মোতিঝিল
মনে যারে চায় না
মোতিঝিলে সে থাকে
তার থাকতে থাকার পাশে
একটা শাপলা ফুলও নাকি আছে
মনে যারে চায় না
মনে কি আর সে থাকে,
থাকে মোতিঝিলে
সামার ওয়াইন
লেলাইয়া দেয়া কুত্তা দুইটা তোমার
মাঠে মাঠে খুঁজে যাইতেছে আমার-ই গু,
পাতা-ছাড়া বটগাছটার শিকড়ে
কাঁটাওলা বেগুনি ফুলের ঝোপটাতে
নাক তাঁদের ঢুইকা পড়ে
কি যে পেরেশানি,
ওরা থামতেই পারে না
না পাইয়া ঘেউ ঘেউ করতেই থাকে
(মনেহয় দেখায় তোমারে
এখনো যে খুঁজতেছে)
তোমার রুমালের কাছে
আমার থাইকা যাওযা গুয়ের গন্ধ
ওরা আর ভুলতেই পারে না
মনেহয় একশো আটটা নীল পদ্মের শেষ পদ্ম এইটা
অথবা এমপি ইলেকশনে রুলিং পার্টির নমিনেশন পাওয়ার লাস্ট চান্স
অথবা তাঁরা কুত্তাটাই দুইটা
মানুষ হওয়ার বেদনা ভুইলা থাকতে চায়
বিজি রোডের পাশে দাঁড়ায়া থাকে, মাঝে মাঝে একটু উদাস
হয়তো ভাবে কোনদিন চইলা যাবে
আবারও মাঠে, আমার গু-য়ের গন্ধ নিয়া নাকে
ঘুইরা বেড়াবে সারাদিন, সারামাস…
এইবার সামারে ওরা হয়া উঠবে আরো অ্যাডভেঞ্জারাস
কবিতা লিখতে বইসা ভাববে,
এ কেমন পকরিতি বাল কোন গু-য়ের গন্ধ নাই,
হোয়াই?
ওয়াটার
খাইতে খাইতে পানি
পানিরে আমি আর পানি রাখবো না
বানায়া ফেলবো অশ্রুজল,
অথবা দুধ অথবা লাচ্ছি;
এত এত পানি-ই যে খাইতেছি
তবু সে কেমনে আর থাকতে পারে
পানি? হইতে পারে না তেল অথবা মদ অথবা
ঘোলা জল, কোন মাছ শিকারি’র?
আমার কথা
শান্তমুখে
দুইজন ফেরেশতা
বসে আছেন আমার সামনে
আমি বলতেছি, কি কি পাপ আমি করছি
বলতে এতোটাই ভাল্লাগতেছে যে
যা যা আমি করি নাই
তা তাও বলার ইচ্ছা হইতেছে
বলতেছি একটু একটু
আফটার অল, উনারা তো ফেরেশতা
আমার কথাগুলি ডিসকাউন্ট করে নিতে পারবেন
এইজন্য আমি আরো আরো কইতে থাকি কথা
ফেরেশতারা চুপচাপ
কিভাবে যে রের্কড করতেছেন বুঝতেছি না
আমার বলার ভিতরে নিজেরে ক্রিয়েট করতেছি আবার
ফেরেশতারা সাক্ষী
যা যা আমি বলতেছি
জাজ করতে পারতেছেন তো উনারা?
রেট্রো
তুমি কি বুঝবা রেট্রৌ’র বেদনা?
পুরানরে নিয়াই হাসতেছি আমি
পুরানরে ভেঙচাইতেছি
কত বে-বুঝ আছিলো ওরা
সরল, সাধাসিধা;
‘ক্রাই’ কইলেই কাইন্দা দিতো
‘স্মাইল’ কইলে হাসতো একটু;
এখন যখন কান্দো তুমি খুশির কান্দা
যখন হাসো ক্রিটিক-করা হাসি
তখনই মনেহয়
রেট্রো’র মানুষ ছিলো যাঁরা
ওরা কি বুঝবে এইটা?
আর বুঝলেও কি আর কইতে পারবে
কোন কথা? অথবা ওদের নিরবতা
বেদনাই তো খালি; হাসতে হাসতে
বলবো আমরা, ওরা? ওরা তো
বদনা, বেদনার (হি হি হি…)
ছোট একটা নল দিয়া
গড়ায়া গড়ায়া পড়তেছে পানি
যেন কোনদিন, থামিবে না…
বইসা ছিলাম
অনেকক্ষণ বইসা থাকার পরে, অনেক অনেক ক্ষণ বইসা থাকার পরে লেখা হইলো, বইসা ছিলাম। “হইছে না এইবার?” শে জিগাইলো আমারে। আমি হাসলাম। কইলাম, ‘বইসা তো ছিলা-ই।’ শে কইলো, “না, না… বইসা থাকারে বসতে যে দিলাম; ঠিকাছে না এইটা?” তার চোখ হাসতেছিল, ঠোঁট নড়ে নাই। আমি বুঝতে পারলাম আর ওর হাসিটা হাসতে থাকলাম আবার। কইলাম, ‘বইসা যে আছে, সে কি দাঁড়াইবো না আর… এতো শিওর তুমি কেমনে হইলা?’ “তখন না হয় লিখবো, দাঁড়ায়া গেলাম। 🙂 ” শি’র ঠোঁট হাসলো এইবার। সূর্য ডুবে যাইতেছিল। দূর থিকা ভেসে আসতেছিল বৃষ্টির বাতাস। একটু একটু কাঁপতেছিল টিলার উপরের ঘাসগুলি। হাসিগুলি শেষ হয়া আসলো একটা সময়। ভাবতেছিলাম আমিও, লিখবো কিনা, ‘বইসা ছিলাম।’ দূরে, জাহাজের ডেকে দাঁড়ানো শি’র চুলের মতোন উড়তেছিল পাশে বসে থাকা শি’র চুল।
মাছ
কি মাছ? কি মাছ ধরবা?
খলবল করে জোছনা
মাছগুলা নাচে,
নাচতে থাকে ঢেউয়ে
কি মাছ? কি মাছ ধরবো আমি?
কারেন্টের জাল দিয়া?
পাখি গান গাইতেছিলেন
পাখি ডাকতেছিলেন পাখি ডাকতেছিলেন
পাখি উইড়া গেলেন পাখি উইড়া গেলেন
পাখি কি ফিরা আসবেন? পাখি কি ফিরা আসবেন?
পাখির ঠ্যাংয়ের তলে পাতলা দড়িটা কাঁপলেন
পাখির ছায়ার তলে উইড়া যাওয়া পাখিটা মরলেন
লেখক
তখনো আমি লিখবো
যখন কথা বইলাই সবকিছু হয়
বলা কথাগুলিরে লেখায় কনর্ভাট করা যায়
তখনো আমি লিখবোই
লিখবো যে, কথা বলা কি যে ক্লান্তিকর…
চুপ কইরা, নিরবতার ভিতর দিয়া
কিছুই বলা যাইতেছে না
লিখতে হবে, বুঝছো?
লিখতে লিখতে, লিখতে লিখতে
কতকিছু যে বইলা ফেলবো আমরা
এমন কি বললেও যা আর যাইতো না বলা
Leave a Reply