ইন আওয়ার সেন্স অফ রিয়ালিটি, ফ্যান্টাসি ইজ মোর রিয়েল দ্যান দ্য রিয়ালিটি।
‘কনর্ভাসেশন উইথ গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক’ (সিগ্যাল, ২০০৬) বইটার একদম শেষদিকে (পেইজ ১৭০ – ১৭৩) পারসোনাল আলাপে বিনয় মজুমদার’রে নিয়া গায়ত্রী’রে জিগাইতে পারছিলেন ইন্টারভিউয়ার। খুববেশি কথা হয় নাই। ইন্টারভিউয়ার অনেক হেসিটেট করতেছিলেন। গায়ত্রী মনে হইছে বরং বলতেই চাইতেছেন কাহিনিটা; যে, দেখেন এইখানে কোন কাহিনি নাই! বিনয় মজুমদারও কইছেন কয়েকটা ইন্টারভিউ’তে যে, এইখানে তেমন কোন কাহিনি নাই আর তারপরে হাসছেন। এই হাসিটারেই নিতে পারছি আমরা। গায়ত্রী যতোই রিয়ালিটি’টারে বলতেছেন বিনয়ের ফ্যান্টাসিটা ততই রিভিল হইতেছিলো যেন আরো।
গায়ত্রী কইছেন যে, দেখেন, উনার সাথে আমার কখনোই তেমন কোন কথা-বার্তা হয় নাই, প্রেম হওয়া তো দূরের কথা! উনি একটাকিছু ইমাজিন কইরা নিছেন, আমার নামটা বা এগজিসটেন্সটারে কল্পনা কইরা নিছেন। এইখানে আমি তো নাই! এমনকি বিনয়ও কখনো দাবি করেন নাই যে, উনাদের প্রেম আছিলো। কইছেন, বিনয়ের হাইট আছিলো ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি আর গায়ত্রী আছিলেন ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি – এইটুকই। খালি একটা বইয়ের কিছু কবিতা, তারে ভাইবা লেখা, যে আসলে শে না, তাঁর একটা ভাবনা। গায়ত্রী এইভাবে দেখছেন, বলছেন। যেইটা খুবই ট্রু।
বিনয়ের দাবিও ওই দূর থিকা দেখা-ই। কিন্তু এই দেখাটারে উনি রিয়ালিটি ভাবছেন। কিছু যে ঘটছে – এই দাবি উনারও নাই। বিনয় গায়ত্রী’রে নিয়া কবিতা লিখছেন। দাবি এইটাই। এখন এই গায়ত্রী যে ইমাজিনারি কিছু কিনা সেইটা নিয়া কথা বলেন নাই খুবএকটা। বলছেন, ওই যে – উনি, উনারে নিয়া লিখছি আমি। তো, যারে নিয়া লেখছেন, শে তো জানে না কিছু।
আবার অনেক সময় এইরকম হয়, আপনি কাউরে নিয়াই লিখতেছেন। কিন্তু সেইটা আসলে আরেকজনের কপি, তারে; মানে, যারে লিখতে চাইতেছেন সে/শে আরেকজনের কথা-ই মনে করাইলো। ধরেন, আরেকটা বনলতা সেন বা কাবজাব একটাকিছুই হইলো। বা একজেক্ট যেই রিয়ালিটি সেইটা লেখা তো কখনোই পসিবল না।
——————————————————————-
যেইভাবে আমরা রিয়ালিটি’টারে দেখি সেইটা খুবই ভচকাইন্না একটা ব্যাপার। এইটা অনেকবারই মনে হইছে। ব্যাপারটা আবার ট্রিগার করছে কিছুদিন আগে যখন শুনছি শম্পা রেজা’রে নিয়া লাখী আখন্দ ‘আগে যদি জানতাম…’ গানটা লিখছিলেন বা সুর করছিলেন। গাব্রিয়েল সুমন জানাইছিলেন এই ইনফরমেশন, ফেসবুকের একটা স্ট্যাটাসে। মানে, এই জাইনা যাওয়াটা, গানটারে তো একরকমের রিয়ালিটির ভিতরেই রিডিউসই করে; যে, ‘ও আচ্ছা, এইটা লাকি আখন্দ আর শম্পা রেজার কাহিনি!’ হোয়ার অ্যাজ গানটা তো আর ওইটুকই না। শম্পা রেজা’র তো নাক উঁচা, উনার এইএলিটিসজমরে সুন্দর মনে হইতো; এখনো অনেককিছুই সুন্দর হয়া আছে, থাকতে পারে, পারতেছে। কিন্তু একটা এলিটিজম যে এমবেডেড হয়া আছে শম্পা রেজা’র ইমেজের সাথে (আমার কাছে) সেইখানে এই গানটারে এটাচ করাটা মুশকিলেরই; নট দ্যাট যে, গানটার মধ্যে ফোক টোনের স্নবারি’টা নাই (ফোকলোর – এই ব্যাপারটাই তো স্নবিশ, আইডিয়ার দিক থিকা) বা ঘটনাটা এইরকমই, এর বাইরে কিছু নাই; কিন্তু লাকি’র তো মনে রাখার কথা কিছু একটা; লিখতে গেলে ‘রিয়েল’ (যেইটা ইল্যুশনারি একইসাথে) একটা কিছু লাগে। লাকি’রে জিগাইলেও উনি কইবেন যে, এইটা মিছা কথা না, শম্পারেই ভাবছিলেন উনি। ওইটা নিয়াই মুশকিলটা।
কোন একটা রিয়ালিটিরে বা ঘটনারে বা ফিলিংসরে আমরা ল্যাঙ্গুয়েজে ট্রান্সফার করতেছি – ব্যাপারটা এইরকম না। এইরকম ‘ইচ্ছা’ তো থাকতেই পারে (সবসময় যে থাকতেই হবে, এইটা নেসেসারি না); কিন্তু থ্রু দ্য প্রসেস যেইটা ক্রিয়েট হইতেছে সেইটা রিয়ালিটি বা ঘটনা বা ফিলিংসটা না। বরং উল্টাটা, এইরকম একটা ‘ইচ্ছা’ বা ‘ফিলিংস’ আছে… আমরা কানেক্টেট হইতে চাইতেছি। আমরা যে জানি, আমরা জানি না – এইটা তো জানি-ই। সেই জানাটার কাছে যাইতে চাইতেছি অ-জানার ভিতর দিয়া। এইরকম একটা ঘটনা হইতে পারে মনেহয়।
এইরকম না যে, আমরা আসলেই জানি না বা জানি। আমরা কি বলতেছি সেইটা খুব কমই ঘটনা; বরং বেশিরভাগ সময়েই ঘটনাটা হইতেছে, কেমনে কইতেছি। ভঙ্গিমাগুলিই গান। একবার এক প্রোগ্রামে একজন ইন্টেলেকচুয়ালের ওয়াজ শুইনা কইছিলাম, উনি তো হানিফ সংকেতের মতোন কথা কইতেছেন, হানিফ সংকেত বাজে মানুষ না বা উনার ইন্টেলেকচুয়ালিটি নিয়াও আমার কনসার্ন নাই, কনসার্নটা হইতেছে এমন কি কথা আমি কইতেছি যেইটা আরেকটা ভঙ্গিমারেই নকল কইরা চলতে হইতেছে। একটা লিমিট পর্যন্ত এইটা থাকেই, কিন্তু যদি সেইটা ভঙ্গিমাটার অতিরিক্ত কিছু না-ই হয়, তাইলে আমি আমার কনসার্ন কেমনে দেখাবো! তো, এইটা ভঙ্গিমার ভিতর জড়োসড়ো কোন ঘটনাও না। আমরা বলতে পারি অনেকদূর পর্যন্ত-ই থ্রু আওয়ার কনশাসনেস। কিন্তু দেখার জায়গাটারে না বদলাইয়া এইটা করাটা তো পসিবল না, কখনোই।
অক্টোবর, ২০১৭
————————————————————————–
ফর্মের ডিফরেন্স তো আছেই। যেই জিনিস করতেছি আমরা আর যখন সেই একই জিনিসই বলতেছি একই ঘটনা না সেইটা। অথচ সেই আর্জটা, দাবিটা আছে আর্টের কাছে আমাদের। বা লাইফের কাছে এই এক্সপেক্টশনটা আছে আমাদের যে এইটা আর্টের মতো হইতে হবে। একদম একরকম না হইলেও, একটা রিলেশন তো আছে, থাকতেই পারে।
গায়ত্রী’র কথাগুলি খুবই ভ্যালিড; মিনিমাম যেই রিলেশন – সেইটা কই? বিনয়ও আমার ধারণা, এক্সটেন্ডই করছেন এই রিলেশনটারে; যে, দেখছি তো উনারে, কথা কইছি, এইসব আবজাব, বইয়ের পাতায় আছি পাশাপাশি, কদমছাঁটের চুল কাটছি দুইজনেই, এইরকম কিছু দিয়া বানাইতেছেন, রিলেশনটা। মানে, আছে একটা রিয়ালিটি।
কিন্তু ব্যাপারটা ফ্রম রিয়ালিটি না যেইটা একটা ফ্যান্টাসিরে স্টিমুলেট করতেছে। এইটা একটা ফ্যাণ্টাসি যেইটা একটা রিয়ালিটিরে পাকড়াও করতেছে। গায়ত্রী বরং এইটা স্মেইল করতে পারা’র কথা যে, এইটা যে কেউই হইতে পারতো, যে কেউই হইতে পারে। অ্যাজ অ্যা রিয়ালিটি উনার তেমনকিছু নাই এইখানে। মেবি উনার ইন্টেলেকচুয়ালিটি গুরুত্ব পাওয়ার কারণে রিলেশনের ব্যাপারটা আরো হাইলাইটেট হইছে। এর সাথে ওই মিথ’টা জোড়া লাগছে হয়তো যে, বিনয় বিরাট ম্যাথম্যাথেশিয়ান ছিলেন। থাকে না কিছু কুফরি-কালামের ব্যাপার।
—————————————————————————————-
কেউ একজন কইছিলেন, ‘যেই কবি নারীদের প্রশংসা করতে পারেন না, তিনি আবার কবি কেমনে হন!’ – এইরকম। রিয়েল কবি তিনি-ই যিনি নারীদের প্রেইজ করতে পারেন বা প্রেইজ করতে পারার একটা ঘটনা এইখানে আছে। ‘কবি’ আইডেন্টিটি’টা যে নেসেসারিলি জেন্ডার হিসাবে ‘বেটা’ – মোটাদাগে এই জিনিসটারে মাইনা নিয়া ‘কবি’ বলার ঘটনা এইটা, কিন্তু [ফ্লার্ট করার জায়গাটারে ধইরা নিয়াই] প্রশংসা করা বা না-করা দিয়া কবি আইডেন্টিফাই করার ঘটনাটা ইনসিগনিফিকেন্ট তো না।
জুলাই, ২০১৭
————————————————————————————–
মানে, যিনি কবি, তিনি কবিতা তো লিখতেন পারেন, লগে বিরাট ম্যাথমেশিয়ান বা ফুটবলও খেলতে পারেন এই জিনিসটা তারে কবি হিসাবে চিনতে পারা’র আরেকটা উপায় তো, আমাদের জানা-শোনার ভিতর। এইটা লাগে। থাকেও। চাইলেই আবিষ্কার করা যাইতে পারে, এইরকম।
তো, উনারা দুইজনে মিইলা একটা রিয়ালিটিই; যেইখানে বিনয় রিয়ালিটি (কিছু কিছু ঘটনা তো ঘটছেই) বইলা ক্লেইম করার একটা কোশিশ করতেছেন আর গায়ত্রী কোন রিয়ালিটি যে নাই – সেইটারে হাইলাইট করতেছেন। আমার কথা হইলো, দুইজনে এইরকম রিয়ালিটি আছে বা নাই বলার ভিতর দিয়া নিজেদেরকে ফ্যাণ্টাসাইজড করতে পারতেছেন। মানে, ফ্যাণ্টাসি’র ভিতর দিয়াই ব্যাপারটারে আরো ওপেনলি বা ক্লোজলি রিড করা পসিবল।
২.
এই গায়ত্রী-বিনয় কাহিনি কেন দরকারি আসলে? এইটা কি পারপাস’রে সার্ভ করে? একটা ‘কবি’ ধারণারে আরো জোরসে এস্টাবলিশ করে আসলে। যে, দেখেন কবি মানে এইরকম একজন যে প্রেমে পইড়া আউলায়া গেছে! কবিতা লেইখা এমন পাগল হইছে যে আর কিছুই (মানে, সমাজ-সংসার) করতে পারে নাই। এই যে ফ্যাণ্টাসি’টা সেইটা খুব জটিল কিছু না, কখনোই।
—————————————————————————
কবি-বন্ধু
“… আমি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র। ‘ফিরে এসো, চাকা’ বেকার থাকা অবস্থায় লিখেছিলাম, আবার কিছুদিন দুর্গাপুরে চাকরি করতে করতে লিখে ‘ফিরে এসো, চাকা’র পাণ্ডুলিপি হাতে করে আমি কলকাতা এসে হাজির। এসে দিলাম ছাপতে। পাবলিশার্স এক পয়সাও দেয়নি। আচ্ছা। দিলাম ছাপাতে। বই যখন বেরোল, আমি ঠিক করলাম চাকরি-বাকরি না করাই ভালো এবং শক্তিও তাই বলল। বলল – তুই যা কবিতা লিখিস তাতে তোর আর চাকরি-বাকরি করা উচিত হবে না। তুই কবিতা লেখ। উৎপলকুমার বসু, শংকর চট্টোপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শরৎকুমার মুখোপাধ্যায – এরা সবাই মিলে চেপে ধরল আমায়। যে এরপরে মশাই আর কোনও চাকরিতে আপনি যাবেন না। আমি বললাম – টাকা পাব কোথায়? খাব কী? বলল যে – আমরা চাঁদা তুলে আপনাকে খাওয়াব। এই সময়ে স্টেটম্যান-এ আমার বইয়ের একটি রিভিউ বেরোল। স্টেটম্যান লিখেছিল – কবি বিনয় বাংলা সাহিত্যে চিরস্থায়ী আসন দখল করে নি। সেই রিভিউটা পড়ে আমি ভাবলাম যে, আচ্ছা ঠিক আছে – তো এরা যখন বলছে তখন দেখি চেষ্টা করে পারি কিনা। আর অন্য কবি যারা ছিল তারা বলল – মশাই আপনি ইঞ্জিনিয়ার। আমরা ইঞ্জিনিয়ার না। কেউ সাংবাদিক, কেউ শিক্ষক, কেউ অধ্যাপক আমাদের কোনও অসুবিধা হয় না। কিন্তু আপনি ইঞ্জিনিয়ার হতে গেলে আর কবিতা লেখা হবে না। চাকরি না করে তারপর আমি ছিলামও বটে। ওরা চাঁদা তোলা শুরু করল বটে এবং দিয়েও ছিল বছরখানেক, বছর দেড়েক। তারপরে কিন্তু চাঁদা দেওয়া বন্ধ করে দিল। আমি অত্যন্ত, অতিশয় কষ্টে (আবেগজড়িত কণ্ঠ) দিন কাটিয়েছি তারপর। ১৯৬৪ সালের পরে ১৯৭০ সালে আমি আমার বাবা-মার কাছে এখানে চলে আসি। ৬ বছর আমি অত্যন্ত টাকার অভাবে ভুগেছি। টাকার অভাব দেখে বাবা আমাকে ১০০ টাকা করে দিত। আমি প্রতি মাসের পয়লা তারিখে বাড়ি এসে (শিমুলপুর) টাকা নিয়ে চলে যেতাম কলকাতায়।…”
(নির্বাচিত সাক্ষাৎকার, কবি ২০১৬; পেইজ: ১০২ – ১০৩)
“প্রশ্ন: সবাই মিলে আপনাকে বলল – আপনি ভালো কবিতা লেখেন, সুতরাং চাকরি-বাকরি ছেড়ে দিয়ে কবিতাই লিখুন। আপনি তাই করলেন। এখন কি মনে হয় চাকরি করলে এত ভালো লিখতে পারতেন না।
উত্তর: ভালো লিখতে পারিনি। চাকরি করলে হয়তো এর চেয়ে ভালো লিখতে পারতাম। ওই ‘ফিরে এসো, চাকা’টা হয়েছে। ‘অঘ্রাণের অনুভূতিমালা’ও পছন্দ হয়নি। বইটির অনেক দোষ-ক্রুটি আছে।”
(নির্বাচিত সাক্ষাৎকার, কবি ২০১৬; পেইজ: ১০৫)
বিনয় মজুমদারের এই কথাগুলি পইড়া পয়লা কি হইতে পারে? মনে হবে, অভিমান! পুরান ফ্রেন্ডদের উপ্রে বিলা হইয়া এইসব কইতেছেন। উনার তো এমনিতেই মাথা ঠিক নাই। একচুয়ালি এইসব উনি মিন করেন নাই, আসলে অভিমানই করতেছেন।
একটু পরে যদি আপনি মাইনাও নেন, বিনয় মজুমদারই তো কইছেন, তারপরও মনে হবে – এইভাবে হয়তো বলেন নাই উনি, পড়তে যতোটা হার্শ লাগতেছে। একটা বয়সের পরে পুরান ফ্রেন্ডদের উপর এইরকম ক্ষোভ, অভিমান থাকেই। একটা ডিসট্যান্স তো তৈরি হয়…
বা বেশি ভাবতে গিয়া, আপনি চেইতা গেলেন শেষে, এইটাও ভাবলেন – এইসব পারসোনাল ব্যাপার নিয়া মাথা ঘামানির কি আছে! উনার নিজের কোন বিচার-বুদ্ধি নাই নাকি, ফ্রেন্ডদের কথা শুইনাই খালি চলছেন নাকি! উনি নিজেই কি এই ডিসিশান নেন নাই? আর উনার ফ্রেন্ডরা যদ্দূর পারে, করছেই তো। আর অরাও তো ইয়াং-ই আছিলো, নাকি?
মানে, এইসব আবজাব, অনেককিছুই নিজেদেরকে বুঝানোটা পসিবল। মিথ্যাও না মেবি। কিন্তু ঘটনা যেইটা ঘটছে বইলা বিনয় মজুমদার বলতেছেন, সেইটা যে ঘটে নাই তাও তো না। ঘটছেই তো একরকম; মানে, ফ্যাক্ট হিসাবে কেউ তো ডিনাই করেন নাই, মনেহয়। অ্যাকুইজিশনটা নাহয় না নিলেন। যে, আমি তো এইটা ভাইবা বলছিলাম, ওইটা ভাইবা বলছিলাম, এইরকম চোরাগলিগুলি তো আছেই রিলেশনের।
মাহমুদুল হকের কথাও মনে হইতেছে এখন। উনি মনেহয বি.এ. ফেইল। পাথরের ব্যবসা শুরু করছিলেন। সাহিত্যিক-বন্ধুরা কইতে কইতে উনারে ‘আধ্যাত্মিক’ বানায়া দিলেন। কি যে টেরিবল একটা ব্যাপার। এই আলগা-পিরীত আর পিঠে-ছুরি-মারার জিনিসটা ইউনিভার্সাল কোন ইস্যু বইলা মনেহয় না; এইটা কলকাতার হিস্ট্রিক্যাল ইভেন্টগুলিরে মানতে না পারার একটা নমুনাই। কমলা দাস এই সিমটমগুলি’রে উনার পারসোনাল এক্সপেরিয়েন্সের ভিতর দিয়া রিভিল করতে পারছিলেন।
হিন্দি-সিনেমা ‘লাক বাই চান্স’-এ একটা সিন আছে। আগেরদিনের নায়িকার এক মাইয়ারে ইন্ড্রাষ্টিতে স্পেইস দেয়ার লাইগা সিনেমা বানাইবেন এক ডিরেক্টর, মাইয়া যাতে হাইলাইট হয় এর লাইগা নতুন হিরো নিবেন। স্ক্রীণ টেস্ট শেষে দুইজন শর্ট লিস্টেট হয়, ফারহান আখতার হইলো একজন। সে নায়িকার মা’র লগে ফ্লার্ট কইরা একটা চান্স নেয়ার ট্রাই করে। পরে সে বাইরে খাড়ায়া শুনে যে, নায়িকার মা তার ডিরেক্টর-ফ্রেন্ডরে কইতেছে, আরেকটা পোলা যে আছে, তারে তো একটু বেশিই কনফিডেন্ট মনে হইতেছে…। পরে ওয়েটিং স্পেইসে যখন তার কম্পিটিটরের লগে দেখা হয় তখন ফারহান আখতার কয়, তোমারই মনেহয় হইবো, আমারে তো কইছে যে, আমার কনফিডেন্স কম, তোমার মতো কনফিডেন্স তো আমার নাই! অর কম্পিটিটর তো ফাইনাল স্ক্রীণ-টেস্টে গিয়া আরো কনফিডেন্স দেখায় আর পুরাপুরি বাতিল হইতে পারে!
কবি হওয়াটা তো আর হিরো হওয়ার মতো ঘটনা না। কবিতা লিখলে যেমন কবি হইবেন, সুন্দরী বা বাচাল বা ইন্টেলেকচুয়াল বা বা বা টাইপ গার্লফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ড থাকলেও হইতে পারবেন; সোসাইটিতে সার্টেন পিপলের লগে রিলেশনশীপ রাখলেও কবি হইতে পারবেন। এইটা মোস্টলি সোশ্যাল একটা ব্যাপার। তেমন সমস্যার কিছু নাই। চাকরি করেন কি চাকরি না-করেন, সব্জি চাষ করেন, সফটওয়ার বানান, টিভিতে খবর পড়েন… যেকোনকিছুই করতে পারেন।
জাস্ট মনে হইলো, এখনো যারা কবি-বন্ধুদের লগে থাকেন, উনাদের করা আপনার কবিতার প্রশংসারে ভালোবাসেন, একটু সাবধান থাইকেন। কবিতা লিইখা যখন ‘শহীদ’ হইবেন, আপনার কবি-বন্ধুদের কথা যখন মনে হইবো, তখন যাতে উনাদেরকে আপনি মাফ কইরা দিতে পারেন।
অগাস্ট, ২০১৬
——————————————————————————————-
এমন না যে, কেউ এইরকম হইতে পারে না, আউলাইয়া যাইতে পারে না। কিন্তু এক্সাম্পাল’টা যেইভাবে ক্রিয়েট হইতেছে – সেইটা কখনোই এইরকম না। এর রিয়ালিটি আর ফ্যাণ্টাসির ক্যাটাগরি’টা মোস্টলি ভুল একটা হিস্ট্রি’রে ইন্ডিকেট করে। মানে, ইতিহাস ফ্যাক্ট-বেইজড একটা রিয়ালিটি – তা না; যেই ইমাজিনেশনরে এইটা হাইলাইট করে – সেইটা এমন একটা ‘ট্র্যাডিশন’রে আপহোল্ড করে যেইটারে মাইনা নিলে কবিতা লেখা বা আর্ট’রে একটা সোশ্যাল ফেনোমেনা হিসাবে অ্যাকসেপ্ট করাটা আর পসিবল না। এইটা কবিতা বা আর্টের অবস্টেকলই খালি না, খুবই বাজে একটা ব্যাপার। অ্যাজ অ্যা রাইটার অর রিডার, এইটুক কনশাসনেস মনেহয় এটলিস্ট আমাদের থাকা দরকার।
৩.
যেইটার বেসিসে কথাগুলি কইলাম তার কিছু হদিস নিচে রাখলাম। মানে, রাখছি বইলা আমার কথাগুলিরে এই টেক্সটগুলির ইন্টারপ্রিটেশন হিসাবে নিলে মুশকিলই হওয়ার কথা। এই টেক্সটগুলি রিলিভেন্ট। কিন্তু এইগুলিরে আমার কথার প্রমাণ হিসাবে নিলে ব্যাপারটা মিসলিডিং হবে আর কি।
……………………………………..
Gayatri on Binoy
……………………………………..
: You can ask me about Benoy [Majumdar, poet]. I don’t have any objections. Because I think I should talk about it.
: Phire esho chaka. 1962. Jyotirmoy Dutta’s paperback came out when I was crawling on all fours. No, slightly older than that. I was six at that time. I read it in 1969-70. When I was in class 9 or 10.
: I have to talk about it because people still think that we had a relationship and then finally I refused him. Don’t they?
: No, that was not the story I heard.
: What did you hear?
: It was a sort of an intellectual love affair. He was never completely stable.
: He never fell in love with me. Benoy never did.
: He was never really stable.
: I was just a figure.
: But that you refused him – no, I hear nothing to that effect.
: I was just figure, really. In the absolutely last interview he gave – someone gave it to me in Rajnagar bus station – someone asked towards the end, ‘You haven’t said anything about Gayatri Chakravorty.’ What would he say? There wasn’t anything with me. So he laughed and said, ‘I am 5 foot 3 and Gayatri is 5 foot 9. If you want to write something about her, write this.’ So this really… I was as remote from him as could be: 5 foot 3 and 5 foot 9. He told another person, I read this recently, that ‘Gayatri Chakravorty was a reputed student of English. I felt she would’ve been able to understand my poetry.’ Now that I thought was an extraordinarily sweet thing to say. These are the kinds of things, you know what I mean, that caught his eye. Being so tall.
: There was a facsimile edition of the whole thing. Who brought it out?
: Everything has been brought out by Pratibhash.
: Pratibhash, yes, Pratibhash has put everything in print. I don’t think he really wrote any powerful poem after Aghraner anubhutimala.
: I think Aghraner anubhutimala is much more powerful than phire esho chaka.
: Yes. Has anyone else written anything like this in baish, chhabbish, tirish matra? My god…
: Yes that is one thing, and besides, it is truly a philosophical poem.
: Yes, I read it long back when I was in college or perhaps university.
: It’s an epic of epistemology. Baba re baba!
: It is fantastic! I still have it; I brought the first edition of the book.
: I have it because it’s in the kavya samgraha.
: I still posses that moth-eaten copy. What was the price then? Four or five rupees at the most.
: Unbelievable, it is really, to me –
: After Aghraner anubhutimala…
: Phire esho chaka… I don’t think it is a lot of hot air when people say that Benoy Majumdar comes second only to Jibananda Das. To me, phire esho is not in the same category as Aghraner anubhutimala. Not at all.
: I am happy that we share the same opinion. Aghraner anubhutimala is just too good.
: It was something else.
Page 170 – 173, Conversations with Gayatri Chakravorty Spivak, 2006.
……………………………
বিনয়ের কথা
……………………………………..
প্রশ্ন: গায়ত্রী চক্রবর্তী সম্পর্কে কিছু শুনতে চাই।
উত্তর: যিনি আমার গুরুদেব ছিলেন বাংল ভাষা পড়াতেন আমাকে প্রেসিডেন্সি কলেজে সেই জনার্দন চক্রবর্তীর মেয়ে হল গায়ত্রী চক্রবর্তী। ইডেন হিন্দু হোস্টেলের সুপারিনটেন্ডেন্টও ছিলেন। আমি ওই হোস্টেলে থেকেছি দুই বছর। গায়ত্রীর বয়স তখন কত হবে? ১০-১১-১২ বছর। আমার তখন হবে ধরো ১৬-১৭-১৮ বছর। আমি ওকে দেখেছি। এরপর তো হোস্টেল থেকে চলে গেলাম। বি.ই. ইঞ্জিনিয়ারিং পড়লাম। চাকরি করলাম। চাকরি করার পর বেকার বসে বসে কবিতা লিখলাম। তখন গায়ত্রী বি.এ. পাশ করেছে। ফ্লার্স্ট ক্লাস ফ্লার্স্ট। ফের দেখলাম। তখন লিখলাম ৭৭টি কবিতা। ‘ফিরে এসো, চাকা’র কবিতাগুলি। ওগুলি গায়ত্রীকে নিয়ে লেখা, আমাকে নিয়ে লেখা, শিশিরকুমার দাসকে নিয়ে লেখা, কেতকী কুমারীকে নিয়ে লেখা।
(পেইজ ৯৮, নির্বাচিত সাক্ষাৎকার, কবি ২০১৬; ১৯৯৯)
প্রশ্ন: ‘ফিরে এসো, চাকা’ যাকে উৎসর্গ করেছেন সেই গায়ত্রী চক্রবর্তী সম্পর্কে কিছু বলবেন কি?
উত্তর: আমি যখন ইডেন হিন্দু হোস্টেলে ছিলাম তখন গায়ত্রীর বাবা ছিলেন সুপারিনটেনডেন্ট, জনার্দন চক্রবর্তী, দাদার নাম প্রসূন চক্রবর্তী। তখন ওর বয়স ১২। তখন থেকে দেখেছি। পুরোহিতের মেয়ে তো। বেশি কথাবার্তা হয়নি। আলাপ-আলোচনা হত। কবিতা নিয়ে। ‘কবিতা লিখেছি কবে, দুজনে চকিত চেতনায়’ – এবার বুঝলে তো! তারপর ভালো ছাত্রী হওয়ার ফলে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে ২৩ বছর বয়সে আমেরিকায় চলে গেল। আমি তিনটি বই তাকে উৎসর্গ করেছি।…
প্রশ্ন: তাকে ফিরে আসতে বলছেন কেন?
উত্তর: আমি তো বলছি, সে কি আর ফিরে এল? প্রেসিডেন্সি কলেজের পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে বি.এ. পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে চলে গেল আমেরিকায়। আমেরিকায় গিয়ে এক কৃষ্ণাঙ্গকে বিয়ে করল। ছেলে-পুলে হয়েছে। এখন একদম বুড়ি হয়ে গেছে। চুল কেটেছে। আমার চুল দেখছ – এর চেয়েও ছোট, কদম ফুলের মতো।
প্রশ্ন: আপনার সঙ্গে দেখা হয়েছে নাকি?
উত্তর: না, না। খবরের কাগজে ছবি দিয়েছিল না? দেখেছি…
(পেইজ ১১০-১১১, নির্বাচিত সাক্ষাৎকার, কবি ২০১৬; ২০০১)
——————–
রিলিভেন্ট টেক্সট: বিনয় মজুমদারের ফ্যাণ্টাসি
——————–
ফ্যাণ্টাসি মানে কি?
কিন্তু তার আগে ‘বিনয় মজুমদার’-এর কথাটা বইলা নেই। অনেকেই হয়তো চিনেন তারে; তারপরও বলি, উনি ইন্ডিয়া-রাষ্ট্রের পশ্চিমবাংলা প্রদেশের বাংলা-ভাষার একজন কবি। উনার বিখ্যাত কবিতার বইয়ের নাম, ফিরে এসো, চাকা; অঘ্রাণের অনুভূতিমালা। এই কবিতাগুলা আমি ‘বিনয় মজুমদারের শ্রেষ্ঠ কবিতা’ নামের একটা বইয়ে পড়ছি। উনার অনেক কবিতা অনেকবার পড়ছি। কিছু লাইন এখনো মনে আছে, যেমন ‘মানুষ নিকটে গেলে প্রকৃত সারস উড়ে যায়’, ‘বালকের ঘুমের ভিতরে প্রস্রাব করার মতো অস্থানে বেদনা যাবে ঝরে…’ এইরকম বেশ কয়েকটা।
‘অনুমান’ করি, বাংলাদেশে যাঁরা কবিতা লিখেন, তাঁরা এখনো উনার কবিতা মনোযোগ দিয়া পড়েন। পছন্দ করেন। ভালোবাসেন। আবৃত্তি করেন। ইত্যাদি।
আমি নিজে অনেকদিন ধইরা উনার কবিতা পড়ি না। তার মানে এই না যে, উনার চাইতে ‘ভালো’ বা ‘অন্যরকম’ কবিতা আমি লিখি। বরং, কবিতা লিখা ব্যাপারটা যে ‘এইরকম’ চিন্তার ভিতর এগজিস্ট করে না, উনার কবিতা পড়ার অভিজ্ঞতা থিকা সেইটা আমি একভাবে শিখছি। দেখছি যে, উনার কবিতার যেইটা ‘রিয়ালিটি’, সেইটা এক ধরণের ‘ফ্যাণ্টাসি’ হিসাবে পারসিভ করতে পারেন, যাঁরা পড়বেন, উনার কবিতাগুলি।
বিনয় মজুমদারের কবিতা নিয়া অন্যান্য বিবেচনাগুলা স্থগিত রাইখাই এইটা নিয়া কথা বলা যাইতে পারে। উদাহারণ দিয়া বলতে পারলে সুবিধা হইতো, কিন্তু যেহেতু উনার কোন পুরা কবিতা আমার মনে নাই, যেই ২টা লাইন মনে আছে, সেইটা দিয়াই বলার চেষ্টা করি। যেমন ধরেন, ‘প্রকৃত সারস’ একটা ‘ফ্যাণ্টাসি’ হওয়ার যোগ্যতা রাখে। ফ্যাণ্টাসি, যা রিয়ালিটিতে নাই, কিন্তু আমরা কল্পনা করতে পারি এবং এমন একটা লেভেলে নিয়া যাওয়ার সক্ষমতা রাখি, যা এক্সটেনডেট হইতে পারে কোন লজিক্যাল কনসিকোয়েন্স ছাড়াই… কিন্তু এই ‘প্রকৃত সারস’টা আমার ধারণা অনুযায়ী, বিনয় মজুমদারের কবিতার রিয়ালিটি। একইভাবে, ‘বেদনা’ ত ফ্যাণ্টাসিরেই উত্তেজিত করে! ত, এইসব ফ্যাণ্টাসি বাদ দিয়া উনার কবিতা আমি পড়তে পারি।
বিনয় মজুমদার নিয়া কোন ফ্যাণ্টাসি আমার নাই!
২.
এইবার একটা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলি। আমার বন্ধু মুকুল (নারায়ণগঞ্জের) একবার ইন্ডিয়া গেলো, মানে কলকাতা (বিপুলও ছিল মনে হয়)। একটাই উদ্দেশ্য যে, বিনয় মজুমদারের সাথে দেখা করবো, একটা ইন্টারভিউ নিবো। এখনো ইমাজিন করতে বেশ ইমোশনাল হই যে, শুধুমাত্র কবিতার জন্য ভ্রমণ করা, মানে একজন কবি’র সাথে দেখা করার জন্য, এই যে ডেডিকেশন, বেশ একটা ঘোরের মতোই ত লাগে, আমার কাছে…
বিনয় মজুমদারের ত উপাধিই ‘কবিতার শহিদ’। উনার কবিতার পাশাপাশি উনার ব্যক্তি-জীবন নিয়াও মুগ্ধ ছিলাম আমরা (মানে, আমি ও আমার পরিচিত বন্ধুরা)। ‘ফিরে এসো, চাকা’ নাকি উনি লিখছেন গায়ত্রী চক্রবর্তীরে নিয়া। উৎসর্গও করছেন তারে। উনি নিজে গণিতবিদ, উনার সূত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্য। থাকেন গ্রামে। খাইতে পান না। কোন পেশা নাই। আয়-রোজগার নাই। ব্যক্তি হিসাবে, কবি হিসাবে উনারে নিয়া একটা সময় ফ্যাণ্টাসিতে ভুগেন নাই এইরকমটা স্বীকার করতে অনেকেরই দ্বিধা হওয়ার কথা। ফ্যাণ্টাসি মানে, নানান কল্পনা, যা তিনি না ইন রিয়ালিটি, সেইসব কিছু ভাবনা-করা…
কিন্তু উনারে একজন সামাজিক ব্যক্তি এবং কবি হিসাবে ইমাজিন করতে আমার তেমন একটা কষ্ট হয় না। উনার কিছু ভিডিও ফুটেজ আমি দেখছি, টিভি-সাংবাদিক যেইভাবে উনারে বর্ণনা করতেছিলেন, অনেকটা আমাদের দেশের দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিবেদনের মতো অবস্থা।
এইক্ষেত্রেও, বিনয় মজুমদার নিয়া কোন ফ্যাণ্টাসি আমার নাই!
৩.
এই যে ‘সম্ভাবনাগুলা’, যা আমি ‘অনুমান’ করতে পারি, সেইগুলা কি এগজিস্ট করে না? বা, এই জিনিসগুলারে ‘ফ্যাণ্টাসি’ বলাটা কি ঠিক হইতেছে না আমার?
ফ্যাণ্টাসি মানে কি খুব পাতলা ধরণের কিছু? পরিতাজ্য?
কিন্তু ইন রিয়ালিটি, আমি ত অনেক ফ্যাণ্টাসি নিয়াই চলি এবং হয়তো অন্য অনেকেও! বরং, চিন্তা যদি করতেই হয় ফ্যাণ্টাসি-রিয়ালিটি এই ক্যাটাগরিগুলা নিয়া আরো ভাবা যাইতে পারে।
জানুয়ারি, ২০১২
—————————–
নভেম্বর, ২০১৭
Leave a Reply