সিলেক্টেড পোয়েমস: ফেব্রুয়ারি, ২০১৬।

ঞমপজদ

বৃহ ঞমপজদ! বৃহ ঞমপজদ! মগপদডগ টগ টগপ উবৃসটহ বগনড সৃ।

 

দুপুর

পর্দাটা উড়তেছে একটু, পুরের জানালার।
সময় চইলা আসলো সিলিং ফ্যানের সুইচ টিপার।

আসতেছে গরম, বসন্তের দিন।

 

থ্রিলার

বাতাস বসন্তের। কুয়াশা মিশতেছে ধূলায়। বাজারের ব্যাগে গলা বাইর কইরা উঁকিঝুঁকি দিতেছে শীতের সব্জিরা। রিকশায়, হেডফোনে, চলে যাইতেছিল গান। ‘মি. ওয়াটসন, কাম হেয়ার -’ বলতেছিল, ধূলা-মাখা গাছটা।

 

শেয়ালের লেজের মতো এক নিরবতার কাছে

তোমার ‘না’ রে তো আমিও ভালোবাসি।
খালি কথা থাকে না কোন
এমন একটা নিরবতা যা পার হওয়া যায় না…

হবোও না আমরা,
একদিন ক্লান্তি আইসা নিয়া যাবে তোমারে,
নিরবতাই থাইকা যাবে শেয়ালের লেজের মতো
আবছা, একটু দূরে…

ব্রীজ অফ গড ক্রস করার পরে
হয়তো দেখা যাবে তারে।

‪‎

ম্যাংগো‬

একটা পাকা আম সামনে রাইখা তাকায়া থাকি।
উঠতে ইচ্ছা করে না।
চোখ বন্ধ কইরা মনে মনে খাইতে থাকি।
আমটা আমার মুখের ভিতর
অথচ টেবিল, টেবিলের উপরও একটা
থাইকা যাইতেছে….
আরে!

 

কয়েকটা ইমেজ

বিদেশে থাকার মতোন দিন। অনেক বাতাস।
একলা ঘরের জাজিমের কথা মনে পড়ে।
মেট্রেসের মতোন স্পেসিফিক দিন।
অনেক অনেক বাতাস।

সাগরের পাড়ে, মানুষের ভীড়ে দাঁড়াইতেছিলো একটু,
তারপর কইলো, সূর্য আপনি ডুইবা যান।
ছবি তোলা শেষ হইলো।

ঘুরতে ঘুরতে চাঁদরে নিয়া আসলো। দুনিয়া
উল্টাইলো না। এইরকমই তো, ঘূর্ণায়নমান।
ঘুরতে ঘুরতে গড়াইয়া পড়লো একটা দিন।
ধীর, একটা গরুর গাড়ি হাঁইটা যাওয়ার মতোন
অথবা নিডোর হলুদ টিনের মতোন, স্থির….

 

পাহাড়ের দিন

মাওবাদীদের আঞ্চলিক অফিস পার হইয়া আমি যাইতেছিলাম আরেকটা পাহাড়ের দিকে।
ওইখানে একটা ছনের ঘর। কেউ নাই মনেহয়।
ওইটাই আমার ঘর। সারারাত জাইগা থাকার পরে, ঘুমাবো।
ঘুমায়া ঘুমায়া স্বপ্ন দেখবো, চেয়ারম্যান মাও।
কি জানি বলতেছিলেন উনি… হাসতেছিলেন একটু।
আমার আর মনে নাই

২.
এইদিকে সন্ধ্যা। সবুজ পাতার উপর নামতেছে কালো অন্ধকার
কালো ঠোঁট বাঁকা হইয়া বুঝে নিতেছে,
টুপ কইরা গিইলা ফেললো ছোট অস্পষ্ট পোকা একটা,
তারপর গম্ভীর। আবার।

৩.
পাহাড়ে। উঠতে উঠতে। হাঁটুতে হাত রেখে, দাঁড়ায়া একটু
ভাবতেছিলাম, ওই দূরে…
আরো কিছু দূরের কথা যদি ভাবা যাইতো
দুইটা গ্রামের পরে যেমন আছে আরো পাঁচটা গ্রাম, আর একটা ঝর্ণা…
না দেখলাম, থাকতে পারে না?

৪.
বৃষ্টির মতোন। কয়েকটা ফোঁটা।
চুমা খাওয়ার বদলে জিভ দিয়া নিজের ঠোঁট চাটার কথা মনে হইলো।
ওয়াইপার ঘোরাইতেছে গাড়ির, খামাখা এক ড্রাইভার।
গান গাইতে গাইতেই নিজের ঠোঁটের উপর হাত রাখলেন অমিতাভ। (তখনো অমিতাভ হইতে পারেন নাই।)
জয়া ভাদুড়ি এত জোরে মাথা নিচু করলেন যে উনার ঠোঁট আর দেখতেই পাইলাম না
ঠোঁট টিইপা হাসতেছিলেন মনেহয়।

৫.
নিরব একটা অস্বীকারের ভিতর অল্প একটু চেত নিয়া দাঁড়াইছে দুর্বাঘাস;
একটা বাতাস – কই সে, পারলে তারে নুয়াইয়া ফেলুক!
পাইলিংয়ের গর্তের পাশে দুইটা জোনাকি পোকা গল্প করতেছে,
‘নিইভা যাবো গো আমরা, বুঝছো?’
‘তুমি যাও! আমার পুটকির লাইট আমি তবু জ্বালায়েই যাবো’

৬.
একদিন বইসা থাকলাম মাটির ঘরের, কাঠের দরজার পাশে
নারিকোল গাছের ছায়া সরতে সরতে একবার পায়ের কাছে
মনেহয় ছুঁইয়াই ফেলবে; আমি তো আর সরি না, দেখি সে
চলে যে যাইতেছে, যাইতেছে, যাইতেছে, যাইতেছে, যাইতেছে

৭.
আমার জ্যাকেটের পকেট থিকা রোদ, গড়ায়া পড়তে থাকলো।
ঝাপসা দিনের ভিতর ঘুমায়া যাইতেছিল আরেকটা শীতকাল।
পাহাড়ে, চেয়ারম্যান মাও-য়ের সাথে।

 

গরিব কবিতা

আমি গরিব হয়া যাইতে পারি, এই ভয় আমার সবসময় হয়। ভয়ের কারণে এইরকম হয় না যে, আমি টাকা জমাইতে শুরু করি, বরং গরিব হইলে আমি আর যা যা করতে পারবো না বইলা ভাবি সেইসব করতে থাকি একটু একটু। গোপনেই। মানে খুব ক্যাজুয়ালিই (গোপন শব্দটাও তো আসলে গরিব একটু)। একশ টাকা দামের চকলেটের জায়গায় আঠারোশ টাকা দামের চকলেট খাই। ওরা একটু বেশি শক্ত, অরিজিনাল মনেহয়। মনেহয় অনেকদিন রাইখা দিতে হয়, দাঁতেরও পরীক্ষা হয় কিছু। তারপর মনেহয়; না, গরিব মনেহয় হমু না, বা হইলেও বা কী, টাকা থাকলে যেই চকলেট খাওয়া যাইতো, খাইয়াই তো ফেলছি।

 

পুরান ফ্রেন্ড

কি রকম ভোঁতা দিন। কোন রাগ ছাড়াই বইসা থাকা যায় ট্রাফিক জ্যামে; অথচ তেমন জ্যামই নাই রাস্তায়। কোথায় যাবো না যাবো ভাইবাই হাঁটা শুরু করা যায়। রাস্তায় দাঁড়ায়া সিগ্রেট খাইতেছিলাম। এর আগেই শুভ’র কথা বলতেছিলাম আমরা। এখন নাকি দাড়ি রাখছে। মানুষরে ধোঁকা দেয়ার কোন একটা সুযোগ ও ছাড়বো না, এই জীবনে। জুয়েলের কথাও ভাবি, কিন্তু বলি না। অন্যরে নিয়া কথা বলতে বলতেই মনেহয়, যখন অন্য কেউ আমাদেরকে নিয়াই কথা বলে, তখন? নিজ’রেও অন্য অন্য লাগে। ছবি তোলার পরে তার দিকে তাকায়া দেখা যাইতে পারে। বন্ধুর চোখে তাকায়া দেখার চেষ্টা করি। ঘোলা লাগে একটু। ও-ও বলতে চাইলো, শব্দগুলি ত বদলাইছে কিছু।

 

কি একটা জীবনের শেষে কি একটা জীবন না জানি

কি একটা জীবনের শেষে কি একটা জীবন না জানি আছে…

আপনারে আমার দেখার, আমারে আপনার চিনার
কি দরকার, কি দরকার যে ছিল… ভাবতেছিলাম, একটা পাহাড়ে
উঠতে উঠতে, হাতের নিড়ানি দিয়া ঘাস কাটতে কাটতে
মনে হইতেছিল, উপরে উঠলেই তো দেখবো, পাশে একটা সাগর;
আর ঢেউয়ের শব্দ এমনভাবে শোনা যাইতেছিলো যে, মনে হইতেছিলো
দেখাই তো হইলো; তারপর আবার দেখবো যখন, তখন
এই অ-দেখারে দেখা, না-চিনারে চিনা, অস্পষ্ট হইতে হইতে হারায়াই যাবে, যেমন

কি একটা জীবনের শেষে কি একটা জীবন না জানি ছিল, আমাদের।

 

আন্ধারে

আমি দেখি নাই বন্ধু তারে
আমার না-দেখারে
আর তখন সে বলে,
কই তুমি? দেখি না তো তোমারে…
জারজ সন্তান আমরা;
ফেলে দিয়া গেছে আল্লা
এই অন্য দুনিয়ায়, এই লোনলি ইউনির্ভাসে…
– যদি ভাবতে পারতাম এইটুকও,
শান্তির গানগুলির ভিতরে ঘুমায়া যাইতে পারতাম
ধীরে, ধীরে

যেমন বীজাধারে রাখা বীজ জাইগা উঠে, অঙ্কুরোদগম হয়
আন্ধারে

তোমারে দেখি না আমি, আমার না-দেখারে…
কে? কে? তখনো বলতেছিলা তুমি,
কারে?

 

ঘোস্ট

একটা চেয়ারের মতোন,
বইসা বইসা তাকায়া থাকবো তোমার দিকে
তুমি ভাববা, চেয়ারই তো;
তোমার মতো তুমি থাকবা, অ্যালোন।

আমি চেয়ার হইতে হইতে ক্লান্ত হইয়া
সিঙ্গেল সোফাটার আত্মার ভিতরে গিয়া আরাম করবো
দেখবো তোমারেই, তুমি কখোন ঘুমাবা?

অথবা সিলিং ফ্যানের ব্লেড,
বোরিং হয়া ঘুরতেছি
ঘুরতেছি খালি
তোমার চুল নাড়াইতেছি একটু একটু
ঘুমের ভিতর
তুমি টের পাইতেছো না…

মে বি স্বপ্ন দেখতেছো
দরজার ওইপাশ থিকা কথা বলতেছে কেউ
আর একটা কয়েন ফ্লোর থিকা উঠে আসতেছে তোমার হাতে…

ঘুম থিকা উঠার পরে মনে হবে, কি আজিব!
সিনেমা-ই আবার মানুষ স্বপ্ন দেখে!

চেয়ারটার দিকে তাকায়া মনে হবে,
মেবি চেয়ারটাও তোমার দিকে তাকায়া
হাসতেছেই।

 

লিপিয়ার

আজ ২৯শে ফেব্রুয়ারি। আজ আমরা লিপইয়ার নিয়া কবিতা লিখবো।

 

Leave a Reply