লেখাটা বিডিআর্টসে প্রচারিত হইছিল ২০১১ তে (http://arts.bdnews24.com/?p=3350)।
………
CRITICISM AND TRUTH. Roland Barthes. Translated and Edited by Katrine Pilcher Keuneman (withCharles Stivale). Forward by Philip Thody. Continuum.
………
১
বইটা পড়া চেষ্টা করতেছি অনেকদিন থিকাই; কিন্তু একটু পড়ার পর, কিছুদিন পার হয়া যায়, আবার যখন পড়তে শুরু করি, তখন মনে হয়, প্রথম থিকাই পড়ি আবার। এই করতে করতে বইটার ফরোয়ার্ড আর প্রিফেস ২টা প্রায় ৩/৪বার পড়া হয়া গেছে, মূল জায়গায় আর যাওয়া হয় না। এরপর ভাবলাম যে, এর একটা বিহিত হওয়া দরকার, আর কতো! এই বইও পড়া হয় না, আবার অন্যকিছুও পড়ি না, একটা গলার কাঁটার মতো… দেখি, লেখার নাম কইরা উগরানো যায় কিনা! [pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]
বইটা রঁলা বার্থ এর, কিনছিলাম শাহবাগের প্রথমা থিকা, তাও ৫/৬মাস আগে। নোটস আর ব্যাকগ্রাউন্ড নোটস বাদ দিলে ৩৪ পৃষ্ঠার একটা বই। মূলতঃ রঁলা বার্থ এর ১টা প্রবন্ধের অনুবাদ, লেখা হইছিল ফরাসী ভাষায় ১৯৬৬ সালে, তারপর ইংরেজিতে অনুবাদ হয় ১৯৮৭ সালে এবং সাউথ এশিয়ান এডিশন ছাপা হয় ২০০৫ সালে, আমি পড়তেছি ২০১০সালের ডিসেম্বরে।
১৯৬৫ সালে বার্থের সমালোচনা-পদ্ধতি নিয়া Raymond Picard (http://en.wikipedia.org/wiki/Raymond_Picard) একটা প্রবন্ধ লিখেন “নতুন সমালোচনা নাকি নতুন প্রতারণা”; যদিও ফরাসী সাহিত্যের ১৯৫০/৬০ এর দিকের “নতুন সমালোচনা” উনার আক্রমণের জায়গা ছিল, কিন্তু এই আন্দোলন এর মূল হোতা হিসাবে তিনি রঁলা বার্থরেই বাইছা নেন। রঁলা বার্থ ১৯৬৩ সালে “রেসিন বিষয়ে” নাম দিয়া ৩টা প্রবন্ধ লিখেন; যেইটার ভূমিকাতে তিনি বলেন যে, এইটাতে রেসিন (http://en.wikipedia.org/wiki/Jean_Racine ) এর তৈরী-করা দুনিয়ার অ্যানালাইসিস তিনি করতেছেন, রেসিন এর না; আর পিকার্ড হইলেন একজন রেসিন বিশেষজ্ঞ।
এরপর ১৯৬৪ সালে বার্থ আরেকটা প্রকাশনা করেন “সমালোচনামূলক প্রবন্ধ” নামে, যেইখানে “দুই ধরণের রিভিউ” তে তিনি দুই ধরণের সমালোচনার কথা বলেন, ইন্টারপ্রেটেটিভ (বা নতুন) এবং প্রথাগত বা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমালোচনা; পার্থক্যের মূল জায়গা হিসাবে তিনি আইডেন্টিফাই করেন যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমালোচনা সবসময় লেখার চারপাশের ঘটনারে সম্পৃত্ত করার চেষ্টা করে, যেইটা লেখক-চরিত্রের পজিটিভ সাইকোলজির উপর নির্ভর করে এবং অনুমানমূলক সাদৃশ্যের ভিত্তিতে ব্যাখ্যা দাঁড় করায় (যেমন ধরেন, অন্য কোন সাহিত্যিক রচনা, ঐতিহাসিক ঘটনা কিংবা লেখকের ব্যক্তিগত জীবনের ঘটনা), কিন্তু কোনভাবেই লেখাটারে তার নিজস্ব ব্যাখ্যামূলক একটা কাঠামোর মধ্যে দাঁড় করানোর চেষ্টা করে না…
আর পিকার্ড এই জায়গাটারেই ধরেন, তিনি অনুমানমূলক সাদৃশ্যের জায়গাটারে বরং একটা সমালোচনামূলক পদ্ধতি হিসাবে বর্ণনা করেন; বার্থ যেইখানে বলেন যে, সমালোচনা হইলো দুইটা সাবজেক্টিভ-এর প্রতিযোগিতার মধ্যে একটা নির্বাচন করার ব্যাপার, সেইখানে পিকার্ড এর মতামত হইলো যে, সাহিত্যিক সমালোচনার ক্ষেত্রে অবজেক্টিভ জ্ঞান বইলা একটা কিছু আছে। তিনি বার্থরে অস্পষ্ট ভাষা এবং আজাইরা বুলি ব্যবহার করার জন্যও দোষ দেন। বলেন, লেখালেখি লেখকের একটা সচেতন প্রয়াসেরই জায়গা।
এর উত্তরে বার্থ একটা প্রবন্ধ লিখেন; নাম দেন, “সমালোচনা এবং সত্য”, এইটাই সেই বই। তিনি পিকার্ড এর অভিযোগগুলার উত্তর দেন এবং বিতর্কের বিষয়গুলারে আরো বিশ্লেষণ করেন। বার্থ বলেন, আসলে সমালোচনা তো এক ধরণের ভ্যালু জাজমেন্ট, তো এইটা কেমনে নিরপেক্ষ হয়? পিকার্ড আসলে নিরপেক্ষতা আর সত্য এর মুখোশ পড়তে চান (যেইটা যে কোন বুর্জোয়া মতাদর্শই করে)।
সাহিত্যিক সমালোচনাতে কি ধরণের ভাষা ব্যবহার করা যায় বা উচিত, এই বিষয়ে তিনি বিস্তৃত বর্ণনা দেন। পিকার্ড (এবং তাঁর সর্মথকেরা) জোর দিতেছিলেন যে, সমালোচকদের “স্পষ্ট ভাষা” ব্যবহার করা দরকার, যেইটা মোটামুটি পড়াশোনা জানা লোকেরা পড়তে এবং বুঝতে পারবে। আর অনেক আগে থিকাই বার্থের আর্গুমেন্টটা ছিল যে, চিন্তার ক্ষেত্রে ফরাসীতে যে ভাষা নিয়মিত ব্যবহার করা হয় সেইটা শ্রেণী-সর্ম্পকিত একটা বিষয়, সামাজিক এবং দার্শনিক ভঙ্গির একটা ব্যাপার। আর এইভাবে দেখতে গেলে ভাষা ব্যাপারটার সামাজিক, রাজনৈতিক এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে নানান ইমপ্লিকেশনস আছে। আসলে ভাষার এই বির্তকটাও ফরাসী ভাষায় বহু পুরানা… গত শতাব্দীর শুরুর দিকের দিকের প্রায়… যা-ই হোক, এই বইটাতে বার্থ আসলে নানানভাবে প্রথাগত ফরাসী সাহিত্য-সমালোচনার ভাবাদর্শরেই আক্রমণ করেন এবং নিজের সমালোচনার একটা বর্ণনা দেন।
প্রবন্ধটা ২টা ভাগে লেখা। প্রথম ভাগে প্রথাগত সমালোচনারে তুলাধুনা; দ্বিতীয় ভাগে তাঁর নিজের সমালোচনা-পদ্ধতির কথা বলা।
প্রথমেই তিনি ‘নতুন সমালোচনা’র প্রতি আক্রমণ এর কথা বলছেন; যারে (নতুন সমালোচনা) বলা হইছে চিন্তা-শূন্য, কৃত্রিম, নৈতিকভাবে ভয়ংকর এবং স্নবি একটা ব্যাপার; বার্থের প্রথম প্রশ্ন—এদ্দিন পরে কেন? বার্থের কথায়, দেখার মতো ঘটনাটা হইলো, মিলিতভাবে এই আদিম-টাইপের আক্রমণগুলা করা হইতেছে; যেন জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়া উঠা একটা রোগ নিরাময়ের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁর সমালোচকরা। রলাঁ বার্থ এর রসবোধও খারাপ না!
যদিও বলা হয় বার্থ পলিটিক্যাল না, তাঁর দুইটা লাইন পইড়া একটু থামতে হয়; নতুন সমালোচনার ক্ষেত্রে তিনি বলেন, যেইটা আসলে তারা সহ্য করতে পারতেছেন না, সেইটা হইলো—ভাষা কি কইরা ভাষা নিয়া বলে; আবার বলেন, উনারা আসলে চান যে, ‘সমালোচনা’ আসলে পুলিশ-বাহিনীর মতোই নিয়ন্ত্রিত হইতে হইবো। (নিয়ন্ত্রণের সমাজ আসলে চায় নিয়ন্ত্রিত সমালোচনা!) এই সমালোচনা আসলে ‘নতুন’ না, বরং ‘সম্পূর্ণ’, যেইখানে লেখক এবং ভাষ্যকারের ভূমিকাগুলারে রিলোকেট করার মাধ্যমে ভাষার প্রচলিত ধারাটারে আক্রমণ করা হয়।
কিভাবে নতুন সমালোচনা ভয়ংকর হয়া উঠে? এর একটা মজার প্রসেস আছে:
অ-মত > বিচ্যুতি > ভুল > পাপ > অসুখ > পৈশাচিকতা (খুব একটা অপরিচিত না এই প্রক্রিয়া হয়তো অনেকের কাছে…)
আপাত সত্যই আসলে সুন্দর। আর ১৯৬৫ সালে ফরাসী দেশের আপাত-সত্যগুলা কি, তার একটা সামারী তিনি হাজির করেন।
প্রথমেই আসে, নিরপেক্ষতা; মালটা আসলে কি? আদিকালে এইটা ছিল যুক্তি, প্রকৃতি, স্বাদ ইত্যাদি; কিছুদিন আগ পর্যন্ত লেখকের জীবন, বিভিন্ন প্রকারের নিয়ম, ইতিহাস; আর বর্তমানে (মানে তৎকালীন ফরাসী দেশে) এইটা হইলো “সহজবোধ্য সত্য”; এইখানে তিনি নিরপেক্ষতার গঠন নিয়া প্রশ্ন তোলেন, ঐতিহাসিকতার প্রসঙ্গ আনেন এবং শব্দ এর একপাক্ষিকতা নিয়া তিনি বলেন। একপাক্ষিক নান্দনিকতা হইলো সেইটা, যেইটা জীবনরে নিরবতার এবং কাজরে অ-গুরুত্বপূর্ণতার ভিতর ফেলে দেয়।
এরপর ‘ভালো-মান’ এবং ‘স্পষ্টতা’র জায়গাটাতে আসেন । ভালো-মান এর কথা বইলা আসলে প্রথাগত সমালোচনা কোন জিনিসটারে আটকাইয়া দিতে চায়? যেইটা লেখা হইছে সেইটারেই। লেখাটা কি সেইটা না বা তার ধারণাগুলাও না, বরং তার ভ্যালুজই গুরুত্বপূর্ণ হয়া উঠে ভালো-মান বিবেচনার ক্ষেত্রে। ভালো-মান আসলে একটা ট্যাবু, কয়েক ধরণের ভাষা ব্যবহারের বিপক্ষে। আর ‘স্পষ্টতা’র যে ব্যাপার, এইটার পুরাটাই পলিটিক্যাল। এই যে প্রথমে একটা সাবজেক্ট থাকবো, তারপর কর্ম, তারপর অবজেক্ট… এই “প্রাকৃতিক” ব্যাপারটা আসলে একটা সময়ের, একটা শ্রেণীর তৈরী নিয়ম… (অনেকেই হয়তো এখনো সারপ্রাইজড হইবেন এই কথা শুনলে)… এই যে স্পষ্টতা, এইটা আসলে এক ধরণের লেখকদের, সমালোচকদের দিয়া একটা সময়ের জন্যই তৈরী করা হইছিল। অন্য লোক যেইটা অন্য লোকের মতো কইরা বলে, সেইটা জার্গন, আমার কাছে, যেহেতু এইটা আমার/আমাদের মতোন না, এইটা মূল্যহীন, বেহুদা একটা জিনিস; আর স্পষ্টতা আর যদি সেইটা না হয়, আমার ভাষা’র আগে কিভাবে ‘আমি’ থাকি?
এই নিরপেক্ষতা, ভালো-মান আর স্পষ্টতা আসলে পুরানা মাল, ১৯৬৫-এর জিনিস না, রলাঁ বার্থ রায় দেন। আর বলেন, এই পুরান সমালোচনার ব্যর্থতা হইলো যে, এঁরা সিম্বলরে দেখতে পায় না, ব্যাখ্যা করতে পারে না। আর যেহেতু বুঝতে পারে না, তাঁরা একজন চাইনিজরে বকা-ঝকা করে যে, সে কেন ফরাসী ভুলগুলা করে, যখন সে চাইনিজ ভাষা বলে!
দ্বিতীয় পর্বের শুরুর লাইন দুইটাই তুলে দিই: “Nothing is more essential to a society than the classification of its languages. To Change this classification, to relocate discourse, is to bring about a revolution.” (রলাঁ বার্থ আসলে কতোটা নন-পলিটিক্যাল? সন্দেহ হয়।) ফরাসী সাহিত্যে মার্লামে, প্রুস্ত এর প্রসঙ্গ আনছেন তিনি—এই রেভ্যুলিউশন এর কথায়।
তিনি বলতেছেন, লেখক এবং সমালোচক (একজন সৃষ্টিকর্তা আর আরেকজন তাঁর অনুগত দাস-এর সেইদিন আর নাই) একটা জায়গা নিয়াই কাজ করতেছেন, সেইটা হইলো—ভাষা। এইখানে একটাই সমস্যা। রলাঁ বার্থ এই সমস্যার বয়ান করেন। ভাষার যে মানে সেইটা সিঙ্গুলার না, প্লুরাল। এই ভাষার মোকাবিলায় তিনি তিনটা বিষয়ের কথা বলেন—সাহিত্যের বিজ্ঞান, সমালোচনা আর পঠন। সাহিত্যের বিজ্ঞান হয়তো লেখকের যে সীমাবদ্ধতা, সেইটারে ওপেন করতে সাহায্য করবো। আর সমালোচনারও কয়েকটা সীমাবদ্ধতা আছে, সেইটা নিয়া কিভাবে সে কাজ করবো, তার একটা পদ্ধতিগত সমাধান দেয়ার একটা চেষ্টা তিনি করছেন। আর সবশেষে, ‘পড়া’ যে ‘সমালোচনা’র চাইতে ভিন্ন একটা ব্যাপার সেইটা ক্লিয়ার করছেন।
যেহেতু ইংরেজীতে অনুবাদ, এর ফোরওয়ার্ড যিনি লিখছেন Philip Thody (http://www.independent.co.uk/arts-entertainment/obituary-professor-philip-thody-1101515.html ) তিনি ইংরেজী সাহিত্যের ভিত্তিতে কিছু কথা-বার্তা বলছেন; যেমন ধরেন, উইগেনষ্টাইনও তো বলছেন “ যা কিছু শব্দ দিয়া বলা যায়, তা সহজভাবেই বলা যায়” কিংবা “যেইটা নিয়া আমরা বলতে পারি না, সেইটা একজনের অবশ্যই উচিত নিরবতার কাছে ছেড়ে দেয়া”… আর এইসব দেইখা তিনি বলতেছেন, এইসব মতামত আসছে এই ধরণের ধারণা থিকাই যে, ইংল্যান্ডে সংশয়ী-মনের, যুক্তিবাদী, অ্যাংলো-সাক্সন পেশাজীবী মধ্যবিত্তরাই ক্ষমতায় টিকে থাকবো, যেইখানে ফরাসী চিন্তাবিদেরা হয়তো ধরে নিছিলেন যে, বুর্জোয়াদের আধিপত্য খর্ব হওয়াটা অনিবার্য! এই জায়গাটা বইটার খুবই ইন্টারেস্টিং একটা ইমপ্লিকেশন!
২
আসলে রিভিউ লিখিব, এই নিয়ত কইরা বইটা কিনি নাই; বইটার প্রতি আমার আগ্রহের মূল কারণ ছিল ২টা। বার্থ-এর ‘লেখকের মৃত্যু’ এর বাংলা অনুবাদ পড়ছিলাম। খুবই ভালো একটা কাজ ছিল সেইটা। তো এই বইটা, রলাঁ বার্থ এর সেইটার আগের লেখা, তার মানে একটা আশা ছিল তাঁর ‘লেখকের মৃত্যু’র চিন্তাটা হয়তো একটা হয়ে-উঠার ভিতর ছিল, যেইটা এইখানে পাওয়া যাইবো। আর যে কোন তত্ত্ব এর জোরটা বোঝা যায় যখন এইটা কোনরকম ব্যবহারের ভিতর দিয়া যায় এবং অন্য কোন একটা ধারণার সাথে তুলনায় আসে। এই বইটার এই ২টা সম্ভাবনাই আছে বইলা মনে হইছিলো। সম্ভাবনাগুলার কোনটাই মলিন হয় নাই, পড়ার পর।
এখন রলাঁ বার্থ-এর যে কোন সমালোচনা হয় না, সেইটাও না; কিন্তু যদ্দূর পর্যন্ত উনারে স্বীকার করা যায়, সেইটার কোন মোকাবিলাও বাংলা সমালোচনা-সাহিত্যে দেখি নাই। আমি মনে করি, বুক রিভিউর কাজ এক ধরণের ব্যাখ্যা হাজির করা, একটা সামারী দাঁড় করানোর চাইতে। বইটারে মোকাবিলা করা। এই লেখাটাতে সেইটা নাই। বরং কি পড়তেছি, কিভাবে পড়তেছি, সেইটার একটা বর্ণনা। বার্থ এর বিবেচনার সাপেক্ষে, এইটা একটা রিডিং, ক্রিটিসিজম না। দুইটা যে এক জিনিস না, এইটা বইলা রাখাটা মনে হয় ভালো।
৩
আমার বর্তমানের একটা চেষ্টা আছে সাহিত্য’র ‘ঐশ্বরিক ঘটনা’র বিপরীতে একটা ‘সামাজিক কর্মকান্ড’ হিসাবে দেখার। মুশকিল হইলো, লেখালেখির বিষয়টাই এইখানে একটা ট্যাবু আর এই ট্যাবু চালু রাখার ব্যাপারে সমালোচনা-সাহিত্যের একটা মহান ভূমিকা আছে বইলাও মনে হয়। দৈনিক পত্রিকায়, লিটল-ম্যাগাজিনে, ইন্টারনেট এ সাহিত্য-সমালোচনার যে হাহাকার এবং হুংকার দেখি, এর প্রেক্ষিতে বাংলা-ভাষায় রলাঁ বার্থের এই তত্ত্ব-আলোচনা এখনো জরুরী বইলাই মনে হয়।
এই বই পড়ার কথা না লিইখা, অনুবাদ কইরা দিতে পারলে হয়তো আরো ভালো হইতো! দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত, কি হয়!
Leave a Reply