কত যে কথা শি, বলতেছো তুমি। আর তোমার চোখে কী যে হাসি! বাসর রাতের পরের দিন সকালবেলা ওইঠা দেখি বিশটা মিসকল। চিন্তা করো কেমন লাগে! তখনই আবারো হুদা ভাইয়ের ফোন, সকাল আটটায়। সাহিল ত পাশে মরা’র মতো ঘুমাইতেছে। ফোনটা ধরেই বললাম, কেন ফোন দিছেন? উনি বলে, ওই ফাইলটা ত আজকে সকালেই মিটিংয়ের আগে দরকার! চিন্তা করো, গতকালকে আমার বাসর রাত গেছে আর সকালবেলা ফাইলের খোঁজ দেয়া লাগে। অফিস জিনিসটা এতো বাজে! সবগুলা পুরুষ খালি জামাইয়ের পোস্ট চায়। আমি কি দ্রৌপদী নাকি? বইলা শি ঠোঁট টিইপা আবার হাসে।
মেঘনার পাড়ে বিকালের উল্টা-পাল্টা বাতাস। বঙ্গোপসাগর থিকা জাহাজ ঘুরাইয়া মরতে মরতে বাঁইচা আসছি আমি। ঝঞ্ঝা’র পরে এই পুনরুত্থান। এখন আমার আত্মা তোমার হাতে। তুমি কথা বলতেছো, ইলেকট্রিকের খাম্বার মতো নির্বাক নিশ্চল আমার সাথে। যদি আমি কথা কইতে পারতাম, আমিও কি এইগুলাই বলতাম!
আমাদের কথা যেন সব শেষ, এইরকম হাসি হাসি মুখ। পাশে-বসা আমারে ইগনোর কইরা জাহাজের ডেকে দাঁড়ানো আমারে দেখতেছে শি। কী যে স্বপ্ন-ভঙ্গিমার আওয়াজ জাগতেছে তার চোখে। এতদূর থিকাও দেখা যায়।
Leave a Reply