ঋতুপূর্ণ ঘোষই প্রথম সাকসেসফুললি সেক্স বেচতে পারছেন কলকাতার সিনেমায়

সিনেমার বাংলা নামটা হইলো, ‘দোসর’; ২০০৬ সালের সিনেমা। সম্ভবত ঋতুপূর্ণ ঘোষই প্রথম যিনি প্রমাণ করতে পারছেন যে, কলকাতার সিনেমাতে সেক্স একটা বেচার জিনিস… শুধুমাত্র কাহিনি হিসাবে না, ইমেজ হিসাবে; যে, কলকাতার সিনেমাতে সেক্স নিয়া আরো সরাসরি হওয়া পসিবল।

যেমন ধরেন, সৎজিত রায় তার পিকু’তে সেক্স’রে যেইভাবে দেখান সেইখানে দর্শক একটা বাচ্চা-ছেলে হিসাবে ধারণা করতে পারে বা শব্দ [অথবা নিরবতা, এই অর্থে যে ‘দ্য ইনোভেশন অফ লাইয়িং’ সিনেমাতে নায়ক যখন ডেটিংয়ের জন্য নায়িকারে আনতে যায় তার বাসায়, তখন নায়িকা উপরের ঘর থিকা বলে যে আসতেছি, তার কিছুক্ষণ পর নায়িকা নামে, নায়ক যখন তারে জিগায়, শে বলে যে আমি মাস্টারবেট করতেছিলাম, তুমি কি আমার আওয়াজ শুনতেছিলা নাকি, নায়ক বা দর্শক তখন সেই নিরবতারে সেক্সের আওয়াজ হিসাবে আইডেন্টিফাই করতে পারে] শুনতে পায় যে সেক্স হইতেছে। এমনিতে ইমেজ হিসাবে কোনকিছু নাই; বা বাপেরা মায়েরা সেক্স করে, আমরা (দর্শকরা) বাচ্চা হিসাবে তা জানতে পারি। কিন্তু ঋতুপূর্ণ ঘোষ দর্শকদেরকে অ্যাডাল্ট হইতে বলেন; বলেন যে, এইটা নিয়া আমরা কথা বলতে পারি ত!

আয়রনিটা হইলো, এইখানে বাচ্চা-ছেলেটারে আমরা আর দেখি না, দেখি ঘরের ভিতর লোকটা যে সেক্স করার চেষ্টা করতেছে সেই দৃশ্যটা, মানে পিকু’র অপজিট সিন। আমার ধারণা, উনার এই প্রভোকশনের ফলে কলকাতার সিনেমা সেক্স নিয়া ইমেজের ভিতর কথা বলা বা বেচা-কেনাটা উইথাউট এনি গিল্ট শুরু করতে পারছে; এইটা এসথেটিক্যালি খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু না, কিন্তু ঘটনা হিসাবে কলকাতার সিনেমায় ইমেজের যে ট্রাডিশন ছিল তারে পাল্টাইতে শুরু করছে।

এমনিতে উনার ছবি বেশ স্লো। নন-লিনিয়ারিটিরেও উনি প্রজেক্ট করতে ব্যর্থ হইছেন এই সিনেমায়, কিন্তু অনেকগুলা পুরষ্কার পাইছেন।

 

দ্য ইনোভেশন অফ লাইয়িং সিনেমার একটা সিন

দ্য ইনোভেশন অফ লাইয়িং সিনেমার একটা সিন

 

————-

ফেসবুক স্ট্যাটাস, ২০১২ : http://bit.ly/2bMaTlc

মেমোরি শেয়ার, ২০১৫: http://bit.ly/2bszWLc

 

Leave a Reply