষ্টি ক্যান!
ফ্যামিলি
বেলুনটা চুপসাইয়া যাইতেছিল।
বাচ্চা পোলাটা হাততালি দিতেছিল।
বাচ্চার মা’টা হাসতেছিল।
বেলুনের ভিতর থিকা বাতাস বাইর হয়া
একটা এক লাইনের ফেসবুক স্ট্যাটাসের মতোন
এর ওর হোমপেইজে গরম হয়া ঘুইরা বেড়াইতেছিল;
তারপর বাতাস হয়া বাতাসে মিইশা গেলো।
বাতাস না থাকলে বেলুন আর কিসের বেলুন?
লিক ছিল মনেহয় কোন…
বাপ’টা পাশে বইসা আর কোনকিছু ভাবতে না পাইয়া
বেলুনের কথাই ভাবতেছিল।
ইলাসট্রেশন
বর্ণনার ভিতর
আটকাইয়া থাকা ভূত
ফিরে এসো
ফিরে এসো
তাকায়া থাকতে থাকতে
স্থির হয়ে যাওয়া চোখ
যেন অন্য আর মিনিং নাই কোন
যেন একটা শাদা পাতা
শাদা থাকতে থাকতেই বুড়া হয়া যাইতেছে
বাঁজা মহিলা
আর ইম্পোটেন্ট পুরুষের প্রেম
ফিরে এসো
ফিরে এসো
ধীরে ধীরে ক্রিয়েট হওয়া সাসপেন্স
মবিল-তেলে ভাজা ভাজা ক্রিসপি তেলাপোকা ফ্রাই
জীবন যেইখানে অন্যরকম
পারসোনাল মিথের ভিতর জড়োসড়ো ট্রুথ
ফিরে এসো
সন্ধ্যাবেলার ঘুম, বামুনের সাথে
ফ্লার্ট করতে করতে চাঁদের সেক্স
তারপর মলিন হাসি, যৌন-ঈর্ষার মেঘ
ফিরে আসতে আসতে হঠাৎ উদাস বাতাস
ফিরে এসো, ফিরে এসো
সাগরের নিচে ডুবরীর অক্সিজেন শেষ হওয়ার পরে দেখতে পাওয়া মুক্তার বিভ্রম
ডাস্টবিনে পড়ে থাকা পর্ণ সিডির দুঃখ
ভিজা বৃষ্টির গন্ধের মতোন একলা দিন
রিটায়ার্ড-হার্ট ব্যাটসম্যান আসতেছে ড্রেসিংরুমে, হাঁটতে হাঁটতে
আর টিভি ক্যামেরা ফিরে যাইতেছে পিচের দিকে
ফিরে এসো ক্রিকেট ব্যাট
চামার-পট্টির আঁধার
কাঁপতে থাকা ভোর
অ্যাড্রিনালিন রাশ
দেখতে দেখতে নিভে যাওয়া দৃশ্য
কাটপিসের মতোন ঝাপসা ইল্যুশন
ফিরে এসো, ফিরে এসো
আবার।
পুরানো দিনের গান
এই ড্রিমি ড্রিমি
সাগরের পাড়ে বন্ধু
এই হাল্কা ড্রাউজি সন্ধ্যায়
কে যে কোথায় চইলা যাবো
মনেও থাকবে না আর
তখন না থাকবো আমি
আর না থাকবা তুমি
মনে হবে মাঝে মধ্যে
এই ড্রিমি ড্রিমি সাগরের পাড়ে, বন্ধু
এইরকম ড্রাউজি সন্ধ্যায়
হাঁটতেছিলাম আমরা।
নাকি, তাও হাঁটি নাই?
হাঁটবো বইলা ভাবছিলাম
আর
ভাবাটারে সত্যি ভাইবা
একটা সিন ক্রিয়েট করছিলাম?
যেইখানে ড্রিমি ড্রিমি সাগরের পাড়
যেইখানে ড্রাউজি সন্ধ্যা…
ইল্যুশন
সব ইল্যুশন আসে
কামরাঙ্গার গাছের পাশে
শব্দ আর টাইমের পাল্লায়
ওজন দেয়া লাইফ
এখনো কই মাছের মতোন
লাফাইতেছে
একলা একটা চিল আকাশে
অনেকগুলি বকপাখি নদীর উপরে, ওড়তেছে
কয়েকটা কাক কাছাকাছি আইসা বসে
সন্ধ্যা আসতেছে ওদের করুণ চোখে
ইল্যুশনগুলি কামরাঙ্গা গাছের পাশে
নিভে আসে
বৃষ্টির অন্ধকারে
শরৎ হইলো আরেকটা বসন্ত, একটু লাউড আর কি…
তুমি বইসা আছো
তোমার বইসা থাকা দেইখা
রোদ আটকাইছে গাছের পাতায়
তুমি দেখতেছো, আসতেছে হন্তদন্ত তোমার প্রেমিক
সে তোমারে দেইখাই বলবে, সরি!
তখন তুমি খুশি হইয়া যাবা কি যাবা না – ভাবতেছো;
ভাবনার গভীর রোদের ভিতর কত কত রিকশা
হিবিজিবি দাঁড়ায়া আছে
এতো এতো রোদ আজকে শহরে, বুঝলা
ভালোই লাগতেছে না, এর লাইগা ভাবলাম
‘তুমি বইসা আছো’…
তোমার প্রেমিক আসতেছে, রইদের ভিতর একটু ছায়া
কুত্তা একটা ঘুমাইতেছে, টি-স্টলে
বাতাসে তার কান কাঁপতেছে
এতো যে হর্ণ গাড়ির, তবু ঘুম ভাঙতেছে না…
ভাষা আন্দোলন
অন্য একটা ল্যাঙ্গুয়েজের ভিতর বইসা আছি;
কথা বলতেছে লোকজন –
‘টজমহ তহ নজকটডুগ, ঋমৃইডপ তগটবৃ?’
[তুমি কি বুঝতে পারবা, আমাদের কথা?]
কি সুরেলা অদের উচ্চারণ!
আমি ভাবি, আমিও অন্য ভাষায় কথা বলবো:
‘টজমহ তহ ঋঋপ ঋমৃপড বহসনৃ?
ঋমহ টগ ডতবগস গসসগ রৃউবৃপ দগত’
[তোমার সাথে আমি কথা বলতেছি তো?]
তোমার সাথে কথা কইতেছি, অথচ তুমি বুঝতেছো না
ভাল্লাগতেছে আমার, মন-খারাপও হইতেছে কিছুটা।
🙁
[অনেকটা এই ইমোটারই মতোন]
সকাল নয়টার রোদ, শরতের
কি যে রোদ!
মাতাল করার মতো,
ছাদে, পানির ট্যাংকির ছায়ায় বসে
বিয়ার খাওয়ার মতো
বনানী রেলস্টেশনে গিয়া আজাইরা বইসা থাকার মতো
কফিশপের বারান্দাগুলি আরো নমনীয়,
আরেকটা টেররিস্ট এটাক না-হওয়ার বেদনার মতো…
অনেকগুলি সিঙ্গারার পাহাড়ে একটা সিঙ্গারার চূড়ায় বইসা থাকা রোদ
ক্যাটনমেন্ট রেলস্টেশনে পইড়া থাকা খালি মালগাড়ির ওয়াগনগুলির মতো
একলা, বাট নিঃসঙ্গ না তো!
যাত্রী-ছাউনির সিটে শাদা-চেকের লুঙ্গি আর বাদামি কালারের শার্ট পইরা রাস্তার দিকে পাছা দিয়া শুইয়া থাকা লোকটার মতো
গর্গর্ গর্গর্ বাসের সাউন্ড
অ্যাংরি প্রাইভেট-কারের হর্ণ
চিপা দিয়া চইলা-যাওয়া মোটরসাইকেল
মিলিটারিদের মাঠ আর বোবা বোবা দালান
দুইটা কামান… রোদের মতোন
ঝলমল
আমি দেখি সোনার ছবি, আবার দেখি
দেখি, রোদ
কলাপাতায়, বেগুনিফুলে, ইলেকট্রিকের থামে, মসজিদের মাইকে
‘দিস ওয়ে’ সাইনবোর্ডে
আবার কি দেখবো, আবার কি দেখবো, নাই রে…
শরতের বাতাসে যেই মিথ্যা কথাগুলি আসে
জানি দেখা না যায় আমারে
এইরকম অন্ধকার ঘরে
বইসা থাকি, ভাবি
আমারে আর কি দেখবো আমি?
অনেক অনেক দিনের পরে
কোন এক শরৎ-এর বাতাস
আইসা বলে, “তোমারে দেখছিলাম তো আমি!
দুপুরের দিকে, রেললাইনের নিচে… হাঁইটা হাঁইটা
চইলা যাইতেছিলা তুমি…”
বাতাসটা এমনভাবে কইতে থাকে,
ভুল কথাগুলি!
যাতে মনেহয়, আমিও ওরে চিনি
আমাদের মিথ্যাগুলি যেমনে কানেক্ট করে আমাদেরকে
সত্যিগুলি পারে না তো আসলে, কনফিউজ করে
বারান্দার দড়িতে জামা-কাপড়গুলিরে দোলায়
একলা একলা কিছুক্ষণ থাকে
তারপর
অন্য কাউরে গিয়া হয়তো অন্য কোন কথাই বলতে থাকে…
কাউন্টারফিটের ভাবনা
মুহূর্তেই আইডেন্টিফাই হয়া যাবে কাউন্টারফিটগুলা, উধাও হয়া যাবে…
তোমার ঘুমায়া থাকার সুযোগে
রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতেছিল তারা
অবজেক্টিভ নাই কোন লাইফের, একসাইটমেন্টও নাই
আরেকটু হইলেই ডিবি পুলিশের হাতে ধরা খাইতো
অবশ্য, কি কি জানি ভাবতে ভাবতে এমনিতেই নাই হইয়া যাইতেছিল…
তাদের না-থাকাটাও দেখতে পাইতেছিল না কেউ
তারা ছিল যেই ইল্যুশনের পেটে, তারও মেবি হইতেছিল, হজমের গন্ডগোল
মানে, রিয়ালের দুনিয়ায় কাউন্টারফিটগুলি কখনোই তো অমর হইতে পারে না
তবু ঘুম যখন ভাঙলো তোমার, মনে হইলো –
দুয়েকটা ফেইক আমি, যা ছিল আমার ঘুমের ভিতর, বাঁইচা ছিল আমারই মতোন;
রইলো না কেউ-ই আর…
দরজা খুললেই যাবে বাইর হয়া, তখন
বারান্দায় কয়েকটা চড়ুই, রাস্তায় কয়েকটা রিকশা, ইট ভাঙতেছে কয়েকজনজন লেবার…
রিয়েল রিয়েল সব মানুষ হাঁটতেছে রিয়েল রিয়েল সব বেদনা নিয়া
ইগো
একটা বিশাল অজগর সাপের পেটের ভিতর বইসা আছি।
অজগরটা হাল্কা একটু অস্বস্তি নিয়া ঘুইরা বেড়াইতেছে।
হজম কইরা ফেলবে কিনা বুঝতেছে না
নাকি উগরাইয়া ফালায়া দিবে
আমি তো মইরাই যাবো একদিন না একদিন;
অজগরটার লাইগা খারাপ-ই লাগতেছে
একটা ভয়েড আসে
একটা ভয়েড আইসা কাইন্দা বলে,
গেট ব্যাক টু মি।
একটা পাতার নিচে আরেকটা পাতার কবর।
একটা চিরুনির দাঁতে গতরাতের চুলের ময়লা জইমা আছে।
একটা ভয়েড আসে বিকালের বাতাসের সাথে,
সিলিং ফ্যানের ব্লেডে, বাথরুমের একটু খোলা দরজার চিপায়
দাঁড়ায়া থাকে।
একটা ভয়েড আসে,
দশতলা দালানের কোণা থিকা কিছু মেঘ
কাশতে কাশতে সরে যাইতেছে
একটা রিকশা আসে, আস্তে আস্তে ঘণ্টা বাজাইতে বাজাইতে
সে তো আসছে কাউরে না কাউরে নিয়া যাইতে,
যে চাইবে, যাইতে…
একটা ভয়েড আসে আর যা কিছু দেখা যাইতেছে আর দেখা যায় না
তার সাথে মিশে থাকে
আমি তারেই দেখি খালি
আর সে আমারে দেখে,
কেউ না কেউ তো দেখবে আমাদেরকে…
আমার ভয়েড আর আমি ওয়েট করতে থাকি, ঘুমায়া পড়ি
আমার ভয়েড জাইগা থাকে আমার ঘুমের ভিতরে
যদি আমি তারে কখনো স্বপ্নে দেখি!
ইউ আর মাই সানশাইন…
একটা মেজর থটের পিছনে
অনেকগুলি মাইনর থট
এইদিক ওইদিক থিকা আইসা
আটকাইয়া রইছে সবদিকে
তার উপরে আবার থট প্রসেসগুলাও
অনেক ন্যারো, যার ফলে
এই ট্রাফিক জ্যাম রাস্তায়,
বুঝছো?
চোরের কাহিনি
মুর্গি চুরি বাদ দিয়া আমি গেলাম
পুকুর পাড়ে, দুপুরের পরে
কুয়া’র পাড়ে’র থম-মারা সুনসান
ভালোই লাগতেছিল না;
কোন এক যুবতী বউয়ের গোসল বাঁশ-ঝাড়ের চিপায় দাঁড়ায়া দেখার মতোন একটা দুপুর
পুকুরের ঘাটেও নাই কোন হাঁস
নাই কোন গোপন দেখার মতোন দৃশ্য
মুর্গি চুরি বাদ দিয়া আমি খামাখাই গেলাম
গিয়া দেখলাম পুকুরের পানি নিরব
নিরব বাড়ি-ঘর, তার পাশের রাস্তা-ঘাট
একলা এই রাস্তায়
যেন আমি হাটেরই লোক, যাইতেছি কোথাও…
চোর-ই না কোন
জানা
…কিন্তু জানা, কোনদিন, সামান্যভাবে, তোমাকে পাবো না আমি..
/আহমেদ মুজিব
হয়তো আমাদের না-জানাগুলির ভীড়ে একটা জানা কোণায় গিয়া বইসা আছে;
তারে আর দেখা-ই যাইতেছে না
শীত আসার আগে শরৎ-এর বাতাসের মতোন
মুছে যাইতেছে, ধীরে
একটা না-দেখার মতোন আমাদের একটা জানা; ছিলো, আছেও মনেহয়
না-থাকা, থাকতে থাকার মতোই তো কোন একটা ঘটনা
শুক্রবার সকালে ইট-ভাঙ্গা বাদ দিয়া কয়েকজন লেবার করতেছে চিল্লা-পাল্লা
সারারাত ঘেউ ঘেউ কইরা ঘুমাইতেছে
সামনের বাসার কুত্তাটা;
তার কথা কইয়া স্পেসিফিক কোন মানুষরে ইন্ডিকেট করতে পারলে
কবিতা হবে না?
‘হবে তো, হবে না কেন? হবে…’
মৃদুমন্দ বাতাসেরা বলে, দুর্গাপূজার ঘ্রাণে
গাছের পাতায় রইদ বসে
শাদা শাদা বিল্ডিংগুলি শরীর শুকায় ওদের,
বিভিন্ন আলোর শেইড বিভিন্ন দিক থিকা আসে
একটা জানা ঘুপটি মাইরা বইসা থাকে অনেকগুলি না-জানার কমর্ফোটের ভিতরে
গান, শহর, শীত, সন্ধ্যা
একটা শহরে
একটা গান
একটা গান
একটা শহরে
সন্ধ্যাবেলায়
একটা একসিডেন্টের কাছে
জোরে ব্রেকের কাছে
আইসা থামার পরে
অনেক গালিগালাজ
অনেকক্ষণ
চুপচাপ
থাইকা
কইলো,
যাই গা
রে!
আমি যাবো বাড়ি
একটা শহর
একটা গান
না বাজতেই
শেষ হইলো
বাজবে মনেহয়
আবার
যে কোনদিন
ফিরা আসবে
আর গান
থাকবো তো
মনে!
মনে
থা
ক
লো…
এ
ক
দি
ন
ভুইলা যাওয়ার পরে
আরে
শহরে
গান
আসছে
শীতের বিকাল
এখন
ধোঁয়ার মতোন কুয়াশা
গান তো নিজেরে লুকাইতেই পারতেছে না
ফটো তুলতেছে, শ্যুট করতেছে
নিজে নিজেরে
নিজ নিজ শহরের আছে নিজ নিজ গান
একটাই না তো
কতগুলি গান একটা শহরের
কতগুলি শহরের একটাই গান
পানির ধারে বইসা থাকতে থাকতে
ঘোলা সূর্য ডুবতেছে দূরে
‘ছিলো
ম
নে
?’
বইলা কতকিছু ঘোলা হইয়া গেলো
টিকটিকির লেজের মতোন
পইড়া গেলো
টুপ কইরা
সূর্য
রিপিট হইতেছিলো
শাট শাট শাট শাট
শাট ডাউন
শাটারগুলি
সাঁতরাইতেছিলো
সৎ-মায়ের মতোন ভালোবাসা
একটা গান
গাছের পাতা বাইয়া
ল্যাম্পপোস্টের লাইট হইয়া
রাস্তায় পড়তে পড়তে
নাই হইয়া যাওয়ার পরে
মনে হইলো
ছিলো-ই না
থাকার মতোন
একটা ভীড়
মিশে যাইতেছিল
গান একটা
শহরে
ঘোলা
কুয়াশা
ধোঁয়া
একটা সুন্দর আগুন
জ্বলতেছিল কোথাও?
পানিতে
চাঁদের ছায়া?
রাত
বটগাছের ঝুল ধইরা
ছিল বইসা
ইল্যুশনও ছিল
সময়ের
ছিল
আজাইরা
কিছু ছবি আঁকা
বাস্তবতা
ছিল, এখন আর নাই
না-থাকার
একটা গান
একটা শহর
সাপের লেজের মতোন
গুটাইয়া থাকা ফিতার মতোন
জড়োসড়ো
কথা বলতেছে
আর
অথচ
হেই, হেই
ডাকতেছে
গানটাও শুনলা না?
নিয়ার ফিউচার
হঠাৎ কইরা একটা হঠাৎ আইসা কইলো, আরে হঠাৎ, হঠাৎ হঠাৎ কই থিকা যে আসো তুমি হঠাৎ। হঠাৎ হাসে, কয়, এইরকম হঠাৎ, হঠাৎ হঠাৎ-ই তো হঠাৎ। হঠাৎ কয়, হ, হ, ভুলেই গেছিলাম আসলে। তারপর হঠাৎ থাকে না আর। হঠাৎ কইরা চইলা যায় হঠাৎ।
টেক্সচুয়াল
ধীরে ধীরে
অথবা
ধী রে ধী রে
অ্যা
পো
ল
নি
য়
রে
র
বৃষ্টি
পড়ে
নভেম্বরে
মন-পাখি
পুলিশ হইয়া দাঁড়ায়া আছি আমি মেঘনাব্রীজের গোড়ায়
চিল হইয়া উড়তেছি আমি আকাশে এখন
বালুর কার্গো হইয়া ভাসতেছি আমি
আমি মোটরসাইকেল তোমার, আমি বন্ধ দোকান
আমি ঝিমানো পরীক্ষার হলে প্রাইমারি স্কুলের টিচারের ঘুম ঘুম চোখ
চাতালের কাক আমি
ফ্লোরে শুইয়া থাকা ধান – সিদ্ধ ও আতপ
এতকিছু হওয়ার পরে মনে হইলো,
মন তুমি হইলা না আপন…
নভেম্বরের সন্ধ্যা
যেন সে জানে
এই জানার কোন শেষ নাই
এইজন্য বাঁইকা যায়
হাসি আর ঠাট্টায়
কয়, জানি তো…
তার জানার ভিতরে সন্ধ্যার কুয়াশা জমে
ঘ্রাণ জেগে উঠতেছে শিউলি ফুলের
নিভে আসতেছে সানফ্লাওয়ার খেতের আলো
একটা দুইটা জোনাক পোকার মতো জানাগুলি জ্বলতেছে, নিভতেছে…
যেন তারা জানে, জাইনা-যাওয়া কি রকমের নিরীহ, অব্যক্ত…
অন্ধ ঝিঁঝিঁ পোকাদের কাছে
একটা আলোর রেখার মতো
না-জানার পরেও
গাইতেছে গান
‘জানা’রে জানি আমি না-জানা দিয়াই তো…’
মুর্হূত আর স্মৃতিগুলি
তোমার ক্লাসরুমের বাইরে দাঁড়ায়া আছি।
তোমার পরীক্ষা শেষ হইতেছে না।
একটা একটা কইরা পিঁপড়া আমার পায়ের কাছ দিয়া চইলা যাইতেছে কতোক্ষণ ধইরা…
কতোক্ষণ ধইরা আসতেছে আর যাইতেছে বাজারের রিকশাগুলা
ভীড় বাড়তেছে লাকি ফার্মেসীতে
বই বিতানও শুরু করছে বইয়ের ধূলা ঝাড়া
শাদা একটা বিল্ডিংয়ের দোতলায়
সবুজ দরজার দিকে তাকায়া আছি
তোমার পরীক্ষা শেষ হইতেছে না
পিঁপড়াগুলি চইলা গিয়া ফিরা আসতেছে আবার
আবার একটা দিন ফিরা আসতেছে আরেকটা দিনে
দিনে দিনে বাড়তেছে আমার দেনা
সময়গুলি লাফাইতে লাফাইতে মেঘনার পাড়ে গিয়া দাঁড়াইছে,
বুঝতেছে না লাফ দিয়া পইড়া যাবে কিনা;
তোমার শেষ পরীক্ষাটা শেষই হইতেছে না
আমরা জানতাম এইটাই শেষ,
শেষ হইছে বইলাই শেষ আর হইতেছিল না;
ভোরের আগে আগে ঘুম থিকা উইঠা বমি কইরা দিয়া আবার ঘুমায়া যাওয়ার মতো
একটা শেষ ছিলোও হয়তো
কিন্তু ঠিক থাকতেও পারতেছিল না
ছিলো? ছিলো তো…
পিঁপড়াগুলি আমার পা বাঁচায়া চলে চলে যাইতেছিল
যা ছিলো, তা তো ছিলো; ছিলোই না।
Leave a Reply