বিএসটিআই সার্টিফাই করতে পারে ফুড হাইজেনিক কিনা, কিন্তু হালাল বলতে পারাটা ইসলামিক ফাউন্ডেশনেরই এখতিয়ার।
সমাজে যে ধর্ম আছে আর রাষ্ট্রে যে ধর্মীয় ইনস্টিটিউশনগুলা আছে সেইগুলারে কি কি ভাবে মার্কেট ইকনোমি’তে ইনক্লুড করা যাইতে পারে সেইটা শো করছে নুডুলস ব্র্যান্ড ম্যাগি; গত দুই সপ্তাহে দুইবার দৈনিক প্রথম আলো’তে ফুল পেইজ অ্যাড দিয়া। এর আগে অ্যারোমেটিক সাবান যে হালাল মার্কেটিং করছিলো সেইটাতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিন-এ ছিল না। কিন্তু খালি হালাল না, আরো অন্যান্যভাবেও ধর্মীয় ইনস্টিটিউশনগুলার ইউলিটি বাড়তে পারে মার্কেট ইকোনমিতে। ব্যাংকিং লাইনে এই ঘটনা আরো পোক্তভাবে আছে; যদি কোন ব্যাংক বাংলাদেশে ইসলামি ব্যাংকিং শুরু করতে চায় তাইলে তার বোর্ডে একজন মুসলিম আইন জানা মৌলানাকে রাখতে হবে, যাঁর মাদ্রাসা লাইনে পড়াশোনার হায়েস্ট ডিগ্রী আছে; নর্থ আম্রিকান কোন ইউনির্ভাসিটির পিএইচডি দিয়া এই কাজ হবে না। বড়বড় সব ফ্যাক্টরিতেই মসজিদ থাকার কথা এবং ইমামও; আর অনেক অফিসে মসজিদ না থাকলেও নামাজ পড়ার স্পেইস আছে, ইমামও আছেন কিছু অফিসে। যেইরকম পার্ট-টাইম ডাক্তার থাকেন। তো, এইভাবে মর্ডানিস্টদের দুনিয়াতে ধর্ম তার ভিজিবিলিটি শো করলে আন-রিয়েল মনে হইতেই পারে। মনে হইতে পারে, এঁদের তো ইউটিলিটি নাই কোন, এঁরা ভ্যানিশ হয়া যায় না ক্যান!
এই মনে-হওয়াদের রিক্রুট করা হইছিল যে আইডিওলজি দিয়া, ওইটার ফান্ডিং এখন আর করে না ইউরোপ-আম্রিকা। ( রক মনু‘র এই লেখাটা পড়তে পারেন:http://www.toolittledots.com/rock.675.manu) সেই এনজিওদেরকেই এখন ফান্ড দেয় যাঁরা বুঝতে পারে যে পায়খানার পরে হাত-ধোয়া শিখাইতে হইলে প্রাইমারি স্কুলের টিচারদের সাথে সাথে স্থানীয় মসজিদের ইমামরাও দরকারি। এখন যাঁরা ধরেন এনজিও না, কর্পোরেটও না, ইসলামি রাজনীতি করেন না, এমনকি নামাজও পড়েন না, উনারা গল্প-কবিতার লেখার বাইরের টাইমটাতে কি করবেন তাইলে, এখন? একটু আধটু যে মন-খারাপ করেন, সেইটাও করতে পারবেন না!
সেইটা করতেই পারেন, কিন্তু মন-খারাপ করাটারেই যখন সলিউশন বইলা ভাবতে থাকেন, তখন ঝামেলা-ই আসলে; কারণ এইটা তখন একটা নন-পলিটিক্যাল স্যাবোটাজ হিসাবে পারসিভড হইতে থাকে, অথচ এইটা গ্লোবালাইজেশনের পার্ট, কমন ফেনোমেনা।
Leave a Reply