ডাইরি: অগাস্ট ০২, ২০১৫।

মিনাবাজারেই গেলাম শেষে, বনানীর আউটলেটে। যাওয়ার প্ল্যান ছিলো না। কিন্তু যাইতে হইলো; মে বি দ্যাট ওয়াজ রিটেন ইন দ্য স্টারস; গ্রহ নক্ষত্রেরই ফের।

সব্জি কিনতেছিলাম। একটু কম কম মানুষই ভালো। আর যেইসব মানুষরা আসে ওইখানে, চেহারা দেখলে বোঝা যায়, টাকা-পয়সা আছে উনাদের। আমরা আসলে একটা ক্লাস-এর লোক – এই সলিডারিটি ফিলিংস সুপারস্টোরের একটা সেলিসং পয়েন্ট। অ্যাম্বিয়েন্সটাও ভালো, পরিবেশ বলা লাগে না। একটা মাইয়া আসলো, সাথে একটা পোলা। মাইয়াটারেই আগে দেখছিলাম, মাইয়াটার দিকে তাকায়া থাকার কারণেই মনেহয় পাশের পোলাটা একটা চিপসের প্যাকেট খুইলা এমন আস্তে আস্তে কিন্তু শব্দ কইরা কামড় দিতেছিলো যে, তারেও দেখা লাগলো। ইয়াং সে।

একটু পরে যখন মাংস কিনতে গেছি, শুনি অ্যানাউন্সমেন্ট হইতেছে, ইংলিশে; কইতেছে এই আউটলেটে খাওয়া-দাওয়া করা যাইবো না আর ম্যানেজারের পারমিশন ছাড়া ছবি তোলা যাইবো না। আমি ভাবলাম কেউ কি পোলাটারে সরাসরি কইছিলো, তারপরে অ্যানাউন্সমেন্টটা দিলো নাকি অ্যানাউন্সমেন্ট দিয়াই পোলাটারে বলা যাইতেছিলো। এইটা ইন্টারেস্টিং। প্যাসিভভাবে বলাটা। স্পেসিফিক কাউরে কইলাম না, সবাইরে কইলাম; এইখানে সবাই মানে, যাঁরা মিনাবাজারের বনানী’র আউটলেটে (দোকানে না) আসেন সবার লাইগাই এই নিয়ম; সুতরাং পোলাটা এই সবার মধ্যে আছে, সেও খাইতে পারবে না চিপস। ওইখানে ভিতরে একটা কনফেকশনারি’র দোকান আছে, ওইখানের স্ন্যাকস কিইনা খাওয়া যায় অবশ্য। আমি খাইছিলাম একদিন।

আবার উল্টাটাও হয় অনেকসময়। স্পেসিফিকেলিই কইলাম, সবাই’রে না; কিন্তু স্পেইসরে কনসিডারে নিয়া বললাম। ধরেন সবার সামনেই কইলাম যে, বস আমি তো আপনার প্রেমে পইড়া গেলাম! কিন্তু প্রেমের কথা যেহেতু পাবলিকলি বলছি, বলি নাই আসলে; ওইটা তো প্রাইভেটলি বলতে হয়, যেহেতু এই নিয়ম মানা হয় নাই; বলা-ই হয় নাই আসলে। যিনি বললেন, যারে বলা হইলো আর যারা দেখলেন সবাই মোটামুটি একটাকিছু বুইঝা নিতে পারলেন। আবার ধরেন, ইনবক্সে কইলাম, আপনার কবিতাটা তো দুর্দান্ত হইছে! কিন্তু যেহেতু পাবলিকলি বলি নাই, যারে বলা হইলো, তিনি ঠিকঠিকভাবেই সন্দেহ করতে পারবেন যে, আসলে বলা হয় নাই!

আমাদের বলাবলিগুলা আসলে আমাদের না-বলাগুলি থিকা কম ইন্টারেস্টিং না। তাই না?

 

Leave a Reply