দুইটা সুপার-হিরো মুভি (ডেডপুল আর ব্যাটম্যান ভার্সেস সুপারম্যান) দেইখা একটা জিনিস মনে হইলো। আগেই মনে ছিলো, সিনেমা দুইটা দেইখা মনে হইলো আবার – ইস্যুটা আসলে হার্ডওয়্যার নিয়া; মানে, মানুষের সফটওয়্যার/ইন্টিলিজেন্স তো ব্যাপক, পুরাটা নাকি ইউজই করতে পারে না; কিন্তু বডি পার্টস খুবই দুর্বল। ছোটখাট ভাইরাসই সারভাইব করতে পারে না আর ৫০/৬০ বছর হইলেই শরীরের একটা পার্টস চললে আরেকটা চলে না। তো, সুপার হিরো’রা আগানো হার্ডওয়্যারের দিক থিকা, হাত কাইটা ফেললে নতুন হাত গজাইতে একদিন লাগে; গুলি মারলে সেইটা মাংসের মধ্যেই টুং কইরা লাইগা বাইর হয়া যায় – এইরকম। তো, এইটা দেইখা মনে হইলো, বায়োলজিক্যাল এক্সপেরিমেন্টগুলি আসলে শুরু হয়া গেছে। খালি ভেড়ার ক্লোনিং-ই হয় নাই, মুর্গির ফার্ম আর মাছের হ্যাচারি; মে বি কাছিমের জিন ঢুকাইয়া মানুষের বডিরে ৫০০ বছর বাঁচানোর কামও চলতেছে।
কিন্তু অ্যাপিয়েরেন্সটা ইর্ম্পটেন্ট। ডেডপুলে নায়ক যে নতুন হার্ডওয়্যার পায় সেইটা নিয়া সমস্যা নাই, সমস্যা হইলো চেহারাটা ভচকাইয়া গেছে। ব্যাটম্যান ভার্সেস সুপারম্যানেও হিরোদের চেহারা খুব সোভার; কিন্তু মাই নেইম ইজ খান-এর শাহরুখ খানের মতো কথা বলতে থাকা ভিলেনটা তার বাপের বডি দিয়া যেই নতুন স্পেসিস বানায় সেইটা দেখতে ভালগার। মানুষ হইতে হইলে দেখতে মানুষের মতো হওয়াটা জরুরি। এই একটা জায়গাতে মিলও আছে – সুপারম্যান এবং ভিলেন দুইজনেই আঁখিও সে গুল্লি মারে… মানে, দেখার ভিতর দিয়াই উনারা অপারেট করেন।
পাওয়ার নিয়া তেমন কোন সমস্যা নাই। সমস্যাটা হইলো সুপার-হিরো’রা পাওয়ারটা কেমনে ইউজ করতেছেন। সুপার-হিরোদের জাস্টিস সেন্স ত খুবই ভালো; কোন বাজে কাম উনারা করেন না বা করলেও অন্য কোন সুপার-হিরো গিয়া তারে লাইনে নিয়া আসতে পারেন। মানে, আরেকটা রেইস আছে বা ক্রিয়েট হইতেছে আর সেইখানেও আমাদের এগজিসটেন্স ধইরা রাখার লাইগাই হয়তো হিউম্যানিটিই ইনসার্ট করা লাগতেছে।
Leave a Reply