http://www.bd-pratidin.com/2014/01/01/35413
[নিউজ লিংক’টা এখন আর কাজ করে না, খবরটা ছাপা হইছিল মেবি ৩/৪ জানুয়ারি, ২০১৪-তে; নোট’টা জানুয়ারি ৬, ২০১৪-তে লেখা।]
এইটা গুরুত্বপূর্ণ একটা স্টেটম্যান্ট ছিল। কিন্তু রাজনীতিতে গুরুত্ব ত খুব ফ্রিকোয়েন্টলি চেইঞ্জ হয়।
সবচে সিগনিফিকেন্ট ঘটনা হইলো ‘প্রধানমন্ত্রী’ বলাটা, শেখ হাসিনা না; একটা পজিশন, কোন ইন্ডিভিজ্যুয়াল মানুষ না। ইলেকশনে একজন মানুষের তো একটাই ভোট – এইরকম সহজ-সরল-সাধারণ ব্যাপার। ইস্যু’টা যখন শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকবেন কি থাকবেন না, তখন এইখানে এস্যুরেন্সটা দেয়া আছে যে, এইটা প্রধানমন্ত্রী’র স্টেটমেন্ট। প্রধানমন্ত্রী যখন ষড়যন্ত্রের কথা কইতেছেন তখন সেইটা রাষ্ট্র ও আইনের এগেনেস্টের কোন ব্যাপার।
এই যে ষড়যন্ত্র বলা, এইটা শুধুমাত্র এই ধারণা থিকা বলা না যে, ষড়যন্ত্র হইতেছে; বরং একটা এক্সপেক্টশন আকারেও হাজির আছে যে, ষড়যন্ত্রই পসিবল এখন এবং এইটা তখনই সম্ভব যখন প্রকাশ্য ও গণতান্ত্রিক বইলা যে পদ্ধতিগুলা আছে সেইটা আর সম্ভব না।
এই পরিস্থিতিটা কেমনে সম্ভব হইতেছে, এই ষড়যন্ত্রমূলকতা, সেইটা নিয়া তারপরও কথা বলা সম্ভব। কারণ কী ষড়যন্ত্র হইতেছে, তার চাইতে ভাবা দরকার কেন ষড়যন্ত্র হইতেছে। অথবা তারও আগে এই ‘ষড়যন্ত্র-ভাবনা’টা কেমনে আসতে পারলো? যেহেতু ষড়যন্ত্র, কয়টা অনুমান ত করাই যাইতে পারে:
এক. নির্বাচন নিয়া কোন ষড়যন্ত্র হইলে ভালো হইতো, অ্যাজ অ্যা ভিকটিম সিমপ্যাথি পাওয়া যাইতে পারে;
দুই. ষড়যন্ত্র হওয়ার কোন চান্স আর নাই, কিন্তু যারা করতে চায় তাদেরকে প্রকাশ্যে সাবধান করা দরকার, কারণ এতে কইরা নির্বাচন যদি না করা যায়, সেইটার দোষ আর নিতে হবে না;
তিন. এইটা একটা নির্দিষ্ট উস্কানি যে আপনারা ষড়যন্ত্র করেন! মানে, যে কোনভাবেই হোক, নির্বাচন নিয়া যে কোন একটা ষড়যন্ত্র আওয়ামী লীগরে বাঁচাইয়া দিতে পারতো।
যা-ই হোক, শেষ পর্যন্ত ষড়যন্ত্র হইতে পারে নাই আর কোনভাবে। নির্বাচন হইছে, মানুষের পাশাপাশি ভূতেরা আইসা ভোট দিয়া গেছে। ভূত-পূর্ব ষড়যন্ত্র মারা গেছে ।
কিন্তু এখনো যে কোন ধরণের ষড়যন্ত্র প্রধানমন্ত্রী যা যা করতে চান তার থিকা তারে বাঁচাইয়া দিতে পারে, এই বিষয়ে উনার যারা বিরোধীপক্ষ আছেন, তারা সাবধান হইতে পারেন।
Leave a Reply