অনলাইনে বা প্রাকটিক্যাল লাইফেও যেইসব মানুষদেরকে সেক্স-রোবট হিসাবে পারফর্ম করতে হয় সেক্স-রোবট বানানো শুরু হইলে উনাদের মেশিন হওয়ার নেসেসিটি কইমা আসবে বা কমপিট করা লাগবে মেশিনের সাথেই, তখন মোর ‘মানুষ’ হওয়ার অপারচুনেটি বাড়তে পারে উনাদের; যদিও এই কারণে ‘নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা’ কমার কথা না। বরং ‘রিয়ালিটি’র একটা নিশ অর্গানিক মার্কেট তৈরি হইতে পারে। এনাফ ডিমান্ড তৈরি হওয়ার পরে পুরুষ সেক্স-রোবটও বানানো হবে, ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী ম্যান-এর মতো। দেখেন, আমরা (মানে, হিউম্যান এগজিসটেন্স) হইলাম ডিজায়ার প্রডাক্ট; ব্যাপারটা এইরকম না যে আমরা ডিজায়ার বানাই, ডিজায়ারই আমাদের এগজিসটেন্সরে মিনিংফুল করতে পারে।
এথিকসওলাদেরও আর্গুমেন্ট এইটা যে, এই সেক্স-রোবটগুলি আমাদের ডিজায়ারের লেভেলে আসতে পারে নাই। মানুষও তো একদিনে মানুষ হয় নাই, ধীরে ধীরে সেক্স-রোবটরাও ফোরপ্লে করতে শিখবে।
তবে আমার ধারণা, ভয়টা অন্য জায়গায়; এই ধরণের টেকনিক্যাল ইনোভেশনগুলা ক্লাশ কনফ্লিক্টের জায়গাটারেই ওভারকাম কইরা ফেলে, একটা রেসিয়াল সুপরিয়রিটি’র জায়গাটাতে অপারেট করে। যেমন ধরেন, গরিব মাইনষে এখন স্লেইভ হইতেই চায়, শোষিত হওয়ার অধিকার-ই চায়, মানে, বেকার থাকার বদলে কাজকাম চায়, সেইটাও পায় না। গরিব হওয়াটা কোন ক্লাস না, বরং একটা রেইসের ঘটনা। ইন ফিউচার, সেক্স-রোবটের কালচার এস্টাবলিশ হইতে পারলে, সেক্সের জন্য অ-মানুষ হওয়া বাদ দিয়া অর্গানিক প্রডাকশনের খাতিরে পেট ভাড়া দিয়া আর স্পাম ডোনেট কইরাও গরিব’রা সোসাইটিতে তাঁদের কন্ট্রিবিউশন রাখতে পারবো মনেহয়। মানে, একটা রেইস হিসাবে গরিব মানুষরা ইনভ্যালিড হয়া যাবে, এইরকম টেকনিক্যাল ইনোভেশন এখনো হইতে পারে নাই। পারবে হয়তো, ডিসট্যান্ট ফিউচারে।
Leave a Reply