ডেক্সটারের সিজন থ্রি’তে এই কাহিনিটা আছে। শহরের ডিফেন্স অ্যার্টনি এলেন উলফ, দুইবার ডিভোর্স হইছে, এখন সিঙ্গেল, নিজের জব নিয়া খুবই সিরিয়াস; ডেক্সটারের বস মারিয়া লাগোর্তা’র লগে খাতির হয় উনার। দুইজনেই ফর্টি প্লাস ফিমেইল। একটা প্রোগ্রাম থিকা আইসা বার-এ বসেন; তখন বারটেন্ডার ইয়াং পোলাটার লগে ফ্লার্ট করতে থাকেন। মারিয়া কয়, এইগুলা কি করো… অপরিচিতদের সাথে এইগুলা করাটা তো রিস্কি। তখন শে কয়, দুইটা বাজে জামাইয়ের সাথে থাইকা আমি বুঝছি যে, দুনিয়ার আসল হ্যাপিনেস হইলো ইয়াং পোলাপানদের লগে ফ্লার্ট করা!
পরে রাতে ওই পোলা আসার কথা থাকে বইলাই মার্ডারারটা ইজিলি এলেনের রুমে ঢুকতে পারে। মানে, কমবয়সী পোলাদের লগে ফ্লার্ট করাটা ঠিক কি বেঠিক এইটা নিয়া সরাসরি কোন কথা নাই। সবারই তো কিছু না কিছু উইকনেস থাকে, স্ক্রিপ্ট রাইটার হয়তো ফর্টি প্লাস উইমেনদের এই অভ্যাসরে ক্রিটিসাইজ করতেও চান নাই। কিন্তু দ্যান এগেইন, এই সাজেশনটাই আবার রিভিল কইরা ফেলেন যে, ফর্টি-প্লাস হইলে এইরকম করা-ই যায়! এইটা বলাটাও একটু ঝামেলারই।
উমবার্তো ইকো ইন্টারপ্রিটেশন আর ওভারইন্টারপ্রিটেশন লেকচারের একদম শেষে নিজের পারসোনাল একটা কাহিনি বলতেছিলেন। উনার ফুকো’স পেন্ডুলামে ইয়াং কাসাবোন একটা ব্রাজিলিয়ান মেয়ের প্রেমে পড়ে, মেয়েটার নাম আমপারো। ব্রাজিলিয়ানদের নরমালি এইরকম নাম থাকে না, তো এইটা মিলাইতে গিয়া আরেক কাহিনি কওয়া লাগে উনারে। বইটা ছাপা হওয়ার পরে এক ফ্রেন্ড তারে কইলো, ‘আরে, মাইয়াটার নাম আমপারো নাম রাখছো কেন? এইটা একটা পাহাড়ের নাম না… ওই যে, ‘গুয়াজিরা গুয়ানতামিরা’ গানটাতে আছে?’ তখন ইকো’র পুরা কাহিনি মনে হইলো। ইয়াং বয়সে উনি এক মাইয়ার প্রেমে পড়ছিলেন, ওই মাইয়াটা এই গানটা গাইতো… তো, ইয়াং বয়সের প্রেমের কথা লিখতে গিয়া উনার কনশাসনেসের বাইরে ওই মেমোরিটা চইলা আসছে উনার লেখায়। এইটা কোন ইন্টারপ্রিটেশন না, জাস্ট পারসোনাল ঘটনা হিসাবে বলছেন। কিন্তু আমার মনে হইতেছিল, একজন বাজে লেখক এই জিনিসগুলিরে ফেইক করতে পারেন আসলে। বাজে মানুষেরা যেমনে পারেন, লাইফে। মানে, ইনসার্শনগুলি কনশাস হইলেই ভালো, না-জাইনা, না-বুইঝা আর্ট কইরা ফেলার চাইতে।
আবার, ডেক্সটারের ঘটনার পজিটিভ ভার্সন হইলো গ্লোরিয়া (২০১৩) সিনেমাটা। একজন ফ্রি-স্পিরিটেট উইমেন সেইম এইজের একজনের লগে অ্যাফেয়ার করতে গিয়া ধরা খান। এইজ কোন ঘটনা না আসলে। ঘটনা হইলো, একটা সার্টেন এইজরে বা সার্টেন ফিলিংসরে কিছু অ্যাক্টিভিটির মধ্যে আটকাইয়া ফেলাটা। মানে, ফ্লার্ট করাটা কখনোই ইস্যু না, অবস্টেকল হইলো ফ্লার্ট করার লাইগা নিজেরে সর্ট অফ ‘কচি মাইয়া’ বইলা ভাবতে পারাটা। এইজ টুয়েন্টিতেও আপনি সিক্সটির বিহেভ করতে পারেন। যখনই আপনারে কওয়া লাগে, মাই নেইম ইজ খান… বা আই অ্যাম অ্যা উইমেন… তখনই আপনি আসলে বলতে চাইতেছেন এর একটা ইমবেডেড মিনিং আছে, যেইটা আপনি হওয়ার পরেও সেইটা না। ধরেন, খান বা উইমেন বলার পরে যেই হাসিটা চইলা আসে, এর লাইগা পরের কথাটা আর শোনা-ই যায় না। লজিক্যাল ট্রুথ আসলে মিনিং পয়দা করে না, মিথিক্যাল ট্রুথগুলি করে।
আর মিথগুলা আসলে আগে থিকাই আছে। আপনি জাস্ট আবিষ্কার কইরা ফেলেন (তখন ইন্টেলেকচুয়ালিটি’র সেন্স ইর্মাজ করে আপনার)। বা ফিট-ইন করতে থাকেন (ফেইক-লাভে হাবুডুবু খাইতে থাকেন, মাছের মতোন, এইটা যে পানি, সেই ফিলিংসটাই গায়েব হয়া যায়)।
Leave a Reply