আওয়ামী লীগের নেতারা সম্ভবত জিল্লুর রহমানরে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতাই ভাবছিলেন (বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসাবে ভাবতে পারেন নাই প্রথমে), যেই কারণে সরকারি ছুটির ঘোষণা দিতে দেরি হইছে এবং অনান্য রাষ্ট্রীয় কাজ-কামেও। এইটা যে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগেরই ঘটনা তা না। যেমন ধরেন কিছুদিন আগে যখন প্রফেসার জামাল নজরুল ইসলাম মারা গেলেন, তখনও দেখলাম, তারে জ্ঞানী বলা হইতেছে কারণ পাশ্চাত্যের প্রতিষ্ঠানে তার জ্ঞানের সম্মান আছে। অ্যাজ ইফ এই স্বীকৃতিটা যদি না থাকতো তাইলে উনি যা যা করছেন, তা আর জ্ঞান হিসাবে নেয়া যাইতো না। [pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]
এইটা প্রায় সবসময়ই ঘটে। আপনার দূর থিকা আইসা যখন কেউ বলে, উনি এই সেই, তখন কাছাকাছি যারা আছেন, তারাও বুঝতে বা বলতে শুরু করেন, তাই ত, তাই ত… এইরকম একটা ব্যাপার। এইটা সম্ভবত, নিজের বা নিজেদের প্রতি আস্থাহীনতার কারণেই ঘটে। আমার ভালো বা খারাপটা যে আমি বলার অধিকার রাখি – এই বিশ্বাস ঠিক না থাকলে এইটা ঘটতে থাকে। যেই কারণে সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদেরকে গুরুত্ব দেয়ার অভ্যাস আমাদের এইখানে খুব একটা নাই; যদ্দিন পর্যন্ত না তারা বাইরের কোন জায়গার স্বীকৃতি শো করতে পারতেছেন।
এইটা বাজে জিনিস, কারণ যখন বাইরের লোকজন খালি গুরুত্বপূর্ণ লোকজন কারা এইটাই ঠিক কইরা দেয় না, আপনার জন্য কি ভালো, কেন ভালো, কেমনে ভালো এইসবও ঠিকঠাক কইরা দিতে থাকে।
তবে আমরা একবারেই যে স্বীকৃতি দিতে পারি না, সেইটাও না; যেমন কয়দিন আগেই মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর পরে মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীরে আমরা কৃষক-শ্রেণীর নেতার হিসাবে স্বীকৃতি দিতে পারছি! হইতে পারে এই রকমের স্বীকৃতিই আমাদের নিজেদের বোধ-বুদ্ধির উপর প্রতি আস্থাহীনতার একটা কারণ।
Leave a Reply