#কোজাগরী শব্দটার মিনিং আমি জানতাম না। লোকজন কয়, টিভিতে দেখায়, কোজগরী চাঁদ, #জি_বাংলা টিভি-চ্যানেলে একটা সিরিয়ালও আছে এই নামে। গতকালকে ছিল, এই কোজাগরী চাঁদের রাত। তো, অনলাইনে সার্চ দিয়া দেখলাম যে, এইটার মানে হইতেছে ‘কো জাগর্তি’; এই মিনিংয়ের পিছনে একটা #কাহিনি আছে। [বেশিরভাগ শব্দেরই, বিশেষ কইরা বিশেষণের এইরকম থাকার কথা।] কাহিনি’টা #হিন্দু ধর্মের। [#ইসলাম ধর্মের শব্দও থাকতে পারে এইরকম, #সেক্যুলার-ধর্মেরও…]
দেবী #লক্ষী বিষ্ণুলোক থিকা দুনিয়াতে আইসা মানুষের ঘরে ঘরে গিয়া জিগান, “কে জাইগা আছো?” [এইরকম বাক্য পাইলাম, কবিতার লাইন হইতে পারে এইটা – “নিশীথে বরদা লক্ষী কোজাগর্তিভাষিনী”।] তো কেউ জাইগা থাকলে, উনার ডাকে রেসপন্স করলে তার ঘরে গিয়া সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য, ধন-সম্মান দিয়া আসেন। [আমি অবশ্য মরা’র মতোন ঘুমাইছি গতকালকে। সন্ধ্যায় খালি বাইর হইছিলাম একটু।]
মে বি হিন্দুধর্মের #রেওয়াজগুলি কইমা আসতেছে বইলা খোঁজ-খবর নিয়া মিনিংটা জানতে হইছে আমারে। প্রাকটিস’টা চালু থাকতে আলাদা কইরা জানতে হইতো না, জানার মধ্যেই থাকতো কোন না কোনভাবে। মানে, আমাদের লাইফে বাঁইচা থাকার কারণেই কিছু শব্দ চইলা আসে, বাতিল হয়, মিনিংও পাল্টায় [যেমন, প্রাইভেট কার শব্দটা ১০০/১৫০ বছর আগে বাংলায় থাকাটা রেয়ার; ঘোড়ার গাড়ি সম্মানের ব্যাপার, গরু’র গাড়ি ব্যাপারটা রিকশা’র মতো হওয়ার কথা, কিন্তু ঘোড়ার গাড়ি এখন তো সর্ট অফ এন্টিক জিনিস, গরুর গাড়ি মানে স্লোনেস…]
ব্যাপারটা এইরকম না যে, প্রতিটা শব্দের সাথে একটা কইরা #মিনিং অ্যাটাচড থাকে। আমরা কিছু কমন প্রাকটিসের ভিতর দিয়া, অনুমানের ভিতর দিয়া বরং ব্যাপারটারে আন্দাজ করি।…
Leave a Reply