হায়দার; হ্যামলেট, টাবু এবং অডিপাস

ইন্তেকাম-এর থিকা আজাদি না মিললে রিয়েল আজাদি হাসিল করতে পারবা না – মনে হইতে পারে এই ডায়ালগ দিয়া হায়দার ইন্ডিয়া রাষ্ট্ররে সার্ভ করতে চাইছে। দয়ার লাঠি দিয়া মাইরা মরতে-চাওয়ার জীবনরে বাঁচানোর সাজেশন দিতেছে। তারপরও এই স্ট্রেইট রিডিংটা আসলে সিনেমার সাজেশন না। ডায়ালগটা দুইবার আছে। প্রথমে হায়দারের দাদায় কয়, পরে হায়দারের মা এইটার ইকো করে। ফার্স্ট অ্যাজ অ্যা ট্রাজেডী, দ্যান অ্যাজ অ্যা কমেডি; আর আপনি যখন মনে করতেছেন রিয়েল ইমপ্লিকেশনটা থার্ড টাইমে, তখন এইটা একটা প্রাকটিক্যাল ফার্সে পরিণত হইছে। শেষে, হায়দার যখন আর ইন্তেকাম নেয় না, তখন হায়দারের চাচা কয়, ইন্তেকাম নেও তুমি, আমারে মাইরা লাও। হায়দার আর তারে মারতে চায় না; সে তার বাপের কথা না শুইনা মা’র কথা শুনে। যদিও হ্যামলেটের নাকি ইম্প্রুভাইজেশন সিনেমাটা; তারপরও হায়দারের মা’র মরাটাই সলিউশন। এইটা খালি নারীর বেদনা না, তারেই যে স্যাক্রিফাইস করা লাগবো এই সাজেশনও আছে। কারণ দোষ ত তার, ভুল কইরা প্রেমে পড়ছে শে, ইনফরমেশন শে দিছে; সাফার ত শে-ই করবে! এইটা ছাড়া, ইন্ডিয়া-রাষ্ট্র ভারত-মাতা হয়া আমরারে বাঁচাইবো, সাউথ এশিয়ারে; এইরকম একটা মিনিংয়ের কথাও ভাবা যাইতে পারে।

আর রাস্তার মোড়ে শহীদ কাপুরের বাকোয়াজি হইলো কাশ্মীরের স্পিরিট, আর্টিকুলেট করাই যায় নাই ঠিকমতো, ফিল্ম ইন্ডাষ্ট্রির সেন্সর যতোটা না তার চাইতে সেলফ সেন্সরই বেশি মনেহয়; কারণ হ্যামলেটের এসেন্সই ত হইলো উইয়ার্ড হওয়া। তাও সে লিমিটরে স্ট্রেচ করে নাই। আবার পাগলামির ভিতর দিয়া যেহেতু বলা হইছে, ইগনোর করা যায় যে, ইন্ডিয়া ও পাকিস্তানের বর্ডারে কাশ্মীর বইলা একটা আইডেন্টিটি আছে কোথাও, এখনো। সিনেমার শুরুতে যেমন বলা হইছে, ইসলামাবাদ একটাই; রিজিওনাল মিনিংগুলারে ভুইলা যাইতে হবে। সিনেমাটা এই জায়গাটারে মনেহয় ডিল করতে চাইছে।

ওফেলিয়ার ইনোসেন্স আর হায়দারের ট্রাজেডী পোস্টারে হাইলাইটেড হইলেও, এইটা আসলে টাবু’র সিনেমা। কী হাস্কি উনার গলার আওয়াজ! বলার পরেও, কী জানি একটা না-বলা রয়া যাইতেছে!

টাবু’র কিসটা কি আরো ডিপ হইতে পারতো, হায়দারের ঠোঁটে? বিশাল ভরদ্বরাজের এই রিস্ক নেয়াটা কি ঠিক হইতো? তখন, হ্যামলেট যে আসলে অডিপাস, এই জায়গাটারে হয়তো আরো ভিজিবল করা যাইতো।

 

 

Leave a Reply