মন কেন লিখলা না দিনলিপি;
যেমন ধরো, ‘হাওয়ায় ভেসে যাই’, পাতলা, আরামের দিনে
লোডশেডিং আর নাই, সিলিং ফ্যানের বাতাস আছে (এসিও থাকতে পারে)
আছে আযানের ধ্বনি, পাশের বাসায় টবে তুলসীর পাতা
অ্যাংরি-বার্ডস খেলতেছে চড়ুই পাখি…
এমনই দিনে হায় হৃদি ভেসে যাইতে চায়
তারে গামছা দিয়া বাইন্ধা রাখে কে?
কে দিলো কুপরামর্শ এমন;
সখী বৃন্দাবনে নামলো আহাজারি, তাদের নিয়া
কুইক মার্চপাস্ট করে কারা? কই যায়?
কারা অন্ধকারে, ঘরের কোণায়, নিরবে বইসা থেকে থেকে
গুটি চালে, অর্হনিশি; হেডফোন কানে উচ্চাঙ্গসঙ্গীত শুনে
পোঁ পোঁ বাজনা বাজে…
দোকানদার বেচে এর্নাজি ড্রিংক
আর বেলের সরবতের প্যাকেট, যা কিনা
ডাবের পানির চাইতে কম রিস্কি, এই গরমে
তার পাশে একলা দান্তে সাহেব (বিয়াত্রিচে নাই), দেয়ালে ঠেস দিয়া
আওড়াইতাছেন তার অভিশাপখানি:
‘হে আল্লা, কবিতার ভিৎরএ যারা
মিথ্যা চালান দিয়া সত্য বানায়, তাদের আত্মা যেন নরকেও না যায়;
টিভিতে একইকথাগুলা কইতে কইতে যেন তাদের চোয়াল ঝুইলা পড়ে
পত্রিকাতে একইকথাগুলা লিখতে লিখতে যেন তাদের শব্দ মইরা থাকে
হে খোদা, এমনই হাস্যকর বানাইয়া দিয়ো তাদেরকে তুমি ’
যা-ই হোক এই কাহিনি, এই সবকিছু দেইখা
বোবা নজরুল দেখি খালি হাসতেই আছে, হাসতেই আছে, অনেকদিন পরে…
Leave a Reply