দুইটা খবরের দুইটা লাইনে চোখ আটকাইলো, মানে ভাবা লাগলো (ভাষা বাল, রেটরিকে ভরপুর!)।
একটা হইলো, ঢাকা ট্রিবিউনের। http://bit.ly/29MCu8F। উদিসা ইমনের শেয়ারটার কারণে দেখলাম। ওইখানে, একজন কইতেছিলেন, “ছাত্র পরিচয় দিয়েছিল, দেখতেও ছাত্রদের মতোই।“ মানে, একটা লুক আছে, যেইটা দিয়া আপনি বুঝতে পারবেন উনি ছাত্র, উনি গার্মেন্টস ওয়ার্কার, উনি সাংবাদিক, উনি ব্যাংকার, এইরকম…। লুকটারে নিতে পারলেই কিন্তু হইলো, আবার ছাত্র হইয়াও ছাত্র’র মতো না দেখানোর কারণে আপনি ছাত্র নাও হইতে পারেন। আর ছাত্র হইলে যে জঙ্গী হইতে পারবেন না, এইটা তো সবাই বিলিভ করে। মানে, ট্রুথের চাইতে ট্রুথের পারসেপশনটাই জরুরি সবসময়। আমি ভালোমানুষ, তার চাইতে জরুরি হইতেছে নিজেরে ভালোমানুষ দেখানোটা। দ্যান, ইটস ডান। এইরকম দাড়ি দেইখা রাজাকার বানাইছি আমরা, জিন্স দেইখা স্টুডেন্ট বানাইতেছি, লুঙ্গি দেইখা রিকশাওলা। এই বানানো (প্রটোটাইপ) রিয়ালিটি থিকা বাইর না হইলে রিয়ালিটিরে দেখতে পাওয়ার চান্স আসলেই অনেক কম।
আরেকটা নিউজবাংলাদেশডটকমের। http://bit.ly/2akGrxd। তারিক আল বান্না’র শেয়ারের কারণে দেখলাম। ওইখানে, তার গুলি খাওয়ার কথা কইতে গিয়া কানতেছিলেন রইস আর কইতেছিলেন, “সরি, গত নয় বছর এভাবে আমি কাদি নি।“ মানে, অ্যাকচুয়াল ঘটনার চাইতে বলতে পারাটা মোর ট্রমাটিক। ঘটনা যেইটা ঘটার সেইটা তো ঘইটা গেছে, এখন মনে কইরা মনে হইতেছে, হায় হায় কি ঘটনাটাই না ঘটছে! এইভাবে যতোটা না ঘটনা তার চাইতে ঘটনার বর্ণনাটাই ঘটনা হয়া উঠতেছে। মিরর, মিরর। আয়নাটা তো আমারেই দেখাইতেছে, তাই না? আয়নাটারে বানায়া নিলেই হইতেছে। আয়না আমার কথা-ই বলতেছে তো! সো, আয়নাই মোর রিয়েল। যেইটা আমি না, আমার ফিলিংস, সেইটাই আসল আমি। রানঝানা (http://imdb.to/29Mch45) সিনেমাতে একটা সিন আছে। পোলা গুলি খায়া মরতেছে আর পুরোহিত বাপটা টিভিতে দেখতেছে। ফ্লোরে বইসা ভাত খাইতেছে আর কানতেছে। কান্দার মধ্যেও তার ভাত-খাওয়াটা থামতেছে না। আসলে সে ভাত খাইতেছেই না। কানতেছে। কানতেছে যে সেইটাই রিয়েল। ভাত আর সে খাইতেছে না। খাইতে পারবে না! এইরকম?
রিয়ালিটি, সেলফ-আইডেন্টিটি ব্যাপারগুলি লিনিয়ারিটির তলোয়ার খালি। মেবি টাইমের এই ডাইমেনশনটা ফলো না কইরা পারতেছি না আমরা। মাল্টিপ্লিসিটি যে কেমনে পসিবল সেইটা ইমাজিনই করতে পারতেছি না।
Leave a Reply