বেলা বিস্কুটের বাস্তবতা
কি ভালোই না হইতো, যদি তুমি তোমার ম্যরালিটির গর্ত থিকা বাইর হইতে পারতা;
যদি আমি ভাবতে পারতাম প্রাকটিসগুলাই তো আর মানুষ না
(শেখ হাসিনা বেলা বিস্কুট খান বইলা আমি বেলা বিস্কুট খাইলেই তো আর শেখ হাসিনা না, এইরকম…),
এর বাইরেও কিছু না কিছু থাকে; থাকতে তো পারে
অহেতুক ইমাজিনেশনগুলির বাইরে, আমাদের রিয়ালিটির একটা দুনিয়া।
এজরা পাউন্ড
এই ভয় আমারও হয়,
কথা বলার পরে
মনেহয়
এজরা পাউন্ডের যেমন
নার্ভাস ব্রেক-ডাউন হইছিল
আম্রিকার কনাসনট্রেশন ক্যাম্পে
সেকেন্ড ওয়ার্ল্ড ওয়ারের পরে;
তার পরে
পলিটিক্স বুঝেন নাই বইলা
কবি ফ্রেন্ডদের হেল্প নিয়া
কবিদের ফ্রেন্ড হইয়াই
বাঁইচা থাকাটা মাইনা নেয়া
পারা যায় তো মনেহয়
একটু ভুল-টুল বুইঝাও
বাঁইচা থাকাটা তো
আসলে পসিবল, তাই না
এজরা পাউন্ড?
আপনার অটামকালে আমি বসন্ত
১.
বাতাস ভীত,
আমাদেরই জন্য;
খালি আউলাইয়া যায়।
২.
দূরে থাকার সুগন্ধ নিয়া বইসা থাকি
সময় তো আছে
আসা আর যাওয়ার লাইগাই
৩.
‘কেনো আসেন আর কেনো যে চইলা যান…’
৪.
“যেই ফুল ফুটে
সে-ই তো মরতে পারে”
৫.
কি সুইট!
মরার কথা বলতে পারি আমরা
বাঁইচা থাকতে থাকতেই।
৬.
‘ফকিন্নি এঁরা, বুঝছেন?
এঁদের কথার কোন মিনিং নাই
চন্দ্রবিন্দু দিছি এমনেই’
৭.
‘কি যে ভাল্লাগতেছে
রোদ এখন’
“সন্ধ্যা কি আসবে না
সাগরে তিমি মাছের মতোন
হঠাৎ?”
৮.
‘হইছে, বহুত টাইম গেছে…’
“আসতে কি বেশি টাইম নেয় ওরা?”
‘হা হাহা… নাহ্, সবসময় না’
৯.
নাতিশীতোষ্ণ
আমাদের মন
মনে-ই থাকে না আসলে
কি সিজন?
শীত আসতেছেন
থাকবেন কয়দিন,
চইলাও যাবেন
ফিরা আসার আগেই
আপনার কথাও
আমি ভাববো তো,
কিছুদিন।
চিকেন উইংস
আরেকটা শহর আমি থিকা আসছি;
চাইলে থাকতে পারতাম এইরকম আরো
চাইর পাঁচটা শহরেই;
ইন ফ্যাক্ট আমি তো একটা পাখিই!
ঠ্যাং-এ খালি প্লাস্টিকের সুতা বান্ধা বইলা
তা নাইলে তো আমি উড়তেই পারি
উড্ডয়ন শব্দটাও জানি…
সবুজ সস দিয়া চিকেন উইংস
খাইতে খাইতে আমি ভাবি
মুর্গি-পাখিটার কথা
ডানায় এইটুক আনন্দ আছিলো তো
তার
বাঁইচা থাকার টাইমে?
রিয়ার ভিউ মিররে
হৃদয়, তুমি সাউন্ড করো
ভুভুজেলা বাজাও
তোমার একলা বাসায় কে আসে আর কে যায়
তার এন্ট্রি লিখতে লিখতে ক্লান্ত আমি
তুমি বাল রাস্তায় নামো
বাসে ওইঠা বসো এমন সিটে
রিয়ার ভিউ মিররে যাতে তোমারে দেখা যায়
যাইতে যাইতে যে চলে যাইতেছে
সে তো ভাবতেই পারে কিছু একটা রয়া যাইতেছে পিছে
জানি যে পিছন, নড়তে চড়তে পারে না সে;
আর পারলেও হৃদয় আমার
ধইরা রাখে তারে
কয়, ‘না, না, ছেড়ে দিবো না…’
যেহেতু সে চলে যায়, যাইতে যাইতে একবার
রিয়ার ভিউ মিররে তাকায়,
কয়, ‘হৃদয়ের এতো কাছে ছিলা তুমি ,
ভুভুজেলা কেন বাজাও নাই !’
হৃদয়, তুমি সাউন্ড করো
ভুভুজেলা বাজাও
ওই দেখো প্রেম, তাকায়া আছে, রিয়ার ভিউ মিররে আবার …
জোড়া কবিতা
“আমারে কিনেন, আমারে কিনেন…”
বলতছে ফুল, লতা পাতা পাখি সাপ
ওয়েদার ফোরকাস্ট – বিকাল হইছে এখন
এখন সন্ধ্যা; লাইট’টা জ্বলছিল, লাইট’টা নিভলো
লাইট’টা জ্বললো আবার
নেইবারের ঘরে বার্থডে পার্টি
আরেক নেইবার ঘুরতে গেছে তাই অন্ধকার
আর
চাঁদ উঠছে, আবার মেঘ
স্প্যাগেটি খাইছি আজকে, ভেজিটেবল স্যান্ডুউইচ
এখন নবীজীর সুন্নত – চকোলেট, প্যালেস্টাইনের
সাহস নিয়া সময় যায়, আর কি কি কে কে
কি কি যে লেখে আবার দেখেন হাসিও আসে
আর হাসি না এখন অথচ দেখি যে তাদের দেখা
তারা তারা আর অন্যরা, আপনি ও আমি
আমরা জানি যে জানি আর তারা ও আমরা
আমি ও আপনি এক না হই, আলাদা যে এইটুক
নিয়া এই মোমেন্ট আরো কতো গান, সিনেমা
যাইতেছে চলে আর তার সাথে আমার মন কেমন
করে; আমি যে চলে যাইতেছি, আমারে কিনে রাখেন
লিখে রাখেন, যেতে দিয়েন না…
ইনভিসিবল হ্যান্ড অফ ফ্রি মার্কেট ইকোনমি
ভাতের ফেনের পাশে
আরেকটা ভাত
ঝুলে আছে ডেকচির কোণায়
তারে
পড়ে যাওয়া থিকা
প্রটেক্ট করে যাইতেছে
একটা হাত।
বিকাল
বসে থাকতে থাকতে
বসেই থাকতেছিলাম,
বসে থাকতে থাকতে
পা-গুলা চেয়ারের
বসেই থাকতেছিলো
বাইরে বিকালের রোদ
বাইরে রাস্তায় গাড়ি-টাড়ি কম
দূরে, আরো দূরে
ফটো কি তুলতেছে না কেউ?
নবমী
তোমারে ফেলে দেয়ার আগে কি যে তুমুল ভালোবাসি
ফেলে দিবো বলে, কোলে তুলে রাখি
কোলে তুলে মনেহয়
ফেলে তো দিবো না কোনদিন
কোনদিন মানে আজকে
দুপুর, রোদ, একটু বাতাস, নিরব অ্যাটমোস্ফেয়ার
উঁচা মেঘ নেমে আসছে জানি নিচা রাস্তাতে
তোমারে কোলে নিয়া বসে আছি
কোলে বসে তুমি ভাবতেছো
যে কোন ভাবনার মতোই এই কোল
ফেলে দেয়া যাবে
গভীর কাননে। রাত্রির অগাধ বনে
কতোই না ভেড়া শেয়াল ভেবে ঘুরে,
উস্টা খেয়ে চলে যাবা, এমনই র্দুঘটনার
আগে। একটা ভিজিবল ডিসট্যান্সে
কোলে নিয়া বসে থাকি
Leave a Reply