Appearance is the only truth that we have.
———————————————————
এবাদুর-এর ক্লেইমটা হইলো যে, আরে উনারে ত আমি দেখসি; কথা কইসি; উনি যেই যেই জায়গায় গিয়া এবং যেইগুলা নিয়া আর্ট করসেন, ওইগুলাতেও আমি গেসি; সো, ওই আর্ট কনজিউম (ফিল-টিল আর কী) করার লাইগা আমি বেটার পজিশনে আসি আর এই কারণে বেটার এক্সপ্লেইন করতে পারি, যেহেতু উনার অভিজ্ঞতার (এক্সপেরিয়েন্স না কিন্তু) রোড-ম্যাপটা আমার জানা আসে। দেখেন, টেক্সটটাই জরুরি জিনিস না, জরুরি হইলো ইনফরমেশন, সেইটার বেসিসে ব্যাকগ্রাউন্ডের ইমাজিনেশন, ইন্টারপ্রিটেশন। ঠিক আসে!
ন্যান গোল্ডিন নিয়া এবাদুর যা করছেন, সেইটারে ওয়ান অফ সিচুয়েশন না ভাইবা তার থট-প্যাটার্ন হিসাবেই ভাবলাম। ভাবা ত যায়, মনেহয়।
যেই জীবনে আমি বাঁইচা আছি সেইটা নিয়াই আমি লেখতে পারি না খালি, যেই জীবনে আমি বাঁইচা আছি এর বাইরে আমি আর লেখতে পারবো না। ব্যাপারটা এইরকমভাবে দেখা যায় না, এইরকমই। সিমিলার টাইপের ট্রাপ। রিয়ালিটিটারে তখন বাঁইচা-থাকাতে ডাউনগ্রেড করা গেলো। আর এইখানে সামগ্রিকতা (টোটালিটি) একটা ফাঁপড় ছাড়া (ব্যতীত’রে মাফ কইরা দেন) আর কিছুই না। টোটালিটিরে প্রজেক্ট করাটা আর্টের কাজ হইতে পারে না বা একটা ‘আদার’ ক্রিয়েট করা। ন্যান-এর দেখানোর মতো যদি কিছু থাইকা থাকে সেইটা হইলো যে, দেখো, দেয়ার ইজ নো টোটালিটি অ্যাজ সাচ!
উই (আমরা) অ্যাজ অ্যা কনসেপ্ট ইজ অ্যাজ গ্লুমি অ্যাজ লোনলিনেস ইজ।
লেখালেখি ইটসেলফ একটা ফিকশনাল ঘটনা। এর ভিতরে ফিকশন ইনসার্ট করার মানে হইলো, ল্যাঙ্গুয়েজের ফিকশনালিটিরে একটা সুডো-পলিটিক্যাল ঘটনা হিসাবে ইন্টারপ্রেট করতে পারার ভিতর গোত্তা খাইয়া পইড়া যাওয়া। বুঝাইতে না-পারা কখনোই ঘটনা না, ঘটনা হইলো কী কী উপায় ছাড়া আমরা আর বুঝতে চাইতেছি না।
তবে এইটা ট্রু যে নারীবাদী বইলা যে ধারণা নিয়া এখনো নাচা-গানা করা যায় তিনি শরীর ছাড়া চিন্তা, বিইং উইথআউট অর্গানস! সেক্সচুয়ালিটি উইথআউট পাওয়ার অর প্লেজার (ওয়েস্টার্ন পর্ণ গুলিতে দেখবেন, সেক্স করা তো আসলে ব্যায়াম-ই একটা)। এর কারণ ভিজিবল প্রাকটিসগুলাই, আর যেই প্রাকটিসগুলা আমরা লুকাইতে চাই, সেইটা আর বলাই গেলো না! এমনিতে ইমেজ যতোটা না বলে তার চাইতে হাইড করতে পারে তো বেশি। সেই হাইডিংয়ের জায়গাটারে মহান কইরা তোলার যেই প্রজেক্ট আছে ন্যান গোল্ডিন মনেহয় সেইখানে খুব একটা বিলং করেন না।
ন্যান গোল্ডিন।। এবাদুর রহমান।। কাউন্টার ফটো।। ডিসেম্বর, ২০০৪; ১০৬-১২৫।।
Leave a Reply