একজনের ভালোবাসার মতো আরেকজনরে ভালোবাসা হয় না আসলে। প্রেম-ভালোবাসা একটা ইন্ডিভিজ্যুয়ালিস্টিক ঘটনা। ইন্ডিভিজ্যুয়াল ওয়ে অফ কানেকটিং দ্য আদার। এখন এই দেখাটাও ভালোবাসার ঘটনাটা থিকা আলাদা বা দেখতে পারা যায় বইলা ভালোবাসার কথাটা ভাবা যায়। অলি কথা বলে না আর বকুলও হাসে না কিন্তু কাছাকাছি দেইখা ভাবা যায় এই যে ঘুরাফিরা কথা-ই তো সেইটা আর বকুল যে শরীর কাঁপাইলো বাতাসে, বা ধরেন কথা বলতে বলতেই কেউ হাইসা দিলো স্কাইপে; ভালোবাসাই তো, তাই না? এইকথা শুইনা তুমি আর হাসবেন না, নাইলে কেন এই গান। বা যেইটা পসিবল শুনলেনই না হয়তো।
কিন্তু ভালোবাসলে ভুল করতে পারতে হয় আসলে। ফাগুন একটা আনন্দের ঘটনা; বাতাস যে উড়ায় ধূলা; সেই ধূলার আনন্দ হইলো যে কেউ দেখতে পাইতেছে তারে; ভাবতেছে এইটাই ভালোবাসা। মানে, ভালোবাসা এক্সিবিশনিস্ট একটা ব্যাপারই। কেউ না কেউ যদি না দেখে তাইলে এগজিস্ট করে না, ঘটনার বাইরে থিকা কেউ দেখতেছে বইলাই এইটা ঘটনা। ভালোবাসা, বকুলফুল, দ্য আল্টিমেট ইভেন্ট, তুমি আসতে পারো তো!
কিন্তু উচ্চমন্যতাও লাগে। সমানে সমানে হয় না। উঁচাতে এবং দূরে। কাছাকাছি যাঁরা থাকে তাঁরা শুয়োর, বড়জোর গাধা। ভালোবাসা তুমি দূর, হাল্কার উপর ঝাপসা। আছো কিন্তু না-দেখতে-পাওয়া। যা কিছু তোমারে নাড়ায় তা যদি দেখা-ই যায় তাইলে ওইটারে কেমনে বলবো ভালোবাসা। ভালোবাসা হইলো ভাসতে থাকা, একটা ভিজিবল বাট ইয়েট হাইড করা একটা সারফেইসে। ওইটা ড্রিম তখন, ইভবলভ হইতে থাকতে পারে। স্বপ্নের ভিতরই আপনি তারে পাইয়া ফেলতে পারেন। এমনিতে তো শরীর মানে একদলা মাংস-ই, তাও আবার এইখানে ওইখানে ট্যাবলা-টুবলা।
বকুলফুল, তুমি শুনতেছো তো?
অন্ধকার থাকতে হবে। ওইখানে কিছুটা আলো। বিভ্রম। কনফিউজ করতে পারতে হবে। বুইঝা ফেললেই কিন্তু শেষ রে ভাই! পুরাপুরি ব্ল্যাক না হোক, একটা গ্রে এরিয়া তো থাকতেই হবে। আর ভালোবাসা অবশ্যই মনোগামাস! একটি পাখি (পাকি নয়) আর তার একটাই সাথী। হোটেলে বা রাস্তায় না। ভালোবাসা নিডস অ্যা দেয়াল। ভালোবাসার সীমানাই ভালোবাসা। এইরকম ভালোবাসা তুমি কি আর বাসবা না; হাসবা না, বকুলফুল?
হেমন্ত মুখার্জীর গান গাইছেন আহমেদ সানি।
Leave a Reply