লাভ, লাস্ট (Lust) আর লাইফ

অ্যাডাল্টারি করেন ভালো কথা; কিন্তু সোশ্যাল গেট-টুগেদার পার্টিতেই ক্যান চুমা খাওয়া লাগবো আপনারে; এইটা কিছুটা বুঝা যাইতে পারে ভিকি ক্রিস্টিনা বার্সিলোনা দেইখা। এমনিতে সিনেমা ছাড়া কোনকিছু রিয়েলি বুঝতে পারাটা আসলেও টাফ।

সিনেমার কাহিনি হইলো, ভিকি আর ক্রিস্টিনা গেছে বার্সিলোনাতে সামার কাটাইতে; তখন এক আর্টিস্ট (আন্তোনিও) আইসা কয় যে, সে দুইজনের সাথে শুইতে চায় (জেনুইন আর্টিস্ট’রা পারেন এইরকম, যেইটা ফিল করেন সেইটা সরাসরি কইতে পারেন; খালি পারেন-ই না, এই পারাটা হইলো আপনি যে একজন জেনুইন আর্টিস্ট সেইটার একটা ম্যানিফেস্টিশন)। ক্রিস্টিনা তো শুইনা খুশি হয়, কারণ শে অ্যাডভেঞ্জারাস; ভিকি খুবই খেপে, কারণ সে ট্রাডিশন্যাল। পরে ভিকি’রে আগে লাগায় আন্তোনিও, খুবই রোমান্টিক সেইটা; যখন দুইজনই দুইজনরে কানেক্ট করতে পারে, ফিল করতে পারে, একটা সন্ধ্যায় গিটার-বাজানো শুইনা ফিরার পথে। আর পরে আন্তোনিও ক্রিস্টিনা’র লগে কয়েকমাস লিভ টুগেদার করে; ভিকি তার বেকুব প্রেমিকরে বিয়া করে, কিন্তু আন্তোনিও’র সাথের ওয়ান-নাইট স্টে শে ভুলতে পারে না। এরমধ্যে আর্টিস্টের বউ মারিয়া ফিরা আসে; ওরা থ্রি-সাম করে, ক্রিস্টিনা আর মারিয়াও সেক্স করে একবার (আই থিঙ্ক দ্যাটস গ্রেট, কারণ এইটা এইরকম একটা লাভ যেইখানে প্যানিট্রেশনটা হইলো বাড়তি একটা জিনিস!)। তো, এইরকম প্যাচঁ-পুচ লাগানোটা উডি অ্যালানের বেসিক জিনিস। মানে লাভ জিনিসটা যে কমপ্লিকেটেড এইটা বোঝানোটা উনার মোটামুটি একটা দায়িত্ব। এতো সব ক্যারেক্টারের মধ্যে আসলে মারিয়াই (পেনেলুপা ক্রুজ) রিয়েল লাভার। কারণ শে ফিল করতে পারে যে লাভ ইজ এক্মেস (আমি excess অর্থেই লিখছি, access অর্থেও নেয়া যাইতে পারে) টু লাইফ।

ভিকিও ভালো; শে রিয়ালিস্টিক। মারিয়ার অপজিট হইলো ভিকি’র সিনিয়র ফ্রেন্ড জুডি; যে লাভ’রে লাইফের মধ্যে অ্যাকোমোডেড করার ট্রাই করে; ইন অ্যা সেন্স ভিকি’র আইডিয়ারে লিভ (live) করে। পোর্টেট করে সোশ্যালি শে হ্যাপি, মনোগ্যামিক; কিন্তু ভিকি’র কাছে ধরা খায় একটা পার্টিতে তাঁর প্রেমিক’রে চুমা খাওয়ার সময়। ঘটনা এইটা না যে শে চুমা খায়, তারে যে পার্টি’র মধ্যেই চুমা খাওয়া লাগে, ঘটনা হইলো সেইটা। লাভ-এর ক্যাচটাও এইটা যে, লাভ হইলো একটা পারসোনাল ঘটনা যা পাবলিক না থাকলে ঘটতে পারে না। ধরেন যখন অ্যাডাম (আদম) আর ঈভ (হাওয়া) আছিলো দুনিয়ায় ঈভের হয়তো গরু-ছাগলের দিকে তাকাইয়াও প্রেম জাইগা থাকতে পারে, কিন্তু সোসাইটি যেহেতু ছিলো না, আরো আরো বাছাইয়ের কোন ঘটনা যেহেতু নাই, এইটা কি প্রেম হইতে পারে তখন?

এই যে তুলনা, এইটা না থাকলে প্রেম কেমনে থাকে!

উডি অ্যালানের সুবিধাটা হইলো যে তারে পুরা জিনিসটা বলা লাগে না, পুরাটা বলতে গেলে দেখা যায় যে এইটা নাই-ই একরকম (অ্যানি হল-এ এইটা আছে), তখন পার্টিকুলার ইনসিডেন্টগুলাই হইতেছে আমাদের লাইফ, আমাদের ইমোশনগুলা কোথাও না কোথাও তো আটকাইয়া আছে ভাইবা বাঁইচা থাকতে পারতেছি আমরা। কারণ বাঁইচা থাকা হইলো মূল ব্যাপার, বাঁইচা থাকতে পারলে ভাই প্রেম আসবো, আসা-যাওয়া করবোই।

প্রেম জিনিসটারে উডি অ্যালান দেখতে পারতেছেন লাইফ-এর পারসপেক্টিভ থিকা; যে, প্রেম লাইফেরই একটা পার্ট। মে বি এইটা আমাদেরকে ড্রাইভও করে টু সাম এক্সটেন্ড; কিন্তু হাউওভার লিমিট করে, কন্ট্রাডিক্ট করে টু আওয়ার আইডিয়া অফ এগজিসটেন্স!

 

 

Leave a Reply